কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানা কর্তৃক ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ০৭/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/মেহেদী হাসান, এসআই(নিঃ) ছাইদুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা চালানো হয়।
তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ১০নং বাতিসা ইউনিয়নের নানকরা সাকিনে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী মহাসড়কের পাশে নানকরা রাস্তার মাথা হতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বশর প্রকাশ বছির(৩৮), পিতা-মৃত আবু রশিদ, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-মাসকরা (চন্দ্রপুর), পোঃ মরকটা, ০৯নং কনকাপৈত ইউনিয়ন, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-০৭/০২/২০২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৪১ রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চান্দিনায় একটি ফুড প্রডাক্ট
কোম্পানিকে অবৈধভাবে ড্রামের সয়াবিন তেল বোতলজাত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি ও ভেজাল
পণ্য উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,
কুমিল্লা।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার হারঙ
ইউনিয়নের উদিলার পাড় এলাকায় “রহমান কনজিউমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড”-এর কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ড্রামের
সয়াবিন তেল কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই বোতলে ভরে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি
করছে। এছাড়া, “রূপচাঁদা”
ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি “কেওড়া
জল” নামে একটি পণ্য তৈরি করছে, যাতে সুগন্ধি
ও সাধারণ পানি মিশিয়ে লেবেলবিহীনভাবে বাজারজাত করা হয়। পাশাপাশি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যপণ্য উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীনে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিধি ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযান সহযোগিতা করেন বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার ইকবাল আহমেদ, জেলা স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর মো. শওকত আলী, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি
টিম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলার ৪৯ তম এজহারভূক্ত আসামী এলাহাবাদ ইউনিয়ন
এর সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সরকার (৬০) গ্রেফতার থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরস্ত তার নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার হয়। মে উপজেলার
মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক সরকারের পুত্র।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ
ইলিয়াছ জানান, গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম
সরকারকে তার নিজ গ্রাম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ছাব্বির হত্যা
মামলার ৪৯ নং এজহার নামীয় আসামী।
গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর উল্লসিত জনতা দেবীদ্বার থানা
ঘেরাউকালে সাব্বির মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ মাস ৮ দিন
চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পরদিন ১৪ আগস্ট সকাল ৯ টায় সাব্বির মারা যায়। নিহত আমিনুল
ইসলাম ছাব্বির (১৭) দেবীদ্বার পৌর এলাকার মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। সে
পার্শ্ববর্তী মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থী ছিল। লেখা পড়ার পাশাপাশি ছাব্বির ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর টাস্কফোর্স অভিযানে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় বাসমতি চাউলসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে। আটককৃত পণ্যের মোট মূল্য প্রায় ৪৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ (২৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১১টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ রেফাঈ আবিদের উপস্থিতিতে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টাস্কফোর্স মালিকবিহীন একটি ট্রাক থেকে ৭,৬৫৯ কেজি অবৈধ ভারতীয় বাসমতি চাউল জব্দ করে।
বিজিবি সূত্রে জানানো হয়েছে, জব্দকৃত চাউল ও ট্রাক সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিজিবি তাদের দায়িত্বশীল এলাকায় চোরাচালান রোধে নিয়মিতভাবে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৮৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন মিরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মিনারুল ইসলাম (৩১) এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি প্রাইভেটকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ মিনারুল
ইসলাম (৩১) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট থানার হিচমী দক্ষিণপাড়া
গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২০২৫-২৬ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জিটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুন্সী কে সভাপতি এবং দৈনিক কুমিল্লার ডাকের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সর্ব সম্মতিক্রমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে বিভিন্ন পদে নিম্নলিখিত সাংবাদিকরা দায়িত্ব পেয়েছেন : সহ-সভাপতি: আনোয়ার হোসেন (বৈশাখী টিভি), জাকারিয়া মানিক (দৈনিক পূর্বাশা), নেকবর হোসেন (দৈনিক আজকের জীবন)।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আসিফ মান্না (সাপ্তাহিক মেগোতি), রাসেল সোহেল (ডেইলি বাংলাদেশ মিরর)
সাংগঠনিক সম্পাদক : রেজাউল করিম রাসেল (দৈনিক সংগ্রাম)। কোষাধ্যক্ষ : মাসুদ আলম (এখন টিভি)। দপ্তর সম্পাদক : মহসিন কবির (ঢাকা ট্রিবিউন)। পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক : জসিম উদ্দিন চৌধুরী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ম্যাক রানা (দৈনিক পূর্বাশা)। প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক : মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ (এশিয়ান টিভি)। সমাজকল্যাণ সম্পাদক : আব্দুল মোতালেব নিখিল (মোহনা টিভি)। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : হাবিবুর রহমান মুন্না (ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস)। আইটি বিষয়ক সম্পাদক : উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল (দৈনিক আজকের কুমিল্লা)। নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন : জহিরুল হক বাবু (কুমিল্লা নিউজ), আশিকুর রহমান আশিক (জাগরণ টিভি), আরিফ মজুমদার (বাংলা টিভি), আবু সুফিয়ান (এনটিভি), রবিউল বাশার খান (দৈনিক আজকের দর্পণ), তৌহিদ হোসেন সরকার (ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস), আব্দুল্লাহ আল মারুফ (বাংলা ট্রিবিউন), মহিউদ্দিন আকাশ (আকাশ টিভি)
এই কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি : মাসুক আলতাফ চৌধুরী। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন : হুমায়ুন কবির রনি (একুশে টিভি), মোঃ মোবারক হোসেন (গোমেতি সংবাদ), ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু (দৈনিক আজকের কুমিল্লা), দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ (নাগরিক টিভি, আজকের পত্রিকা ও বাসস)
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশ ও জাতি গঠনে সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশ অপরিহার্য— এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণার দাবীতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো সুধীজনের মতবিনিময় সভা।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে এ সভার আয়োজন করে সচেতন রাজনৈতিক ফোরাম, কুমিল্লা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ড. শাহ মোঃ সেলিম।
সভায় বক্তারা বলেন— ঐতিহাসিক, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কুমিল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই কুমিল্লাকে প্রশাসনিক কাঠামোয় বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
এসময় কুমিল্লার উন্নয়ন ও নাগরিক স্বার্থে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।
বক্তাদের মধ্যে ছিলেন: ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সমবায়ী ও সমবায় ব্যাংকের সভাপতি সিরাজুল হক, ড. আলী হোসেন চৌধুরী— নজরুল গবেষক ও সাহিত্যিক, সাহিত্যিক ও ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেসক্লাব, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হাসনাত বাবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— বদরুল হুদা জেনুয়া, সাইদুল রহমান তামান্না, লায়ন শেখ ফরিদ উদ্দিন, লায়ন মাহবুব আলম ইকবাল, এনামুল হক বাবলু, সাজ্জাদুর কবীর, নিখিল রায়, আবুল কাশেম, কাজী শারমিন আক্তার— শহীদ সাদমানের মাতা, মিয়া মোঃ তৌফিক, জুনায়েদ রায়হান, রাসেল খান, খায়রুল আনাম রায়হান এবং শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নে একাত্মতা ঘোষণা করেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং ফেনী জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন— “বঞ্চিত কুমিল্লার অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুমিল্লার ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষায় কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করতে হবে।”
সভায় মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সচেতনতার সমন্বয়ে কুমিল্লাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (৭ অক্টোবর) সকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
তানজিল উরফে লাল মিয়া নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে
৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ তানজিল উরফে লাল মিয়া (৫২) কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার ষাইটধার গ্রামের মৃত ইয়াসিন
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মিনি কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ।
সোমবার ১৮ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চিওড়া
সুজাতপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা সুপন বড়ুয়া (৩০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ১৮ মার্চ রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নবগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মনির হোসেন (৪৩) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও ১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুপন বড়ুয়া (৩০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত দুলাল বড়ুয়া এর ছেলে এবং আসামী
২। মোঃ মনির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কলাকান্দি গ্রামের মৃত জাফর মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন