সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা
গর্বিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে
অংশগ্রহণের সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা
এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে
শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। এবং এই
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন
তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস এবং খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়া কুশল
বিনিময় করেন। খালেদা জিয়াকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় এবং তাদের হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা
বলতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জানা গেছে, এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
মাতৃভাষার জন্য জীবন
দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১
ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার
স্বীকৃতি এনে দিতে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছে অনেক। জাতির মুক্তি সংগ্রামের
ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত
রচিত হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর
প্রায় সব দেশে নানান দেশের নানান ভাষার কিংবা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কিছু মানুষ
নাগরিকত্ব গ্রহণ করে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে। নতুন দেশের ভাষা তাদের দৈনন্দিন
জীবনে চব্বিশ ঘণ্টার ভাষায় পরিণত হয়ে যায়, কিন্তু তবু সে ভাষা তার মাতৃভাষায় পরিণত
হয় না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার চেতনা ও মর্যাদা
রক্ষার প্রেরণা ও এ চেতনার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সূত্রে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ
ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বিশ্বের সব
মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার ইতিবৃত্তকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইনস্টিটিউট তার যাত্রা শুরু করে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি নতুন ভাষা শিখলেই পুরনো ভাষায় দুর্বল হয়ে পড়বে এই ধারণার কোনো ভিত্তি
নেই। পৃথিবীর বহু দেশে একই নাগরিক সাবলীলভাবে কয়েকটি ভাষায় কথা বলবে এটা খুবই
স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা শৈশব থেকে নানান ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
স্কুলে পড়ার সময় প্রত্যেক ছাত্রকে অন্তত একটি ভিন্ন ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা
হয়। ছাত্ররাও আনন্দ সহকারে সেটা করে থাকে। ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে এমন
কোনো চিন্তা তাদের কারও মাথায় আসে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আমরা দ্রুত গতিতে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এর জন্য মূলত নিত্যনতুন
প্রযুক্তি প্রধানত দায়ী। প্রযুক্তির প্রাধান্যের সঙ্গে আসে ভাষার প্রাধান্য। যে
দেশের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রাধান্য অর্জন করতে থাকবে তার সঙ্গে প্রাধান্য অর্জন
করতে থাকবে প্রযুক্তিদাতা দেশের ভাষা। সারা পৃথিবী এই ভাষা শেখার জন্য ঝাঁপিয়ে
পড়বে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান- সরাসরি জড়িত। আমরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলি তখন যেন মনে রাখি মাতৃভাষা মানুষের প্রাথমিক ভাষা। সেই ভাষা প্রথম শ্রবণে যতই রূঢ় মনে হোক না কেন তা একদিন তার প্রাথমিক স্তর পার হয়ে বহু দেশের বহু মানুষের অত্যন্ত নমস্য ভাষায় পরিণত হতে পারে। যদি সে ভাষা পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় কৌশলগত ভূমিকা দখল করে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ
বুধবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে
হাইকমিশনার কুক সম্মানজনক কিং চার্লস হারমনি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে
অভিনন্দন জানান।
পুরস্কারের
কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি মহান সম্মানের বিষয়।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৩ জুন ফিরে আসবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ঊর্ধ্বতন
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয়, যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, অভিবাসন এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে গঠিত কমিশন এবং
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং শিগগির তা শেষ
হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বাংলাদেশের সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্যের কারিগরি
সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া
মোরশেদ এবং ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে
আবদ্ধ করা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের
মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব
মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র
বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা
করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ
করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে,কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের
কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই
ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত
বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের
সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই
দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও
কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে
হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ
করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন
মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের
সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান উপলক্ষে অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম
উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।
আজ শনিবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা
জানান।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস রমজান আজ
আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে;
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভ ও ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়।
ধনী-গরিব সবার মাঝে
পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস,
হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ,
ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সিয়াম পালনের
পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে
রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক
অনাবিল শান্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা ও হেফাজত করুন, আমিন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।
চার দিনের সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ আসবেন।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে মৌলিকভাবে এই বিভাগের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি আইনের
যে ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, কোটা
সংস্কার আন্দোলনের সময়ে যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় বিরূপ আচরণের শিকার
হয়েছে, তাদের বিনিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক
প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর
জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন
সরকারি সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও
আয়মান সাদিক সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।
এর পরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন
নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রবিবারে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার
কথা।
এর পেছনে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা
কোনো সংস্থাপ্রধান জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না—তা জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন,
অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আসবে। এরপর যদি মূল্যায়ন
করে আরও তদন্ত প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে। এতে যদি সরকারের কোনো লোক, সংস্থা বা মন্ত্রী
কেউ জড়িত থাকেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। ইন্টারনেটে অবাধে তথ্যপ্রবাহ হয়, এটি মানবাধিকার।
কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, শত শত মানুষকে মেরে ফেলা
হয়েছে। এ বিভাগের প্রকল্পে দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ৩টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের আস্থা ফেরাতে কাজ করবে নতুন সরকার।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের (রংপুরে গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে।’
দেশের কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানিয়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যদি আমাকে বিশ্বাস করেন তাহলে সারাদেশে চলমান হামলা বন্ধ না করেন। তা না করলে আমার এখানে প্রয়োজন নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। এই স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এসময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যাচ্ছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টা শপথ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফ্রান্সের প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর দেশে ফিরলেন।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা সাভারের জাতীয় স্মৃতি সৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন করেন।
উভয় নেতা আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রর্দশন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জাতিসংঘের দ্বারা গ্র্যান্টেড
নিরাপদ অঞ্চল তৈরি এবং তাদের সহায়তা করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি রাখাইনের বিদ্যমান সঙ্কট
সমাধানে এটি একটি ভালো সূচনা হতে পারে এবং বাংলাদেশে হাজার হাজার নতুন শরণার্থীর প্রবেশ
ঠেকাতে পারবে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) মিয়ানমারের
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার থমাস অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ র্যাপোর্টার থমাস অ্যান্ড্রুজ
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে সাইটলাইনে বৈঠক করেন এবং এ সময় তিনি জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে
প্রধান উপদেষ্টার উপস্থাপিত তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বড়
ধরনের সংকট তৈরি করেছে এবং এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাসহ বাস্তুচ্যুত ও অনাহারী মানুষের
জন্য জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।
বিশেষ র্যাপোর্টার জানান, মিয়ানমারের
অন্তত ৩.১ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যের রয়েছে কয়েক লাখ।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখানে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন সাম্প্রতিক সময়ে প্রায়
৩০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তবে কক্সবাজারের
আশ্রয় শিবিরগুলোতে ইতোমধ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে।
অধ্যাপক ইউনূস রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ
ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সজন্য আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ
দেন। তিনি হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করতে
বিশেষ র্যাপোর্টারের সহায়তা চান।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত
নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত এবং বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন
সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
মন্তব্য করুন
যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন