

কুমিল্লার লাকসামে টিউবওয়েল স্থাপন শেষে পানির পরিবর্তে গ্যাস বের হচ্ছে ।
এ ঘটনা ঘটেছে লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউপির ঘাটার নোয়াগাও গ্রামের পূর্বপাড়া আবুল কালামের বাড়িতে ।
রোববার রাত থেকে টিউবওয়েল হতে বের হওয়া গ্যাসের আগুন দেখতে উৎসুক লোকজন প্রতিনিয়ত ভিড় করছে আবুল কালামের বাড়িতে।
বাড়ির মালিক আবুল কালাম জানান, তার ভাগিনাকে থাকার জন্য যে জায়গা দিয়েছেন সেখানে সে ঘর উঠাচ্ছে এবং রোববার টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু করে। কাজ শেষ হওয়ার পর দুপুরের দিকে দেখা গেছে টিউবওয়েলের মুখ দিয়ে অনর্গল পানি বের হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে পানিতে গ্যাসের গন্ধ অনুভূত হলে তাতে দেয়াশলাই ধরলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। বিষয়টি টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের জানালে তারা বলেছেন ৫-৭ দিন যাওয়ার পর বুঝা যাবে গ্যাসের অবস্থা।
আবুল কালাম আরো জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি প্রশাসনের কাউকে জানাতে পারিনি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে টিউবওয়েলে গ্যাসের আগুন দেখার জন্য বাড়িতে লোকজন ভিড় জমাতে থাকে ।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় নকল চিপস কারখানায় অভিযান,লাখ টাকা জরিমানা
কুমিল্লায় নকল চিপস কারখানায় অভিযান চালিয়ে নকল চিপসের পাঁচটি রিল জব্দের পর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওড়া এলাকায় মেসার্স রবি ফুড প্রোডাক্টস নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
তিনি জানান, মেসার্স রবি ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই থেকে মাত্র তিনটি পণ্যের লাইসেন্স নিয়ে ১১টি পণ্য মোড়কজাত করে বিক্রি করছে। মোড়কজাতকৃত পণ্যের মধ্যে হুবহু বম্বের সুইটস কোম্পানির আদলে রিং চিপস, পটেটো চিপস ও লেইজার চিপস মোড়কাবদ্ধ করে বিক্রয় করছে। একই সাথে প্রাণের জিরোস চিপসের আদলে জোরস চিপস নাম দিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআই এর পরিদর্শক (মেট্রোলজি) হাফিজুর রহমান, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং জেলা পুলিশের একটি টিম ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সোলেমান
আহমেদ ও ২। আবু সায়েম নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সোলেমান আহমেদ
(২০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন খারেরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং ২। আবু সায়েম (২১)
একই এলাকার শরিফুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের দেশি-বিদেশি জাল নোট ও নকল অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব-৯। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সম্মান এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়- সম্মান এলাকার মোক্তাদির আলীর (৩৪) বাড়িতে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে। খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর সিপিসি-২ মৌলভীবাজার ও সদর কোম্পানি সিলেটের যৌথ দল রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালায়। অভিযানে মোক্তাদিরের ঘরের ওয়ারড্রব থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দেশি ও ৬০ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আসল সদৃশ ৫টি নকল বিদেশি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড নকল গুলিও উদ্ধার করা হয়। অভিযানে মোক্তাদির আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোক্তাদির জানায়- গত ০৩ মাস ধরে বিভিন্ন সরবরাহকারীর কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে জাল টাকা ও নকল অস্ত্র কিনে আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতো। ভিডিও কলের মাধ্যমে নকল অস্ত্র ও টাকা দেখিয়ে আসল বলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতো। অনেক সময় নকল কুরিয়ার স্লিপ দেখিয়ে আগাম টাকা নিয়ে প্রতারণা করতেও সে জড়িত ছিলো। গ্রেপ্তারকৃত মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) ওমর ফারুক জানান, র্যাব উদ্ধারকৃত মালামাল জব্দ তালিকা তৈরি করে এজাহার দিচ্ছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বন্যার পানি কমে এলেও এখনো দুর্ভোগ শেষ হয়নি সাধারণ অসহায় মানুষের।
তাইতো কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
বিবেক হচ্ছে একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে যে প্রতিষ্ঠানটি সার্বক্ষণিক কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম বুড়িচং এলাকায় হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বন্যা
দুর্গতদের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে আজ
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের
পশ্চিমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে গাড়ি চালকদের বিশ্রামাগারের পাশে রাস্তার উপর ঢাকা অভিমুখী হানিফ-পাহাড়িকা ডিলাক্স
নামক বাস তল্লাশী করে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মোসা: কল্পনা আক্তার (৩০) ও কুলসুম আক্তার (২৪)
নামীয় দুইজন আসামিকে আটক করা হয়।
আসামী মোসা: কল্পনা আক্তার ও কুলসুম
আক্তার দুটি কাপড়ের ব্যাগে ৭.৫ কেজি করে মোট ১৫ কেজি গাঁজা নিয়ে কুমিল্লার নিমসার বাজার থেকে হানিফ-পাহাড়িকা ডিলাক্স
নামক বাসে ওঠেন।
আসামিরা জানান যে, সংসার চালানোর জন্য
টাকার বিনিময়ে এটি ঢাকায় পৌঁছে দিবেন।
আটককৃত আসামি মোসা: কল্পনা আক্তার
(৩০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার বুরবুরিয়া
গ্রামের মো: মাসুদ রানার স্ত্রী। অপর আসামি কুলসুম আক্তার (২৪) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার দুর্গাপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের
স্ত্রী।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী গভর্নমেন্ট প্লিডার (এজিপি) এডভোকেট মোঃ আবু
মুছা ভূঁঞা ১৯৭৯ সালের ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি
বাগমারা দাখিল মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে মুরাদনগর
বাঁশ কাইট পীতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে ১ম বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেন।
তৎপর চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস করেন।
পরে উক্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াকালীন সময়ে
বিএনসিসি ও স্কাউট এর সাথে জড়িত ছিলেন।
অ্যাড.
আবু মুছা ভূঁঞার দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে
দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার এর অনুপ্রেরণায় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হন তিনি। সেই
সুবাদে এডভোকেট মোঃ আবু মুছা ভূঁঞা ১৯৯৬-৯৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র দলের
রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে "ওয়াসিম-ছানাউল্লাহ পরিষদ" এর পাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা
রাখেন এবং ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা আইন কলেজে অধ্যয়নরতকালে ছাত্র সংসদ "নাজমূল-মহান
পরিষদ" এর নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ
বার কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্ত হয়ে একই সালে ৩১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে
যোগদান করে পেশাগত জীবনে আত্ম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তরুণ আইনজীবী হিসেবে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য
হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লাস্থ দেবীদ্বার সমিতির নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেবীদ্বার সমিতির "ক্রীড়া সম্পাদক"
হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এড. আবু মুছা ভূঁঞা ২০১০ সালে সর্ব সম্মতিক্রমে
দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন বিএনপির "সভাপতি" নির্বাচিত হয়ে বর্তমানেও
পুনরায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেবীদ্বার উপজেলা বিএনপি'র "মানবাধিকার বিষয়ক
সম্পাদক" হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০২২ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত কুমিল্লা উত্তর জেলার আহবায়ক
কমিটির "সদস্য" মনোনীত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুমিল্লা
ইউনিটের "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক" হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জেলা
আইনজীবী সমিতির "লাইব্রেরী সেক্রেটারি" হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার
আইনজীবী ও কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু'র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
মামলা পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অ্যাড. মুছা ভূঁঞা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের
সকল প্রকার দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সরকারের পতনের পর যখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে
অতিক্রম করে তখন ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও
তিনি জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ গেলো ৩রা জুন দেবীদ্বার উপজেলাধীন বাগমারা ইসলামিয়া
আলীম মাদ্রাসা'র গভর্ণিং বডির "সভাপতি" মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগেরও
বেশি সময় ধরে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইন পেশা পরিচালনা করে আসছেন।
মন্তব্য করুন


কুড়িগ্রামের উলিপুরে
ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট এলাকা থেকে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাদের আটক
করা হয় এবং রোববার দুপুরে মাদক মামলায় কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার
রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল উলিপুর উপজেলার হাতিয়া
ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাবুর চর ঘাটের পাশ থেকে মশালের চর গ্রামের একাধিক
মাদক মামলার আসামি মাদক কারবারি সরবেশ মন্ডল রফিক ওরফে দরবেশ (৩০) এবং মুসা
মিয়া (১৯) এ দুজনকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের মাদক পরিবহনে
ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। পরে তাদের নামে উলিপুর থানায় একটি মাদক
আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২৪
ঘন্টায় জেলায় পুলিশ বিভিন্ন মামলায় ২০জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সকল
আসামীকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ‘ভদ্র জ্বীনের
বাদশা’ পরিচয় দেওয়া এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার
দক্ষিণ রাজানগর তুপ্পার পাড়ে চাঁদা তুলতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আটক ওই ব্যক্তির ওমর ফারুক নিজেকে
‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’ পরিচয় দিতেন।
স্থানীয়রা জানান, ‘ভদ্র জ্বীনের বাদশা’
নামে এই ব্যক্তি বড়ুয়া থেকে মুসলিম হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
ঘুরে ঘুরে জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু সমাধান করবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা
নিয়ে ধোঁকাবাজি করে আসছে। কয়েক দিন আগেও তিনি এক শিক্ষকের অবসরের টাকা, আত্মীয়-স্বজনকে
দেওয়া ধারের টাকা ফেরত এনে দেবে বলে ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ
হয়ে যান।
সম্প্রতি তিনি তার মেয়ের বিয়ে দিবে
বলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা নিচ্ছেন। শুক্রবার সোনারগাঁ এলাকায় চাঁদা নিতে
গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) সুজন হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে
আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
হোমনায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ফয়সল (২২) কে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে
হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
সোমবার
সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ
জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিঞার ছেলে
মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল
মিয়া (২০)।
মামলার
বিবরণে জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সল আসামি
মোঃ শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তার (১৮) এর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পূর্ব
পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে আসামি শামীম ফোন করে বলে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা
বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে শামীরের
কথামতো মামা বাড়ীর ছাদ থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে
খোজাখুজি করে না পেয়ে নিহতের বৃদ্ধ পিতা মোঃ মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি
করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে প্রথমে
আসামি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করার পর শামীম জানায় প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ
করে এবং পরে ধারালো ছুরিকাঘাতে জবাই করে ফয়সলকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যাময়ের মাঠে মাটিতে
পুঁতে রাখা হয়।
এ
ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন হোমনা থানাধীন রাজনগর গ্রামের হারুন
মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে মোঃ শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা
থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা
এসআই মোঃ শামীম সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে আসামি মোঃ
শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।
তারা
বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দির সময় শামীম জানান,
২০২০ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় ফয়সলকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে জবাই করে হত্যা
করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। ঘটনার ১২দিন পর গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম এর দেখানো
মতে ভিকটিম ফয়সলের অর্ধ গলিত মরদেহ আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের মাটির
নিচ থেকে হোমনা থানাপুলিশ উদ্ধার করে সূরতাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদ্বয়ের প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া'র
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে
প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রায়
ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শামীম মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়া আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত
ছিলেন।
এ
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ
মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মোঃ নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল
রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে,
আসামিপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ
অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন