

সারাদেশে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের
পদত্যাগ করানোর হিড়িক পড়েছে তখন ঠিক এর উল্টো ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। জোর করে পদত্যাগ
করানো প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে ফিরিয়ে এনে তাদের চেয়ার বসিয়েছেন চখমিল বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে চখমিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। যা
রিতিমত প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) এলাকার
কিছু উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের উস্কানিতে প্রধান শিক্ষকসহ চার জনকে জোরপূর্বক
পদত্যাগ লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হাতিয়ার করে তাদের ভুল বুঝিয়ে গত রবিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সেলিম
উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক মো: ইয়াছিন আলী, মো: নুরে আলম এবং শরণ শিংকে জোরপূর্বক পদত্যাগ
পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এক দল শিক্ষার্থী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা
জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোর
করে পদত্যাগ করানোর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র-জনতা।
গত মঙ্গবার সকালে তারা বিদ্যালয় মাঠ
সমবেত হয়ে প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বুধবারে
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ) তারা
স্বসম্মানে শিক্ষকদের বরণ করে নেবেন।
তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে
প্রাইভেট কারে করে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ফুলের মালা গলায়
দিয়ে তাদের বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের পা ধরে
ক্ষমা চায় এবং আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কাজ মূলত কিছু
উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারী করেছে। এটার জন্য আমরা দায়ী না।
উল্লেখ্য, গত (২৫ আগস্ট) রবিবার সদর
উপজেলার উশৃংখল ও দুষ্কৃতিকারীদের একদল ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদেরকে উস্কিয়ে
দেয় এবং তারা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগের দাবিতে। এ সময় শিক্ষকদের দুটি
গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশসহ সেনাবাহিনী একটি
দল এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে
নেওয়ার পরেই তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও
দেন তারা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্রমিক দল ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং এর সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল এর ৩ জন নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটককৃতরা হলো- পৌর এলাকার বেলাশ্বর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালী উল্লাহ, একই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কুমিল্লার উত্তর জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চান্দিনা পৌর শ্রমিক দল আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন, রমিজ উদ্দিনের ছেলে ৪নং ওয়ার্ড এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে চান্দিনা থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র এবং মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়- ঢাকার বনানী আলীসা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী কোম্পানীর ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন মালামাল দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করেন। রবিবার বেলা পৌনে ২টায় মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে
চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ ওই ম্যানেজারের মোবাইলে কল দিয়ে তার দলীয় পরিচয় দেয় এবং মালামাল নিতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। পরে অলিউল্লাহকে সমিতির স্টোর রুমে আসতে বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। সেখানে অলিউল্লাহ্ অপর দুই জন আসামিকে নিয়ে চাঁদার টাকা আনতে যায়। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় চাঁদাবাজরা। বিষয়টি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবহিত করলে মেজর মাহমুদ এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ওই ৩ জনকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান, যৌথবাহিনী তাদেরকে আটক করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


পঞ্চগড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১টি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বানুর হাট থেকে মূর্তিটি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
জানা যায়, জব্দ করা কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭কোটি টাকা।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তেঁতুলিয়ার উপজেলার কৃষ্ণ কান্ত জোত গামের মৃত আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) , দেবীগঞ্জের বন্দীরাম গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০) ও তেঁতুলিয়া এলাকার একামুল হকের ছেলে শহিদুল (৫৫)।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কষ্টি পাথরের মূর্তি ক্রয়-বিক্রয় হবে এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন ব্যক্তি বানুরহাট এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বানুর হাটবাজারে আশপাশ ও দোকানে ওৎ পেতে থাকেন। পরে ১টি ফার্মেসিতে প্রবেশের সময় ১৭ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জব্দকৃত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি এবং ওজন ১৭ কেজি। মূর্তিটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকা।
তাদের বিরুদ্ধে পুরাকৃর্তি আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের উদ্যোগে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অফিস সহায়ক আবু হানিফ কাজী কে রাজকীয় ভাবে গাড়ি চড়ে চাঁদপুরে প্রেরন করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খানের সভাপতিত্বে ও আশ্রাফপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সোহাগের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম মো. সোহেল রানা, আশেক আলী খান স্কুর এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্যাহ পাটওয়ারী, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, তেতৈয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস, মনোহরপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার কর, চাঁদপুর এমএ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, মনপুরা বাতাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও কচুয়া ক্যামিব্রয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন মজুমদার প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজকীয় ভাবে গাড়িতে চড়ে তার নিজ বাড়ি চাঁদপুরে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই সীমান্তের ৯৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। পরে কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঠেলে দেয়া ওই ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহিদ জানান, ভারতীয় খেতাবের কুটি ও ঝিকরী ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে আমরা টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করি।
পুশইন হওয়া ওই ৯ জন হলেন, বাইদুল ইসলাম (৬৫), তার স্ত্রী মোছা: আমিরন বেগম (৪৫) মেয়ে রুমি খাতুন (২০) জামাতা আপেল (২৯) নাতি হৃদয় (৩), মোছা: মিনা বেগম (৩০) স্বামী জয়নাল আবেদীন তার মেয়ে জুই (১০) মীম (৭) এবং নুর হামিদ (৭) পিতা আমিনুল ইসলাম সকলের গ্রাম চন্দ্রখানা বজরের খামার উপজেলা ফুলবাড়ী জেলা কুড়িগ্রাম।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে বিজিবি পুশইন হওয়া ৯ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে সকলের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের জিম্মায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়িতে মা, ছেলে ও মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন— কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদি হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পুলিশ শুক্রবার বিকেল ৫টার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর পুলিশি পাহারায় নিহতদের বাড়ির পশ্চিম পাশে কড়ইবাড়ি কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করা হয়। তবে এই সময় হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তাদের জানাজায় এলাকাবাসী কিংবা আত্মীয়-স্বজন কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। পরে রাতে নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহত তিনজনের লাশ দাফনের পর রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। ওই সময় হামলায় আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)। তিনি বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন


মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-১১। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, ও গুলি ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম মোট ৩০টি মামলার আসামি বলে জানায় র্যাব।
তাছাড়া, র্যাব-১১-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা নজরদারি চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার একটি মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজি করে আসছিল নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনীর সদস্যরা। গত এক বছরে নদীতে কয়েক দফা গোলাগুলিতে স্থানীয় কয়েকজন খুন হন। তাদের ভয়ে এলাকার শতাধিক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল।
র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৫টার পর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের দলটি স্পিডবোডে করে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪-৫ টি হাইস্পিডি ট্রলারে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা মামলা, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক, ও ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকা হতে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ দুপুরে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন মুদাফরগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার নানরা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাগর ইসলাম (২৬), মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার কাটাখালী গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার গাসিয়াল গ্রামের আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোঃ সবুজ (২৫)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ৬৮ কেজি গাঁজাসহ
২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ।
সোমবার ১৮ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চিওড়া
সুজাতপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা সুপন বড়ুয়া (৩০) নামক ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা ও ১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে ১৮ মার্চ রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নবগ্রাম এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মনির হোসেন (৪৩) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও ১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সুপন বড়ুয়া (৩০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার ফতেহপুর গ্রামের মৃত দুলাল বড়ুয়া এর ছেলে এবং আসামী
২। মোঃ মনির হোসেন (৪৩) কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কলাকান্দি গ্রামের মৃত জাফর মোল্লা
এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ (২৭) ফেনী জেলার সদর থানার মরুয়ারচর গ্রামের মৃত সাদেক এর ছেলে
এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন (২৮) একই গ্রামের মৃত মাস্টার সৈয়দ আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার পথে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবাহী নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন (মালবাহী পরিবহন) রেললাইনে উঠে যায়। তবে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
এদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) আবদুল আওয়াল রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনের ওপর দাঁড়ানো। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাড়িটির মাঝামাঝি আঘাত করে।
তিনি জানান, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনে আটকে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে আবদুল আওয়াল রানা তার সহকারী লোকোমাস্টার, স্টাফ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় নসিমনকে রেললাইন থেকে অপসারণ করে রেললাইন চলাচলের উপযুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন