কুমিল্লায়
জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া
সংস্থার সহযোগীতায় মাস ব্যাপী ডেভেলপমেন্ট
কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ (বালক) ফুটবল
প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
দত্ত স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
জেলা
ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, জেলা
ফুটবল এসসোয়িশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহের চৌধুরী সেন্টু ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের সদস্য সারোয়ার জাহান।
প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা ফুটবল দলের কোচ সুজিত হালদার ও মাহাবুবুল আলম তুহিন। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
“প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী এবং যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কুমিল্লার ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার। এছাড়া সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, এনসিপির প্রধান মুখ্য সমন্বয়কারী মোঃ সিরাজুল হক, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ রাশেদুল হাসানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তা, সংগঠক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে যুব সংগঠনগুলোকে নিবন্ধন সনদ ও যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সফল যুব সংগঠক ও উদ্যোক্তা আত্মকর্মীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাতে ছিল ছোট
ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট । তাই তাকে নিয়ে বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন নিকটাত্মীয় কয়েকজনসহ
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে সায়েদাবাদ
থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দেন তিনি কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হলোনা তাঁর ।
পথিমথ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেন মারা যান। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়
যার কারণে সুপারভাইজারসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের
টেকনাফ উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নর্থসাউথ
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বদরুল হাসান রিয়াদ (২৫), নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নাসির
উদ্দিন পলাশ (৩৬), বাসের সুপারভাইজার ময়মনসিংহের চণ্ডিমুণ্ডা গ্রামের মাসুদ (২২) ও
হেলপার লক্ষ্মীপুর জেলার আবু তাহের খোকন (৪৮)।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস
ও মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে
রিল্যাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (যশোর ব-১১-০২৫১) যাত্রা করে। পথিমধ্যে গতকাল
সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পুরাতন সড়কে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ডাবল ডেকার বাসটির ভেতরে আটকে পড়ে সব যাত্রী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বাসের সুপারভাইজার
মাসুদ ও হেলপার খোকনসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪
জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড়
ভাই আহত ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়।
আদরের ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে
পৌঁছে দিতে পারলেও বড় ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি
দুর্ঘটনার শিকার হয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত
যাত্রী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাবিল হোসেন জানান, গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফায়ার সার্ভিস
ও পুলিশের সঙ্গে আটকে পড়াদের বের হতে সহায়তা করি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চিকিৎসাসেবা প্রদান
করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব-ইনচার্জ বিপ্লব
কুমার নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায়
বাসের ভেতর থেকে নিহত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসটি সকালে মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও নিহতদের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) ও ২। মোঃ রুবেল (৩০) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত নূরুল হক কারী এর ছেলে এবং ২। মোঃ রুবেল (৩০) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সাত্তার এর ছেলে।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পরিবেশ রক্ষা, বায়ু দূষণ
প্রতিরোধে জনসচেতনতা বিষয়ক মানববন্ধন করেছে কুমিল্লার তিনটি যুব সংগঠনের সদস্যরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে
"Turn the pollution into solution" প্রতিপাদ্য বিষয়কে সমানে রেখে কুমিল্লার
বেলতলী বিশ্বরোডের ময়লার ভাগাড় ও কোটবাড়ি এলাকায় এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কুমিল্লা জেলার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশে বেড়েই চলছে। পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধির ফলে ওজোন স্তর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই কুমিল্লা মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় মুক্ত করতে আমাদের আজকের জলবায়ু আন্দোলন।"
ময়নামতি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের
উপদেষ্টা মো. আমিনুর রহমান বলেন, বৈজ্ঞানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কুমিল্লা মহাসড়ক
ও কোটবাড়ি এলাকা ময়লার ভাগাড় মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় ইয়ুথ চেঞ্জ সোসাইটি বাংলাদেশ এর
মিনিস্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ তাহসিনুল ইসলাম সাব্বির বলেন, "একমাত্র সচেতনতাই প্রতিরোধ
গড়তে পারে প্লাস্টিক ব্যবহার। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতন হবো না,
ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারবো না।
ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ কুমিল্লা প্রতিনিধি জেরিন আফরোজ বলেন, কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে ময়লা আর্বজনার কারণে একদিকে যেমন বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে অন্যদিকে সড়ক মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হতে মুক্ত ও নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো।
এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কুমিল্লা
চৌদ্দগ্রাম থেকে চান্দিনা, ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় অপসারণের জন্য
সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
মানববন্ধনে যৌথভাবে অংশ নেওয়া তিনটি সংগঠন হলো ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ এবং ইয়ুথ চেঞ্জ সোসাইটি বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অপসারিত কাউন্সিলরা।
বুধবার দুপুরে নগরীর মনোহরপুর একটি পার্টি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জনপ্রতিনিধির অপসারন, জনভোগান্তির মূল কারন উল্লেখ্য করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের শত শত মামলা ও হামলার কারনে ঠিকমত কাজ করতে পারিনি। আওয়ামীলীগ বিতারিত হলেও আমরা অপসারনের শিকার হয়েছি, আন্দোলনে যোগ দিয়েও বৈষম্যর শিকার হয়েছি। এসময় তারা অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রতি তাদের পূর্ণবহানের দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিটির অপসারিত কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া, কাজী মাহবুবুর রহমান, তাহমিনা আক্তার লিন্ডাসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার
বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচির শুরুতেই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত এবং শপথ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শপথ পাঠ করান ,মোঃ রফিকুল ইসলাম (রকি) ।
কুমিল্লায় মার্চ ফর জাস্টিসে আজ শিক্ষার্থীদের ঢল নামে । কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
টাউন হল মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা থেকে আসা সমন্বয়কদের তিনজন ছাড়াও কুমিল্লার বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন।
আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান ,মোঃ রফিকুল ইসলাম (রকি),শিহাব উদ্দিন হিমেল ,ইব্রাহিম খালিদ হাসান সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
কর্মসূচিতে
আগত বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও দেশের বাইরে থেকে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড
নিয়ে থাকতে হবে সবাইকে। কুমিল্লায় মার্চ ফর জাস্টিসে শিক্ষার্থীদের ঢল বৈষম্য বিরোধী
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীর সহ সাধারণ মানুষের হত্যার দায় তাকেই নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা আজ মাঠে নেমে এসেছে। তারা এই মার্চ
ফর জাস্টিস পালন করছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অভিনব কায়দায় পেটের ভিতরে করে
মাদক পরিবহণের সময় ৪,৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্থি থানাধীন
পরানপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মনির হোসেন (২৯) নামক ১ জন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় র ৪,৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মনির হোসেন (২৯)
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্থি থানার পরানপুর গ্রামের মোঃ আমির হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব
কায়দায় পেটের ভিতরে করে কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক:
নিটোল
পায়ে রিনিক ঝিনিক,পায়েলখানি বাজে
মাদল
বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা
মেয়ে নাচে...
এস
ডি বর্মণের কণ্ঠে সেই প্রখ্যাত গান। বলছিলাম উপমহাদেশের সংগীতের রাজপুত্র কুমার শচীন
দেববর্মণের কথা।
শচীন
দেববর্মণ (১ অক্টোবর, ১৯০৬-৩১ অক্টোবর, ১৯৭৫) বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী
গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত। আগরতলার বাসিন্দা হলেও শচীন দেবের শৈশব কেটেছে কুমিল্লায়
এবং শেষ জীবন মুম্বাইতে। তাঁর সহধর্মিণী মীরা দেবী এবং একমাত্র পুত্র রাহুল দেববর্মনও
মুম্বাই চিত্রজগতের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী।প্রায়শ তাঁকে এস ডি বর্মণ হিসেবেই উল্লেখ
করা হয়। কিছুটা অনুনাসিক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি তার শ্রোতাদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রায় একশো বছর পার করেও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন
কিছুমাত্র লঘু হয়নি। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে নয়, গীতিকার হিসাবেও তিনি সার্থক।
তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পুত্র রাহুল
দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর ছাত্রী এবং পরবর্তীতে
সহধর্মিনী মীরা দেববর্মণ গীতিকার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রবি গুহ মজুমদার এর
অনেক গানে সুর দিয়েছেন এবং তা শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি ২ বার (১৯৫৫ ও ১৯৭৪)
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক হিসেবে
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করেন।
শচীন
দেব বর্মণ তার যুগের তুলনায় অনেকাংশে আধুনিক ছিলেন। তার অনেক গানই আজকাল রিমিক্স হচ্ছে
এবং জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানছেন না, গান গুলোর আসল
সুরকার এবং গায়ক শচীন দেববর্মণ। শচীন দেব অনেক বাংলা গানে সুর দিয়েছেন। ১৯৩৪ সালে
নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মিলনে গান গেয়ে তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৩৭ সাল থেকে পরপর
কয়েকটি বাংলা ছায়াছবিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য
ছায়াছবি হলো: রাজগী, ছদ্মবেশী, জীবন-সঙ্গিনী, মাটির ঘর ইত্যাদি। তার বিখ্যাত কিছু
গান যেমন-
শোনো
গো দখিন হাওয়া
হৃদয়ে
দিয়েছো দোলা
কে
যাসরে
ঝিল
মিল ঝিল মিল
তুমি
আর নেই সেই তুমি
রজ্গীলা
তুমি
এসেছিলে পরশু ইত্যাদি।
প্রতি
বছর দু-তিন দিন জুড়েই পালিত হয় 'শচীন মেলা'। স্নিগ্ধতা এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ব্যাখ্যা
দেয় সোনালী অতীতের। শচীন দেববর্মণের মতো মানুষরা অমর প্রজন্মের পর প্রজন্মে।
বাংলা ও হিন্দি গানের কিংবদন্তি সুরকার শচীন দেববর্মণ এর জন্মভিটা কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায়। একসময় রাজবাড়ি হলেও এখন সেটি ইতিহাসের কান্না বয়ে চলা এক পরিত্যক্ত ভবন।
সরকারি উদ্যোগে ‘সংস্কৃতি কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে বাড়িটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়।
আমরা কি তবে শচীন কর্তার সুরের স্মৃতি হারাতে বসেছি?
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জেরে ফোনে ডেকে নিয়ে নজরুলকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া বাদী হয়ে খুনি দম্পতি হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি নজরুলকে (৩৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেয়। আটককৃত দম্পতির স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় জেলেদের দিয়ে খণ্ডিত দুই হাতসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুড়ি উদ্ধার করেছে। এদিকে নিহতের বাকী অংশবিশেষ উদ্ধারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।
এ বিষয়ে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্যাহ বলেন, নজরুলকে হত্যাকারী দম্পতিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি এবং তাদের স্বীকারোক্তি মতে নিহতের খণ্ডিত দুই হাত উদ্ধার করাসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছি। নিহতের বাকি অংশবিশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূঁইয়া বাদী হয়ে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে এবং আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত দম্পতিকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টায় নজরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরে হত্যা করে হোসেন-স্মৃতি দম্পতি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন