

তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ
এবং তাদের স্বপ্নের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। সেই স্মৃতি জাতির সামনে তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য।
আমরা চেষ্টা করছি তাদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র
করে বই প্রকাশ ও চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পর্যায়ে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রামাণ্যচিত্র,
বিশ্লেষণধর্মী প্রকাশনা ও সৃজনশীল কাজ চলছে।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র
ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত প্রকাশনা উৎসব ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোড়ক
উন্মোচনের পর উপদেষ্টা প্রকাশনা উৎসবের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
সরকারি
সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রচেষ্টায় মানসম্পন্ন প্রকাশনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ
সম্ভব হবে-আশা প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে জুলাই
গণ-অভ্যুত্থান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে জীবন্ত
হয়ে উঠবে।
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, ডিএফপির নিজস্ব বাজেট এবং চলতি অর্থবছরের বিশেষ
বরাদ্দ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণ ও গবেষণাধর্মী বই প্রকাশের
কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ‘গ্রাফিতিতে বাংলাদেশ’শীর্ষক
বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে এবং আরও কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত
প্রকাশিত বইগুলো মূলত বর্ণনামূলক হলেও এবার আমরা বিষয়গুলো বিশ্লেষণধর্মীভাবে উপস্থাপন
করব। গত এক বছরের অগ্রগতি, স্বপ্ন পূরণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পর্যালোচনামূলক প্রকাশনা
আনা হবে। পিআইবি, পিআইডি, বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
ইতিহাস সংগ্রহ, ডকুমেন্টেশন ও প্রচারে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি, বেসরকারি উদ্যোগেও
এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে।
ডিএফপি
মহাপরিচালক খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক ফায়জুল হক, পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক
মো. আবদুল জলিল এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি।
মন্তব্য করুন


খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সকলকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে দেওয়া আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক বাণীতে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে এ সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। মহামতি যীশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য তিনি মানব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিস্টরা
দেশ ছেড়ে পালালেও ফ্যাসিজমের কালো ছায়া এখনো কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের
দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে। কেউ চাঁদাবাজি করে জনগণের ক্ষোভের কারণ হয়েছে, আবার কেউ আরও
বেশি শক্তি নিয়ে একই কাজ করছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সর্বশেষ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা.
শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ। বিপুল সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। আফসোস, স্বাধীনতার
৫৪ বছরেও এ দেশের মানুষ সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি, কারণ বর্গীরা
চলে যাওয়ার সময় দেশের ভেতরে চিলগুলো ছুঁ মেরে জনগণের সম্পদ নিয়ে চলে গেছে। দেশের সম্পদ
লুণ্ঠন করে বাইরে পাচার করেছে। দেশে–বিদেশে ‘বেগম পাড়া’
গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, কেউ কেউ পালাতে গিয়ে খালে–বিলে আশ্রয় নিয়েছে। আবার রসিক সিলেটবাসীর
কাছে কেউ কেউ কলাপাতায় ধরা পড়েছে। এভাবেই অপকর্মের দায় নিয়ে ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশ থেকে
পালিয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিজমের কালো ছায়া বাংলাদেশ থেকে যায়নি। একদল দখলদার হয়ে জনগণের
ঘৃণা কুড়িয়েছে, আরেকদল বেপরোয়া দখলদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একসময় বিরোধী রাজনৈতিক
নেতাদের, আলেম–ওলামাকে জেল, নির্যাতন, ফাঁসি ও দেশছাড়া করার যে প্রবণতা
ছিল, সেটি এখনো থামেনি।
জামায়াতের আমির সতর্ক করে বলেন, বাঁকা পথে প্রশাসনিক ক্যুর মাধ্যমে নির্বাচন ক্রেডিট হাইজ্যাক করার কালো সূর্য ডুবে গেছে। এই সূর্য আর বাংলাদেশে উঠবে না। এই কালো সূর্যের মুখ বাংলাদেশ আর দেখবে না। এখন নতুন সূর্যের উদয় হবে।
তিনি
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, জনগণ তাদেরকে আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত
হয়ে গেছে। এই লাল কার্ড দেখা থেকে বাঁচতে গিয়ে যদি কেউ আগামী নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার
চেষ্টা করে, আমরা মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বলছি, তাদের সকল ষড়যন্ত্র এ দেশের সংগ্রামী
জনগণ ভণ্ডুল করে দেবে। তিনি বলেন, তারা কোনো সংস্কারে রাজি না। তারা সনদ বাস্তবায়নে
রাজি না। তারা গণভোটেও প্রথমে রাজি ছিল না। তারপরও গণভোট একদিনেই হতে হবে, তা তারা
বাধ্য করেছে সরকারকে। এখন আবার কোথাও কোথাও আমরা ক্ষীণ সুর শুনতে পাচ্ছি। যারা এতদিন
নির্বাচনের জন্য নির্বাচন–নির্বাচন করে জনগণকে বেহুশ করে তুলেছিল,
এখন তারা ভিন্ন সুরে কেউ কেউ কথা বলতে শুরু করেছে। এ লক্ষণ ভালো নয়। তারা বুঝতে পেরেছেন।
জোটের
বাইরে থাকা ইসলামি দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি বন্ধুদের অনুরোধ করব সকল জাল ছিন্ন
করে আপনারা আপনাদের আঙিনায় চলে আসুন। এই আঙিনা আপনাদের আঙিনা। এখন যেখানে ঘোরাফেরা
করছেন এটা আপনাদের আঙিনা না। তাদের সঙ্গে আপনাদের মানায় না। আপনারা বড় বেমানান হয়ে
গেছেন। আপনারা ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আমরা আপনাদের বুকে জড়িয়ে কবুল করব, অভিনন্দন
জানাবো। খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামী
আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম পীর সাহেব চরমোনাই, বাংলাদেশ খেলাফত
মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ,
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, বাংলাদেশ খেলাফত
আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি–জাগপার
কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট
আনোয়ারুল হক চাঁন।
মন্তব্য করুন


সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ সংবর্ধনা প্রদান করেন।
এ সময় নারী ফুটবল দলের সদস্যরা তাঁদের স্বপ্ন ও খেলোয়াড় জীবনের প্রতিদিনের সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ী খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি ও কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সপ্তম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে শিরোপ জিতে নেয় বাংলাদেশ দল।
নারী ফুটবলারদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই সাফল্যের জন্য আমি পুরো জাতির পক্ষ থেকে তোমাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়, আর তোমরা সেই সাফল্য এনে দিয়েছ।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীদের সামগ্রিকভাবে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
২০০৯ সালে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা সাবিনা তাঁর আগের প্রজন্মের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, আগের প্রজন্ম
ফুটবলকে তাঁদের ভালবাসা হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন।
সাবিনা আরো বলেন, আমাদের অনেকে সাধারণ পরিবার থেকে এসেছে এবং তার পরিবারকে আর্থিকভাবে
সাহায্য করতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের বেতন খুব বেশি নয়। এই বেতন দিয়ে পরিবারকে তেমন কোন সাহায্য করতে পারি না।
এই তারকা স্ট্রাইকার তাঁর কয়েকজন সহযোদ্ধার সংগ্রামের গল্প, যেমন মারিয়া মান্দারের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রামের মারিয়া, যেখান থেকে সাফ বিজয়ী দলের ছয়জন খেলোয়াড় এসেছেন, ছোটবেলায় তাঁর বাবাকে হারান এবং মা তাকে বড় করেন।
উইঙ্গার কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় তাঁদের আবাসন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন, আর মিডফিল্ডার মানিকা চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার দূরবর্তী লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ফুটবলার হিসেবে উঠে আসার সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর নিজ জেলা দিনাজপুরের রানীশংকৈল উপজেলায় তার গ্রামের দূর্বল অবকাঠামোর কথা বলেন।
উইঙ্গার কৃষ্ণা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করেন যেন তাঁদের জন্য এশিয়ার বাইরে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়, বিশেষ করে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার সঙ্গে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম ও তাদের বিভিন্ন দাবি আলাদাভাবে কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য বলেন।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘তোমরা যা কিছু চাও তা লিখতে দ্বিধা করো না আমরা তোমাদের দাবিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করব। যদি কিছু এখনই করা সম্ভব হয়, আমরা তা করব’।
কোচ পিটার বাটলার এবং ম্যানেজার মাহমুদা আক্তারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া, সুপ্রদীপ চাকমা, অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং নূরজাহান বেগম।
মন্তব্য করুন


জাতীয়
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে জুলাই বিপ্লবের দুইজন
ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন। যদিও তারা আমাদের নাগরিক পার্টির কেউ নয়। তারা জুলাই আন্দোলনের
ছাত্র প্রতিনিধি। জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন। কিন্তু তাদেরকে অপসারণ
করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আজ
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নরসিংদীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রা ও সমাবেশে এ কথা
বলেন তিনি।
নাহিদ
ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করতে দেয়া হয়নি। আমরা আবারও
সংগঠিত হচ্ছি, আমাদের দাবি থেকে আমরা সরে দাঁড়াইনি। আবারও একই দাবি নিয়ে রাজপথে নামবো।
দাবি আদায় করেই ছাড়বো। গত ১ বছরে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, আমাদের জুলাইয়ের
কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানকে প্রতিষ্ঠা
করতে দেয়া হয়নি। তবে আমরা দাবি থেকে সরে দাঁড়াই নাই। আবারও সংগঠিত হয়ে দাবি আদায় করেই
ছাড়বো। দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যে বিপ্লব হয়েছিল, সে সন্ত্রাস
ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিপ্লবের পর আমাদের আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে। নরসিংদীতে ভূমিদস্যুতা
ও চাঁদাবাজি রয়েছে, আমরা তাদেরকে নরসিংদী থেকে
বিতাড়িত করেই ছাড়বো।
এ
সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নরসিংদী
জেলার আহ্বায়ক আওলাদ হোসেন জনি, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র
সামান্তা শারমিন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ নারী দল পাকিস্তানকে হারিয়ে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ জিতল ।
শুক্রবার মিরপুরে ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সাত উইকেট ও ২৬ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল সিরিজ জিতল ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন সিধরা আমিন।
উদ্বোধনী জুটিতে জবাবে খেলতে নেমে ১২৫ রানের রেকর্ড গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হক। মুর্শিদা ৫৪ রান ও ফারজানা ৬২ রানে আউট হন। দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ নারী দল।
নাহিদা আক্তার বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন । এ ছাড়া রাবেয়া খান দুই উইকেট পেয়েছেন। ফাহিমা খাতুন, নিশিতা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


ময়মনসিংহ জেলার পুরোহিতপাড়া এলাকা থেকে ১টি পিস্তল, ৩টি রিভলবারসহ বিপুল পরিমান দেশি অস্ত্র উদ্ধার, একই সঙ্গে ৪৭টি ককটেল, ৫টি ফেনসিডিলসহ ২৭৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে সংশ্লিষ্ট মামলায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আসামিদের ময়মনসিংহের চিফ জুডিসিয়াল আদালতে পাঠিয়েছে ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: জামিল হোসেন (২৪) ও মো. সেলিম মিয়া (৬৫)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা চিহ্নিত মাদক কারবারি।
এর আগে ১০ জুন রাতে নগরীর পুরোহিতপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও মাদক কারবারি চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় ২টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ড এর আবেদর করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক।
বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিমান ও নৌ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইস্যু বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সময়মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গত ১৬ বছরের স্বৈরতন্ত্রের সময়ে টানা তিনটি ‘কাটাছেঁড়া’ নির্বাচনের কারণে তারা ভোট দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এবং পরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশে একটি ‘নতুন সূচনা’ করেছে।
ব্রিটিশ মন্ত্রী চ্যাপম্যান অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপকেও ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের অপব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তিনি নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও বেশি বাংলাদেশিকে বৈধ পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে উৎসাহিত করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই নেতা মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ক্যাম্পের তরুণেরা আশা-আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, তাদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বঙ্গোপসাগরে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা জাহাজ কিনছে।
মন্ত্রী চ্যাপম্যান দুদেশের বিমান যোগাযোগ আরও জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
ব্যালটপেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম থাকবে বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে। আর
সেই অনুযায়ী নামে পাশে থাকবে দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক।
৫ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের
পরের দিন এভাবেই প্রার্থীদের নামের তালিকা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৬ এর দফা (৫) ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭ অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরের দিন বিধিমালায় বর্ণিত ‘ফরম-৫’ এ নির্ধারিত তালিকার ২ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রত্যেকের নামের বিপরীতে ৩ নম্বর কলামে মনোনয়ন প্রদানকারী রাজনৈতিক দলের নাম বা স্বতন্ত্র উল্লেখপূর্বক ৪ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পিতা/স্বামীর নাম, ৫ নম্বর কলামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঠিকানা এবং ৬ নম্বর কলামে বরাদ্দকৃত প্রতীক উল্লেখ করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার নির্দিষ্ট স্থানে ভোটগ্রহণের দিন এবং সময় উল্লেখ করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের কাজ চলবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে বিধি ১০ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যালট পেপার মুদ্রণ করতে হবে এবং ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও ক্রম প্রদর্শনের উপযোগীকরণ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তাছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের পর তার এক কপি রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণীয় স্থানে টানিয়ে দিতে এবং প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্টকে এক কপি প্রদান করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রতীক
বরাদ্দের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালিকার দুই কপি প্রস্তুত
করে বিশেষ বার্তাবাহক মারফত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে
হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাঠাতে যাতে কোনো বিলম্ব না হয়
বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা
নির্ভুল হতে হবে। কারণ তালিকায় ভুল তথ্য পরিবেশিত হলে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে তার প্রতিফলন
ঘটবে, যার পরিণতি মারাত্মক হবে। সুতরাং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়নের
সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্যালট পেপার মুদ্রণের সুবিধার্থে প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের তালিকার উপরিভাগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রকৃত ভোটার সংখ্যা লিপিবদ্ধ
করতে হবে।
দলীয় প্রার্থীরা দলের প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিধিমালায় সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকা থেকে পছন্দমতো প্রতীক পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক পছন্দ করলে আলোচনার মাধ্যমে না হলে
লটারি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার
দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের
সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক
৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের
৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর
আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা
প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বিনিয়োগ, মৎস্য, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং যুব উন্নয়ন - বিশেষ করে
শিক্ষা ও খেলাধুলা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) নির্বাহী সিনিয়র
ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরার সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন,
জাপান সব সময়ই একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। আমি সম্প্রতি আপনার দেশ সফর করেছি এবং আমি ও আমার
প্রতিনিধিদলের প্রতি যেভাবে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা দেখানো হয়েছে, তা আমাকে গভীরভাবে
স্পর্শ করেছে।
মিয়াজাকি জানান, এশিয়ায় বাংলাদেশ জাপানের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা মৃত্যুবরণ
করেছেন ও আহত হয়েছেন, আমরা তাদের জন্য গভীরভাবে শোকাহত।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ি প্রকল্পের
গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এটিকে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল’
হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্ভাবনার গুরুত্ব
তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি জাপানে জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁকে জানিয়েছি
আমরা একটি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের
তরুণদের জন্য জাপানে পড়াশোনার বৃত্তি বাড়ানো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের
অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে
যেতে চায়। সমস্যা হচ্ছে ভাষা। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যে, জাপানি শিক্ষকরা এখানে এসে
বা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে ভাষা ও কর্মস্থলের আচরণ শেখাতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি একটি দুঃখজনক অবস্থা। হাজার
হাজার তরুণ ক্যাম্পে বেড়ে উঠছে কোনো আশা ছাড়াই। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।’
মিয়াজাকি জানান, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাইকা বাংলাদেশের
বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আইসিটি মানবসম্পদ বিষয়ক
প্রশিক্ষণ চালু করতে জাইকা বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে—যা উভয়
দেশের স্থানীয় সরকার, কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।
যুব উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের নারীদের খেলাধুলায় সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা
সবখানে জয়লাভ করছে। গতকাল তারা আরেকটি ম্যাচ জিতে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে। আমরা হোস্টেল
সুবিধা বাড়াচ্ছি, তবে তাদের স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণে সহায়তা দরকার।’
এর জবাবে মিয়াজাকি ইতিবাচক সাড়া দিয়ে
জানান, জাপান ইতোমধ্যে অনেক দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক পাঠাচ্ছে এবং নারীদের
খেলাধুলায় আরও সহযোগিতার কথা বিবেচনা করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অর্থনৈতিক
সংস্কার, রেলপথ নির্মাণ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি
মূল্যের ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান এবং আরও বেশিসংখ্যক
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) সীমা ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন থেকে
৪৫০ বিলিয়ন ইয়েনে বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন,
‘বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদানের কথা মনে রাখবে।’
মন্তব্য করুন


জাহিদুল ইসলাম, হাইমচর প্রতিনিধিঃ
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের হাইমচরে ভোলা থেকে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চ এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের সঙ্গে ভোলা টিপু- ১৪ লঞ্চের সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় সোহেল নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ওসমান আলি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা সেলিম ফরাজির ছেলে।
এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ রাসেল বলেন, কাল রাতে টিপু-১৪ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটির কেবিনে পেছনের অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আমাদের লঞ্চে থাকা সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে হাইমচরের নীলকমল নৌ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে আমাদের ফোন করা হয়। একটি অজ্ঞাতনামা লঞ্চ তাদের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া জন্য তাদের ফোন করলে তারা জানায় এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তবে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নাই।
চাঁদপুর উপপরিচালক সাহাদাত হোসেন আরও জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করছেন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কাল সন্ধ্যা ৬টা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসে টিপু-১৪ লঞ্চটি। রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা ছাড়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৮। চাঁদপুরের হাইমচরে টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কায় দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়। সুরভী-৮ লঞ্চটি এবং নিহত সোহেলে মরদেহ এখন সদর ঘাটে আছে।
মন্তব্য করুন