খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, অবস্থা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত: আযম খান

খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, অবস্থা বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত: আযম খান
ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান।

আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান।

আযম খান, বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে কথা বলা আছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রয়েছে। বিদেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় এলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।

২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা দেখা দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৮০ বছর বয়সী এই নেত্রী বহুদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছেন। বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সিসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক খবর জানতে প্রতিদিন হাসপাতলে যাচ্ছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

আজ সকালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান ডাকসুর সাবেক এজিএস ও বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম। বাইরে এসে তিনি সকলের কাছে দোয়া চান। যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জানান, অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন হলে মেডিকেল বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও একই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি নিয়মিতভাবে চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় সব সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থার খোঁজ নেন।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম লেখেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক অনন্য অনুপ্রেরণা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে তিনি কয়েক দশক ধরে অবিচল ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রচক্রের লাগাতার নির্যাতন, মিথ্যা মামলার পরিক্রমা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভয়াবহতার মাঝেও তার অটল মনোবল ও আপোষহীন অবস্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি লেখেন, ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান, স্বৈরতন্ত্র বিরোধী সংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যেকটি পর্বে বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও নেতৃত্ব জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বহু প্রজন্ম তাকে সাহস, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে দেখেছে। বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নাহিদ ইসলাম তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান।

নাহিদ আরও লেখেন, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার পূর্ণ আরোগ্য ও সুস্থতা কামনা করি। এই গণতান্ত্রিক উত্তরণের সংকটময় সময়, যখন দেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সে প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক উপস্থিতি ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় তার দীর্ঘ অবদান স্মরণ করে আমরা তার সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করি।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত

বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি, যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি, যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না। ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি। এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে পারে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় ইতিবাচক সমাধানের প্রত্যাশা বাংলাদেশের : প্রেস সচিব

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় ইতিবাচক সমাধানের প্রত্যাশা বাংলাদেশের : প্রেস সচিব
ফাইল ছবি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এই শুল্ক কার্যকর হবে। তবে চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় শুল্ক আলোচনার পথও খোলা রেখেছেন।

এই প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। তারা ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের বাণিজ্য ও শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। বুধবার (৯ জুলাই) আরেক দফা নির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় আলোচনা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক চুক্তির প্রত্যাশা করছে, যা আমাদের বিশ্বাস, উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।’

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।

এদিকে অধ্যাপক ড. ইউনূসকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) গোলাম মোর্তোজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়, আলোচনা চলছে। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।

প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা আগামী বছরগুলোতে আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি যদি এখন পর্যন্ত বন্ধ রাখা আপনার বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত করতে চান এবং শুল্ক, অশুল্ক নীতি ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূর করেন, তবে এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এসব চিঠি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশিত হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, সামনে আরো কিছু দেশকে শুল্কবিষয়ক চিঠি পাঠানো হতে পারে। যার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদাররাও রয়েছেন।

চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, গত এপ্রিলে স্থগিত করা পাল্টা শুল্ক তিন সপ্তাহের মধ্যে এবং আগের চেয়েও বেশি হারে ফিরে আসবে।

আরো জানানো হয়, টোকিও ও সিউলের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়াসহ ১৪ দেশের ওপর ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগস্টের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানোর যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি নমনীয় হতে পারে।

গত ৩ এপ্রিল ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে সেটি ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতো।

(সূত্র- বাসস)

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

নির্বাচনী প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করল জামায়াত

নির্বাচনী প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করল জামায়াত
ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে প্রচারণা চালাতে পারবেন না জামায়াতের কোনো প্রার্থী। দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দাঁড়িপাল্লার প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

 তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলা/মহানগরী নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ্যালি শোভাযাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে কয়েকটি দুর্ঘটনা আহতের প্রেক্ষাপটে আমিরে জামায়াত এখন থেকে সকল জেলা/মহানগরী নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ্যালি শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চাইলেন কৃষি উপদেষ্টা

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চাইলেন কৃষি উপদেষ্টা
সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।

সোমবার ( সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হয়। সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন সংস্কার, মানিলন্ডারিং দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত মুহূর্তে উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা এসময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কৃষি ক্ষেত্রে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের কৃষকগণ এখনো বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। ভবিষ্যতে আলোচনা করে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছ। যে কারণ বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।

রাষ্ট্রদূত জানান, পুলিশ সংস্কার পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। 

এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।

স্বরাষ্ট্র কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সঠিকভাবে হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকেরা চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন : প্রধান উপদেষ্টা

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকেরা চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন : প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ আবার তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন যোগ করতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতা। আকাক্সক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায়বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকারশীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের ফসল। তাই আমরা বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন। ১৯২৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ যেভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা আমাদের দেশের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একজন উজ্জ্বলতম তারকার মহত্তম অবদানের শতবার্ষিকী উদযাপন করতে এসেছি। যিনি ১৯২৪ সালের এমন একটি সময়ে তাঁর আবিষ্কার বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজো যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। তাঁর আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিলো কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ব-বিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। আজ আমরা যখন ছাত্র-জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুন ভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। নিয়ে গবেষণা চলছেই।

তিনি উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা জানে যাবতীয় পদার্থ-শক্তি সব কিছুর একেবারে মূলে যে মৌলিক কণিকাগুলো এদের শ্রেণী বিভাজনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বসুর থিওরির দ্বারা ঠিক করে দেয়া নির্দেশিকা।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষার সর্বস্তরে, বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি, ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে : প্রধান উপদেষ্টা

পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে : প্রধান উপদেষ্টা
ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আজ শনিবার (২৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোন ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের . মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) -এর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত

সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত
সংগৃহীত

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুপারিশপ্রাপ্ত এ শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূস 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

আজ রোববার (২০ জুলাই)) সেনা সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ আহত সকল ছাত্র জনতাকে।

প্রধান উপদেষ্টা . ইউনূস পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সকল অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে আসছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ।

নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনা প্রধান অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ জানান।

এসময় সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

বিদেশে ভালো চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার, গ্রেফতার ৩

বিদেশে ভালো চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার, গ্রেফতার ৩
মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৩

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরজোকা এলাকার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগম কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল। 

র‌্যাব জানান, চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেকারত্ব ও দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশে ভালো চাকরী দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানব পাচার করে আসছিল। এই চক্রটি ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখ (৪৮) এর ছেলে জুবায়েদকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আসে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য জুবায়েদের হত দরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগার করে উপরোক্ত মানব পাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয় । এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে বলে তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিলেও তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মিলন ফকিরসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। আজ (৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ১নং আসামী মিলন ফকির (৪২), মানব পাচার চক্রের সদস্য ২নং আসামী রিজাউল ফকির (৬৫), ৩নং আসামী তাসলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চরজোকা এলাকার মোঃ রিজাউল ফকির এর ছেলে মিলন ফকির, মৃত আলিম উদ্দিন ফকির এর ছেলে রিজাউল ফকির, রিজাউল ফকির এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০

৩৩ বছর পর মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

৩৩ বছর পর মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদের’ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ছবি

ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা আজ শনিবার ( ০৬ ডিসেম্বর ) একই নামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

এ ঘটনা কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে যেন কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না ছড়ায়, সে জন্য যা যা করা দরকার তা করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। সরকারকে বলা হয়েছে, এই সম্ভাব্য উত্তেজনা থামাতে এবং শান্তি বজায় রাখতে যা যা করা দরকার, তার সবই করতে হবে।

এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে সতর্ক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছেন, যে কোনো অশান্তি রোধে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার বলেছেন, সিআইএসএফের ১৯টি কোম্পানি ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে উপস্থিত রয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে র‌্যাফের ইউনিট সহ ৩৫০০ জনের একটি দল রেজিনগর এবং আশেপাশের অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সুরক্ষার জন্য বিএসএফের দুটি কোম্পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ পেল ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

মহাসড়কে মাইক্রোবাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও পুরস্কার প্রদান

দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি: তারেক রহমান

ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

৭ তলা ভবনে আগুন, নিহত ২০

মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস এর বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১০

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন ৪ বিশিষ্ট নারী

১১

ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা পড়লো খাদে, প্রাণ গেল ২ জনের

১২

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহে: সিইসি

১৩

নারীর চুলের খোপা থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

১৪

দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া, ভিডিও কলে রেখেই প্রাণ দিলেন প্রেমিক

১৬

খেলায় অতিথি না করায় খেলনা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি , যুবক আটক

১৭

মাহফিলের মঞ্চে বয়ানরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বক্তা

১৮

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

১৯

দেশে খাদ্য মজুদ যা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আছে : কুমিল্লায় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

২০