

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় নানার
বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে মাহিরা নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি
ঘটেছে শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে তিতাস উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামে।
নিহত মাহিরা উপজেলার বন্দরামপুর গ্রামের
মুছা সরকারের মেয়ে।
নিহতের নানা জালাল উদ্দীন বলেন, প্রতিদিনের
মতো মাহিরা বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। তার কিছুক্ষণ পর অন্যসব শিশুরা
ফিরে এলেও তাদের সঙ্গে মাহিরাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির
পর কোথাও না পেয়ে বাড়ির পাশে নদীর তীরে কাদা-পানির মধ্যে মাহিরাকে ভাসতে দেখি। তাৎক্ষণিকভাবে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মহানগরী কালিয়াজুড়ি পিটিআই সংলগ্ন ‘তানজিমুল উম্মে হাফিজিয়া মাদ্রাসা’— নামের আড়ালে চলছে ভয়ঙ্কর প্রতারণা ও ধর্মীয় ব্যবসা। স্থানীয়ভাবে ‘ইলিয়াস হুজুর’ নামে পরিচিত মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন-এর বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ অভিযোগ।
দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী টিম রোগী সেজে প্রবেশ করলে শুরু হয় ইলিয়াস হুজুরের কথিত “আধ্যাত্মিক চিকিৎসা”। তিনি রোগীকে ভয় দেখিয়ে বলেন— ‘শয়তান, পুরি, জ্বিন ও যাদু টোনায় আক্রান্ত’। এরপর চিকিৎসার নামে দাবি করেন ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা, এবং ‘যাদু কাটার রশিদ’ হিসেবে হাতে তুলে দেন নিজস্ব সিলমোহরযুক্ত কাগজ।
তদন্তে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার অবিকল নোট ছাপিয়ে “চাঁদ তোলার” নামে টাকার লেনদেন চলে। যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় মুদ্রা আইনে গুরুতর অপরাধ।
প্রশ্নের মুখে ইলিয়াস হুজুর প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ভুল স্বীকার করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধর্মের নামে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ চিকিৎসার নামে একাধিকবার টাকা দিয়েও প্রতারিত হয়েছেন।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলছে, ধর্মের পোশাকে লুকানো এই ধরনের প্রতারণা সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ধর্মের নামে প্রতারণা ও শিশুদের দিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড— এ যেন এক অমানবিক ব্যবসা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই)
পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে কুমিল্লার রসমালাই। ২০২৪ সালে কুমিল্লার রসমালাই সহ মোট চারটি
পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পণ্যগুলো হলো টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম,কুমিল্লার
রসমালাই, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এবং কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার রসমালাই জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে জিআই সনদ প্রদর্শন করেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু:
মুশফিকুর রহমান বলেন, কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্যের ভাণ্ডার অনেক প্রাচীন। কুমিল্লার রসমালাই
জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। এই স্বীকৃতির
মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়লো। এই রসমালাই এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি
করা যাবে। আমরা কুমিল্লার খাদি, বিজয়পুরের মৃৎশিল্প নিয়ে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের
জন্য কাজ শুরু করবো। এছাড়াও কুমিল্লার বরুড়ার লতি, হোমনার শ্রীমদ্দির বাঁশি নিয়েও
পরবর্তীতে এগিয়ে যাবো।
কুমিল্লার রসমালাইয়ের জিআই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে অনির্বাণ সেনগুপ্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায় "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর শাসনগাছা এলাকায় অবস্থিত বাদশা মিয়ার বাজারে
নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) উক্ত অভিযানে
২টি দোকানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রায় ২০১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং
ব্যাগ জব্দ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন, কুমিল্লা জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শ্রী রতন কুমার দত্ত। কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস এবং পরিদর্শক
জোবায়ের হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ, নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ মোবারক হোসেন এবং জেলা পুলিশ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মালবাহী লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন (৩৬) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বারপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শাহ পরান এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কুমিল্লা থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে দেবিদ্বারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল সাদ্দাম হোসেন। পথমধ্যে কংশনগর মেতিরাফ মসজিদের পাশে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী লরি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক সড়কের উপরে পড়ে গেলে লরির একটি চাকা তার মাথাকে পৃষ্ঠ করে দেয়, এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শাহপরান জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেওয়া অজ্ঞাত গাড়িটি পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন শিক্ষা পরিবার তথা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সিসিএন মডেল কলেজের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুইদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেয়া হয়েছে। দেশে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে দূর্গত অঞ্চলের মানুষের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই অনুদান প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, সিসিএন পরিবারের প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদিনের বেতন বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এই বিষয়ে সিসিএন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী কে অবহিত করেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যোগ করার ঘোষণা দেন। এদিকে কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সিসিএন শিক্ষা পরিবারের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরাও বন্যা দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে। তারা ত্রাণ সরবরাহ, বন্যা দূর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে দেয়া, জরুরী চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রক্টরিয়াল টিম ও শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জেলার বন্যাদূর্গত উপজেলা চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা সহ অন্যান্য এলাকায় সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে ছিনতাইয়ের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মালামাল উদ্ধার সহ ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, গেল ১৩ জুলাই নগরীর রানীর দিঘীরপাড় থেকে তৌফিকুল ইসলাম সবুজ নামে একজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় মামলা হলে আজ (১৫ জুলাই) সোমবার ভোর রাতে পুলিশ নগরীর দক্ষিন চর্থা ও রানীর বাজার এলাকা থেকে মোঃ রকি (১৯) ও আল মোকাদ্দিম রিয়াজ (২৫) নামে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় ছিনতাইকৃত টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বন্যার পানি কমে এলেও এখনো দুর্ভোগ শেষ হয়নি সাধারণ অসহায় মানুষের।
তাইতো কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
বিবেক হচ্ছে একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে যে প্রতিষ্ঠানটি সার্বক্ষণিক কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম বুড়িচং এলাকায় হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বন্যা
দুর্গতদের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন