

মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের সেকেন্ড হোম হিসেবে খ্যাত জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ বিশেষ দিনে ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব’ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দেশের শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনটির। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের পেশাগত কাজের সহায়তা, সুস্থ সাংবাদিকতা, পারস্পরিক সম্পর্কের বিকাশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
প্রথমে ১৮ তোপখানা রোডে মাসিক ১০০ টাকায় ভাড়া নেয়া ভবনে ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটি একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন ছিল, যেখানে বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু বসবাস করতেন। ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন মুজিবুর রহমান খাঁ এবং প্রথম আজীবন সদস্য ছিলেন এন. এম. খান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর সময় ক্লাব ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব’। ১৯৫৫ সালে গৃহীত হয় প্রেস ক্লাবের লোগো।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হয় ১৯৭৭ সালে, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্লাবের জন্য বর্তমান স্থানের জমি বরাদ্দ দেন এবং সরকারের অর্থায়নে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।
১৯৭৬ সালে সাংবাদিকদের দাবিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রেস ক্লাবকে সরকারি তহবিল থেকে ভবন নির্মাণে সহায়তা করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “প্রেস ক্লাব একটি জাতীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, এর উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবাদিকতার প্রসার।” তার নির্দেশনায় সরকার ক্লাবের বর্তমান ভবন নির্মাণ করে, যা আজও সাংবাদিক সমাজের ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেস ক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্লাবের জমি ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী লিজ হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমানে ক্লাবের মোট জমির পরিমাণ প্রায় দুই একর।
প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদের সংগঠন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও সাক্ষী। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এই ক্লাব পরিণত হয়েছিল ‘গণতন্ত্র স্কয়ারে’।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশের গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় যাদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি ক্লাবের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে— যেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সবসময় সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব, স্বাধীনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন


আজ (১৪ নভেম্বর ২০২৪) জাহানাবাদ সেনানিবাসস্থ এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল এ আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৩তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। সেনাবাহিনী প্রধান এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল এ পৌছালে তাকে এএসসি কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত এএসসি কোরের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং এ কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী এএসসি কোরের বীর সেনানীসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। সেনাবাহিনী প্রধান এএসসি কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এএসসি কোরের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং কোরের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও, তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড এর কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল এএসসি ইউনিটসমূহের অধিনায়কগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদ জামাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক
সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ
ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন,
সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব
জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার
জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত
সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা
নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের
পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন,
বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো
কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো ৭ দিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে
সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে। আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেফতার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন
এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি।
এবারও সেটি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিস্ট
লীগের বিচার হবেই বলে অঙ্গীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
তথ্য
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দল হিসাবে লীগের বিচারের প্রভিশন যুক্ত করা হবে। ফ্যাসিস্ট
লীগের বিচার হবেই।
এর
আগে দুপুরে পতিত সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে একটি পোস্ট
করেন।
‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শিরোনামে নিজের ফেসবুকে
তিনি লেখেন- ‘ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার
অন্যান্য ভরকেন্দ্র। জোড়াতালি দিয়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব না, সম্ভব নয় নূতন রাজনৈতিক
বন্দোবস্ত।
রাজনৈতিক
দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই৷ কিন্তু, ঠিকই প্রশাসন, বিচারবিভাগ, পুলিশে
তারা স্টেইক নিয়ে বসে আছেন। এস্টাবলিশমেন্ট দ্বিদলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস
করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রায়
তিন ডজন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র মাত্র দু'জন। ছাত্র প্রতিনিধিদেরকেও এস্টাবলিশমেন্ট
রাষ্ট্রপতি অপসারণের ঘটনার পর থেকে কোণঠাসা করে রেখেছে। আমরা দু'জন সর্বোচ্চ ব্যালেন্সিং
অ্যাক্ট করতে পারছি, কিন্তু প্রভাবক হিসাবে কাজ করতে হলে সরকারে সুষম ছাত্র প্রতিনিধিত্ব
লাগবে।
মন্তব্য করুন


বৈঠকে কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, যুব উন্নয়ন
এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে মতবিনিময়
করেন দুই পক্ষ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে
অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি
জানান, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ দলটির কার্যক্রম
নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। আগের স্বৈরাচারী
সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি ‘কারচুপির নির্বাচনে’ ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক
নতুন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক
মুহূর্ত। যে তরুণেরা গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের দেয়ালে গ্রাফিতি
ও চিত্র এঁকেছিলেন, এখন তারাই ভোট দিতে আসবেন।
ডাচ ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতি প্রশংসা
করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে প্রস্তুতির জন্য সময় ছিল খুব সীমিত, তারপরও
তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
পাসকাল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের শ্রম আইন সংস্কারকেও স্বাগত
জানান। তিনি বলেন, শ্রম খাতে সাম্প্রতিক সংস্কার নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের আরও বিনিয়োগ
আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে। চলতি মাসের শুরুতে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি
গতকাল এসব আইনে স্বাক্ষর করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
পাবলিকুপ্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা
করছে নেদারল্যান্ডস। তার আশাবাদ, খুব শিগগিরই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং বাংলাদেশের
প্রতি ডাচ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর ধরে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ
উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা এই সম্পর্ককে সমতা ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে
রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উন্নীত করতে চাই।
ডাচ ভাইস মিনিস্টার আরও জানান- নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন
কোম্পানি যারা এত দিন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে, তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে
আগ্রহী এবং সরাসরি অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ভয়াবহ অগ্নি’কান্ডে ছোট-বড় ৩টি বসতঘর পুড়ে ছা’ই হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাচাঁইয়া ব্রিকফিল্ড এলাকার নিরীহ কামরুল হকের বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিকান্ডে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধান হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্থ মো. কামরুল হক বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বসতবাড়িতে কেউ ছিল না। স্থানীয়দের নিকট থেকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে এসে দেখি আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষনে নগদ টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্রসহ সবপুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু কিভাবে অগ্নিপাতের সূত্রপাত হয়েছে জানাতে পারেনি তিনি।
কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. মাহাতাব মন্ডল বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
মন্তব্য করুন


নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর কদমতলী এলাকা
থেকে হত্যা মামলায় সুজন (২৪) ও মো. বশির (৫৫) নামে পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১০।
৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক
এডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৬ নভেম্বর সোমবার রাতে
র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানী কদমতলী থানার মাদবর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোলা
জেলার বোরহানউদ্দিন থানার হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান,
আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। তারা মামলার পর
থেকে রাজধানীর কমদতলীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
গ্রেফতারের পর তাদের
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট
অ্যালার্ট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল
৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহে দেশের বিভিন্ন
স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা
সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর
কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।
এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি,
তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে
২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬
ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং
ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব
আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী
আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের
রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে
যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো
প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ
ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি
লক্ষণ হতে পারে।
বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে
ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত
ঘাম তৈরি করতে পারে।
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী
শ্বাস-প্রশ্বাসও।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে
ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের
লক্ষণ।
পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও
সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা
জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের
অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ
করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে
করতে পারে।
ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল
প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প
নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ
পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন