কুমিল্লায় ১১৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬
ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ আবু এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১১৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আবু (৩৫) চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানার ফয়েস লেক গ্রামের মৃত আবুল খায়ের এর ছেলে
এবং ২। মোঃ ইদ্রিস মিঞা খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার হাতিয়াপাড়া গ্রামের আতাউর
রহমান এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও
মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অভিযান পরিচালনা করে ৬৯০ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী জব্দ করেছে। এ সময় চোরাচালানের সাথে জড়িত কেউ আটক হয়নি।
আজ সোমবার ( ২ ডিসেম্বর) ভোরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ কটকবাজার পোস্ট এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত মেইন পিলার ২১০০/এম হতে ০৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার নামক স্থান হতে ৬৯০ পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ী জব্দ করে।
বিজিবি জানান, জব্দকৃত চোরাচালানী পণ্যের সর্বমোট মূল্য ৪৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কিশোর ও দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যায় দুই কিশোর। নিহতরা হলেন- পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)। তারা উভয়েই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
একই দিন দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক। নিহতরা হলেন- কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) এবং আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে কৃষকরা ধান কাটছিলেন। হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাতে নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া নিহত হন।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২৬ জানুয়ারী) রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬ নং জগন্নাথপুর
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রাজম্ঙ্গলপুর সাকিনস্থ কাশফুল ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তার উপর থেকে
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুজন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: মোঃ সুজন মিয়া(৩১), পিতা-মন্তু মিয়া ,স্থায়ী-১: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর ( হাবিল
কবিরাজের বাড়ির পাশে ০৮ নং ওয়ার্ড) , উপজেলা/থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদে পরিচালিত হয়েছে মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযান।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। অভিযানে পাউবো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ একযোগে অংশ নেয়।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে দেখা যায়, পালপাড়া কালীমন্দির এলাকা থেকে শুরু করে বিবির বাজার স্থলবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত পাউবোর জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাঠামোতে পরিচালিত ১৫টির বেশি টং দোকান, মুদি দোকান ও বেশ কিছু অভিজাত রেস্টুরেন্ট।
স্থানীয়দের আড্ডা ও জমজমাট পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল এসব ব্যবসা। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল অবৈধভাবে নেওয়া—কোনো বৈধ মিটার বা চুক্তি ছাড়াই। অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পাউবো'র তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:গোমতী টাচ,গোমতী বিলাস,রোজ ক্যাফে ভ্যালি,বাগান বিলাস।
এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানই জমির মালিকানা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে আসছিল, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে।
একাধিক বাসিন্দা জানান, “গোমতীর পাড় এখন আর আগের মতো শান্তিপূর্ণ নয়। এইসব দোকানে সন্ধ্যার পর নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলত।”
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, “গোমতীর পাড় ঘেঁষে পাউবোর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কেউই ব্যবসা করতে পারবে না। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান আগামীকালও চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “নদী রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ প্রভাব খাটিয়ে এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা চালু রাখতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে চলন্ত বাসে ‘শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তাতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের অজামিনযোগ্য দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে ৯ টার দিকে সেন্টমার্টিন পরিবহণ নামের ঢাকা মেট্রো-ব ১৫৭১৬৬ নম্বর প্লেটের একটি বাসে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ (২২ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে সেন্টমার্টিন বাসে উঠেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। বাসটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ইউ টার্ন নেওয়ার কথা বলা থাকলেও তাকে (ভুক্তভোগী) নিয়ে বাসটি চৌদ্দগ্রামের দিকে চলে যায়। এরপর সুয়াগাজী নামক স্থানে গিয়ে ইউ টার্ন নিয়ে পুনরায় পদুয়ার বাজার আসে। তখন বাসে ছিল চালক, হেল্পারসহ আরও তিনজন। বাসে একা পেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ধরে গহনা, টাকাপয়সা নিয়ে নেয় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর হাতে কামড় দেন অভিযুক্তরা। এরপর শিক্ষার্থীকে হাতপা বেঁধে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সেই শিক্ষার্থীর (ভুক্তভোগী) অনুরোধে ফেলে না দিয়ে শাকিল আবাসিক হোটেল নামক হোটেলে নিয়ে আসে। পদুয়ার বাজারের স্থানীয় এক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খবর দিলে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভুক্তভোগীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বাসে থাকা দুজনকে আটক করে। এসময় জড়িত অন্য তিনজন পালিয়ে যান।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসে। শিক্ষার্থীরা বাস মালিক এবং অভিযুক্ত বাকী দুইজনকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার জন্য দাবি জানায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে দুপুর বারোটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবি না মানায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্তদের দুইবছর কারাদণ্ড দেয়। বাকিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা সেন্টমার্টিন পরিবহনের দুটি বাস জব্দ করে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছে।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন–মোঃ হোসেন আলী (২৫) এবং মোঃ আলী হোসেন (২৩)। গ্রেফতারকৃতদের ভাষ্যমতে পলাতক তিনজন হলেন–পিচ্চি রাসেল (৩২), নূর আলম এবং সৌরভ এবং সেন্টমার্টিন পরিবহনের মালিক হলেন মো: চাঁন মিয়া।
এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এসেই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেওয়া বিষয়ে। শিক্ষার্থীরা শুরুতে আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। অবশেষে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে নিয়েছে।’
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, গ্রেফতার হওয়া দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাকী অভিযুক্ত অন্য তিনজনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। আশাকরি পুলিশ প্রশাসনের কোনো গাফিলতি থাকবে না।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের থেকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে দ্রুতই চলে আসি। এসে দেখি পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী এসেও হিমশিম খাচ্ছে। অবশেষে একটা সুরাহা হয়েছে। অভিযুক্তদের দুইবছর কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আমি ধর্ষণের পক্ষে নই, আমি চাই এর অভিযুক্তরা শাস্তি পাক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমাদের একজন নারী শিক্ষার্থীদের হাত-পা বেধে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে এবং বাস থেকে ফেলে দিয়ে মধ্যযুগীয় নির্যাতন করেছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দুইজন ধরা পরেছে, তারা পুলিশের কাছে আছে এবং পুলিশ প্রশাসন কথা দিয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি তিনজনে গ্রেপ্তারর করবে।এখানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তিনি অপরাধীদের ২ বছরের অজামিনযোগ্য জেল দিয়েছেন এবং পুলিশ ঘোষণা দিয়েছেন তারা ১ মাসের মধ্যে চার্জশিট দিবেন যাতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
আদর্শ সদরে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কালির বাজার ইউনিয়নের কালির বাজার মডেল
হাসপাতালটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক
লিটন দেবনাথকে ক্লিনিকটিতে অবৈধভাবে ফার্মেসি, অপারেশন, রোগী ভর্তি, রক্ত সঞ্চালন,
অনুমোদন বিহীন রক্ত পরীক্ষা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোন
চিকিৎসক বা নার্সের নিয়োগ না থাকা এবং নিজেই
চিকিৎসক সেজে রোগীদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে চিকিৎসা প্রদান করার কারণে তৎক্ষণাৎ
তাকে গ্রেফতার করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল
কোর্টটি পরিচালনা করেন, আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
রোমেন শর্মা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএইচএফপিও ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, (উপ-পুলিশ
পরিদর্শক) ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি, জীবন চক্রবর্তী (হেলথ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম
আজাদ (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর)।
উপজেলা
স্বাস্থ্য অফিস, গ্রামীন কল্যাণ জাগুল ঝুলি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিদর্শনের আবেদনের
ভিত্তিতে পুনঃ পরিদর্শনে গিয়ে, সেখানে পরিচালিত ফার্মেসিটির নিবন্ধন না থাকায় তা বন্ধ
করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রোমেন শর্মা জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। বড় রকমের কোন অসঙ্গতি পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরা আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানসম্মত
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে, মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সকল আদেশ বাস্তবায়নে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত। কুমিল্লার আদর্শ সদরে প্রতি মঙ্গলবার জনসাধারণের
স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বিষয়ক অভিযোগ সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে সরাসরি দাখিল এবং
গন শুনানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিধি মোতাবেক
সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বেসরকারি পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের
লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, অত্র ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক এর নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সীমান্ত পিলার ২০৮০/এম হতে প্রায় ৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আতশবাজি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত বাজির সংখ্যা ৪,৭৫,৮৪০ পিস, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫,৬৭,২০০ টাকা। বাজিগুলো বিভিন্ন প্রকার ও আকারের ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি আরও জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, “দেশীয় বাজারে অবৈধ ভারতীয় পণ্য প্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকায় আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে পদুয়ার বাজার এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি কাভার্ডভ্যান চালক মো. আরিফ হোসেন (২৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ইউটার্নে এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৬৫) এবং দুই ছেলে আবুল হাসেম (৫০) ও আবুল কাশেম (৪৫)।
এ ঘটনায় একই দিন সদর দক্ষিণ থানায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা (নং-৩৩, তারিখ: ২২/০৮/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-৮-৮১-১৪৪৩) চালক আরিফ হোসেন দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদারের নেতৃত্বে একটি টিম ফেনী সদর থানাধীন ফতেপুর স্টার লাইন ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হোসেন নোয়াখালীর সুধারাম থানার চন্দ্র ভল্লব গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই গাড়িতে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন