

প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন


ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর উদ্যোগে রবিবার (১০ মার্চ) আগরতলা
এনএসআরসিসি বক্সিং হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লা-ত্রিপুরা ফ্রেন্ডশিপ কাপ কারাতে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের আমন্ত্রনে
খেলোয়াড় কর্মকর্ত সহ ১৫ সদস্যের কুমিল্লা কারাতে দল রবিবার আগারতলা সফরে যায়।
রবিবার বিকেলে আগরতলা এনএসআরসিসি বক্সিং হলে দুই দেশের বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দল ও ভারতের ত্রিপুরা কারাতে দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায়
৮ বছর ১৩ বছর, ১৫ বছর ও ২১ বছর বয়সি খেলোয়ারড় দের মধ্যে ৩০ কেজি, ৪৫ কেজি, ৫০ কেজি
ও ৭২ কেজি ওয়েটের কাতা এবং কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা
জেলা কারাতে দল চ্যাম্পিয়ন হয়।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা কারাতে দল ও ভারতের
ত্রিপুরা জেলা কারাতে দলের মধ্যে কারাতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন এবং খেলোয়াড়দের
হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এর সহ-সভাপতি
শ্রী রতন সাহা। পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা স্পোর্টস
কাউন্সিলের যুগ্মসচিব শ্রী স্বপন সাহা, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, ত্রিপুরা ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অধিকর্তা শ্রী
দেবাশিস নন্দী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ এমদাদুল হক এমদু, ক্রীড়া সংগঠক
জুবায়দুল হক জুয়েল ও সারোয়ার জাহান, ত্রিপুরা ক্রীড়া আধিকারিক ধীমান বিশ্বাস
প্রমুখ।
ত্রিপুরা-কুমিল্লা জেলার মধ্যে কারাতে
প্রতিযোগিতার মুখ্য আয়োজক ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম।
প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করে ক্রীড়া সংগঠন ইউনাইটেড অল স্টাইল কাারাতে
ত্রিপুরা অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সকল পর্যায়ের ক্রীড়ামোদি ও ক্রীড়া
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতি প্রতিযোগিতাকে সাফল করে তুলে।
রবিবার ত্রিপুরা-কুমিল্লা ফ্রেন্ডশিপ কাপ ক্যারাটে
চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এ অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিযোগী ও প্রতিনিধি দল রবিবার ১০ই মার্চ সকালে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর সীমান্ত
এলাকা দিয়ে ত্রিপুরায় যায়। সোনামুরায় কুমিল্রা জেলা কারাতে দলকে স্বাগত জানান
সোনামোরা স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুটন রায় ও সোনামুড়া স্পোটিং এসোসিয়েশনের
অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা
কারাতে দলের সফরে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ
সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
তিনি
জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি কারাতে দল নিয়ে আমরা ত্রিপুরা খেলে এসেছি। মূলত আমরা
গিয়েছি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস ফ্রেন্ডশিপ ফোরামের সাধারন সম্পাদক শ্রী সুজিত
রায়ের আমন্ত্রনে। সেখানে সুজিত রায় সহ ত্রিপুরার বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিগণ ও
ত্রিপুরা স্পোটর্স মিনিষ্ট্রির কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে
খেলাধুলা কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিঘ্রই ত্রিপুরা ফুটবল দল
কুমিল্লা সফরে আসবে। পরবর্তিতে আমরা কুমিল্লা জেলা ফুটবল ও ক্রিকেট দল নিয়ে
ত্রিপুরা সফর করবো।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থন অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও জাতিসংঘের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। এই ক্রান্তিকালে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আশা করি- আপনার সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে, যার মধ্যে তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমি সব নাগরিক ও বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখছি। আমি আপনাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৪ নভেম্বর) বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের তৈরি
খাতে আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রয়াসে শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করবে।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের
ফাঁকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র
সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার সময় অধ্যাপক ইউনূস তাকে বলেন, ‘শ্রম ইস্যুটি আমাদের
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম এবং আমরা সকল শ্রম সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
থেরেসা
মে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম ইস্যুতে কাজ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে মানব পাচার ও অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক
ইউনূস আইনি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি
ঝুঁকি ও অনিয়মিত অভিবাসন কমিয়ে দেবে এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ
করবে।
অধ্যাপক
ইউনূস থেরেসা মেকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় বাংলাদেশী তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল
বিষয়ক বই আর্ট অফ ট্রায়াম্ফের একটি অনুলিপি উপহার দেন।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য
সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল
হক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবের মক্কা নগরে পবিত্র হজের
আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের হজে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা
লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফা।
আজ হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ মাসের ৮
তারিখ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। এরপর ৯ জিলহজে
অবস্থান করতে হয় আরাফাতের ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানি করেন হাজিরা। পশু কোরবানি
শেষে আরও দুদিন থাকে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন
সময় লাগে। সূত্র: আলজাজিরা।
প্রথম দিন হজযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই
ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু
নিয়ম নীতি মানতে হয়।
ইহরাম পরার পর দলে দলে হাজিরা মিনায়
যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের
নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের
উদ্দেশ্যে।
আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ হিসেবে।
মিনা থেকে ৯ জিলহজ ভোর থেকেই হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের
ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে
মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে
জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন
নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও
এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ
করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য। এরপর শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায়
প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হজযাত্রীরা। এরপর
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম
খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর)
করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুদিন দ্বিতীয়
ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস
সালামকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার সবচেয়ে প্রিয় কিছু আল্লাহর জন্য কোরবানি
করেন। হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয়। মিনার এ
স্থানে তিনি আল্লাহকে খুশি করতে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে নিয়ে যান, তখন সেখানে
উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।
ওই সময় ইব্রাহিম (আ.) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এ স্থানে প্রতীকি
শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন
সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি ভেড়াকে এনে দেন।
মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায়
ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।
দেশে
ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
(সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নারী নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ‘সাউথ এশিয়া ইয়ং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট একাডেমি’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার উদীয়মান নারী নেত্রী সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।
সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA) এই ফেলোশিপের আয়োজন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন (UN Women)-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের তরুণ নারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
ফেলোশিপটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব বিকাশ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী বলেন, “আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমার জন্য গৌরব ও সম্মানের। দেশের তরুণ নারীদের অবস্থান ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধ করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নারী নেতৃত্ব গঠনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে।”
সুমাইয়া বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সুমাইয়া ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরছে। সুমাইয়া বিনতে হোসাইনীর মতো নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নারীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের রূপকার হয়ে উঠবেন—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের মানুষের।
মন্তব্য করুন


আমেরিকা মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিতর্কিত এক ইতিহাস গড়ল ।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল দেশটি।
আসামি কেনেথ স্মিথ ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে গ্যাস দিয়েই নিভিয়ে দেওয়া হলো তার জীবনপ্রদীপ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিতর্কিত উপায়ে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে মার্কিন প্রশাসন।
এক ধর্মযাজকের স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন আসামি কেনেথ। আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ৫৮ বছর বয়সী স্মিথকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন সেনেটের স্বামী চার্লস। আইনজীবীরা বলেন, স্ত্রীর বিমার টাকা পেতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। পরে অবশ্য চার্লসও আত্মহত্যা করেন। সেনেট হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মৃত্যুদণ্ড কীভাবে সেটি কার্যকর করা হবে তা নিয়ে ছিল জটিলতা। ২০২২ সালে আলাবামা প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিল। পরের বছরের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তখন আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্মিথ। এরপর অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারান এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেন, এই পদ্ধতিতে দেখে মনে হবে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আসলে ব্যক্তি সজাগ থাকেন।
এ নিয়ে চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামিকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এদিকে মৃত্যুর শেষ ৪৮ ঘণ্টা স্মিথ কীভাবে কাটিয়েছেন, তার বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। স্মিথকে তার পরিবারের সদস্য, দুই বন্ধু, তার একজন উপদেষ্টা ও আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। তিনি দুটি বিস্কুট, ডিম, আঙুরের জেলি, আপেল সস এবং কমলার জুস দিয়ে নাশতা করেন। তার শেষ খাবার ছিল স্টেক এবং ডিম।
মন্তব্য করুন


গত সপ্তাহে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো
একটি ‘কলার শিল্পকর্ম’ ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য
ছিল ৭২ কোটি টাকারও বেশি। অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি
ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৩৫ সেন্ট (৪২ টাকায়) কলাটি কেনা হয়। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের
মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে এটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব।
নিলামের মাধ্যমে এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’
কেনেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায়ী জাস্টিন মুন। ওই সময় তিনি জানান কলাটি
তিনি খেয়ে ফেলবেন। নিজের দেওয়া সেই কথা রেখেছেন জাস্টিন মুন। তিনি ৭২ কোটি টাকায় কেনা
সেই কলাটি সত্যিই খেয়ে ফেলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আজ শুক্রবার
(২৯ নভেম্বর) জানিয়েছে, তিনি হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেয়েছেন।
২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি
সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান।
যখনই কোনো প্রদর্শনীতে এই ‘শিল্পকর্মটি’
নিয়ে যাওয়া হয় তার আগে কলাটি পরিবর্তন করা হয়। চীনা বংশোদ্ভূত জাস্টিন সান মূলত এই
অদ্ভুত শিল্পকর্মটির প্রদর্শনীর স্বত্ব কিনেছেন। কীভাবে এটি প্রদর্শন করতে হবে সেই
ব্যাপারেও তাকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে শিল্পকর্মটি নিলামে তোলার আগে
সেখানে নতুন কলা নেওয়া হয়। আর এই কলাটি এক বাংলাদেশির কাছ থেকে ৪২ টাকায় কেনা হয়।
এর আগেই এই শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে
রাখা কলা খেয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমবার ২০১৯ সালে একজন পারফরমেন্স আর্টিস্ট। দ্বিতীয়বার
২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এক শিক্ষার্থী কলাটি দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে ফেলেন। তবে এরজন্য
৭২ কোটি টাকা তো দূরের কথা এক টাকাও তাদের দিতে হয়নি।
জাস্টিন সান একটি প্রতিষ্ঠান চালান
যেটির ব্যবহারকারীরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যবসা করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে নিজের
প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে তিনি হয়ত কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন।
সূত্র:
বিবিসি
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশকে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লাফেভ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
হেলেন লাফেভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে অর্থ উদ্ধার এবং তা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।
‘চুরি করা টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
এসময় একজন শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে লাফেভের দায়িত্ব পালন ও সেবার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে হেলেন লাফেভ বলেন, ‘আমি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্বিত।’
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে উত্তর আমেরিকার দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করছে।
আলোচনায় বিচারিক সংস্কার, দক্ষিণ এশীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্বৈরচারী সরকার আমলে বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা, বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সংস্কার এবং শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
তাঁর সরকার ব্যাপক শ্রম সংস্কার করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
মন্তব্য করুন


প্রতি
বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র রমজান মাসের আগেই প্রায় ৯০০ পণ্যের দাম কমালো মধ্যপ্রাচ্যের
ধনী দেশ কাতার।
২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, চলবে পবিত্র রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত।
দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুধ, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ ইত্যাদি।
কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের ২৪টি জাহাজ এখনো গাজার দিকে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে একটি জাহাজ মিকেনো গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফ্লোটিলার ‘লাইভ ট্র্যাকারের’ মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আলজাজিরার
তবে সেটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্য ২৩টি জাহাজ গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার ১৩টি জাহাজ আটকে দেয় এবং সেখানকার ৩৭ দেশের দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানিয়েছেন, আটক হওয়া ১৩ জাহাজে ২০১ জনের বেশি কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন ও মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, আটক ব্যক্তিদের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং তারা ‘নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে গঠিত সুমুদ ফ্লোটিলা একটি বৈশ্বিক মানবিক প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য গাজার ওপর ইসরায়েলি নৌ-অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। নৌবহরে রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা।
মন্তব্য করুন