কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে মাষ্টার আবুল খায়ের (৯০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর জামে মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
তিনি ওই গ্রামের মরহুম সংশের আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে ৫ পুত্রসন্তান ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবুল খায়ের কর্মজীবনে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সর্বশেষ নাঙ্গলকোট বাজার আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নিহতের ছেলে মেডিসিন ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বাবা মসজিদে আজান দেওয়ার আগে তাহাদজ্জুদের নামাজ আদায় করতে যান। তাহাজ্জুদ শেষ করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে ওনার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ রবিউল হোসেন জানান, মাস্টার আবুল খায়ের এ মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ছিলেন। প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজ পড়তেন তিনি। আজ ফজরের নামাজ আদায় করার আগেই মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রতি
বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র রমজান মাসের আগেই প্রায় ৯০০ পণ্যের দাম কমালো মধ্যপ্রাচ্যের
ধনী দেশ কাতার।
২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, চলবে পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত।
দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধ, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ ইত্যাদি।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মাদ্রাসাতুস সাহাবা ও হাজী মর্জিনা মহিলা মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ ও পানির মোটর প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক সংগঠন রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যান সংস্থার উদোগে এসব কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
তাছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা,ঘর নির্মান,খাদ্য সহায়তা,বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়,রক্তদান, অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহায়তা সহ নানান কর্মসূচী করে আসছেন। বিশেষ করে করোনার সময়ে প্রান্তিক পর্যায়ে অক্সিজেন সেবা,খাদ্য সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবার কার্যক্রম করেছেন।
এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজী আব্দুর নুর মজুমদার,অধ্যক্ষ মুফতী মাহাবুবুর রহমান মজুমদার,রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটওয়ারী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার সভাটির সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের মক্কা নগরে পবিত্র হজের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের হজে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা
লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।
আজ হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ মাসের ৮
তারিখ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে
অবস্থান করতে হয় আরাফাতের ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি
শেষে আরও দুদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন
সময় লাগে। সূত্র: আলজাজিরা।
প্রথম দিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই
ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু
নিয়ম নীতি মানতে হয়।
ইহরাম পরার পর দলে দলে হাজিরা মিনায়
যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের
নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের
উদ্দেশ্যে।
আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে।
মিনা থেকে ৯ জিলহজ ভোর থেকেই হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের
ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে
মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে
জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন
নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও
এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ
করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায়
প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম
খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর)
করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুদিন দ্বিতীয়
ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস
সালামকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার সবচেয়ে প্রিয় কিছু আল্লাহর জন্য কোরবানি
করেন। হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয়। মিনার এ
স্থানে তিনি আল্লাহকে খুশি করতে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে নিয়ে যান, তখন সেখানে
উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।
ওই সময় ইব্রাহিম (আ.) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এ স্থানে প্রতীকি
শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন
সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।
মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায়
ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।
দেশে
ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
(সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
মন্তব্য করুন
এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না। এ জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবার তো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবারে বাড়তি র্যার, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই বাজার একটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করেন তিনি। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে, সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি কিন্তু বাড়েনি। মনে রাখতে হবে, দেশের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা এই কৃষিক্ষেত্রের। কৃষির উন্নতির জন্য কাজ করছে এই ইনস্টিটিউট।’
এ সময় উপস্থিত
ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ ইউছুব আখন্দ, কৃষি সচিব মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
আজকের এ রাত মহিমান্বিত এক রাত। এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন। প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ মুক্তি ও মাগফিরাতের দুয়ার খুলে দেন। সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এটি নিঃসন্দেহে বরকতময় রাত। রাতটি শাবান মাসের মধ্যবর্তী হিসেবে হাদিসে এই রাতকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত বলা হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে ‘মুক্তির রজনী’বলা হয়।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ রজনী সম্পর্কে বলেছেন, এই রাত্রিতে এবাদতকারীদের গুণাহরাশি আল্লাহ তালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগি করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন।
সন্ধ্যায়- এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম। এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ :
দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। ফজিলত: প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।
দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- ১ নম্বর নামাজের মত, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতঃপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফজিলত: রুজিতে বরকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বকশিস পাওয়া যাবে।
আট রাকাত নফল নামাজ দু্রাকাত করে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফজিলত: গুনাহ থেকে পাক হবে, দু’আ কবুল হবে এবং বেশি বেশি নেকী পাওয়া যাবে।
১২ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কালেমা তওহীদ, ১০ বার কলেমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
১৪ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফজিলত - যে কোনো দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
চার রাকাত নফল নামাজ এক সালামে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।
আট রাকাত নফল নামাজ এক সালামে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: এর ফজিলতে সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহা এরশাদ করেছেন, ‘আমি ওই নামাজ আদায় কারীর সাফায়াত করা ব্যতীত জান্নাতে কদম রাখব না।
রোজার ফজিলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে। আরো একটি হাদিস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। এছাড়াও পড়তে পারেন সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামাজ পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর।
সতর্কতা
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে বরাতের নামাজ। যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে হবে না । অর্থাৎ ঠিক সময় মত ফজর নামাজ যেন পড়তে পারা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
মন্তব্য করুন
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাত ও মিলাদের মাহফিল ‘দাওয়াত-এ ইশক’। এই অনুষ্ঠানে বিতরণের জন্য
তাবারুক রান্নার কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই
রান্নার কাজ শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের
আয়োজনে অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ৫ হাজার প্যাকেট তাবারুক বিতরণ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের
পক্ষে মাহফিল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন
রাহাত বলেন, আজ রোববার বাদ মাগরিব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘দাওয়াত-এ ইশক’
অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।
মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য পদার্থ বিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, দাওয়াত-এ ইশক একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান।
এ অনুষ্ঠানে দল-মত নির্বিশেষ সবার দাওয়াত থাকবে। আমরা আমাদের নবীজি হজরত মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকেই এ আয়োজন।
মন্তব্য করুন
পবিত্র হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৫১ হাজার ৪০৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ
সময়) হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট
১৩১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৬৪টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৪২টি এবং
ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত মোট ফ্লাইটের
৬২.২ শতাংশ ফ্লাইট আর মোট হাজীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ সৌদি পৌঁছেছেন।
এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে হজ পালন করতে
গিয়ে ৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মক্কায় ছয়জন এবং মদিনায় দুজন মারা
যান। সবশেষ গত রোববার ও সোমবার দুজন মক্কায় মারা যান।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আর্চ বিশপের হাউজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের গর্ব। সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ যেন নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করবে এবং সকলেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন