মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের কুমিল্লা হাইওয়ে থানা ১টি যাত্রীবাহী বাসসহ ১ জন বাস চোর আটক
করেছে।
আটককৃত
চোর হলেন- চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীন কানুনগো পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আলির ছেলে বাস
গাড়ির চালক শহিদুল ইসলাম (৩২)।
মঙ্গলবার
(৭ জুলাই) ভোর অনুমান ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে একজন মিনি বাসের
জনৈক শরীফ হোসেন নামক যাত্রী মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা হাইওয়ে থানার সরকারি মোবাইল ফোনে ফোন করে জানান যে,
মিনি বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার
হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক
ভাবে রাত্রীকালীন মোবাইল পার্টিকে গাড়িটিকে আটক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। ইনচার্জ
এসআই (নিঃ) মোঃ ফারুক আজম সংঙ্গীয় ফোর্স সহ সীতাকুন্ড থানাধীন উত্তর ইদুলপুর সাকিনস্ত
হোটেল কিছুক্ষন এর সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার পাশে ভোর অনুমান
৫টা ৫ মিনিটে অবস্থান নিয়ে বাসটিকে আটক করে। বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র প্রদান করার
জন্য বললে দেখাইতে ব্যর্থ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে
ড্রাইভার একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তখন পার্টি ইনচার্জ এর মনে সন্দেহ
হয় যে, এই ধরনের গাড়ি সাধারণত চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে চলাচল করে। নিশ্চয় চালক চুরি করে
গাড়িটি ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন গাড়িসহ চালক শহিদুল ইসলামকে আটক করে।
উক্ত
বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে যাত্রীরা একেখান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান
হইতে বাসে উঠেন এবং তাদের গন্তব্যস্থল মীরসরাই, মহিপাল, ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে বলে
জানান। আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে সে উক্ত গাড়িটি চুরি করে ঢাকায়
নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিল্লা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে
বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। উক্ত বাসের মালিক
ভানুদে জানান যে, সে তার মিনি বাসটি প্রতিদিনের
ন্যায় যাত্রী পরিবহন শেষে ৬ জুলাই ২০২৫ইং তারিখ রাত্রি অনুমান ১১টায় তার বাড়ির পাশে
রাস্তায় রেখে বাড়িতে অবস্থান করেন। ভোর অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় রাস্তায় এসে দেখেন তার
গাড়িটি নাই। তখন উক্ত এলাকার নাইট গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় বলে মালিককে জানায়। তিনি সকালে বোয়ালখালী
থানায় গিয়ে বাস চুরির বিষয়টি থানাকে অবহিত করেন এবং বাসটি খুজতে থাকেন। পরবর্তীতে অত্র
কুমিল্লা হাইওয়ে থানার ফোন পেয়ে নিশ্চিত হন যে, গাড়িটি তার। আটককৃত চালক রাতের বেলায়
চুরি করে তার বাসটি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। এই সংক্রান্তে চট্রগ্রাম
জেলার বোয়ালখালী থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর)
রাতে উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা
মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরুণের নাম বাবুল
মিয়া (২৭)। তিনি সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। বাবুলের
আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা
গেছে, রবিবার বেলা ১১টায় সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়। দ্রুতগতিতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ায় ওই
বাড়ির শিশুদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে
অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে হৃদয় ফেরার সময় বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনের সঙ্গে আবার ঝামেলা হয়। ঘটনাটি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার
একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠক বসে।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল
মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর,
রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।
তারা অপর পক্ষের ওপর
হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে
গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে
ও হাতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার
করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি
হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির
হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি ও বাবুলকে ছুরিকাঘাত করা সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উপলক্ষ্যে পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
শনিবার (৩১ মে ) বেলা ১১ টায় কুমিল্লার পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে পশু হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন ।
উক্ত মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামীম কুদ্দুস ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল মালিকসহ কুমিল্লা জেলার সকল সার্কেল অফিসার এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেছেন, সাম্প্রতিককালে দেশে সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাদের হৃদয়কে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারা দেশের মানুষকে অনেকটা আতংকে ফেলেছে। একটি জলজ্যান্ত মানুষকে পিটিয়ে পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে,অথচ এ ঘটনাস্থলের আশপাশে স্বাভাবিকভাবে মানুষ চলাচল করছে। কেউ কিছু বলছে না। এমনটা হতে পারে না। আমাদের মানবিক হওয়া প্রয়োজন। বিবেককে শাণিত করা প্রয়োজন। মানুষের দুঃখে সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।
কুমিল্লায় গুরুতর অপরাধের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে, এর পাশাপাশি চাঁদাবাজির ঘটনাও বেড়েছে। মাদকের অপব্যবহার ও চোরাচালান বেড়েছে। কুমিল্লায় চাঁদাবাজি বন্ধ ও মাদক সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ করা একা রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার আরও বলেন, কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নদী ও পুকুর ভরাট রোধ করতে হবে। গ্রাম আদালতকে অধিক কার্যকর করতে হবে। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিকতা যাচাই বাছাইয়ে কড়াকড়ি করতে হবে।
পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমেদ খান বলেন, পুলিশ চাঁদাবাজদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে গতমাসে পুলিশ ১৬৮ টি মামলা করেছে।
কুমিল্লায় মাদক মূলত প্রতিবেশী দপয় থেকে আসে।এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমাদের যুব সমাজকে বিপদগ্রস্ত করতে এ কাজটি করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে যে সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে এ অবস্থায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে আটক না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
সভায় কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন ভাংচুর রাস্তাসমূহ সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও যানযট নিরসনের লক্ষে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।
সভার শুরুতে বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন।
বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা.মোঃ আলী নূর মোহাম্মদ বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, কুমিল্লা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর কাজী দীন মোহাম্মদ, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব, আদর্শ সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিজবুল বাহার ভূঞা, সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাজাদা এমরানসহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদে পরিচালিত হয়েছে মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযান।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। অভিযানে পাউবো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ একযোগে অংশ নেয়।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে দেখা যায়, পালপাড়া কালীমন্দির এলাকা থেকে শুরু করে বিবির বাজার স্থলবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত পাউবোর জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাঠামোতে পরিচালিত ১৫টির বেশি টং দোকান, মুদি দোকান ও বেশ কিছু অভিজাত রেস্টুরেন্ট।
স্থানীয়দের আড্ডা ও জমজমাট পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল এসব ব্যবসা। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল অবৈধভাবে নেওয়া—কোনো বৈধ মিটার বা চুক্তি ছাড়াই। অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পাউবো'র তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:গোমতী টাচ,গোমতী বিলাস,রোজ ক্যাফে ভ্যালি,বাগান বিলাস।
এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানই জমির মালিকানা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে আসছিল, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে।
একাধিক বাসিন্দা জানান, “গোমতীর পাড় এখন আর আগের মতো শান্তিপূর্ণ নয়। এইসব দোকানে সন্ধ্যার পর নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলত।”
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, “গোমতীর পাড় ঘেঁষে পাউবোর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কেউই ব্যবসা করতে পারবে না। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান আগামীকালও চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “নদী রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ প্রভাব খাটিয়ে এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা চালু রাখতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ কেজি
গাঁজাসহ এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
বুধবার (১২ জুন) বুড়িচং থানাধীন কোরপাই
ফয়েজউদ্দিন নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর
রহমান এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে হনুফা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- বাগেরহাট জেলার
মোরেলগঞ্জ থানাধীন বারইখালী এলাকার মোশাররফ খা এর মেয়ে হনুফা আক্তার (২৭)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শক
মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানা কর্তৃক ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ০৭/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/মেহেদী হাসান, এসআই(নিঃ) ছাইদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা চালানো হয়।
তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ১০নং বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা সাকিনে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী মহাসড়কের পাশে নানকরা রাস্তার মাথা হতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বশর প্রকাশ বছির(৩৮), পিতা-মৃত আবু রশিদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-মাসকরা (চন্দ্রপুর), পোঃ মরকটা, ০৯নং কনকাপৈত ইউনিয়ন, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-০৭/০২/২০২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৪১ রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সদরদক্ষিণ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদরদক্ষিণ উপজেলার রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাম ধনপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
সদর দক্ষিণ উপজেলার মান্দারী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাজুমদার বাড়ীর মরহুম হাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদার ও অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম মজুমদার স্মরণে রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার এর ব্যবস্থাপনায় "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এসব শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি ক্লাব অফ কুমিল্লা সানফ্লাওয়ার প্রেসিডেন্ট জাহানারা আক্তার কলি, সেক্রেটারি রোটারিয়ান ডাক্তার আবু সায়েম আনসারী, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন, মজুমদার বাড়ি ফাউন্ডেশন এর পক্ষে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাইনুল ইসলাম মজুমদার টিপু, বাহার মজুমদার, ঐতিহ্য কুমিল্লার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল।রোটারিয়ান পিপি নাসিরুল ইসলাম মজুমদার এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন মজুমদার।মেজবা মজুমদার। মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফ। রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বেগমসহ অন্যান্য অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এর আগেও দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্লভপুর কিন্ডারগার্ডেনে ৩০০জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এসময়
"মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে আনিসুল ইসলাম মজুমদার বাবুল উপস্থিত
ছিলেন।এধারা অব্যাহত থাকবে বলে "মজুমদার বাড়ির ফাউন্ডেশন" এর পক্ষ থেকে
জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডিআর সরকারী
উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য নকল সরবরাহ করতে যাওয়ায় ৩ যুবককে
আটক করে ২ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুরাদনগর উপজেলার
ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো: মুরাদনগর উপজেলার
মুরাদনগর সদরের মঙ্গল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কাউছার ও আবদুল মালেক
মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া।
জানা যায়, আজ রোববার এসএসসির গনিত বিষয়ের
পরীক্ষা চলাকালে ডি.আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সমাধান
শেষে নকলের কপি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয় ওই ৩ যুবক। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ও নকলের কপি উদ্ধার
করে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে কুমিল্লা
কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা
নকলমুক্তভাবে গ্রহন করতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নকলমুক্ত শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। নকলের
বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন