কবর থেকে তোলা হলো লাশ। মৃত যুবকের নামে থাকা সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণ করতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে এ আদেশ দেন আদালত।
মৃত্যুর সাত বছর পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আদালতের এ আদেশ পালনে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানার এসআই জহির রায়হান মামলার বাদী ও বিবাদীদের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।
এ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বমালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে নিঃসন্তান দম্পতি জুগিরগোফা গ্রামের আব্দুল লতিফ-হাজেরা খাতুন নিজের সন্তানের মতই লালন-পালন করেছেন। তাদের নামীয় ১৩ বিঘা জমি আল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আল কবিরের মৃত্যু হয়। পরের বছর তার পালিত পিতা আব্দুল লতিফ মারা যান। তখন আল কবিরের নামীয় সম্পত্তি দখল করে নেয় আব্দুল লতিফের ভাইসহ অন্যান্য শরিকরা। এ নিয়ে আল কবিরের পিতা মিজানুর রহমান খোকন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে পূর্বমালসাদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আল কবিরের (২৫) মৃত্যু হয়। সে মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাস করে মাস্টার্সে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল।
মামলায় মিজানুর রহমান খোকন দাবি করে আল কবির তার ঔরষজাত সন্তান। অন্যদিকে আব্দুল লতিফ পক্ষ দাবি করে আল কবির আব্দুল লতিফের ঔরষজাত সন্তান। ফলে আল কবিরের সম্পত্তির মালিক কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আল কবিরের মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
মো; মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) ॥
চাঁদপুরের কচুয়ায় কলা চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন মিজানুর রহমান নামের এক কৃষক। বর্তমানে তার জমিতে চার শতাধিক কলা গাছ আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া এলাকায় রাস্তার পাশে কলার বিশাল বাগান করেছেন মিজানুর রহমান। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ২০০ কলার ছড়ি আছে। জমি ইজারা নিয়ে কলা চাষের পাশাপাশি হলুদ,মিষ্টি আলু, লাউ,টমেটে ও নানা জাতের সবজির আবাদ করেছেন তিনি।
অন্য ফসল বিক্রিতে কিছু ঝামেলা থাকলেও কলা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। খুচরা পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যান। সবরি কলার কাঁদি ৪০০-৫০০ টাকা, সাগর কলার কাঁদি পাইকারি বিক্রি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়।
কৃষক মিজানুর রহমান কলা চারা রোপনে ব্যয় হয়েছির মাত্র ১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে বছর খানেক সময় গেলে তার কলা বাগান থেকে আয় হয় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কলা বাগনে আরো কলার ছড়া রয়েছে। বর্তমানে বাগানে যে কলা আছে তা ৫০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া দুই থেকে তিন ফুট লম্বা কলা গাছের চারা লাগানোর ৮-৯ মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। কলার চারা একবার রোপণ করলে পুনরায় তা আর রোপণ করতে হয় না। গাছের কলা একবার পূর্ণাঙ্গ বয়স হলে কেটে ফেলার কিছুদিন পর ওই গাছের গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়। কৃষক মিজানুর রহমান কলা চাষ করে নিজের পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন তিনি। কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি।
কলা চাষিরা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এক বছর আগে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে করার আবাদ করি। পাঁচ বছরের জন্য ৭২ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এ জমিতে কলা চাষের পাশাপাশি সমন্বিত সবজির আবাদ করেছি। কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শে কলার ফলন ভালো হায়েছে। প্রথম ৫০ হাজার টাকার অধিক কলা বিক্রি করি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটু মহন সরকার বলেন, কলা চাষ তেমন কোনো খরচ নেই। কলা চাষে লাভের অংশ বেশি। এ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। কম শ্রম, অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা চাষ। রাস্তার ধারে কিংবা বাগানের পতিত জায়গাকে ব্যবহার করে কলা চাষই সফলতার হাসি এনেছে চাষী মিজানুর রহমান। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে কলা চাষ। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজমুল মাহমুদের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে রাজীবপুরে ছাত্রদলের ৪৬ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। রাজীবপুর উপজেলাসহ তিনটি ইউনিয়নের সহ কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজীবপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় একটি মিছিল প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল শেষ করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এ সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা তাছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্যে ও দেশবাসীর জন্য দোয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করে রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রদল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সরকার, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান(অবঃ আর্মি) উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামাল বিএসসি, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ কাশেম, রাজীবপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ লিখন,রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির চৌধুরী,সদস্য সচিব আল-আমিন,রাজীবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্র দলের আহ্বায়ক পলাশ মাহমুদ,কোদাল কাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান,মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মেহেদীসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর
থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মোঃ বশির শেখ (৩৮) নামে এক সদস্যকে অস্ত্র,গাড়ি
সহ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্যামনগর -কালিগঞ্জ রোডের জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের পুত্র।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নেতৃত্বে ৫/৬ জন সদস্যর ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততির কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ বশির শেখকে একটি মিনি ট্রাক সহ আটক করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নিকট ও নম্বর বিহীন একটি মিনি ট্রাক তল্লাসি করে ২টি বড় হাসুয়া, ১টি বড় কাতারি, ১টি শাবল, ৫টি বাঁশের লাঠি, ১টি লোহার রড, ৩টি হাতুড়ী, ১টি লোহার পাইপ, ৯টি সেলাই রেঞ্জ, ৩টি ছোট-বড় প্লাস, ১টি ছোট কাতারী, ১টি কাঁচি, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৮টি রিং রেঞ্জ, ৩টি টর্চ লাইট, ১৬টি ডাল রেঞ্জ, ৯টি কস টেপ, ৬০ ফিট লম্বা রশি, গাড়ীর নম্বর প্লেট দুটি ও ১টি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার সময় নিজেই ট্রাকের চালক সেজে পুলিশের গাড়ীকে খাদে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। তার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, রাহাজানি সহ অন্যান্য ১৪টি মামলা রয়েছে।
শ্যামনগর থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা
পুলিশ।
আজ
(২৭ জানুয়ারী) রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ মামুন মিয়া ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শ্রীমন্তপুর
গ্রামস্থ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকা অভিমুখী লেনে সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস যাত্রী
ছাউনী সামনে রাস্তার উপর চট্টগ্রাম থেকে আসা সোহাগ পরিবহন একটি বাসে থাকা যাত্রী মোঃ
ফখরুল ইসলাম প্রকাশ আমিনুল ইসলাম খোকন (৫০) এর দেহ তল্লাশী করে একটি কাগজের খামে ১০টি সাদা রংয়ের এয়ার টেপ্ড প্যাকেটের
ভিতর রক্ষিত প্রতিটি প্যাকেটে ২০০ পিস করে সর্বমোট ২০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার
করা হয় এবং মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফখরুল ইসলাম প্রকাশ আমিনুল ইসলাম খোকন কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: মোঃ ফখরুল ইসলাম প্রকাশ আমিনুল ইসলাম খোকন (৫০), পিতা-মোয়াজ্জেম
হোসেন চৌধুরী, মাতা-হাবিবা বেগম, স্ত্রী- জেসমিন আক্তার, সাং-দক্ষিণ রুপকানিয়া ( নয়া
পাড়া, মোয়াজ্জেম চৌধুরী বাড়ী), পোঃ বারোদোনা, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
উক্ত
ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪৮ বোতল বিদেশী মদসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কালির বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে রবিউল হোসেন (৩২) ও মোঃ কবির হোসেন (৩৭) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ৪৮ বোতল বিদেশী মদ ও ১ টি অটো মিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রবিউল হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দিশাবন গ্রামের মোঃ ফজর আলী এর ছেলে এবং মোঃ কবির হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দিশাবন গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকা হতে দলনেতাসহ সাতজন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৩ জুলাই) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ধর্মপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে
৪ টি কুড়াল, ১ টি চাপাতি ও ৩ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আসামীরা হলো: ১। তাজুল ইসলাম সুমন (১৯), পিতা-মোঃ আব্দুল মালেক, সাং-হায়দারগঞ্জ, থানা-রায়পুর, জেলা-লক্ষীপুর এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ২। মোঃ মাসুদ (১৭), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, সাং-রংপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ রিমন (১৭), পিতা-হারুনুর রশিদ, সাং-মোগড়া, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা; ৪। ফাহিম হোসেন সিফাত (১৫), পিতা-জামাল হোসেন, সাং-পশ্চিম বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৫। তয়বুর রহমান তুহিন (১৭), পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, সাং-ছাইচাপাড়া, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা; ৬। আব্দুল কাদের জিলানী (১৬), পিতা-মোঃ আব্দুল হানিফ, সাং-রসুলপুর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা এবং ৭। অর্পন দাস (১৫), পিতা-গৌতম দাস, সাং-বাগিচাগাও, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও
আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং এর
সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতির
মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির মাধ্যমে
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল
বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিরুদ্ধে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা,
সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” দেবিদ্বার উপজেলা শাখার ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল আমিন
এবং সদস্য সচিব হয়েছেন শরীফ নাজিরী।
সংগঠনের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত
করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক
মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, আমরা দেবিদ্বার উপজেলায়
আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং
তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
সদস্য
সচিব শরীফ নাজিরী বলেন, কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত
মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।
সংগঠনের
জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খান।
নবগঠিত
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ন
আহবায়ক আবুল খায়ের,সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আবু মূছা নিরব,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ম
আহ্বায়ক পিবি হাবিব,ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক সুজন আহমেদ,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক মুনতাসির রাফি,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহ্বায়ক আবু জর গিফারী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রফিকুল ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক বিল্লাল হোসেন আত্তারী,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ -দেবিদ্বার পৌরসভা
যুগ্ন
আহবায়ক মো.আসরার জাহিদ আলেমদার, ইউসূফপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক রবিউল ইসলাম -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মনিরুল হক,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ -পইয়াবাড়ি,এলহাবাদ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মিজানুর রহমান -সুবিল ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক নাহিদ হাছান -সুলতানপুর ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক আল-আমিন -জাফরগন্জ ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক ওলিউল্লাহ,বরকামতা ইউনিয়ন।
যুগ্ন
আহবায়ক মুহাম্মদ মাহফুজ মিয়া,দেবিদ্বার পৌরসভা।
যুগ্ন
আহবায়ক মোঃ মেরাজ, সুলতান ইউনিয়ন।
সদস্য
মো:জোবায়ের
ইসলাম-গুনাইঘর
ইউনিয়ন।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ কবির হোসাইন রেজা কাদেরী।
সুবিল
ইউনিয়ন।
সদস্য
রানা মাহমুদ,বরকামতা ইউনিয়ন।
সদস্য
সাবিত রেজবী,রসূলপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
রফিকুল ইসলাম
সদস্য
এনামুল আহমেদ, দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
শাহ কামাল -সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
ইসমাইল আহমেদ মাহিন,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
ইলিয়াস,এলাহবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
জুবায়ের ইসলাম,গুনাইঘর ইউনিয়ন।
সদস্য
শরীফুল ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
সদস্য
কাইয়্যুম ইসলাম,ইউসুফপুর ইউনিয়ন
সদস্য
ওমর ফারুক,দেবিদ্বার পৌরসভা।
সদস্য
মাওলানা মোহাম্মদ আলী, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাকিব,সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
মুহাম্মদ রাব্বি, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
দ্বীন ইসলাম, সুবিল ইউনিয়ন।
সদস্য
হৃদয় আহমেদ সাগর -ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
মো.আরিফুল ইসলাম,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
আরিফ রেজা,ফতেহাবাদ ইউনিয়ন।
সদস্য
সাইদুল ইসলাম সুমন, ইউসুফপুর ইউনিয়ন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবীতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার দুপুর ১২ টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, কতিপয় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রী শিক্ষা বোর্ডের এখতিয়ার বহির্ভূত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে গেটে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করাসহ গালমন্দ এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারই প্রতিবাদে সারাদেশে আন্তঃবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন করে।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর পুলিশ বক্সের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটককৃতরা হলো: কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার কাটাবনিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল মোনাফ (৩৬) ও পাবনা জেলার বেড়া থানার বকচর গ্রামের মো. মজনু প্রামাণিকের ছেলে মো. সোহাগ প্রামাণিক (২৬)।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন বলেন, ১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ওই চেকপোস্টে ডিউটি করাকালে তল্লাশি করা হয় চট্টগ্রাম থেকে পাবনাগামী পাবনা এক্সপ্রেস বাসে। এ সময় ৪ হাজার ইয়াবাসহ ওই ২ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন