রফিকুল ইসলাম বাবু,চাঁদপুর:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে চাঁদপুরে লিফটের বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহীদ জাবেদ সড়কের যানবাহনের চালক পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফটের বিতরণ করা হয় । লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী। তিনি আত্মমর্যাদাশীল এবং উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। তারেক রহমান ঘোষিত একটি দফার দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এই সম্ভব উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, হাইমচর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নজরুল ইসলাম রুবেল,
হাইমচর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সরদার নূরে আলম জিকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোশারফ হোসেন সেলিম, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক সুকুমার রায়, বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ঝাউতলা এলাকায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার গভীর রাতে, আনুমানিক রাত ১১টা ২০ মিনিটে এ অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযানে মাদক বিক্রয় ও সেবনের প্রমাণ মেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— আদর্শ সদর উপজেলার নতুন চৌধুরী গ্রামের মো. আনোয়ার শাহাদাত (৪০), খ্যাতামার কুমির মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৫), দ্বিতীয় মুরাদপুরের মো. মাসুম আলী (৫০), ব্রাহ্মণপাড়ার মো. মনির হোসেন (৩৫) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মো. আকাশ হোসেন (৩৫)।
অভিযানে মোট ১৫৮ পিস ইয়াবা, একটি চাইনিজ চাকু, দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, একটি বাটন ফোন ও নগদ ৭ হাজার ৬৫০ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সঙ্গে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী কুমিল্লা আদর্শ সদর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর :
মা বাবার বুকের ধন ছোট্ট শিশু ফরহাদ। ছয় মাস বয়সের দুধের শিশু। ফুটফুটে এ শিশুটি জন্ম থেকেই পায়ুপথের সমস্যায় ভুগছেন। সংকীর্ণ পায়ুপথের বাঁধায় নিয়মিত পায়খানা হয় না ।পেট ফুলে যায়। ৮-১০দিন পরপর ওষুধ দিয়ে পায়খানা করাতে হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করে সারাক্ষণ কাঁদে শিশুটি। মা বাবা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে নিয়ে। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ । চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই মা বাবার। চিকিৎসকরা তিনটি অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ধার দেনা ও সর্বস্ব বিক্রি করে দেড় লক্ষ টাকায় একটি অপারেশন করিয়েছেন। তাতে সুস্থ হয়নি শিশুটি। আরো দুটি অপারেশন দরকার। এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোথায় পাবেন এ টাকা। এর চিন্তাই নির্ঘুম রাত কাটে বাবা মায়ের।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের মোকছেদুল হক ও ফরিদা বেগম দম্পতির সন্তান ফরহাদ। বাবা রিক্সা চালাতেন। ছেলে চিকিৎসার জন্য তাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার আয়ে ৪ সদস্যের পরিবার চলে। এখন ছেলের চিন্তায় কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। সম্বল বলতে তিন শতক জমির উপরে হাফ ওয়াল করে টিনশেডের দুই রুমের বাড়ি। ছেলের চিন্তায় অস্থির। তার ওপর মেয়ে বড় হচ্ছে। মহা বিপাকে দম্পতি। কি করবেন, কোথায় যাবেন। কুলকিনারা পাচ্ছেন না। শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য চান। তাদের সাহায্যে চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারে তাদের বুকের ধন। শিশু ফরহাদের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর জন্য তার বাবা মোকছেদুল হকের বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৫৭০৬৯২৫।
এলাকাবাসী আশরাফুল হক, ইমান আলী ও আকলিমা বেগম জানান, শিশু ফরহাদের বাবা-মা গরিব মানুষ কোনভাবে কাজ কামাই করে সংসার চালায়,তাদের শিশু সন্তানটি জন্ম থেকে অসুস্থ,তাকে তো করতে অনেক টাকার প্রয়োজন, আমার সবার কাছে তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফরহাদের বাবা ও মা জানান,আমাদের কোন জমা জমি নেই মাত্র তিন শতাংশ জমির উপর একটি ঘর করে বসবাস করে আসছি,আমাদের শিশু সন্তানটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ, তাকে সুস্থ করতে ধারদেনা করে একটি অপারেশন করেছি, ডাক্তার বলেছে আরও দুটি অপারেশন করতে হবে, একটি অপারেশন করতেই ধার-দেনা করেছি, বাকি দুটি অপারেশন করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে আমরা এত টাকা কোথায় পাবো, তাই সমাজের সকলের কাছে আবেদন সকলে যদি আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করত তাহলে আমাদের শিশু সন্তানকে বেঁচে যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ালীউল্লাহ মন্ডল জানান, বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা খুব অসুস্থ, তাদের পরিবার খুব গরিব তারা আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে
অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় মজিবুর রহমান ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে
ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান
চালিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত
মজিবুর রহমান ফারুক সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর করইতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের
ছেলে। ফারুক ওই এলাকার মোল্লার হাটে সরকারি রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে সড়ক দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় পরিবেশ আইনে
ফারুকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী
লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানাধীন সাচার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত অন্য
একটি অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন কোয়া এলাকা হতে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ কামরুল হাসান
রিয়াদ (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সুয়ারুল গ্রামের আব্দুর রব পাঠান এর ছেলে এবং
২। বিল্লাল হোসেন (৪৫) একই থানার কোয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী
মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদ (৩১) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাচার
ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪৫) কচুয়া পৌর ০৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। তারা উভয়েই লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা কার্যক্রম পরিচালনার
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার,প্রতিবেদক:
আগামীকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) হতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলাধীন সুলতানাবাদ ইউনিয়নস্থিত কোয়রকান্দি যুব সংঘের আয়োজনে প্রয়াত সুভাষ মাষ্টার বাড়ীতে স্থাপিত শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে দেশমাতৃকা ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় ১৬ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন, লীলা কীর্তন ও মহোৎসব।
তদুপলক্ষে রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে মতলব উত্তর উপজেলাধীন তিতারকান্দি হতে আগত শ্রী হরিপদ গোস্বামীর পরিচালনায় শুভ অধিবাস কীর্তন ও মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা শেষে নরসিংদী থেকে আগত শ্রী অজিত চক্রবর্তী'র পরিবেশনায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ এবং সোমবার (৬ জানুয়ারি) ব্রহ্মমূহুর্ত হতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) অরুণোদয় পর্যন্ত শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞ।
শেষদিন বুধবার (৮ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় মহাপ্রভুর ভোগরাগ অন্তে ভোগারতি এবং শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দের লীলাকীর্তন ও মহোৎসব শেষে বিকেলে উৎসবে আগত ভক্ত শ্রোতার মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ। সবশেষে নগর কীর্তন, কুঞ্জভঙ্গ, জলকেলি ও মহন্ত বিদায়।
এতে নামসূধা পরিবেশন করবেন- বরিশাল হতে আগত শ্রী শ্রী বৃন্দাজি সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজগোপি সম্প্রদায়, নীলফামারী শ্রী শ্রী সোনার গৌর সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ শ্রী শ্রী মা বিজয় লক্ষ্মী সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজ সখী সম্প্রদায় ও শ্রী শ্রী কৃষ্ণ কাঙ্গাল সম্প্রদায় এবং স্থানীয় শ্রী শ্রী লোকনাথ যুব সেবা সংঘ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সকলের উপস্থিতি ও আর্থিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
উজান থেকে নেমে
আসা
পাহাড়ি
ঢল
ও
অতিবৃষ্টির কারণে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও
দুধকুমার নদীর
পানি
বিপদসীমার উপর
দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ায়
সাময়িক
বন্যা
পরিস্থিতি সৃষ্টি
হয়েছে।
এতে
প্রায়
৫০
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়েছে
বলে
জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির
ফলে
গত
তিনদিন
ধরে
ঘরের
ভিতর
মাচা
ও
চৌকি
উঁচু
করে
আশ্রয়
নিয়েছে
বানভাসি মানুষ।
চৌকিতে
রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত
কাটছে
তাদের।
বাড়ির
চারপাশে থৈথৈ
পানিতে
অসহায়
দিন
কাটছে
নারী,
শিশু
ও
প্রতিবন্ধী মানুষের।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান,
গত
তিনদিন
ধরে
পানিবন্দী অবস্থায় আছি।
ছেলে
মেয়েকে
উঁচু
জায়গায়
রেখে
গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো
কেউ
খোঁজখবর নিতে
আসেনি।
একই ইউনিয়নের ফকিরের
চর
গ্রামের রমিচন
জানান,
ঘরে
পানি।
রান্না
করতে
সমস্যা
হচ্ছে।
গরুকেও
কিছু
খাইতে
দিতে
পারছি
না।
বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।
একই গ্রামের ফরিদা
জানান,
চারটে
ভাত
ফুটাচ্ছি। তরকারি
নাই।
লবন
দিয়া
খাইতে
হইবো।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান,
আমার
ইউনিয়নের ১০
টি
গ্রামের প্রায়
এক
হাজার
মানুষ
পানিবন্দি রয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
গফুর
জানান,
আমার
ইউনিয়নে ১৫শ
মানুষের বাড়িঘর
তলিয়ে
গেছে।
এছাড়াও
৮
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়ে
আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল
হামিদ
শেখ
জানান,
আমার
ওয়ার্ডে দেড়শ
ঘরে
পানি
উঠেছে।
এছাড়াও
এই
ইউনিয়নে প্রায়
৮শ'
পরিবার
পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি
আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায়
৮০টি
পরিবার
আশ্রয়
নিলেও
তারা
বিশুদ্ধ পানি
ও
ল্যাটিন সমস্যায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর
উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
আতাউর
রহমান
জানান,
আমি
বিষয়টি
জানলাম। এখনেই
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান,
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮
এবং
ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯
এবং
পাটেশ্বরী রেল
সেতু
পয়েন্টে দুধকুমার নদীর
পানি
০১
সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর
দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল
আরিফ
জানান,
বন্যা
কবলিত
কুড়িগ্রাম সদর,
চিলমারী, উলিপুর
ও
নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার
পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত
এলাকায়
এক
হাজার
২শত
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
সহ
অন্যান্য বিতরণ
করা
হয়।
এর
মধ্যে
উলিপুর
উপজেলার থেতরাই
ইউনিয়নে ১০০
জনের
মাঝে
১০
কেজি
হারে
চাল
বিতরণ
চলছে।
চিলমারী উপজেলার রমনা,
নয়ারহাট ও
চিলমারী প্রত্যেকটি পয়েন্টে ১০
কেজি
হারে
মোট
৬
মেট্রিক টন
চাল
বিতরণ
হয়,
উপকারভোগীর সংখ্যা
৬শত।
কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার বিকালে
চরভগবতীপুর, খেয়ার
আলগা,
কালীর
আলগা,
পোরার
চরে
১৫০
প্যাকেট ত্রাণ
বিতরণ
করা
হয়
(প্রতি
প্যাকেটে থাকবে
১০কেজি
চাল,
ডাল
ও
তেল)। নাগেশ্বরী উপজেলার গরুভাসার চর,
ফকিরগঞ্জ, নুনখাওয়ার চরকাপনা ও
নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০০শ পরিবারের মাঝে
পরিবার
প্রতি
১০
কেজি
হারে
চাল,
১
কেজি
ডাল,
১লি:
তেল
ও
১
কেজি
লবণ
বিতরণ
হয়।
এছাড়া
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় ১৫০
জন
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
বিতরণ
করা
হয়।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আকানিয়া আলোর দিশারী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঘর নির্মানে ঢেউটিন প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংগঠনের আয়োজনে আকানিয়া গ্রামের নয়াবাড়ির ইউনুছ মিয়ার ছেলে আবুল কাশেমকে ঘর নির্মানে টিন প্রদান করা হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবক এইচ এম হাবিব উল্লাহ ফকিরের আর্থিক সহযোগিতায় এসব টিন প্রদান করা হয়।
এসময় আলোর দিশারী সংগঠনের সভাপতি হাজী হারুন রশীদ,সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মো. ফারুক হোসেন,ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানিক সরকার,মফিজুল ইসলাম,ইউসুফ আলী,আলমগীর হোসেন,সেলিম বাঙ্গালী,সেলিম মিয়া ও শহীদ উল্যাহ সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি গরীব অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা,দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ নানান মুখী কর্মকান্ড করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ সংগঠনের মাধ্যমে আরো সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করার প্রতিশ্রুতি দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫
উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত আজকের এই অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
২১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত এই বইমেলায় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রাফিতি এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী উক্ত বইমেলা চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অমর একুশে বইমেলায় স্টলের সংখ্যা ১৫টি।
উক্ত মেলায় দেশসেরা অনেকগুলো প্রকাশনীর পাশাপাশি থাকছে কুমিল্লার জনপ্রিয় সব বুকশপ।পাশাপাশি থাকছে পিঠা ও ক্যানভাসের স্টল।
জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র নিয়ে ও থাকছে বইমেলাটিতে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী।
আজকের এই মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুল এর প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ জাতী়য়তাবাদী দল,কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এর বিএনপি সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেল, কুমিল্লা মহানগর এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর আহবায়ক আবু রায়হান, কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ইমপা ফারহাসহ অন্যান্যরা।
উদ্বোধন শেষে একটি মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি :
একশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা এর আয়োজনে ইমপাওয়ারিং গার্লস এন্ড কমব্যাটিং চাইল্ড ম্যারেজ প্রজেক্ট এর আওতায় (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহনুমা তারান্নুম। সভায় অত্র উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ সহ প্রকল্পের সরাসরি অধিকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অধিকারভোগীগণ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববাহককে তাদের চাহিদা সমূহ তুলে ধরেন।
প্রকল্প সমন্বয়কারী রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আবদুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার চাইল্ড স্পন্সরশীপ এন্ড চাইল্ড রাইটস প্রোগ্রাম, একশনএইড বাংলাদেশ বলেন অধিকারভোগীদের চাহিদা সমূহ দায়িত্ববাহকগণ গুরুত্বের সাথে নিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিশোরী ক্লাবের সদস্য রেশমা খাতুন তার বক্তব্যে বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষক, ইমাম, কাজী, ঘটক ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রান্তিক নারী নেত্রী হালালী খাতুন বলেন, আমরা দরিদ্র মায়েরা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে বাল্যবিবাহ থেকে আমাদের শিশুরা রক্ষা পেতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী মোর্শেদ আলম বলেন, বাল্যবিবাহ এর জন্য অভিভাবক ও এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনলে বাল্যবিবাহ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
পানিমাছ কুটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তা শেখ বলেন, যে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সমাজের প্রত্যেক অংশীজনকে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে কাজ করে যেতে হবে।
সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকর কুমার সেন বলেন, আমরা এটি বাল্যবিয়ে দিয়ে হাজারটি সমম্যার জন্ম দেই। তাই আসুন আমরাই পারি বাল্যবিবাহ রোধ করতে।
ফুলবাড়ী উপজেলার ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ একরামুল হক বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকের বড় দায়িত্ব হলো ছেলেমেয়েদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। এইটি হলে পরে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, একজন মেধাবী মেয়ের কখনোই বাল্যবিবাহ হয় না। তাই আমাদের মেয়েশিশুদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। যারা ভালো ফলাফল করছে না তারাই বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর কবীর, ইউএসএস এর প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়কারী আব্দুর রউফ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, বাল্যবিবাহ লিগ্যাল ভাবে হয় না। অধিকাংশ বাল্যবিবাহ ছেলেমেয়েদের প্রেম ঘটিত ফলাফল। আমরা সমাজে যারা পুরুষ আছি তারা যদি সিদ্ধান্ত নেই ১৮ বছরের কম কোন মেয়েকে আমরা বিয়ে কিংবা ছেলের বউ হিসেবে বেছে নিব না, তাহলেই অনেক বাল্যবিবাহ কমে যাবে। বাল্যবিবাহ রোধ করতে চাইলে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে একসাথে কাজ করবো এই প্রতিজ্ঞা দেওয়া হলো।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন