কুমিল্লায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ কেজি
গাঁজাসহ এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
বুধবার (১২ জুন) বুড়িচং থানাধীন কোরপাই
ফয়েজউদ্দিন নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর
রহমান এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে হনুফা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- বাগেরহাট জেলার
মোরেলগঞ্জ থানাধীন বারইখালী এলাকার মোশাররফ খা এর মেয়ে হনুফা আক্তার (২৭)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শক
মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যাকবলিত এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে আসছে ।
আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এতে টান পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যের। বন্যার কারণে সরবরাহ ঠিকমতো নেই। সে কারণে বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে।
এছাড়াও জরুরি ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
এ উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট ত্রাণ পাচ্ছেন। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণ দরকার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এডভাইজর পদে যোগদান করেছেন কুমিল্লা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের।
আজ বুধবার সকালে তিনি সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে যোগদানপত্র জমা দেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অধ্যাপক জামাল নাছের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এর পূর্বে তিনি কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, কুমিল্লা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক, উপ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
১ জানুয়ারি থেকে তিনি কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক নাছেরের যোগদানের বিষয়ে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক জামাল নাছের সিসিএন পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি সিসিএন পরিবারের ছায়াসঙ্গী হিসেবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর যোগদানের ফলে সিসিএন-এর চলমান অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হবে বলে আমি বিশ্বাসী।
মন্তব্য করুন
চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় ১২ জনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার
করেছে যৌথ বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, মোকাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম হোসেন তপন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনিসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২১ মার্চ রাতেকুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আজগর আলী (৩০), ২। মোঃ নাঈম হোসেন হৃদয় (২৬) এবং ৩। শেখ মোঃ মেহতাব দ্বীন (৪৮) নামক ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ আজগর আলী (৩০) গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর থানার জানবাগ গ্রামের আব্দুল গফুর মোল্লা এর ছেলে, ২। মোঃ নাঈম হোসেন @ হৃদয় (২৬) একই জেলার কাশিয়ানী থানার পদ্মবিলা গ্রামের মোঃ আতর আলী এর ছেলে এবং ৩। শেখ মোঃ মেহতাব দ্বীন (৪৮) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী জেলার কুমারখালী গ্রামের শেখ মোঃ নাছির উদ্দিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ আজগর আলী এর বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন থানায় ৮ টি মাদক মামলা সহ মোট ৯ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
গত (৫ জুন) রাতে সঞ্জিত চন্দ্র সরকার
পিকআপ গাড়ি করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় মুরাদনগর থানাধীন মুরাদনগর বাজারের আল্লাহ চত্ত্বর
সিএনজি স্টেশনে আসার পর অজ্ঞাতনামা একজন মোটরসাইকেল যোগে এসে মাছের গাড়িকে সিগন্যাল
দিয়ে গাড়িতে অবৈধ মাল আছে বলে জিজ্ঞাসা করে এবং নিজেকে আইনের লোক বলে পরিচয় দেয়। পিকআপটি
দাঁড় করানোর সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা লোক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেকার নিয়ে পিকআপের পাশে এসে
দাঁড়ায় এবং পিকআপ চেক করতে শুরু করে। এমন সময় অন্য একজন অজ্ঞাতনামা লোক পিকআপ গাড়ির
ড্রাইভার মোঃ সোহেল এর প্যান্টের বাম পকেট থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিলে বিষয়টি সন্দেহ হলে সাথে সাথে আসামীদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে
অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যোগে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে
সঞ্জিত চন্দ্র সরকার থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের
করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে
মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম লুষ্ঠিত টাকা ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের
লক্ষে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনার সময় তথ্য প্রযুক্তি
ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় গত (১২ জুন) মুরাদনগর থানাধীন নিমাইকান্দি গ্রামের মাসুদ
এর বিল্ডিংয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ নাজমুল
হাসান লিটনকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে থাকা ১৫ পিস ইয়াবা
ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার
মুরাদনগর থানাধীন ১৩নং মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর মধ্যপাড়া এলাকার ওমর আলীর ছেলে
মোঃ নাজমুল হাসান লিটন (২৬)।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে
তার অপর এক সহযোগীর সহায়তায় উক্ত ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো স্থান
হতে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন ও নম্বরবিহীন একটি কালো রংয়ের ১৫০ সিসি পালসার
মোটরসাইকেল এবং লুণ্ঠিত ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে
গ্রেফতারের জন্য ও ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পৃথকভাবে মুরাদনগর থানার
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৩-২৪ আয়োজনের লক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রিকেট কমিটি।
বুধবার সকালে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
এবারের স্কুল ক্রিকেটের আসরে কুমিল্লার ৮টি স্কুল অংশ নিচ্ছে। ক ও খ দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৮টি স্কুল দল। ক- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল, এ্যাথনিকা স্কুল এন্ড কলেজ, ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ও কুমিল্লা ইউসুফ হাই স্কুল।
খ- গ্রুপে রয়েছে কুমিল্লা হাই স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক বাদল খন্দকার, কোষাদক্ষ আল আমিন ভূইয়া, সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির, জেলা ক্রিকেট কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস ও কোচ সারোয়ার জাহান ও অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর ক্রীড়া শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শিশু পার্ক এমন এক জায়গায় যেখানে আনাগোনা সব বয়সী মানুষের হয়, ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
শিশুরা এসে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এখানে অনেক রাইড,দোলনা সহ অনেক কিছু যেমন আছে বয়সী ব্যক্তিরা এসেও যেন এখানে দু'দন্ড গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারে তেমন পরিবেশ রয়েছে।
সারা দেশের দেয়ালগুলো শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে।
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শিশু পার্কের দেয়ালগুলো এর ব্যতিক্রম নয়।
বর্ণিল ক্যালিগ্রাফি আর গ্রাফিতিতে ভরে উঠেছে শিশু পার্কের প্রবেশের তোরণ।
মন্তব্য করুন