কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার হয়েছে। আটককৃতদের
থেকে মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার শেষে অপরাধীদের স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় সোপর্দ
করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর
২৩ বীর ক্যাম্প জানায়, ৯ মে ভোর ৪ টায় খাটরা এলাকা থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ শাহাবুদ্দিন
বাবু (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস
মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে।
অপর
এক অভিযানে একই দিন ভোরে গুনবতী ইউনিয়নের খাটরায় অভিযান চালিয়ে সুজন মিয়া (২৩) নামের
এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি তল্লাশি করে ১টি চাইনিজ কুড়াল,
১টি সাধারণ কুড়াল এবং ১টি দা উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে
সে বিভিন্ন গ্যাং-সম্পর্কিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
তৃতীয়
অভিযানে, খাটরা এলাকা থেকে আরেক কিশোর গ্যাং সদস্য জাহিদ হাসান (২২) কে গ্রেফতার করা
হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তাকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা যায় এবং
পরে সে গুনবতী ইউনিয়নে গ্যাং কার্যক্রমে জড়িত হয়। সে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তুয়ানের
সহযোগী ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে জড়িত বলেও জানা যায়।
চৌদ্দগ্রাম
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে আটককৃত তিনজনকে
থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে
জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার তিন উপজেলার পৃথক স্থান থেকে বীমা কর্মীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে এক বীমা কর্মী এবং রবিবার
রাতে সদর দক্ষিন ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে এক নারীসহ আরো
দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত
করেন।
লাকসাম থানা পুলিশ ও স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আবাসিক ড্রিম হোটেল থেকে আলতাফ হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সের রায়পুর শাখার ইনচার্জ ও হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ষোলনল শাকচর গ্ৰামে।
অন্যদিকে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় কমলা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি খাল থেকে অজ্ঞাতনামা এ পুরুষের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর
অধীনস্থ শাহপুর পোস্টের টহল দল নায়েক ছায়েদুজ্জামানের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য
উদ্ধার, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ বিশেষ টহল পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) শাহপুর সীমান্ত
দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে মো: মিজান হোসেন ওরফে আনোয়ার হোসেন
(৪০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তি নোয়াখালী জেলার চাটখিল
উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ সাত্তারের ছেলে।
আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লার
কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, প্রতিবেদক:
বিশ্বশান্তি
ও মানব জাতির মঙ্গল কামনায় রবিবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরস্থিত শ্রী
শ্রী রাজ-রাজেশ্বরী কালী মায়ের বাড়ীর নাটমন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী অনুষ্ঠিত
হবে।
তদুপলক্ষে
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের শুভ অধিবাস। পরদিন রবিবার
সকাল ৮টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা আরম্ভ, ভোগ বিরাগ শেষে দুপুরবেলা
আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং সবশেষ বিকেল ৫টায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজার
পূর্ণাহুতি।
ওই
মহতী অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন
শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী কালী মাতার মন্দির কমিটি।
এদিকে,
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট
তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার রেশ কাটতে না কাটতে চলে
এলো জগদ্ধাত্রী পুজো। মা কালীর বিসর্জনের পরই হৈমন্তিকার জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মেতে ওঠবেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন সকলের নজর থাকে অষ্টমী তিথির দিকে;
তেমনই জগদ্ধাত্রী তিথি ঘিরে সকলের নজর থাকে নবমীর দিকে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার রাতে ছিল ছোট
ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট । তাই তাকে নিয়ে বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন নিকটাত্মীয় কয়েকজনসহ
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে সায়েদাবাদ
থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা দেন তিনি কিন্তু বাড়ি আর ফেরা হলোনা তাঁর ।
পথিমথ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেন মারা যান। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়
যার কারণে সুপারভাইজারসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের
টেকনাফ উপজেলার মোহাম্মদ হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নর্থসাউথ
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বদরুল হাসান রিয়াদ (২৫), নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নাসির
উদ্দিন পলাশ (৩৬), বাসের সুপারভাইজার ময়মনসিংহের চণ্ডিমুণ্ডা গ্রামের মাসুদ (২২) ও
হেলপার লক্ষ্মীপুর জেলার আবু তাহের খোকন (৪৮)।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস
ও মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে
রিল্যাক্স পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (যশোর ব-১১-০২৫১) যাত্রা করে। পথিমধ্যে গতকাল
সকাল ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পুরাতন সড়কে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ডাবল ডেকার বাসটির ভেতরে আটকে পড়ে সব যাত্রী।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বাসের সুপারভাইজার
মাসুদ ও হেলপার খোকনসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪
জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড়
ভাই আহত ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়।
আদরের ছোট ভাইকে বিমানবন্দরে
পৌঁছে দিতে পারলেও বড় ভাইয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি
দুর্ঘটনার শিকার হয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত
যাত্রী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাবিল হোসেন জানান, গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফায়ার সার্ভিস
ও পুলিশের সঙ্গে আটকে পড়াদের বের হতে সহায়তা করি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চিকিৎসাসেবা প্রদান
করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ
করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব-ইনচার্জ বিপ্লব
কুমার নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায়
বাসের ভেতর থেকে নিহত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসটি সকালে মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও নিহতদের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও সাইবার অপরাধী চক্রের হুমকি, হামলা, চাঁদাবাজি ও সামাজিক সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন। তার দায়ের করা একাধিক মামলার জেরে চক্রটি মামলা প্রত্যাহার, মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মওদুদ।
তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের ৩ মে ও ২০১৮ সালের ২৮ জুন দায়ের করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিডি।
মওদুদ অভিযোগ করেন, বরুড়া থানাধীন নিমসার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত চলাকালে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা শহরের ইসলামপুরে তার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়।
পরে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (মামলা নম্বর: ৪১, জি.আর. নম্বর: ৮৫০/২৪) দায়ের করেন মওদুদ। এই মামলায় ৮ জন এজহারভুক্ত এবং আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ও যৌথবাহিনী একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে মামলা প্রত্যাহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই অপরাধীরা নতুন একটি মোবাইল নম্বর (০১৩৪২-৭১৩৮১২) থেকে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে মওদুদকে প্রাণনাশ, অশ্লীল ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং তার বাসার পানির ট্যাংকিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায়।
এছাড়া, গত বছরের ৪ আগস্ট টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (দ্রুত সিআর ৩৬/২৪) দায়ের হলে তদন্তে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ মেলে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে মওদুদকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় গত ২৯ মে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় আবারও অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জিডি (নং: ২২৪২) করেন মওদুদ।
এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি নন-এফআইআর মামলা (নন-জিআর নং: ২০/২৫) রুজু করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি হলেও তারা তা গ্রহণ না করে আদালত অবমাননা করছে। ইতোমধ্যে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক মওদুদের দায়ের করা একাধিক মামলা ও জিডির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে এবং অপরাধীদের চক্রটি আইনের আওতায় আনতে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং এসব মামলার তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকা হতে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন সাওয়ালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার পশ্চিম জালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৫)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সহবরাহ করে আসছিল। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাদকসহ এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
আটককৃত তাফাজ্জল হোসেন ভুট্টু (৪৬) উপজেলার গোপচর গ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গৌরীপুর বাজারের কাঠপট্টিতে সেকান্দরের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৪৬ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টোকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর বাজারে মাদকের একটি বড় চালান ঢুকছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যের যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪৬ বোতল বিদেশি মদসহ এক মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে। যার অনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গু’লিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বায়োজিত হোসেন শুকতা (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টায় কেপটাউনের কিং ভ্যালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শুকতা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকার কিং শ্রীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন ড্রাইবারের ছেলে।
নিহতের ভাই জাবেদ হোসেন ও বোন সুমি আক্তার জানান, গত ৮-৯ বছর আগে সে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান। পরে সেখানে একটি সুপার শপের ব্যবসা শুরু করেন।
গত রবিবার রাত ৯টায় দোকানে ক্যাশে বসা অবস্থায় (আফ্রিকান সময়) সন্ত্রাসীরা বায়োজিত আহমেদ শুকতার উপর ৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কিং ভ্যালি হাসপাতালে নেয়া হলে টানা তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন