কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৪০ কেজি গাঁজাসহ একটি টয়োটা মাইক্রোবাস জব্দ করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
আজ (২০ জুন) রাতে বুড়িচং থানায় কর্মরত এসআই মোঃ নূরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পাঁচোড়া দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া নুর মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একটি টয়োটা মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পায়ে গাড়ী চালক ও গাড়ীতে থাকা দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়ী থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার ও উপস্থিত লোকজনের সামনে গাড়ীটি তল্লাশী করে গাড়ীর পিছনে থাকা ৭টি চটের বস্তায় ১৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় টয়োটা মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অপসারিত কাউন্সিলরা।
বুধবার দুপুরে নগরীর মনোহরপুর একটি পার্টি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জনপ্রতিনিধির অপসারন, জনভোগান্তির মূল কারন উল্লেখ্য করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের শত শত মামলা ও হামলার কারনে ঠিকমত কাজ করতে পারিনি। আওয়ামীলীগ বিতারিত হলেও আমরা অপসারনের শিকার হয়েছি, আন্দোলনে যোগ দিয়েও বৈষম্যর শিকার হয়েছি। এসময় তারা অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রতি তাদের পূর্ণবহানের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিটির অপসারিত কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া, কাজী মাহবুবুর রহমান, তাহমিনা আক্তার লিন্ডাসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৬৪ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি।
শুক্রবার
(৮ নভেম্বর) বিকালে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সুলতানপুর ব্যাটেলিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর থেকে হতে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ
টাকা মূল্যের ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৪ হাজার পিস এবং টয়োটা
গাড়ি ১ টি উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় জুলাই বিপ্লবে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান - বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলায় কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের শিক্ষক প্রবীর রঞ্জন দে সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের টিম নগরীর তাল পুকুরপাড় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কুমিল্লা নগরীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মইনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পুলিশের একাধিক টিন বুধবার রাতভর নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলায় কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের শিক্ষক নগরীর তালপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা ননী গোপাল দে -র ছেলে প্রবীর রঞ্জন দে কে গ্রেফতার করে। এছাড়া পুলিশ ওই রাতে অভিযান চালিয়ে এক ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আরো ৬ আসামিকে গ্রেফতার করে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যতম ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ।
গত
১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাবের অভিযানে মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন শহরস্থ হোটেল সার্বিক
ইন্টারন্যাশনাল এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী
মোঃ আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার (৪৮), পিতা-মৃত ইউসুফ জোমাদ্দার, সাং-মহেশপুর, থানা-বাকেরগঞ্জ,
জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব
জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে
তথ্য প্রদান করে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার
চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য,
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা সহ মোট ১০ টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
অনিয়ম ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও প্রযুক্তিবিদ (টেকনোলজিস্ট) না থাকায় “কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল” প্যাথলজিকে ৫০,০০০ টাকা এবং আল নুর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে রেডিওলজিস্ট না থাকায় ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস মেডিকেলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া রিএজেন্ট ব্যবহার
করা হচ্ছিল এবং সেখানে কোনো রেজিস্টার্ড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত ছিলেন না। অন্যদিকে,
আল নুর হাসপাতালে এক্স-রে পরীক্ষার সময় কোনো রেডিওলজিস্ট উপস্থিত না থাকায় রোগীদের
সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান দুটি রোগীদেরকে প্রতিশ্রুতিসম্মত সেবা প্রদান
করতে ব্যর্থ হয়।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীন এ অনিয়মের জন্য মোট ৭০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি, ভবিষ্যতে সঠিকভাবে সেবা প্রদান ও নিয়ম মেনে চলার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া
হয়।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে
এই অভিযান পরিচালিত হয়। তাকে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম।
ভোক্তা
অধিদপ্তর জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রেয়াত পাবে না।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন