ডিএনসি কুমিল্লা টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা-ফেন্সিডিল সহ একজনকে আটক করে এবং একজন পলাতক ।
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহি অফিসার নাজিয়া হোসেন এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চান্দিনা উপজেলা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আলতাফ হোসেনসহ ১৮ জন সেনাসদস্য, ডিএনসি কুমিল্লার সদস্যসহ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা ২৭জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল ৫ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার চান্দিনা পৌরসভার মহারং গ্রামস্থ বড় বাড়িতে আসামি সোহেল রানা (৩৫) এর বসত ঘরে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ৩০(ত্রিশ) পিস ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির নগদ ৩০,৬০০ (ত্রিশ হাজার ছয়শ) টাকা জব্দ করে এবং আসামি সোহেল রানা(৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। অত:পর আসামী সোহেল রানার তথ্য মতে একই গ্রামের জিন্নত আলী বাড়ীর আসামী ইব্রাহীম খলিল (৩৬) এর বসতঘর ঘেরাও করে তল্লাশি করে ২( দুই) বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। টাস্কফোর্স টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশাপাশি কবরে দাফন
করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে নয় জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ১১ জন।
সোমবার (২৫মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে সোহেল রানার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পাশে তাদের দুই সন্তানকে
সমাহিত করা হয়।
আজ সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের
মরদেহ উদ্ধার হয়। গত শনিবার সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও গতকাল রোববার মেয়ে মাহমুদার
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের
ছেলে।
সোহেলের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ
জেলার ভৈরব হাইওয়ে থানা।
এদিকে সোমবার বিকালে সোহেলের বাড়িতে
গিয়ে দেখা যায়, সবাই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন। তিনজনের মরদেহ বাড়িতে আনার খবরে ভিড় করেন
এলাকার লোকজন। সন্ধ্যার কিছু আগে অ্যাম্বুলেন্সে সোহেল ও তার দুই সন্তানের মরদেহ গ্রামের
বাড়িতে আনা হয়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের সাথে দুই শিশু সন্তানকে পাশাপাশি
কবরে দাফন করা হয়। এর আগে রোববার একই স্থানে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী,
দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে
গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা অন্য পরিবারের লোকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ
করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা
উল্টে যায়।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ
এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে
সম্মত হয়েছেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভ আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই বিষয়ে সম্মত হন।
প্রধান
উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস খোলা এবং ঢাকা ও বাকুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আজারবাইজান একটি দূরবর্তী
দেশ।
তিনি
বলেন, দেশটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ‘একটি সরাসরি ফ্লাইট থাকলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের
টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।’
ড.
ইউনূস আরও বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতাও দূর হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আপনাদের উপস্থিতি বাড়ানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে
আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
সাক্ষাৎকালে
বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি,
শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার
সময় প্রধান উপদেষ্টা গত নভেম্বর মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে আজারবাইজানের
প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি কপ-২৯ সম্মেলন
সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আজারবাইজান সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি অনুরোধ করেন বাকুতে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ যেন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে পাঠান।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান
এবং বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, আমরা আপনাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, যার অর্ধেকই তরুণ। তাই আপনি যদি এখানে কোনো শিল্প স্থাপন
করেন, শ্রমিকের কোনো ঘাটতি হবে না।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়,
কারণ দুই বছর পর ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে।
উপমন্ত্রী
মাম্মাদভ বলেন, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এখানে এসেছি।
তিনি
প্রধান উপদেষ্টাকে আজারবাইজানের আসান এবং ডোস্ট মডেলের সারাংশ তুলে ধরেন, যা দুর্নীতি
হ্রাস এবং জনসেবায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আসান এবং ডোস্ট সেবার ধারণার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলো
প্রয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন
অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ
থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কুমিল্লায় ব্যাপটিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপাসনা, পুঁথি পাঠ, সংগীত পরিবেশন ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় বড়দিন উদযাপন করা হয়।
নগরীর বাদুরতলা রিভাইভ্যাল ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সম্পাদক মি এন্থনি বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপাসনা পাঠ ও সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শিশুদের সাথে কেক কাটেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা মহানগর নাগরিক কমিটির হাফসা জাহান সহ আরো অনেকে।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে আওয়ার লেডী অফ ফাতিমা ক্যাথলিক চার্চ ও বাদুরতলার রিভাইভ্যাল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। আলপনা আঁকা, যিশু জন্ম দৃশ্য, বৃক্ষসহ বড়দিন উদযাপনের নানা সামগ্রী তৈরি করা হয়। বড়দিনের উৎসবে সকলের সম্মিলিত উপাসানলয় থেকে বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি প্রার্থনা করা হয়।
বড়দিনকে ঘিরে কুমিল্লায় ব্যাপটিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
এই মুহূর্তে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকায়)
আপনারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান। আদর্শ সদর উপজেলার সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা আছে। যেটা কাছে সেটাতে উঠে যান। গোমতী নদীর পাড় থেকে দয়া করে দর্শনার্থীগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। উপজেলা প্রশাসন আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৬,৮২০ পিস
ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
বাশমঙ্গল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নামের
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৬,৮২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং মাদক পরিবহণের
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাজমুল হাসান (২৫) কুমিল্লা জেলার
বুড়িচং থানার আনন্দপুর গ্রামের মোঃ সিরাজ মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলা’সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৬৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গত ৩০ জুলাই রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার ৪ নং আমড়াতলী ইউনিয়নের বাঁশমঙ্গল কালভার্টের উপর থেকে ৬৬ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল কাফীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: রংপুর জেলার
গঙ্গাচরা উপজেলার তালুক ভুবন
গ্রামের মৃত আব্দুর
রশিদ এর ছেলে মোঃ আব্দুল কাফী(৩৭)।
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।
আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৮ কেজি ৫শত গ্রাম গাঁজা ও ৩০১ বোতল ফেন্সিডিলসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২৩ ডিসেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। মোঃ সোহেল এবং ২। মোঃ আমির হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮.৫ কেজি গাঁজা, ৩০১ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে
ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো- ১। মোঃ সোহেল (২৬) লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চরমেহার গ্রামের আব্দুল মমিন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ আমির হোসেন (৩১) নারায়নগঞ্জ জেলার সদর থানার সৈয়দপুর গ্রামের মোঃ রমজান
আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে
মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও নগদ অর্থসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত
অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (২৭), মোঃ মিতন মিয়া (২৫), মোঃ মাহফুজ মিয়া
(৩৫), মোছাঃ সুলতানা বেগম (৪৭) ও মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৪৫) নামক ৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে
আটক করা হয় ।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৪৭ বোতল হুইস্কি, ১৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি গাঁজা, ৬২০টি ফয়েল
পেপার, ৫টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ ৩২ হাজার ১৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত মাদক বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অবৈধ
অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে
বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন