মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সোলেমান
আহমেদ ও ২। আবু সায়েম নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সোলেমান আহমেদ
(২০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন খারেরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং ২। আবু সায়েম (২১)
একই এলাকার শরিফুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন
“স্নায়ু বৈচিত্র্যকে বরন করি, টেকসই সমাজ গড়ি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে কুমিল্লায় ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া।
সভায় বক্তব্য দেন প্রত্যেয় সংস্থার নির্বাহী প্রধান মাহমুদা আক্তার, ওডাসির নির্বাহী পরিচালক ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রতিবন্দী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ডাক্তার মোঃ মামুন হোসেন, ওটিজম এনডিডি সেবা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট রায়হানুল ইসলামসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগীত পরিবেশিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ৩০জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে ২৭ টি হুইল চেয়ার ও তিনটি ৩টি ট্রাই সাইকেল বিতরন করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা লালমাইয়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে পরপর তিনবার জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আবাদ উল্লাহ (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
এই ঘটনায় আজ রোববার (৯ মার্চ) সকালে ওই বৃদ্ধকে আসামি করে লালমাই থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা। গ্রেফতারকৃত আবাদ উল্লাহ উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিনের ছেলে। প্রাথমিকভাবে যৌথবাহিনীর নিকট ধর্ষণের দায় শিকার করেছেন ওই বৃদ্ধ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযুক্ত আবাদ উল্লাহ ভুক্তভোগী শিশুর সম্পর্কে দাদা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শিশু সামিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে হাত ও মুখ চেপে ধরে জনৈক হিরণের বাড়ীতে নিয়ে পায়জামা খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবাদ উল্লাহ। একই কায়দায় পরপর আরো দুইবার ধর্ষণ করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির মা জুতি আক্তার বলেন, গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ঘটনাটি প্রথমে আমাকে জানায় সামিয়ার দুই বান্ধবী। প্রথমে তাদেরকে ১০০ টাকার বিনিময়ে কু-প্রস্তাব দেয় ওই বৃদ্ধ। তারা রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি শোনার পর আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায় তাকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পরপর তিনবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির দাদা সম্পর্কে আবাদ উল্লাহ। পরে ঘটনাটি আমি স্থানীয় সর্দার ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তাদের কাছে সে (আবাদ উল্লাহ) বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নিলে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আসামি আবাদ উল্লাহ কে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে এবং ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার উদ্যোগে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে শহীদি সমাবেশের গণসংযোগ করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চ কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী, কুমিল্লার আহবায়ক গোলাম মুহা. সামদানী, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক আল নাহিয়ান, সদস্য সচিব ওসমান গনি, যুগ্ম সদস্য সচিব হাসান অন্তর, নোমান, মুজাহিদ, আরিফ, আফজাল হোসেন, ওমর ফারুক প্রমূখ।
কেন্দ্রীয় মুখাপাত্র ওসমান হাদী তার বক্তব্যে বলেন আগামী ২৫শে এপ্রিল ২০২৫খ্রি. শুক্রবার বিকাল ০৩ টায় শাহাবাগ জাতীয় জাদুঘরের সম্মুখে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে জুলাই পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং হত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদের সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ শরিক হয়ে শহীদি সমাবেশ সফল করার জন্য আহবান করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশাপাশি কবরে দাফন
করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে নয় জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ১১ জন।
সোমবার (২৫মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে সোহেল রানার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পাশে তাদের দুই সন্তানকে
সমাহিত করা হয়।
আজ সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের
মরদেহ উদ্ধার হয়। গত শনিবার সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও গতকাল রোববার মেয়ে মাহমুদার
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের
ছেলে।
সোহেলের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ
জেলার ভৈরব হাইওয়ে থানা।
এদিকে সোমবার বিকালে সোহেলের বাড়িতে
গিয়ে দেখা যায়, সবাই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন। তিনজনের মরদেহ বাড়িতে আনার খবরে ভিড় করেন
এলাকার লোকজন। সন্ধ্যার কিছু আগে অ্যাম্বুলেন্সে সোহেল ও তার দুই সন্তানের মরদেহ গ্রামের
বাড়িতে আনা হয়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের সাথে দুই শিশু সন্তানকে পাশাপাশি
কবরে দাফন করা হয়। এর আগে রোববার একই স্থানে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী,
দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে
গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা অন্য পরিবারের লোকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ
করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা
উল্টে যায়।
মন্তব্য করুন
গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরে
শালবন টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গোমতী ওয়ারিয়র্স।
ফাইনাল
খেলায় গোমতী ওয়ারিয়র্স টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে
১৬ ওভারে শালবন টাইগার্স ১০০ রান করেন। দলের পক্ষে অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু ১৪ রান,
মোস্তাফিজ ৩২, ইকরাম ৮, সোহরাব সুমন ৭, শাহ ইমরান ২, আলমগীর ৩ ও সাইফুল সুমন ৪ রান
করেন। শালবন টাইগার্স এর পক্ষে সুমন কবির ও মাইনুল স্বপন ২ টি করে উইকেট পান।
জবাবে
ব্যাট করতে নেমে গোমতী ওয়ারিয়র্স ১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দ্বারে পৌছে যান। দলের
পক্ষে সোহান ৩৯ রান, আজাদ ১১, সুমন কবির ২৫, স্বপন ৮, মান্না ৭ রান করেন।খেলায় ম্যান
অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সুমন কবির। সেরা বোলার হয়েছেন মাইনুল হক স্বপন , সেরা ব্যাটার
হয়েছেন সোহান, সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ এবং টুর্ণামেন্ট সেরা হয়েছেন
সোহান।
এছাড়া
ম্যান অব দ্য সিরিজ পাওয়া সোহানকে ৩ হাজার টাকা ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাওয়া সুমন কবিরকে
২ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়া
হাসান।টুর্ণামেন্টজুড়ে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন
মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, জহিরুল হক বাবু, মো.ইয়াছিন মিয়া, মো.সাফি, জিহাতুল ইসলাম সাকিব।টুর্নামেন্টে
আয়োজনে সহায়তা করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন কুমিল্লা নিউজের সম্পাদক জহিরুল হক
বাবু, ম্যাক নিউজের সম্পাদক ম্যাক রানা, চ্যানেল বাংলাদেশ টিভির শাহ ইমরান, ভোরের শিরোনামের
সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার মো.হাবিবুর রহমান মুন্না, দৈনিক সংগ্রামের
জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম রাসেল, জাগো কুমিল্লার সম্পাদক অমিত মজুমদার, ডেইলি বাংলাদেশ
মিররের স্টাফ রিপোর্টার রাসেল সোহেল, জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান ও এশিয়ান
টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান আজিজুল হক। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছেন ময়নামতি ও ধর্মসাগর
দল।এছাড়া শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জিয়া হাসান, নুর জুয়েলার্সের পরিচালক আরিফ জামান, হাফসা সুইটস এর পরিচালক সোহেল ভূইয়া,
শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সুমন সাত্তার আলী।ফাইনালে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও টুর্ণামেন্টের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মাসুক আলতাফ
চৌধুরী।
প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ সামসুল তাবরেজ।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদালতের পিপি ও বিএনপি নেতা কাইমুল
হক রিংকু, কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর পিপি বদিউল আলম সুজন,
প্রতিষ্ঠাকালিন বিএনপির ছাত্র-যুব সংগঠক ও ইর্ষ্টাণ মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
শাহ মো: সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া,
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এড হক কমিটির সদস্য
সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আমীরুজ্জামান
আমীর, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক
ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি
কামারুজ্জামান সোহেল, মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হক আখি, জেলা জাসসের আহ্বায়ক সিরাজুল
ইসলাম মিলন ও সদস্য সচিব রিপন। সকল অতিথিদের হাতে উপহার তুলে দেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক।
এছাড়া
আরো উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, ভোরের কাগজের প্রতিনিধি
এম ফিরোজ, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ
হাসান, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, প্রথম আলোর
আলোকচিত্রী এম সাদেক, দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান দিলীপ মজুমদার প্রমুখ। এছাড়া নকআউট
পর্বের খেলাগুলোতে সম্মানিত অতিথি হিসবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণ
করেন কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কুমিল্লার বরুড়া সংসদীয় আসনের
সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন,
কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ সারোয়ার
জাহান প্রমুখ।এদিকে ২৫ নভেম্বর কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মিডিয়া
কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লা প্রেস
ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন এবং জামায়াত
ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা
ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির
যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এডহক কমিটির সদস্য আশিকুর
রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন , জামায়াত ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর
সহকারি সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক
সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লা
স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম চপল, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল
আহসান মানিক, রূপসী বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক বাবু অশোক বড়ুয়া, দৈনিক বাংলার আলোড়নের
প্রধান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু,
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ, ভোরের কাগজের কুমিল্লা
প্রতিনিধি এম ফিরোজ মিয়া, আর টিভির প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ
রিপোর্টার সাদিক মামুন, ভোরের পাতার সাংবাদিক জাকারিয়া মানিক, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী
এম সাদেক। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বাবু, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের কোচ
হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, নুর জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারি আরিফ জামান, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেটের
সাবেক কোচ ও কুমিল্লা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের হেড কোচ মো: সারোয়ার জাহান। কুমিল্লা
স্পোর্টস জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ও হিউম্যান বিয়িং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ টুর্ণামেন্টটির
আয়োজন করা হয়। টুর্ণামেন্ট জুড়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন টুর্ণামেন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা
, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ
আহমেদ জিতু। টুর্ণামেন্টে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন কল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের
সিইও রাশেদ রবি।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(১০ আগস্ট) বিকেলে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ
জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পরিদর্শন করেন।
এ
সময় কুমিল্লা সেনানিবাসের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক
খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম ।
থানা পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেনের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, সরকার পতনের পর সারাদেশে হামলা-সহিংসতায় থানাগুলোতে
লুটপাট-ভাংচুর হয়। এর ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর
পাহারা ও সহযোগিতায় থানায় আবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন