

কুমিল্লায়
১৫ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১
অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী
মোঃ রিহান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৫ কেজি
গাঁজা এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রিহান (১৯) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার রাজাপাড়া গ্রামের আল আমিন এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটর সাইকেল ব্যবহার কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
"শৃঙ্খলাই জীবন" এ শ্লোগান সামনে রেখে আস্থার স্বাস্থ্যসেবার ব্রত নিয়ে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর মুন্সেফ কোয়ার্টারস্থিত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল (১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনেযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মিস শারমীন এস মুরশিদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্স এর চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এ. বি. এম মশিউজ্জামান, কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সারোয়ার আকবর, প্রফেসর হাজেরা মাহাতাব, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, সিরডাপের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এটিএম শামসুল হক এর সহধর্মিণী মিসেস রাবেয়া হক, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. এম এ সামাদ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক ব্যক্তি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ঔষধ কোম্পানির বিপনন প্রতিনিধি, শিক্ষক, এলাকার জনসাধারণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিস শারমীন এস মুরশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বল্প খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কুমিল্লায় উদ্ভোধন হলো একশত শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হসপিটাল। কুমিল্লায় আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই কুমিল্লার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এই হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত খায়রুন্নেসা-ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান আস্থার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকের সমন্বয়ে এ বিশেষায়িত হসপিটাল হবে দেশের অন্যতম সেরা মানবিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এই হসপিটাল দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সবার জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হলেও এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন হয়নি। এই হাসপাতালের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য আর ঢাকা যেতে হবে না। এখানে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বার রয়েছে। ভালো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়াই মানুষের আস্থা অর্জনের মূল ভিত্তি। চিকিৎসা খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। বিশ্বের উন্নত মানের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে কারো চিকিৎসা বন্ধ থাকবে না এবং মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ভালো সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন- এ ধরনের একটি হসপিটাল কুমিল্লার মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিলো। আজ তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। একদিন এই হসপিটালটি ১০০ শয্যা হতে ২৫০ শয্যা উন্নতি হবে। এ বিশেষায়িত হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তারা বলেন- হাসপাতাল একটি ভবন নয়; এটি একটি মানবেতর প্রতীক। এর মাধ্যমে কুমিল্লার মানুষ সঠিক সেবা পাবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান (মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন), সাবেক সচিব এটিএম শামসুল হকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে দেয়া লিফলেট সূত্রে জানা যায়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শর্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে ডায়াবেটিসসহ সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা। এরমধ্যে রয়েছে মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন, সার্জারি, গাইনী, শিশুরোগ, কিডনি, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, চক্ষু ও দন্ত বিষয়ক রোগের চিকিৎসাসেবা এবং সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল্যাবরেটরিতে সুলভ মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষার সুবিধা, কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে মানসম্মত ও নির্ভুলভাবে ইকো, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, কালার ডপলার, ইসিজি, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন এবং অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) গাইনোকোলজিক্যাল এন্ড অবস্টেট্রিক্যাল অপারেশনসহ সবরকমের সার্জিক্যাল ও ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশনের সুব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে চোখের বিভিন্ন অপারেশনসহ ২৪ ঘন্টা (দিবা-রাত) জরুরি বিভাগ, এ্যাম্বুলেন্স ও ফার্মেসি সার্ভিস।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনপ্রিয় দৈনিক কুমিল্লা কাগজ–এর প্রকাশক ও সম্পাদক এবং জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আই–এর সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কাশেম হৃদয় আজ শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি কুমিল্লা তথা বাংলাদেশের গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন।
দেশ-বিদেশে সাংবাদিক সমাজে তার নাম আজ এক পরিচিত ব্র্যান্ড—যাকে একনামে চেনে সবাই। দীর্ঘদিন ধরে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও সমাজের পক্ষে নিরলস কাজ করে তিনি যেমন সম্মান অর্জন করেছেন, তেমনি কুমিল্লা বিভাগের দাবিকে তিনি মানুষের হৃদয়ের দাবিতে পরিণত করেছেন।
“কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই”—এই স্লোগান আজ কেবল একটি দাবি নয়, এটি এখন এক সামাজিক আন্দোলন। রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ—সবাই আজ এক কণ্ঠে এক সুরে বলছে, কুমিল্লা বিভাগ চাই। আর এই ঐক্যের পেছনে রয়েছে সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের নিরলস প্রচেষ্টা, প্রেরণা ও নেতৃত্ব।
তার উদ্যোগে কুমিল্লা বিভাগের দাবিটি আজ দেশের প্রতিটি স্তরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মাঠ পর্যায়ের সভা–সমাবেশ কিংবা বিভিন্ন গণমাধ্যম—সবখানেই কুমিল্লা বিভাগের দাবি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আবুল কাশেম হৃদয়ের কণ্ঠে।
কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা—এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে দ্রুতই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার মাধ্যমে মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
“সংবাদে
সংযোগে আস্থায় বিশ্বাসে”
এ শ্লোগানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নগরের নূরে মদিনা মাদ্রাসার এতিম হাফেজ শিশুরা, সংরাইল
শিশু পরিবারের মেয়েরা ও কুমিল্লা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাসহ
রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা অংশগ্রহণে কুমিল্লায় একাত্তর
টেলিভিশনের ১৪বছর পদাপর্ণের কেক কাটার মধ্য দিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পালিত হয়েছে।
আজ
শনিবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ১৩বছর পেরিয়ে ১৪বছর পদার্পনে
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ
সদস্য সাবেক এমপি হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানঁ, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল
বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মোল্লা টিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার
নূরে আলম ভূইয়া, মহানগর জামায়াত সহকারি সেক্রেটারী কামরুজ্জামান সোহেল।
কুমিল্লা
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক এর সঞ্চালনায়
বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, জেলা বিএনপি নেতা মুজাহিদ
চৌধুরী, ক্রীড়া সংগঠক মাহাবুবুল আলম চপল, মানবাধিকারকর্মী আলী আকবর মাসুম, আর টিভির
স্টাফ রিপোর্টার গোলাম কিবরিয়া, এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক,
কুমিল্লা নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অশোক বড়ুয়া, দৈনিক জনকন্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা
মীর শাহ আলম, ভোরের সুয্যোর্দয়ের সম্পাদক এম ফিরোজ মিয়া, দৈনিক শিরোনামের প্রধান প্রতিবেদক
মোতাহের হোসেন মাহাবুব, রেলওয়ে উধ্বর্তন উপ-সহকারি প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার,কুমিল্লা
টেলিভিশন এসোসিয়েশনের সভাপতি একুশে টিভির হুমায়ুন কবির রনি, ইনকিলাব স্টাফ রিপোর্টার
সাদেক মামুন, সি টিভির সম্পাদক ওমর ফারুকী তাপস, সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ফেডারেল
সাংবাদিক নেতা সহিদ উল্লাহ মিয়াজী, এখন টেলিভিশনের ব্যুারো প্রধান খালেদ সাইফুল্লাহ,
এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির জীবন বক্তব্য রাখেন।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি মহিনুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ
সম্পাদক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার বাহার রায়হান, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের
কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, ময়নামতির বার্তা সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মামশাদ
কবীর, দৈনিক আমার দেশ জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি শাহ আলম শফি , জি টিভির জেলা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফরিপোর্টার
জাহিদুর রহমান, কুমিল্লার আলো সম্পাদক জসিম উদ্দিন কনক, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি
সাইফ উদ্দিন রনি, এন টিভির প্রতিনিধি মাফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের বিজ্ঞান তথ্য প্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক, দৈনিক আজকের জীবন
প্রতিনিধি নেকবর হোসেন, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ আহসান হাবীব পাখী ,সমতটের
কাগজ এর সম্পাদক জামাল উদ্দিন দামাল,, ডিবিসি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন
চৌধুরী, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু মুছা, বিজয় টিভির প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির মানিক,
বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাথধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবু, বাংলাভিশনের প্রতিনিধি আশিকুর
রহমান আশিক,দৈনিক ভোরের কাগজের রায়হান চৌধুরী,দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মাইনুল
হক স্বপন,কুমিল্লা টোয়েন্টিফোরের এড তাপস চন্দ্র সরকার, জিটিভির দক্ষিণ প্রতিনিধি মহিউদ্দিন,
দৈনিক নয়াদিগন্ত জেলা প্রতিনিধি হাবীবুর রহমান চৌধুরী,বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আরিফুর
রহমান খান,বাসস জেলা প্রতিনিধি কামরুল হাসান, আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার মসাহাইবুল
ইসলাম সোহাগ, সাংবাদিক ম্যাক রানা,চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি রাজিব সাহা,কুমিল্লা
রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মো: রাসেল, সাধারণ সম্পাদক এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ
আনোয়ার সৌরভ,সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুন্না,সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন নাসের খান
রাফি, নয়ারবির আবদুর রহমান সাইফ, বাংলাদেশ কন্ঠের ইয়াছিন মিয়া, সাংবাদিক ইসতিয়াগ আহমেদ,
নয়াদিগন্তের মাল্টিমিডিয়া ফাহিম মুনতাসিম, ডাকপ্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক নুরুল ইসলাম,কাজী
ফাউন্ডেশনের কাজী মোজাম্মেল হোসেন পলূ, কুমিল্লার কলম সম্পাদক এমকে নূরে আলম,সাংবাদিক
রুহুল আমিন চৌধুরী,সাংবাদিকক্যামাপার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ,এখন টিভির কামরুল হাসান,
একাত্তর টিভির ক্যামাপার্সন মুজিবুর রহমান রনি, সোনালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক
মো: ইলিয়াস, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আবু মুছা,কুমিল্লা ইপিজেডএর মিজানুর রহমান
পিটু, হযরতপাড়া উন্নয়ন সমিতির সভাপতি রফিউক উদ্দিন সওদাগর, চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির
ফারুক আহমেদ সওদাগরকুমিল্লা প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক এনকে রিপন,সাংবাদিক তপু, কুমিল্লা
হিন্দু কল্যাণ পরিষদের সঞ্জয় দাসসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যমব্যাক্তিত্ব
,স্থানীয় সা্ংবাদিক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলোয়াত করেন নিউজটোয়েন্টিফোরের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি এইচ এম
মহিউদ্দিন ভূঁইয়া।
দেশগঠনে
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একাত্তর টেলিভিশন ভূমিকা রাখবেএমনটাই
প্রত্যাশা সকলের।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, কুমিল্লা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাগরিক টেলিভিশনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সময়ের আলো ও রাইজিংবিডি-এর নিজস্ব প্রতিবেদক রুবেল মজুমদার।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সভার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময়, সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লার সভাপতি ইয়াসমিন রীমা, সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা এমরান এবং সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
জানা যায়, রুবেল মজুমদার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কুমিল্লা ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন। তিনি বহুবার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, “তাঁদের আস্থা ও ভালোবাসা আমার জন্য সবসময় প্রেরণার উৎস হবে। নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যের সহযোগিতা ও দোয়া আমাকে আমার দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালনে অনুপ্রাণিত করবে। মহান আল্লাহ যেন আমাকে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করার তৌফিক দান করেন।”
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করার আশা প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে র্যাব পরিচয়ে প্রবাসীর কাছ
থেকে চাঁদা নিতে এসে দুজন আটক হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর পিপলস হাসপাতাল
থেকে তাদের আটক করা হয়।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.
সাইফুল ইসলাম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলো— নগরীর চর্থা এলাকার জয় আহমেদ
রুবেল (৩৫) প্রকাশ চশমা রুবেল ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরব আহমেদ রুবেল (৩৫)।
তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ
কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী কাতারপ্রবাসী মো. ফারুক জেলার
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের অলীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ৫
মার্চ সকাল ৯টার দিকে আমার ছেলের শরীরে গরম ডাল পড়ে ঝলসে যায়। পরে তাকে কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জেনে রাতেই তিনি কাতার থেকে বাংলাদেশে
আসেন। ৬ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুর ১২টার দিকে তার ছেলেকে কুমিল্লা নগরীর
টমছমব্রিজ পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ২টার দিকে তার স্ত্রী শিমুল
আক্তারের কাছে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে। আহত আরাফাতকে দেখতে এক অভিভাবক
আসবেন বলে জানানো হয় ফোনে রাত ৯টার দিকে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন দেখা করতে। এ
সময় তিনি জানান, তার এক ছেলে আরাফাতের সঙ্গে মাদরাসায় পড়ে। সেই জন্য তাকে দেখতে
এসেছেন। এরপর রাত ১১টার দিকে ওই ব্যক্তিসহ মোট চারজন হঠাৎ রুমে ঢুকে পড়ে।
একপর্যায়ে প্রবাসী ফারুককে পাশের একটি খালি রুমে নিয়ে র্যাব পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে
পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তারা। দাবীকৃত টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে দেওয়ারও হুমকি
দেওয়া হয়।
জীবন বাঁচাতে তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে
তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা এবং বাড়িতে ফোন করে আরো ৫০ হাজার টাকা এনে তাদের দেন
ফারুক। শনিবার (৮ মার্চ) আবার হাসপাতালে ঢুকে বাকি চার লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করা
হয় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। পর দুজনকে আটক
করে ৯৯৯-এ ফোন করলে ইপিজেড ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টায় তাদের আটক করে
নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে দুজনকে আটক করা হয়। আটক জয় আহমেদ রুবেল
প্রকাশ চশমা রুবেলের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ চারটি মামলা এবং নিরব আহমেদ রুবেলের
বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় দুজনের
বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লায়
গাঁজা’সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
আজ রোববার সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন কনেশতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা আলমগীর হোসেন ওরফে কানা আলমগীর নামের
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২০ কেজি ৮ শত গ্রাম গাঁজা
ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক (মিশুক) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী
আলমগীর হোসেন ওরফে কানা আলমগীর (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার একবালিয়া গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাক এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা
হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া ২৮ টি অস্ত্র ও ৬৬৭ টি গুলি উদ্ধার করছে আনসার ভিডিপি কুমিল্লার কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান ।
তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে এসব উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আনসার জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ তারিখে কুমিল্লার বিভিন্ন থানা ও কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স থেকে অস্ত্র লুট হয়। পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আনসার ভিডিপি সদস্যরা এসব অস্ত্র উদ্ধারে কাজ শুরু করে। কুমিল্লা জেলা অফিসের তত্ত্বাবধানে ২৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৬৭ রাউন্ড গুলি, ১১ টি খালি ম্যাগজিন, হ্যান্ডকাফ ও চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা কমান্ডেন্ট আরো জানান, আমাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায়- ড্রেনের ভেতর, বন জঙ্গল থেকে খোঁজাখুঁজি করে এবং এলাকার মসজিদের মাইকে জানান দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আনসার ভিডিপি কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য জানান,শুধু কুমিল্লায় নয় নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুরেও বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, থানা পাহারা এবং ট্রাফিকিংয়ের কাজে আনসার ভিডিপি সদস্যরা সচেষ্ট রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা শহরের আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক মানবপাচারকারী ও পাসপোর্ট দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্পের সেনা টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সাজেদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার হালিমা নগর নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫২টি পাসপোর্ট, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৩টি, বাটন মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং অস্ত্র রাখাসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান শেষে গ্রেপ্তার আসামি ও জব্দ সামগ্রী কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন