আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অভিযান পরিচালনা করে ৬৯০ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী জব্দ করেছে। এ সময় চোরাচালানের সাথে জড়িত কেউ আটক হয়নি।
আজ সোমবার ( ২ ডিসেম্বর) ভোরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ কটকবাজার পোস্ট এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত মেইন পিলার ২১০০/এম হতে ০৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার নামক স্থান হতে ৬৯০ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী জব্দ করে।
বিজিবি জানান, জব্দকৃত চোরাচালানী পণ্যের সর্বমোট মূল্য ৪৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লেসহ যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন ১০ বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় কটকবাজার পোষ্টের বিজিবির বিশেষ টহল দল। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।
এসময় সন্দেহভাজন মিনি কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে ১৩ হাজার ৫শ ২৭ পিস অবৈধ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে ও গাড়িটি জব্দ করা হয়।
আটক হওয়া ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লের মূল্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন বিজিবি । জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে অদ্য ০৫ অক্টোবর ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার ছেলে ধর্ষক মোঃ সাকিব আহম্মেদ (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা একজন ব্যবসায়ী। ভিকটিম দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভিকটিম উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি সহ অপহরণের ভয় দেখায় এবং ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ভিকটিম কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়।
সেখানে পূর্ব হতেই আসামী সাকিব একটি রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ হতে ২৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধ’ষর্’ণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্নগোপনে চলে যায় এবং ভিকটিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিকে ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও ধর্ম ব্যবসায়ী এ প্রক্রিয়াকে সামনে এনে জনমনে ভুল ধারণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ধরনের কৌশল উপমহাদেশের কোথাও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির নামে ষড়যন্ত্র করছে, নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বা বন্ধ করতে চায়—তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল কাইয়ূমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন পলিসি অ্যাডভোকেসি বিষয়ে তামাক বিরোধী নারী জোট সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) একটি হলরুমে
কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের তামাক বিরোধী নারীর জোটের সদস্য এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির পরিচালক সীমা দাস সীমু।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থাপনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস এডভোকেসী ম্যানেজার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতাউর রহমান মাসুদ।
হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন কুমিল্লা'র নির্বাহী পরিচালক পারভীন হাসান এর সঞ্চালনায় আলোচনায় তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক, বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, WHO-FCTC ও MPOWER কাঠামো, এবং FCTC’র আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি পলিসি এডভোকেসির কার্যকর কৌশল সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী তাবিনাজ সদস্যরা দলীয় আলোচনার মাধ্যমে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও নারীর ভূমিকা” বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। তারা তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক বাতিল, সংশোধিত আইন দ্রুত পাস করে আইনকে শক্তিশালী করা এবং জেলখানায় তামাকজাত দ্রব্য সরবরাহ বন্ধের দাবি জানান।
এ কর্মশালায় হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কুমিল্লা), এসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (এআরডি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), শাহপুর দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা (ফেনী), ভয়েস এনজিও (লক্ষ্মীপুর), অনন্যা বহুমুখী কল্যাণ সংস্থা (নোয়াখালী), যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (চট্টগ্রাম), ঝুমকা মহিলা সমিতি (জামালপুর), ঢাকার তাবিনাজ সদস্য এবং স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১০ জুন) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ
তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে
পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের
জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে
গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার
আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক
(অতিরিক্ত দায়িত্বে ডিবি) মোঃ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ের
জের ধরে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বেঙ্গা (৬৫) নামের একজনকে পেট কেটে ভুরি বের করে হ*ত্যা
করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা ওই গ্রামের মৃত ছুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কমিক মিয়াসহ তিন পরিবারের ১০/১২জন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। আজ সকালে আমার স্বামীকে মেরে এসে আবার আমাদেরকেও মারার জন্য দল বল নিয়ে হামলা চালায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে ধানের চারা, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে এসব বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার সংলগ্ন দরগা বাড়ির সামনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ জন কৃষকের মাঝে বি আর ২২ ও কাটারিভোগ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। একজনকে ৩০ শতাংশ পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করার মতো ধানের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া তাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
পরে ইছাপুর ও বুড়িচং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘর নির্মাণের জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা এলাকায় খুঁজে খুঁজে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ধানের চারা ও ঘর নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১, সিপিসি-২।
১৮ এপ্রিল রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কোটেশ্বর এলাকায় মাদক
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ রাশেদুল রিমন (২৪) ও ২। মোঃ ওয়াসিম আকরাম
(২১) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি
গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ রাশেদুল রিমন (২৪) কুমিল্লা জেলার
চান্দিনা থানার সুহিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব এর ছেলে এবং ২। মোঃ ওয়াসিম আকরাম
(২১) বি.বাড়িয়া জেলার সদর থানার সুলতানপুর গ্রামের শেখ ভানু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার
করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০১ পিস মোবাইল ফোনসহ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপির শংকরপুর
সাকিনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাঁলে ডিবি পুলিশ চিনতে পেরে
আসামী একটি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বস্তাসহ আটক করা হয়। বস্তুা
তল্লাশি করে ১০১ পিস নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানার রানীগাছ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া’র ছেলে
মোঃ পারভেজ মিয়া (৩০)।
গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয।
মন্তব্য করুন