

লন্ডন, যুক্তরাজ্য: ফিলিস্তিনপন্থী একটি সংগঠনের সমর্থনে লন্ডনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে অন্তত ৯০ জন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, তথাকথিত 'সন্ত্রাসবাদী সংগঠন' হিসেবে যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া 'প্যালেস্টাইন অ্যাকশন'-এর পক্ষ নিয়ে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের বিবৃতি ও বিক্ষোভের কারণ
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ গত ২২ নভেম্বর (শনিবার) এক বিবৃতিতে জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত 'প্যালেস্টাইন অ্যাকশন'কে সমর্থন করে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই গ্রেপ্তারগুলো করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ সমাপ্ত হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী টাভিস্টক স্কোয়ারে সমবেত হন। এই স্থানটি যুদ্ধবিরোধী স্মৃতিস্তম্ভসহ একটি শান্তিকামী উদ্যান হিসেবে পরিচিত। প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা এবং বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। তাদের স্লোগান ছিল ফিলিস্তিনের পক্ষে। কিছু ব্যানারে স্পষ্ট লেখা ছিল: "আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি।"
ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট গোষ্ঠী 'ডিফেন্ড আওয়ার জুরিজ' তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (এক্স-পোস্ট) জানায়, পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের আটক করতে শুরু করে, যদিও তারা নীরবে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। প্ল্যাকার্ডগুলোতে গণহত্যা এবং প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করা হয়েছিল।
সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা ও লাগাতার প্রতিবাদ
যুক্তরাজ্য সরকার গত জুলাই মাসে সন্ত্রাসবাদ আইনের আওতায় 'প্যালেস্টাইন অ্যাকশন'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে লন্ডনে প্রায় প্রতি শনিবারই শত শত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী জড়ো হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের বিক্ষোভ থেকে প্ল্যাকার্ড বহনকারী বা ফিলিস্তিনকে সমর্থন প্রদর্শনকারী অ্যাক্টিভিস্টদের ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করে চলছে।
গাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষাপট
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ও গণহত্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই যুদ্ধে বেশিরভাগ নারী ও শিশুসহ প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পুরো অঞ্চলটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়াও গাজার যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দেশবাসীকে সালাম জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেছেন, আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস
উদযাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ
সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার
দায়িত্ব আমাদের।
তিনি বলেন, আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।
গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা এবং অজানা শহীদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার প্রিয় তরুণেরা, তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছো। বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারাদেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছো। আমি জানি তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।
তিনি বলেন, মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এদেশে এসেছেন এবং তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলিতে পূর্ণাঙ্গতা দেওয়া হচ্ছে। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস সবশেষে বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের
আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য
তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে
আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। মহান আল্লাহ আমাদের
সকলের সহায় হোন।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গরমে অসুস্থ
হয়ে পড়েছিল একজন রিকশাচালক, ট্রাফিক পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে রক্ষা পেল রিকশাচালকের
প্রাণ। প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালানো অবস্থায় হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে সড়কে পড়ে
যান ওই ব্যক্তি। এমন ঘটনা দেখে ট্রাফিক পুলিশরা দ্রুত গিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে ঘটে এমন ঘটনা। জানা যায়, সেখানে দায়িত্বরত
ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দায়িত্বরত
অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় রিকশাচালকের মাথায়, চোখে ও মুখে পানি ছিটিয়ে
দেন। এরপর পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিতভাবে সাধারণ জনগণের জন্য বিলি করা পানি ও স্যালাইন
অসুস্থ রিকশাচালককে খাওয়ালে তিনি ক্রমাগত সুস্থ হয়ে সাধারণ অবস্থায় ফিরে আসেন।
সুস্থ হওয়ার পর রিকশাচালক জানান, তিনি
রিকশা চালাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড গরমের কারণে হঠাৎ তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন
তিনি চলন্ত রিকশা থেকে রাস্তায় পড়ে যান। পুলিশের দ্রুত সহযোগিতার জন্য তিনি তার প্রাণ
ফিরে পেয়েছেন। তা না হলে হয়তো হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যুও হতে পারতো।
এ সময় তিনি ট্রাফিক পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন


বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর)নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৭০ টাকা। আগের দাম ছিল ১ হাজার ২৭৩টাকা। কমানো হয়েছে ৩ টাকা।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ফিলিস্তিনের
নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রাখায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূসের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে
এ প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি
বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং ফিলিস্তিন
ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে।’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে
শিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা করছেন।’ আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি
জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’ফিলিস্তিনের
জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


ভারী বৃষ্টিপাতজনিত ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসে বিপর্যস্ত বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং বহু রাস্তাঘাট নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে সরকার এক বিরল পদক্ষেপ নিয়েছে—বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হাতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য। ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ও হাতির ব্যবহার মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে এক অভিনব দৃশ্য দেখা যায়। স্থানীয় বেসরকারি সংবাদমাধ্যম কমপাস টেলিভিশন জানিয়েছে, আচেহ-এর প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা (বিকেএসডিএ) বন্যায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়া অঞ্চলে চারটি হাতি পাঠিয়েছে। এই এলাকাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় বড় বড় গাছের গুঁড়ি এবং ধ্বংসস্তূপ জমে রাস্তা পুরোপুরি অচল হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাদা ও ধ্বংসস্তূপের কারণে ভারী যন্ত্রাংশ নিয়ে ওই অঞ্চলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতিদের ব্যবহার করা হচ্ছে গাছের গুঁড়ি ও ধ্বংসাবশেষ টেনে সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় সচল করার জন্য। বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৩২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া এই দুর্যোগের ফলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। সংস্থাটি আরও জানায়, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এই বাস্তুহারাদের উত্তর ও পশ্চিম সুমাত্রাসহ আচেহ অঞ্চলের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার এই চরম দুর্যোগের সময় প্রতিবেশী দেশ চীন সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। দেশটি ইন্দোনেশিয়ায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা ৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও ক্যন্টনম্যান্ট) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থনে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপির আয়োজনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নগরীর টমছমব্রীজ থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন মোড় হয়ে কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মহানগর বিএনপি নেতা সোহেল মজুমদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিলা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ড. শাহ মোহাম্মদ সেলিম, কৃষক দলের সভাপতি মোস্তফা জামান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হক ভুঁইয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুস সালাম মাসুক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুব, খলিলুর রহমান, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, বিএনপি নেতা জাফর ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ খোকা প্রমুখ। এসময় মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন কুমিল্লা ৬ আসনের জন্য মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনীত করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ মনিরুল হক চৌধুরীর তথা ধানের শীষের প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। তারা বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই ধানের শীষের বিজয় আটকাতে পারবেনা। আগামী ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
মন্তব্য করুন


ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বাতিল করা
হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এর মাধ্যমে এখন থেকে কোনো প্রার্থীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল
আইডি (এনআইডি) কার্ডে থাকা তথ্য অনুযায়ী সরাবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
এদিকে
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকাংশ সময়ই জাতীয় পরিচয়পত্র করার সুযোগ
থাকে না। এ জন্য এই দুই শ্রেণির নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তাদের আবেদন নিরীক্ষার
মাপকাঠি হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এবার তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া
ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেয়া যাক।
কাদের জন্য কোন নথি
প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদনকারীদের বয়স
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে:
১৮ বছরের নিচে: অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC,
ইংরেজি ভার্সন)।
১৮-২০ বছর: এনআইডি কার্ড বা
অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC, ইংরেজি ভার্সন)
২০ বছরের বেশি: শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড। তবে বিদেশি
মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীরা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে পারবেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে: পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
ঠিকানার প্রমাণ: সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ
বা পানি)।
বিশেষ পরিস্থিতি: দত্তক বা অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অনুমোদন।
পেশাভিত্তিক প্রয়োজনীয় নথি
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার: সংশ্লিষ্ট কারিগরি
সনদপত্র।
শিক্ষার্থী: সর্বশেষ শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র/স্টুডেন্ট আইডি
বেসরকারি চাকরিজীবী: প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র।
সরকারি চাকরিজীবী: সরকারি আদেশ (জিও), অনাপত্তি পত্র (এনওসি),
প্রত্যয়নপত্র, পিআরএল অর্ডার বা পেনশন বই।
কৃষক: জমির পর্চা।
ব্যবসায়ী: ট্রেড লাইসেন্স।
আবেদনের সময় জমা দিতে হবে
বায়োমেট্রিকের জন্য
নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (প্রিন্ট কপি)।
অনলাইনে নিবন্ধিত পূর্ণ
আবেদনপত্র (প্রিন্ট কপি)।
পাসপোর্ট ফি জমার রশিদ।
৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য
ল্যাব-প্রিন্টেড সদ্য তোলা ছবি (গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে)।
ধারাবাহিকভাবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম :
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ : প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজার
ওপেন করে সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর
‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবা আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
করতে হবে। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম নির্বাচন
করতে হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অধিভুক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নাম নির্ধারিত হবে।
এছাড়া
আলাদাভাবে নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয় চেনার জন্য প্রবেশ করতে পারেন এই লিঙ্কে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট
অফিস নির্ধারণের পর ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ জন্য
প্রয়োজন একটি ই-মেইল ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে
একটি ব্যতিক্রম পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে ই-মেইল
বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আবেদন
ফর্মের প্রতিটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ন্যূনতম তারকা
চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই সফলভাবে প্রদানের পর পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন আসবে। ফি তাৎক্ষণিকভাবে
অনলাইনে পরিশোধ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রশিদ নম্বর সংযুক্ত হবে। পরবর্তীতে বায়োমেট্রিক
নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ
তারিখগুলো থেকে পছন্দসই একটি তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন প্রার্থী। এরপরই চূড়ান্ত পর্যায়,
যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েনমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি প্রদর্শিত
হবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যসব কাগজপত্রের
সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ: ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
এসব হচ্ছে- ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে,
ডিমানি, ওকে ওয়ালেট এবং এমবিএল রেইন্বো। আর অনুমোদিত ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া,
ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ
ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ: পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের
মেয়াদ ও বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। মূলত রেগুলার, এক্সপ্রেস
এবং সুপার এক্সপ্রেস, এই তিন ক্যাটাগরিতে সরবরাহ করা হয় ই-পাসপোর্ট।
অধিকতর
দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যম হচ্ছে সুপার এক্সপ্রেস মাধ্যম। এতে বায়োমেট্রিক
সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবসের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া
যায়। আর রেগুলার ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক সময়সীমা লাগে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের দিন
থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আবেদনপত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া: উল্লেখিত সব কাগজপত্র
নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। এদিন আবেদনকারীর ছবি তোলা,
হাতের আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ছবি উঠাতে প্রার্থীকে অবশ্যই
রঙিন পোশাক পরে আসতে হবে পাসপোর্ট অফিসে। সব কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য
তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেয়া হবে। স্লিপটি আবেদনকারীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র,
এ জন্য এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের উপায়: বায়ো নিবন্ধনের দিন
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা অনলাইনের মাধ্যমে
যাচাই করা যায়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে, তা দেখা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট
প্রিন্ট এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত কিনা, সেটিও দেখা যায়। এ জন্য প্রবেশ করতে
হবে এই লিঙ্কে- https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট
অফিস থেকে দেয়া বিতরণ স্লিপে ১৩ সংখ্যার একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি রয়েছে। আবেদনের বর্তমান
অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি বা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি)
ব্যবহার করতে হবে।
আগে
বায়োমেট্রিক দেয়ার কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদনকারীকে ফোন করা হতো। কিন্তু
এখন থেকে এই কার্যক্রম থাকছে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একদম প্রস্তুত হলে যথারীতি
আবেদনপত্রে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও ই-মেইলে নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে।
আর সেই তারিখে বিতরণ স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে
হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আসন্ন রমজানে ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে সব ধরনর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি, গ্যাস, কয়লা ক্রয়ের ডলার সংস্থান ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বাৎসরিক মেইনটেন্যান্স সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যদি অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে এবার বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না।
এ
সময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. ফারুখ হোসেন, সিরাজগঞ্জ ৬৮
মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর রহমানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’।
এজন্য দেশের ৪টি সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তবে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ -এ পরিণত হয়েছে। এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তবে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা,ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তারপর এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। এটি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ঘেঁষে এগিয়ে মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান,মিয়ানমার, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, শ্রীলঙ্কা, ওমান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। মিয়ানমার ‘মিগজাউম’ নামটি দিয়েছে।
এই সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তখন দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
মন্তব্য করুন