মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
১৭ টি উপজেলা এবং
মহানগরের সংগঠকদের নিয়ে আয়োজিত হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন
পার্টি - এনসিপি) কুমিল্লা জেলা পর্বের প্রস্তুতি সভা।
বুধবার (১৪ মে) নগরীর কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট
অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় আড়াইশো সংগঠক
এখানে অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে
পরীক্ষিত যারা দলীয় রাজনীতিতে আসতে চান এবং এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর থেকে যারা
প্রান্তিক পর্যায়ে দলের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করছেন তাদের নিয়ে এই সাংগঠনিক
প্রস্তুতি সভা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের
সদস্যরা এবং আহত কয়েকজন বিপ্লবী।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে উক্ত সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হাফসা জাহান। প্রতিটি উপজেলা থেকে আসা সংগঠকদের বক্তব্য তারা শোনেন এবং উত্তরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত
কামনা করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয় এবং সকলের মধ্যে পরিচয়
বিনিময় হয়। গত এক মাস কুমিল্লা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যারা আওয়ামী
লীগের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছিলেন তাদের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লায় রান্না ঘরে ঢুকে গৃহবধূ শানু বেগম (৫০) কে গলাকেটে হত্যা দায়ে প্রতিবেশী মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন হলেন কুমিল্লার সদর উপজেলাধীন ১নং কালীর বাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়- গোয়াল ঘরের জায়গার সীমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ভোরবেলা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের শানু বেগম (৫০) তেলের পিঠা বানানোর সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন রান্না ঘরে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দা দিয়ে শানু বেগমের গলার কন্ঠনালী কেটে কুপিয়ে হত্যা করে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী রেহেনা ও জুবায়ের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে তাহাদের সহযোগিতায় দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে থানাপুলিশকে খবর দেয় এবং ভিকটিম শানু বেগমকে উদ্ধার করে কুমেক হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর মৃতা শানু বেগম এর স্বামী কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন হাতিগাড়া গ্রামের মৃত বসত আলীর ছেলে মোঃ ফরিদ (৬০) বাদী হয়ে প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৬) কে একমাত্র আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৯ মে দঃ বিঃ আইনের ৩০২ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে আসামি দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। সেই সাথে আরো ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী বলেন- আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে, আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ মাসুদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ ক্ষুদ্ধ। আসামিপক্ষ রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ঘটিয়ে ছাত্রজনতা হত্যা চেষ্টা সহ নাশকতা মামলার ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন বড়পুকুরপাড় এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ঘটিয়ে ছাত্রজনতা হত্যা চেষ্টা সহ নাশকতা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) এবং ২। মোঃ দুলাল (৩৮) নামক ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের আখলাক হায়দার এর ছেলে এবং ২। মোঃ দুলাল (৩৮) একই থানার পূর্বহুড়া গ্রামের মৃত আক্কাছ আলী এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪/০৮/২০২৪ ইং তারিখ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার অন্তর্গত নাজিরা বাজার এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দিন ব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল।
উক্ত কর্মসূচিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ধৃত আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) ও ২। মোঃ দুলাল (৩৮) সহ তার অপরাপর সহযোগীরা তাদের হাতে থাকা ককটেল, রামদা, লোহার রোড সহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় অনেক নিরীহ ছাত্র ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৭/০৯/২০২৪। মামলা দায়ের করার পর হতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, এর আভিযানিক দল পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বড় পুকুরপাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আদনান হায়দার (৪০) ও ২। মোঃ দুলাল (৩৮)’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ে
গ্রফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বিষ্ণুপুর এলাকা থেকে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো. মনজিল হোসেন (৪৫)। তিনি কেরানীনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন।
র্যাব জানায়, মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ১৭১ জন চাঞ্চল্যকর অপরাধী, ১৫ জন আরসা সদস্য, ২ জন জঙ্গি, হত্যা মামলার ১৬৫ আসামি, ধর্ষণ মামলার ৭১ আসামি, অস্ত্র মামলার ২৩ আসামি, মাদক মামলার ৩৭৬ জনসহ মোট প্রায় ৪০৩ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০২টি অস্ত্র, ১,৩৪২ রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ মাদক এবং অপহৃত ৭০ ভিকটিম।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, মাদক ও অন্যান্য অপরাধ দমনে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ
অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৭ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে কামাল উদ্দিন (৪৩) ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আব্দুল মালেকের (৬৫) মাথায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেককে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা রাত সাড়ে তিনটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চৌদ্দগ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামাল উদ্দিন (৪৩),জয়নুল আবেদিন (৫২), তাহমিনা আক্তার (৩৫), শামসুন্নাহার (৪০), সফুরা খাতুন (৬৫), রোজিনা আক্তার (২২), শাহিদা বেগম (৫৫) ও হাসি (২০)।
মন্তব্য করুন
আশা রহমান :
চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ৭৮১ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ২০৪ জনও ফেল থেকে পাস করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্নিরীক্ষণের এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী ৭৫০৮৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে। এরমধ্যে ৭৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। এরমধ্যে ৭৭ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ২০৪ জন ফেল থেকে পাস করেন এবং ৫০০ জনের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল করিম বলেন, আবেদনের উত্তরপত্রগুলো পুনর্নিরীক্ষণের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ১২ ও ১৩ জুন কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। আর ১৩ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনলাইনে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৯.২৩।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও সাইবার অপরাধী চক্রের হুমকি, হামলা, চাঁদাবাজি ও সামাজিক সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন। তার দায়ের করা একাধিক মামলার জেরে চক্রটি মামলা প্রত্যাহার, মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মওদুদ।
তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের ৩ মে ও ২০১৮ সালের ২৮ জুন দায়ের করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিডি।
মওদুদ অভিযোগ করেন, বরুড়া থানাধীন নিমসার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত চলাকালে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা শহরের ইসলামপুরে তার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়।
পরে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (মামলা নম্বর: ৪১, জি.আর. নম্বর: ৮৫০/২৪) দায়ের করেন মওদুদ। এই মামলায় ৮ জন এজহারভুক্ত এবং আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ও যৌথবাহিনী একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে মামলা প্রত্যাহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই অপরাধীরা নতুন একটি মোবাইল নম্বর (০১৩৪২-৭১৩৮১২) থেকে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে মওদুদকে প্রাণনাশ, অশ্লীল ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং তার বাসার পানির ট্যাংকিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায়।
এছাড়া, গত বছরের ৪ আগস্ট টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (দ্রুত সিআর ৩৬/২৪) দায়ের হলে তদন্তে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ মেলে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে মওদুদকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় গত ২৯ মে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় আবারও অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জিডি (নং: ২২৪২) করেন মওদুদ।
এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি নন-এফআইআর মামলা (নন-জিআর নং: ২০/২৫) রুজু করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি হলেও তারা তা গ্রহণ না করে আদালত অবমাননা করছে। ইতোমধ্যে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক মওদুদের দায়ের করা একাধিক মামলা ও জিডির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে এবং অপরাধীদের চক্রটি আইনের আওতায় আনতে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং এসব মামলার তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে 'ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড'।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় । অ্যাওয়ার্ড হিসেবে শিক্ষার্থীদের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ৬ টি অনুষদের ১৯ টি বিভাগ হতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসামান্য কৃতিত্ব, অনুকরণীয় নিষ্ঠা এবং একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতায় ব্যতিক্রমী অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন," তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডীটাকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টিতে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে। "
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন," আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনিগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মনে চলবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন," তোমরা তোমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছো আজকে। নিশ্চয় এটা তোমাদের জন্য আনন্দের। তোমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন," আমি চাই, তোমরা শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডীর মধ্যে না থেকে সারাবিশ্বে তোমাদের পদচারণা থাকবে৷ যার মাধ্যমে তোমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে। তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, তোমাদেরকে সত্য উন্মোচনের জন্য কাজ করে যেতে হবে এবং তোমরা সর্বদা ন্যায়ের পথে থাকবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন," আজকে যারা এখানে উপস্থিত আছেন, তারা মেধাবীদের মেধাবী। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। এই অ্যাওয়ার্ডকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সামনের দিনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।"
তিনি আরো বলেন," মেধাকে শুধু সিজিপিএর মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। আপনাদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এ্যাভারেজ স্টুডেন্টসের থেকে আপনাদের ইউনিক হতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আশা করি আপনাদের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।"
উল্লেখ্য, মেধা বৃত্তি, অসচ্ছল ও মেধাবী স্টাইপেন্ড এবং স্পোর্টস স্কলারশীপ চলতি মাসেই প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ (শুক্রবার) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের হত্যা মামলার এক আসামি সন্তান প্রসব করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমিল্লা জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই নারী আসামি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা। গত ১১ আগস্ট তাকে হত্যা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
জেল সুপার আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অপারেশনের অনুমতি দেয়। বিকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি আরও জানান, মা ও নবজাতকের চিকিৎসাসেবা ও যত্ন নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কারা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শিশুর জন্য পোশাক থেকে শুরু করে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও তারা সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
মন্তব্য করুন