এরমধ্যে ২০টি ফ্লাইট
সরাসরি জেদ্দায় যাবে, দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনা।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ১৪ মে
ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭১৭ যোগে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করবে। প্রথম ফ্লাইটে
৪১৯ জন যাত্রী মদিনা যাবেন।
এই
বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮
হাজার ৮৯৫ জন।
এর
আগে ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে এদিন হজযাত্রীদের
নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী
ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে।
চাঁদ
দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ। প্রতিবছর সাধারণত একমাস আগে থেকে শুরু হয়
হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ শেষ করে থাকে
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে
২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আজ
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ
সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক
শেষ হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ
সময় বিকেল ৪ টার দিকে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে যৌথ বিবৃতি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি
নেতা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন
অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান।
যৌথ
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অধ্যাপক ড. ইউনূস ও তারেক
রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের
রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার
আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার
ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
বৈঠকে
ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
সচিবালয়ের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের সফর স্থগিত করে ঢাকা ফিরেছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে নীলফামারী থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা ফিরে যান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে ৬ দিনের সরকারি সফরে উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারীর জলঢাকায় কম্বল বিতরণ, মতবিনিময় ও সমাবেশে অংশ নিয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) নীলফামারী সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নীলফামারীর ডোমার, লালমনিরহাট জেলা, কুড়িগ্রাম জেলা, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা, গাইবান্ধা জেলা, বগুড়া জেলা, আগামী শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নওগাঁ জেলা, জয়পুরহাট জেলায় এবং রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজশাহী ও চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলায় কম্বল বিতরণ এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরে যেতেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানায়, বুধবার গভীর রাতে সচিবালয়ের ভবনে আগুন লাগে। এতে ১ জন দমকল কর্মী নিহত হয়েছেন।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের কারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার উত্তরাঞ্চলের সফর স্থগিত করে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে নীলফামারী থেকে হেলিকক্টারে করে ঢাকায় ফিরে যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজস্ব আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। আমাদের ব্যর্থ করার এ ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। এ মুহূর্তে আছি নীলফামারীতে, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা ব্যাক করছি।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাসুদ হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়া (৩০) নামে এক আসামি পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে।
আসামি হালিম মিয়া ওই গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগাতুয়া গ্রামের মাসুদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হালিম মিয়া। হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন হালিম মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হালিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগেই এএসআই আশরাফুল আরিফের হাতে কামড় দিয়ে আসামি হালিম মিয়া পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার
(১৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব/সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা/মাতা/পিতামহ/মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয়
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে জুলাই বিপ্লবের দুইজন
ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন। যদিও তারা আমাদের নাগরিক পার্টির কেউ নয়। তারা জুলাই আন্দোলনের
ছাত্র প্রতিনিধি। জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন। কিন্তু তাদেরকে অপসারণ
করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আজ
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নরসিংদীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রা ও সমাবেশে এ কথা
বলেন তিনি।
নাহিদ
ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ করতে দেয়া হয়নি। আমরা আবারও
সংগঠিত হচ্ছি, আমাদের দাবি থেকে আমরা সরে দাঁড়াইনি। আবারও একই দাবি নিয়ে রাজপথে নামবো।
দাবি আদায় করেই ছাড়বো। গত ১ বছরে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, আমাদের জুলাইয়ের
কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানকে প্রতিষ্ঠা
করতে দেয়া হয়নি। তবে আমরা দাবি থেকে সরে দাঁড়াই নাই। আবারও সংগঠিত হয়ে দাবি আদায় করেই
ছাড়বো। দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যে বিপ্লব হয়েছিল, সে সন্ত্রাস
ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিপ্লবের পর আমাদের আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে। নরসিংদীতে ভূমিদস্যুতা
ও চাঁদাবাজি রয়েছে, আমরা তাদেরকে নরসিংদী থেকে
বিতাড়িত করেই ছাড়বো।
এ
সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নরসিংদী
জেলার আহ্বায়ক আওলাদ হোসেন জনি, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র
সামান্তা শারমিন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে চলছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে।
এ বৈঠকে সমসাময়িক ইস্যু ও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী ও পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ০৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫), ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) এবং ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) নামক ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৬,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) ও ২। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৩,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে, ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারা গ্রামের মৃত জহির মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ খায়ের মিয়া এর ছেলে, ৪। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত দুলা মিয়া এর ছেলে এবং ৫। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ধারা অনুযায়ী সরকারকে মেট্রোপলিটনের বাইরে যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা না গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনে শর্ত আরোপ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা (সেনা কর্মকর্তা) সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
গ্রেফতার, তল্লাশি ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের ক্ষমতা: প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কাউকে আটক বা গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ, তল্লাশির আদেশ ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের জন্য আদেশ দিতে পারবেন।
গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪ ও ৬৫ ধারায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। এছাড়া ৮৩ ও ৮৪ ধারা অনুযায়ী অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকরের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। আইনের ৮৬ ধারার বিধান মতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন অথবা অপরাধ জামিনযোগ্য না হলে তাকে আদালতে পাঠাবেন।
তল্লশি সংক্রান্ত আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৫(২) ধারার বিধানমতে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ডাক বা টেলিগ্রাম বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা করবার ও উক্ত দলিল, পার্সেল বা ব্যক্তি আটক করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ১০০ ধারার বিধানমতে কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে আটক করার বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পেলে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। ১০৫ ধারার বিধানমতে নিজ উপস্থিতিতেও ম্যাজিস্ট্রেট তল্লাশির আদেশ দিতে পারবেন।
শান্তিরক্ষায় মুচলেকা গ্রহণ: শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী শান্তি শান্তিরক্ষায় সদাচরণের মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১০৯ ধারার বিধানমতে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবেন। ১১০ ও ১২৬ ধারা অনুযায়ী অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়াও শান্তিরক্ষায় মুচলেকা নিতে এবং প্রয়োজনে মুচলেকা বাতিল করতে পারবেন।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দান: ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারা অনুযায়ী সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এই ধরনের পাঁচ বা তারবেশি ব্যক্তির সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অমান্য করলে ১২৮ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ভঙ্গে বল প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন। ১৩০ ধারার বিধান অনুযায়ী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট পথ, নদী, খাল বা প্রকাশ্য স্থানে বেআইনি বাঁধা অপসারণ, ব্যবসা বা সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের আরাম আয়েশের বিঘ্ন ঘটানো, গৃহ বা তাবু হতে ক্ষতিকর বস্তু বা বৃক্ষ অপসারণ, জলাশয় ঘেরাও, বিপজ্জনক প্রাণী ধ্বংস বা আটক ইত্যাদি আদেশ দিতে পারেন। কোনো ব্যক্তি ১৪২ ধারার বিধান মতে ক্ষতি এড়াতে কোনো ব্যক্তির উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও কুমিল্লা এরিয়া পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজ কুমিল্লা এবং ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসি'সহ সেনাসদর ও কুমিল্লা এরিয়ার উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন