

কুমিল্লায়
৪০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত
১০ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মঠ পুষ্কুরুনী সাকিনস্থ কোটবাড়ী বিশ্বরোড
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ
কাজে ব্যবহৃত ১ টি ব্যাটারী চালিত অটোমিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ ফজল মিয়া (৫৫) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার কলাহাটি দুলালপুর গ্রামের
মৃত আক্কাস মিয়া এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বামৈল, শিবের বাজার এলাকায় বসবাস করে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


আজ ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার উদ্যোগে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে শহীদি সমাবেশের গণসংযোগ করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চ কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, কুমিল্লার আহবায়ক গোলাম মুহা. সামদানী, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক আল নাহিয়ান, সদস্য সচিব ওসমান গনি, যুগ্ম সদস্য সচিব হাসান অন্তর, নোমান, মুজাহিদ, আরিফ, আফজাল হোসেন, ওমর ফারুক প্রমূখ।
কেন্দ্রীয় মুখাপাত্র ওসমান হাদী তার বক্তব্যে বলেন আগামী ২৫শে এপ্রিল ২০২৫খ্রি. শুক্রবার বিকাল ০৩ টায় শাহাবাগ জাতীয় জাদুঘরের সম্মুখে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে জুলাই পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং হত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদের সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ শরিক হয়ে শহীদি সমাবেশ সফল করার জন্য আহবান করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় ছিনতাইকারি সন্দেহে সায়েম নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে । এ ঘটনায় রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় কয়েকজন ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে স্থানীয় যুবকরা পুলিশের গাড়ির উপর হামলা করে। পরে আরো সেনাবাহিনী ও পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ২১ আগষ্ট) বিকেলে বিসিক শিল্প নগরী এলাকার এস. আলম ষ্টীলের ব্যানারে জান্নাতুল ফুড প্রোডাক্ট মিলে গণপিটুনিতে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত সায়েম সদরের দিদার মার্কেট এলাকার ভাড়াটিয়া অটো রিক্সা চালক আমিনুল ইসলামের ছেলে। তাদের মূল বাড়ি রংপুর জেলায়।
ঘটনার পর ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে। কোম্পানির ভিতর শনপাপড়ি তৈরি করে বাজারে বিপণন করা হতো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শন পাপড়ি খাবার জন্য ওই মিলে গেলে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, সায়েম ও সাকিব এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় নিখোঁজের একদিন পর রেল সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে নিখোঁজ জামশেদ ভূঁইয়ার লাশ পালপাড়া রেললাইনে পাশে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ দিন সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম ।
নিহত জামশেদ ভূইয়া কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী ভূইয়া বাড়ি সাবেক কমিশনার মরহুম আব্দুল কুদ্দুস ভুইয়ার তৃতীয় পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বাসা হতে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য বের হওয়ার পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই বিষয় কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বড় ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে একই এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সুমাইয়া আক্তার ও তার মা তাহমিনা বেগম হত্যার শিকার হয়েছিলেন। সপ্তাহ না পেরোতেই আবারো একই এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ী।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নিহত জামশেদ ভূঁইয়ার ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন । তিনি বলেছিলেন মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে তার ভাই বাসায় ফেরেননি । রোববার সন্ধ্যায় আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, দেশে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি চালু হলে ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির অবসান ঘটবে। এতে জনগণের প্রকৃত মতামত ও ভোটাধিকার প্রতিফলিত হবে এবং স্বৈরাচার তৈরির পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। আমরা প্রতিযোগিতা চাই, প্রতিহিংসা নয়। কারও অধিকার বা মর্যাদা সে কোন দলের সেটা বিবেচ্য নয়—সব নাগরিকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করাই জামায়াতের লক্ষ্য।”
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে “জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের স্বার্থে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন আদায় করতে হবে।
জামায়াত নেতা বলেন, “পিআর পদ্ধতি হলে জনগণের প্রতিনিধিত্ব আরও সুষম হবে। এটি গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করবে।”
তিনি জানান, ৩১টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৬টি দল ইতোমধ্যে পিআর পদ্ধতির পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। কেউ উচ্চকক্ষ, কেউ নিম্নকক্ষ—ভিন্ন প্রস্তাব দিলেও সবাই মূলত পিআর ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছে।
মাওলানা হালিম জানান, জামায়াতে ইসলামী ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেছে, যার একটি হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতো রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করা। তিনি বলেন, “তারা ভোট দিতে পারবে, কিন্তু যারা গুম-খুন ও নির্যাতনের সহযোগী ছিল তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
‘কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর’ উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল মতিন।বৈঠক পরিচালনা করেন মহানগর সেক্রেটারি মু. মাহবুবুর রহমান।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন—অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, অধ্যাপক মু. শফিকুল আলম হেলাল, ব্যবসায়ী হাজী নুর উদ্দিন, কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শহিদ উল্লাহ, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি লুৎফুর রহমান, বার্ডের সাবেক মহাপরিচালক ড. মাসুদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান পাটোয়ারী।ওলামা প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জালাল উদ্দীন।ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি হাসান আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি হাফেজ মাজারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন রনি।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনডিএফ কুমিল্লা জেলা সভাপতি ডা. জহিরুল হক বাবর, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এনডিএফ সেক্রেটারি ডা. গিয়াস উদ্দিন, ব্যবসায়ী কাউন্সিলর মোশারফ হোসাইন, মিজানুর রহমান, হাসান মজুমদারসহ গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
বৈঠকে সাংবাদিকরা পিআর পদ্ধতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করলে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সেগুলোর গঠনমূলক উত্তর প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন উত্তর দূর্গাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত
অভিযানে জেরিন আক্তার (২২) নামক একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেয়। এ সময় আসামীর
কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে
দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন দূর্গাপুর দীঘির পাড় এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে। উক্ত অভিযানে মনির (৪২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর
কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি অটো ট্রলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। জেরিন আক্তার (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর
রশিদ এর মেয়ে এবং ২। মনির (৪২) একই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের দুদু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী
এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক
সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নিবন্ধন এবং "শাপলা কলি" প্রতীক প্রাপ্তি উপলক্ষে কুমিল্লা নগরীতে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর পুলিশ লাইন মোড় থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ফৌজদারী হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলটিতে অংশগ্রহণ করেন এনসিপি'র বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মী, ছাত্র–জনতা ও সাধারণ জনগণ। এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

নাভিদ নওরোজ শাহ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন ও প্রতীক প্রাপ্তি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি জনগণের অধিকার রক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশব্যাপী উন্নয়নমূলক রাজনীতির ধারক হয়ে উঠবে। "শাপলা কলি" প্রতীক ঐক্য, শান্তি ও নবজাগরণের প্রতীক। দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির ইতিবাচক ধারা ও নৈতিক নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করাই এনসিপির প্রধান লক্ষ্য। এটি মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনও বয়ে আনবে।
মন্তব্য করুন


৫ ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষক গণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন পূূর্বক এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলাতেও খুব অনাড়ম্বর ভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়েছে।
'শিক্ষকের কণ্ঠস্বর : শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার' - এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে শনিবার ৫ই অক্টোবর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিশ্বশিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিস্বরূপ শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় শিক্ষকগণ শিক্ষকতা পেশার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শিক্ষকগণের তুলে ধরা বিভিন্ন মতামত এর উপর আলোকপাত করে তার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে শিক্ষকতা পেশার চলমান বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল
(২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে শাহ আলম (৪০) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৪
কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী শাহ আলম (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বারপাড়া গ্রামের মৃত শেখ ফরিদ
এর ছেলে।
র্যাব
জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ
করে ঢাকা, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নুরুল হক নুর এবং কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে গণ অধিকার পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নুরুল হক নুরসহ গণ অধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর আবারো হামলা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
আন্দোলন কারিরা টায়ার জালিয়ে বিক্ষাভ করে।
এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আধাঘন্টা পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।তুলে নেয়ার আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্হা না করলে আবারও রাজপথ অচল করে দেয়া হবে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন