

সরকারি চাকরিতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার
(১৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার “অজিত শিং সৌজন্য” সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরার আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও এক ব্রেকফাস্ট বৈঠক হয়। এ সময় হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মার্কাস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার মিস. ডেবরা বয়েস ও পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কানাডার সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় হবে।জামায়াতের আমিরে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন


আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের শপথ গ্রহণ হবে।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রোববার (১১ আগস্ট) বঙ্গভবনে তার শপথগ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত
বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ
করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন
করতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা- এ কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই
হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে
আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক
নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর
উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়:‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার
উন্নয়ন’। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণ-অভ্যুত্থান
সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন
ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে
শাহাদত বরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি
এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা
এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায়
নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে
‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান
সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে
ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি
দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,সেনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানকে এ নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ন্যস্ত করেছে ।
অন্যদিকে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর এজন্যই তার চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুরুতর আহতদের
খোঁজ নিতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের
হাসপাতালটিতে পরিদর্শনে যান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গুরুতর
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ৮ শিক্ষার্থীসহ
গুরুতর আহত কমপক্ষে ১১ জন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক কাজী দীন
মোহাম্মদ বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ৪ শিক্ষার্থীর
অবস্থা প্রধান উপদেষ্টা দেখেছেন। চারজনেরই মাথায় গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থার উন্নতি
হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান
আজহারি। আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি আরোগ্য
কামনা করেন।
ফেসবুক
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নানা বিভক্তি ও বিভাজনের এ দেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষের সংখ্যা
একেবারেই নগণ্য। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এ ক্ষেত্রে অনন্য।
দেশপ্রেম
ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি প্রায় সবার কাছে বিশেষ সম্মানের ও শ্রদ্ধার আসন
অলংকৃত করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আছেন। এই মুহূর্তে গোটা জাতি তাকে আন্তরিক দোয়ায় স্মরণ করছে। দলমত নির্বিশেষে অগণন
মানুষের এমন দোয়া ও ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই পরম সৌভাগ্যের।
তিনি
বলেন, ‘আমি দেশের তরে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করা ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল এ মহিয়সী
নারীর রোগমুক্তি ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা তাকে দ্রুত আরোগ্য দান
করুন।’
মন্তব্য করুন


আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন। জামায়াতের এ প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছি। জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমরা বলেছি- এখন প্রয়োজন এটাকে আইনি ভিত্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করা। এই সনদে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে আগেই পাশ করিয়ে তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন না হলে- তাহলে তো আমাদের সব পরিশ্রম বৃথা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উনি বলেছেন, ‘আমি এটা বাস্তবায়নের যথাযথ উদ্যোগ নেব।’
আমরা আরও বলেছি, একটা আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। ‘এটা কনস্টিটিউশন (সংবিধান) নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট; যেটা কোনো সরকার এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়লে দেয়ার এখতিয়ার রাখে। উনি আমাদের সাথে একমত হয়েছেন যে, একটা আদেশের মাধ্যমেই এটা হবে। সকলেই এ পরামর্শ দিয়েছেন যে, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে বৈধতা দিতে হবে। আর সেই আদেশের উপরই গণভোট হবে। আমরা এটা ক্লিয়ারলি বলেছি।
জুলাই সনদের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার মতো স্ট্রেংথ (ক্ষমতা) অধ্যাদেশে নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভেলেন্ট (সমান) টু সাংবিধানিক পরিবর্তন পাওয়ার (ক্ষমতা) এবং অথরিটির দিক থেকে। আমরা আমাদের এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছি। আমাদের এক্সপার্ট কমিটি আবার ঐকমত্য কমিশনের এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছে। সবাই এই পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি আদেশের মাধ্যম এটাকে বৈধতা দিতে হবে। আর সেই আদেশের ওপরেই গণভোট হবে। আমরা এটা ক্লিয়ারলি (পরিষ্কার) বলে আসছি। উনি আমাদের কথায় রাজি হয়েছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা আশা করি, তিনি সেদিকেই যাবেন।
দ্বিতীয় কথা হলো- গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনভাবেই প্রথমত রাজী হচ্ছিল না। আমরা এটার উপর জোর দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজী হয়েছে। আমরা বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই। তারপরে বিএনপি একটা জটিলতা তৈরী করার চেষ্টা করছে। সেটা হলো গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন একদিনে হতে হবে। দু’টো একেবারে আলাদা জিনিস। একটা হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কিভাবে সরকার চালাবে সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে, আমাদের কতগুলো রিফর্মস; তাহলো কিভাবে সরকার পরিচালিত হবে, কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে এসব মৌলিক বিষয়। এর সাথে জাতীয় নির্বাচনের কোন রিলেশন নেই। সেজন্য আমরা বলেছি গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস গুলো পাশ করাতে হবে। জনগণ যদি হ্যাঁ বলে পাশ হয়ে গেলো। জনগণ যদি না বলে পাশ হবে না। আর যদি হ্যাঁ হয় এর ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে। এটা যদি না হয় এটাকে মাইনাস করে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দু’টি গণভোট হয়েছে, একটি হয়েছে ১৭ দিনের ব্যবধানে, আরেকটি হয়েছে ২১ দিনের ব্যবধানে। আমরা বলেছি, নভেম্বরের শেষে দিকে গণভোট করার জন্য। তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য। সুতরাং এখানে সময়ের কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় জটিলতা হলো নোট অব ডিসেন্ট বা পয়েন্ট অব ডিসেন্ট। আমরা ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যার মধ্যে ২৯টি দল প্রায় একমত হয়েছে- সেটাই মূল সিদ্ধান্ত। এখন যদি দুইটি দল বলে যে তারা মানছে না, তাহলে সেটি সিদ্ধান্ত বাতিল নয়; বরং এটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত বা নোট অব ডিসেন্ট। এক-দুটি দলের অমতকে কেন্দ্র করে রেফারেন্ডাম ডাকা বা নতুন সিদ্ধান্তের দাবি করা ঠিক নয়। এসবই অপ্রয়োজনীয় জটিলতা তৈরির প্রক্রিয়া, যেটি এড়িয়ে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং জনগণের অংশাগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের জন্য জরুরি। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা জটিলতা তৈরি করছে। এজন্য কোন ধরনের জটিলতা তৈরী না করে আমরা সবাই মিলে যেন ফেব্রুয়ারিত একটি আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচনে যেতে পারি, সেইভাবে আচরণ করার জন্য আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন


লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছয় জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে শহিদ হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চকরিয়া এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে শহিদ হন তিনি।
পরে ওই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অবশিষ্ট দুজন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
আটকরা হলো- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)।
ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের আটক করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটকদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরিভাবে বৈধ হলেও এটি কার্যত অনিরাপদ এলাকায় অবস্থিত। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ায় থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ জনসমাগম হয়— এমন সব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া উচিত।
আজ
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাংলামটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের কনফারেন্স রুমে ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা : জননিরাপত্তা এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ায় থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ জনসমাগম হয়, এমন সব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানবন্দরের রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। এর পরের ১৩ হাজার ফুট বা প্রায় ৪ কিলোমিটার অঞ্চলকে অ্যাপ্রোচ এরিয়া বলা হয়, যেখান দিয়ে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। বিআইপির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় ১৫০ ফুট উচ্চতার স্থাপনা নির্মাণে সরকারের নগর কর্তৃপক্ষ ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো বাধা নেই। সেসব স্থাপনার কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা নেই সরকারের সংস্থাগুলোর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপ্রোচ এলাকায় এ ধরনের স্থাপনা কারিগরিভাবে বৈধ হলেও কার্যত অনিরাপদ। প্রতিবেদনে পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপে অ্যাপ্রোচ এলাকার স্থাপনার উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা আছে। কিন্তু সেখানকার ভূমির কী ধরনের ব্যবহার হবে তা উল্লেখ নেই। গণজমায়েত হয় এ রকম কোনো স্থাপনার জন্য সেখানকার ভূমি ব্যবহার করা উচিত নয়। কৃষিজমি ও সবুজায়ন করা যেতে পারে, তবে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে সেখানে পাখি আসে।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো জনসমাগম হয়, এমন সব স্থাপনা সরাতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো সম্ভব হবে না। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জায়গা তদন্ত করে যত ধরনের ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধান করতে হবে। স্থাপনার উচ্চতায় ব্যত্যয় থাকলেও বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। ঢাকা থেকে বিমানবন্দর দূরে ছিল। ঢাকাকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বলে যে একটা জিনিস আছে তা ভুলে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে বিমানবন্দরের উড্ডয়ন-অবতরণের পাশে স্কুল-কলেজের মতো অবকাঠামো হওয়ারই কথা নয়। মৌলিক ব্যাকরণ ভুলে যাওয়া হয়েছে। জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড়ানোর সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআইপির সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ শাহরিয়ার আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান, বোর্ড সদস্য আবু নাঈম সোহাগ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন