কুমিল্লায়
১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন বলদাখাল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৯৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল সালাম (২৮) খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার নাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক - মজিবুর রহমান পাবেল
কুমিল্লার সুযোগ্য
জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আমিরুল কায়সার সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন
সাংবাদিক এরশাদ রানা। নিজের ব্যক্তিগত কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি
দেখেছেন প্রশাসনিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব, যা কুমিল্লার ২৩৫ বছরের সমৃদ্ধ
ইতিহাসের অংশ।
এরশাদ রানা তার ফেসবুক
পোস্টে উল্লেখ করেছেন, শতাধিক জেলা প্রশাসকের পদচিহ্ন থাকলেও মোঃ আমিরুল কায়সার
ছিলেন ব্যতিক্রমী এক ব্যক্তি— অহংকারহীন, ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে দূরে এবং অত্যন্ত বিনয়ী।
ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ধৈর্যসহকারে সাংবাদিকের কথা শুনেছেন এবং তাৎক্ষণিক
সুপারিশসহ আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সরাসরি
আবেদনপত্রটি পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন, যা তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার
পরিচয় বহন করে।
সাংবাদিক এরশাদ রানা বলেন, "এই প্রথমবারের মতো কুমিল্লার জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ে এতটা বিনয়ী ও মানবিক ডিসি দেখলাম।" তার এই মন্তব্য থেকে
বোঝা যায়, জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে জেলা প্রশাসক কতটা আন্তরিক।
জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রশাসনের এমন উদাহরণ নিঃসন্দেহে
প্রশংসনীয়। তবে তিনি কতদিন কুমিল্লায় জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকবেন, তা অজানা।
তবে যতদিন থাকবেন, কুমিল্লাবাসীর জন্য তা সৌভাগ্যের বিষয় হবে।
মন্তব্য করুন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে বিভিন্ন চামড়া জাত উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিক্রি করা জনপ্রিয় শপ স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখার (জুতা সামগ্রী) উদ্বোধন হয়েছে।
আজ শনিবার ( ১৬ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্স এর তৃতীয় তালায় দোয়া ও মোনাজাত এর মাধ্যমে উক্ত শপ এর উদ্বোধন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন সাত্তার খান শপিং কমপ্লেক্সে কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মার্কেট মসজিদের খতিব।
এ সময় স্যাচল মার্ট এর স্বত্বাধিকারী তুহিন আলম, নুর মোহাম্মদ জানান, সাত্তার খান কমপ্লেক্স এর শপ স্যাচল মার্ট দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বাসীর জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত লাভ করে আসছে। আমরাও সুনামের সাথে ব্যবসার কাজ পরিচালনা করতেছি। আমাদের আগে ছিল চামড়া জাত পণ্য যেমন লেডিস ব্যাগ, স্কুল কলেজ পড়ুয়া সকলের জন্য ছোট বড় ব্যাগ, ছোট-বড় ট্রলি ব্যাগ,বেল্ট, ওয়ালেট সহ অন্যান্য সামগ্রী কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আজকে থেকে আমরা বিভিন্ন রকমের জুতার সামগ্রী নিয়ে স্যাচল মার্ট এর দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন করেছি। বিশেষত স্যাচল মার্ট এর বেশিরভাগ পণ্য সামগ্রী চায়না থেকে ইমপোর্ট করা। তাই আমরা পণ্য সামগ্রীর কোয়ালিটি মেইনটেইন করে থাকি।
স্যাচল মার্ট এর বিক্রয় কর্মী জানান, আমাদের নতুন জুতার কালেকশনে রয়েছে স্লিপার, ব্লক হীল, পেন্সিল হিল, বেলেন্স হিল, ডক্টর সেন্ডেল, ডক্টর সু, কোট সু, পার্টি সু, রাফ ইউজ ও বাচ্চাদের জন্য সকল আইটেম।
উল্লেখ্য, আজ এবং আগামীকাল সকল ৩০% ও শর্তপ্রযোজ্যে ৫০% ডিসকাউন্ট চলমান থাকবে, এছাড়া ও দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনে বিক্রয় করা যাবে। অনলাইনে ক্রয় করতে স্যাচল মার্ট ফেসবুক পেজ ফলো করুন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গঠনের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রায় ৫৯৩টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। তারই
ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতার চলছে বুড়িচং থানার কার্যক্রমও ।
রবিবার (১১ আগস্ট)
বিকেলে বুড়িচং থানা পরিদর্শন করেন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা
৩৮/বীর এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিউর রহমান এবং থানাতে আসা সেবাগ্রহীতাদের সমস্যা ওসি
নিজে শুনেন এবং তাদের সেবা দিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মেজর নাজিউর রহমান এর বুড়িচং
থানা পরিদর্শন নিয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, আমার
থানার সকল পুলিশ সদস্য উপস্থিত আছেন। তারমধ্যে ২জন অফিসিয়াল ছুটিতে আছে।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও থানাতে ১৫ জন আনসার
সদস্য এখানে দায়িত্ব পালন করছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের আইনি সহায়তার কাজ ও
চলবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০ কেজি
গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন
নাজিরা বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ নূর নবী এবং ২।
মোঃ আব্দুর রহীম উল্লা নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ নূর নবী
(৬৫) চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর
ছেলে এবং ২। মোঃ আব্দুর রহীম উল্লা (২৬) একই জেলার আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনী কাচাঁবাজার
গ্রামের মোঃ আজিজুল হক এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর
যোগসাজসে জব্দকৃত মিনি ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সোমবার (২ জুন) আলেখারচরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান
পরিচালিত হয়েছে।
দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে এলাকায় অবৈধ যান চলাচল রোধে কার্যকর তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানকালে মোট ১টি সিএনজি, ১টি পিকআপ ও ৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট
২২,৫০০ (বাইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ জব্দ করে হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী
ও পুলিশের এই যৌথ তৎপরতা এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করেছে। স্থানীয়রা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলমান রাখার আহ্বান
জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নারী নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ‘সাউথ এশিয়া ইয়ং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট একাডেমি’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার উদীয়মান নারী নেত্রী সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।
সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA) এই ফেলোশিপের আয়োজন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন (UN Women)-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের তরুণ নারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
ফেলোশিপটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব বিকাশ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী বলেন, “আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমার জন্য গৌরব ও সম্মানের। দেশের তরুণ নারীদের অবস্থান ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধ করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নারী নেতৃত্ব গঠনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে।”
সুমাইয়া বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সুমাইয়া ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরছে। সুমাইয়া বিনতে হোসাইনীর মতো নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নারীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের রূপকার হয়ে উঠবেন—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের মানুষের।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে গলায় ফাঁস
দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন নামে এক যুবক।
উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার (১৫ জুন) পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে
থানায় নিয়ে আসে। তিনি একই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক রবিন আট বছর আগে পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালগাঁও গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে জান্নাত আরা নামের ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ‘পরকীয়া’ সন্দেহে উভয়ের ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়ার জেরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার একমাত্র সন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান। দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামী আজিজুল হক রবিনের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠান। পরিবারের লোকজন আজিজুল হক রবিনকে বিষয়টি অবগত করেননি। আজিজুল হক রবিন ঈদের ছুটি শেষে গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদানের জন্য ‘পরিচয়পত্র’ খুঁজতে গিয়ে ডিভোর্স লেটার দেখতে পান। এরপর থেকে তার মন খারাপ হয়ে যায়। শনিবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখা যায়।
আজিজুল হক রবিনের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে ভাই রবিনের সঙ্গে ভাবি নাছিমা আক্তারের ঝগড়া
চলছিল। এরই জেরে ছয় মাস আগে ভাবি বাবার বাড়িতে চলে যান। দুই মাস আগে ডিভোর্স লেটার
পাঠান তিনি। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন রাখলেও দুইদিন আগে ভাই ডিভোর্স
লেটারটি দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান,
আজিজুল হক রবিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে
ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা লতিফ সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহত দুই শিশু হলেন; ফাতেমা ইয়াসমিন (৯), তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং জান্নাতুল ফেরদৌস (১০), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তারা উভয়েই চিওড়া ইউনিয়নের নগর শরীফ গ্রামের বাসিন্দা।
লতিফ সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে দুই শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। দীর্ঘ সময়েও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এটি একটি হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। পরিবার চাইলে প্রয়োজনে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে শতবর্ষী বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে দুই দিন ব্যাপি ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ-২০২৫ আজ শনিবার শেষ হয়। শুক্রবার সকাল ৯টায় বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রশিক্ষণের ১ম দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর উপ-পরিচালক ড. মো: আয়েত আলী, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ- বিদ্যালয় পরিদর্শক মো: আক্তার হোসেন, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রাক্তন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) ও বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। উল্লেখ্য তিন প্রশিক্ষকই বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এছাড়া প্রশিক্ষণের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিশিষ্ট শিল্প উদ্যেক্তা মো: সুমন আহমেদ হানিফ।
২য় দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (BEDU) এর কোর ট্রেইনার গোলাম কিবরিয়া খোন্দকার এবং আইসিটি বিষয়ে জেলা মাস্টার ট্রেইনার রুবাইয়া সুলতানা। প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও সম্পর্ক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ও এ সংক্রান্ত বিধিবিধান, প্রাতিষ্ঠানিক শিষ্টাচার, পাবলিক পরীক্ষা আইন, শিক্ষকতা পেশার উতকর্ষ সাধনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন অধিবেশনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মজুমদার,বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রোগ্রামার মো: আবদুর রউফ, বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি কাজী আবুল হাছান।
এই প্রশিক্ষণে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনির আহমদ,বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র রায়সহ দুই বিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ পঠন পাঠনে বৈচিত্র্য আনে। প্রশিক্ষণ নিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এটা বাড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন