

মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় আহলে হাদীসের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর জেলা আহলে হাদীসের পক্ষ থেকে নোয়াখালী,ফেনী,লক্ষীপুর,কুমিল্লা,চাঁদপুরের কচুয়া,ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সমাগ্রী বিতরন করেন নেতৃবৃন্দ। এদিকে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁধে করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেন।
এসময় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের চাঁদপুর জেলা জমঈয়তের সেক্রেটারী দুলাল মিয়া,জামিয়া দারুত তাওহীদের সভাপতি মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মিয়াজী,আশ্রাফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ আহলে হাদীসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সাতক্ষীরার কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী এলাকা থেকে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল ইসলামকেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজুল সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেয়ালা-নলতা গ্রামের মৃত বাছতুল্লাহ মোড়লের ছেলে।
রিয়াজুল ইসলাম ডাকাত দল রিয়াজুল গ্রুপের প্রধান। তার বিরুদ্ধে তালা থানাসহ অন্যান্য থানায় ডাকাতি, দাঙ্গা সৃষ্টি ও অস্ত্র মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন বলেন, কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুল গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি জেলায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তালা থানায় হস্তান্তর করা হবে কুখ্যাত ডাকাত রিয়াজুলকে।
মন্তব্য করুন


মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক ভিক্ষুক কে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের গ্রামের মৃত আঃ রবের পুত্র বিল্লাল হোসেন (২৮) ও আবুল হোসেনের পুত্র ইমাম হোসেন মিয়াজী (২১)।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার গোহট ইউনিয়নের চান্দিয়াপাড়া গ্রামের এক ভিক্ষুক (৪০) গত শনিবার শাহরাস্তি উপজেলার বেরনাইয়া বাজার এলাকায় ভিক্ষা শেষে বেরনাইয়া বাজার থেকে অটোরিক্সাযোগে বাড়ীতে যাওয়ার পথে রঘুরামপুর ব্রীজের উপর পৌঁছলে সন্ধ্যা ০৬ টা ২০ মিনিটের সময় ৪ যুবক তাকে অটোরিক্সা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ পাটওয়ারী বাড়ীর শাহআলমের নির্মানাধীন একতলা বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে অভিযুক্তরা তার শরীরে আঘাত করে ভিক্ষা করা ৫ হাজার ৭ শত টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অপর আসামীরা হলো, যাদবপুর গ্রামের হাসান আহমেদের পুত্র বেলায়েত হোসেন (৩০) ও মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল কাদির (২০)।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলায় করটিয়া
ইউনিয়নের এক মহিলা মাদরাসায় বোরকা পরে যাওয়ায় সিয়াম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন
জনগণ।
পরে স্থানীয়দের গণপিটুনির কবল থেকে
ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান
চৌধুরী মজনু।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে
করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদরাসায়। বর্তমানে ওই যুবক টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের হেফাজতে
রয়েছে।
আটক মো: সিয়াম হোসেন সিপু (১৯) টাঙ্গাইল
পৌরসভার ধুলেরচর এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে।
করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদরাসার পরিচালক
মো: সিয়াম জানান, সোমবার সকালে মাহফিলের টাকা আদায়ের রশিদ নিয়ে বোরকা পরিহিত একজন
মাদরাসায় প্রবেশ করেন। পরে তার কণ্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
পরে বোরকার ওপরের অংশ খুললে দেখা যায় তিনি একজন যুবক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা
মাদরাসা থেকে বের করে তাকে পিটুনি দিতে থাকেন।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, পরিষদের কাজে আমি উপজেলা পরিষদে থাকায়
শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে ভিড়
জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক সিয়ামের বাবা মো. ফরহাদ আলী বলেন,
আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই নানান কাণ্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা
দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে সিয়াম নানির বাসায় যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিয়াম নামে এক যুবককে
আটক করা হয়েছে। তবে তার স্বজনরা জানিয়েছেন যে ছেলেটি মানসিক রোগী। তারপরও আমরা তদন্ত
চালাচ্ছি। তদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দুটি নতুন সেতু নির্মানে বদলে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলেছে। বিশেষ করে মেঘদাইর-নাংলা নতুন ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় নতুন বীজের পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীরা খুশি। বৃদ্ধি পেয়েছে জীবনযাত্রার মান ও অর্থনীতির চিত্র।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নের মেঘদাইর-নাংলা ব্রীজ ও সহদেবপুর মোড় এলাকায় ব্রীজটি ছিলো অকেজো। ফলে দুই ইউনিয়নের যানবাহন চালক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এলজিইডি’র আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ দুটি ব্রীজ। ফলে বর্তমানে সেতু নির্মান করায় দীর্ঘদিনের চরম ভোগান্তির অবসান হয়েছে। পাল্টে গেছে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগের চিত্র। সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভাগ্য বদলেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রীজ দুটি চলাচলে অনুপযোগী ছিল। এতে করে সাধারন মানুষেরা খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সেতুটি নির্মানের ফলে যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে বলেও জানান তারা।
যানবাহন চালকরা জানান, সেতুটি অকোজা হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচল করতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেতু নির্মানের ফলে এখন সহজেই বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ব্রীজ গুলো নষ্ট হওয়াতে আমরা বিদ্যালয়ে যেতে অনেক সময়ে হিমসিম পোহাতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাযুক্ত কাপড় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। ব্রীজ দুটি নির্মান হওয়ার পর থেকে আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারছি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন বলেন, দুটি সেতু নির্মানের ফলে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পালাখাল মডেল ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামের স্থানীয়রা খুবই ভোগান্তিতে ছিলেন। দুটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট ভোগান্তি দুর হয়ে বদলে গেছে জীবনযাত্রা ও যোগাযোগের ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একদিনে পৃথক ঘটনায়
চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই নারী
ও দুই শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে
শহরের কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে একই পরিবারের ৮ জন মাঠি চাপা পড়ে। এ ঘটনায়
বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার বলেন,
গাছ এবং পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৮ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস
এবং স্থানীয়রা মিলে ওই পরিবারের ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে
বাঁচানো যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের ঝিলংজায়
লায়লা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ পাহাড় ধসে নিহত হন। তিনি দক্ষিণ মহুরিপাড়া এলাকার বজল
আহমদের স্ত্রী। এ ঘটনায় তাদের ২ বছরের শিশু মোহাম্মদ জুনায়েদ গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার
সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে
পাহাড় ধসের পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়। শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পল্যান কাটা এলাকায়
বসতঘরে পাহাড় ধসে স্থানীয় মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩০) নিহত হয়েছেন। এছাড়া
শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের সিকদার বাজার এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুলের
ছেলে মো: হাসানের (১০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের
ঘটনায় দুই নারী ও দুই শিশু নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)
সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৩৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী দুদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান
তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে
কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাকখালী ও মাতামুহুরি নদীসহ বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর
পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ
এবং কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে পর্যটন
শহরের কলাতলী সড়কসহ অসংখ্য ছোট-বড় সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৪ থেকে ৫ ফুট
উচ্চতায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা, হোটেল-মোটেল জোনে
বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কলাতলী সড়ক, বাজারঘাটা, বাস টার্মিনাল,
উপজেলা বাজার ও লিংকরোড় এলাকায় সড়কে বন্যার পানি জমে যায়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে
কুমিল্লা মহানগরীর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে এনসিপি।
এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ফারহা এমদাদ ইম্পা, সদস্য জাফরিন হক, জাতীয় যুব শক্তির সদস্য জাহিদুল হক, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জিয়া উদদীন রুবেল এবং অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে আটক পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লার সীমান্ত মেইন পিলার-২১২৫ এর কাছে গীলাবাড়ী এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরকৃতরা হলেন-নওগাঁর পত্নীতলার মো. রাফি (২৫), চাঁদপুরের শাহরাস্তির মো. আবুল বাশার (৫৫), ফেনীর পরশুরামের এমদাদ হোসেন (২৭) ও সাইদুজ্জামান ভূঁঞা (২৯) এবং ছাগলনাইয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০)।
বিজিবি জানায়, আটককৃতরা বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিজিবির সাথে যোগাযোগ করে ফেরত প্রদানের উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের নাগরিকত্ব ও ঠিকানা যাচাই সঠিক পাওয়া গেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়।
পরে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আটক পাঁচজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
মন্তব্য করুন


বিয়ে না করে পালিয়ে যাওয়ায় ছোট ভাই আর তার পরিবর্তে বড় ভাই নিজেই বর সেজে বিয়ে করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন কনেপক্ষের। পরে লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বরপক্ষ।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের
জুয়ানপুর গ্রামে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে চঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে
কনের বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধুমধাম করে খাওয়ানো শেষ হলে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন
দুই পক্ষই। এর মধ্যেই ঘটে যায় বিপত্তি। দেখা যায় বর হিসেবে ছোট ভাইয়ের জায়গায় বড় ভাই!
শুরু হয় হৈচৈ। তখন সবাই জানতে পারেন, বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাই নিজেই বিয়ে
করতে গেছেন। তবে কনেপক্ষ বড়জনের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এক লাখ টাকা খরচ বাবদ
ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফিরে যায় বরপক্ষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী
জানান, পারিবারিকভাবে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে মীর শহিদের
সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সেই অনুসারে ছেলে পক্ষ বিয়ে করতে আসেন। মেয়েটি গরিব হওয়ায় আমরা
এলাকাবাসী নিজেরা টাকা দিয়ে বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগমুহূর্তে দেখা যায়,
বর শহীদ না এসে তার বড় ভাই আব্দুল মোমিন বর সেজে এসেছেন। পরে রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে খরচ হওয়া
এক লাখ টাকা দিয়ে তারা চলে যায় বর পক্ষ।
এ বিষয়ে বর সেজে আসা আব্দুল মোমিন বলেন,
বিয়ের জন্য ছোট ভাই শহীদ সব কিছু কিনে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)
রাত থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুই পক্ষের সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি নিজেই
বিয়ে করতে এসেছিলাম। যদি তাদের সম্মতি থাকত তাহলে বিয়ে করতাম।
কনের মা বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে
বিয়ে ঠিক করেছিলাম সে আসেনি। বড় ভাই বর সেজে আসায় আমরা মেয়েকে বিয়ে দেইনি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ বসে নিজেদের
মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন


মো: মিজানুর রহমান মিনু, কুমিল্লা :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
দিন-দুপুরে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিন চোরকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের শিলরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গরুর মালিক
কৃষক মোঃ ইয়াছিন বাদি হয়ে আটককৃত আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায়
একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার
ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে
উল্লেখ করা হয়, কৃষক ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী মমিনুল ইসলামের মালিকীয় একটি
গরু পালন করেন। গরুটি শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় শিল্পরী লতিফিয়া দারুল উলুম নূরানী
মাদরাসার মাঠে কাঁচা ঘাষ খাওয়ার জন্য বেধে রাখে। দুপুর আনুমানিক পৌনে দুই ঘটিকায়
কুমিল্লা কোতয়ালীর ধর্মপুর এলাকার ফয়সাল আহমেদ জামাল, মাসুদুর রহমান, শারমিন
আক্তার ও ফয়সালের স্ত্রী তামান্না আক্তার গরুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় (কুমিল্লা-থ-১৩-১০০৫)
তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখে শিলরী গ্রামের রাজিয়া বেগম শোর-চিৎকার করে। তাৎক্ষনিক
অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোটর সাইকেল আরোহী অটোরিকশার পিছু নিয়ে ওই এলাকার লহ্মীপুর
ব্রিজের উপর গিয়ে আরও কয়েকজন লোকের সহায়তায় আটক করে। এ সময় কৌশলে তামান্না আক্তার
পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে লক্ষীপুর ব্রিজে গিয়ে গরুটি উদ্ধার করে ও আটককৃতদেরকে সিএনজি
অটোরিকশাসহ মাদরাসা মাঠে আনা হয়। পরে ৯৯৯-এ কল করলে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক
মেহেদী হাসান মাদরাসা মাঠে গিয়ে গরু, আটককৃত তিনজন ও সিএনজি অটোরিকশাটি হেফাজতে
নেন।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম
থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, স্থানীয় জনতা আটক করে ৯৯৯ ফোন করলে
আলকরা ইউনিয়ন শিলরী গ্রামের লতিফিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে তাদেরকে
আটক করে থানা নিয়ে আসি, গরুর মালিক ইয়াছিন বাদি হযে ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা
দায়ের করেন। রবিবার দুপরে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন