

দেশের দুই বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি। এছাড়াও অন্য বিভাগে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানায়, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের সাথে একজোট হয়ে কাজ করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান
নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ এনে দিয়েছে, তা ব্যবহার করে আমরা অতীতের পচা বাংলাদেশ থেকে একটা নতুন তরতাজা বাংলাদেশের সৃষ্টি করতে চাই। আসুন, এ লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করি।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ন্যাশনাল বিজনেস সংলাপে তিনি আরো বলেন, “এটা কোনও কল্পকাহিনী না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- আপনার মনস্থির করে এগিয়ে এলে খুব দ্রুত গতিতে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।”
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) এবং জাতীয় পর্যায়ের ১৫টি বাণিজ্যিক সংগঠন এ সংলাপের আয়োজন করে।
সবাই মিলে একজোট হয়ে কাজ করলে তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা অবশ্যম্ভাবী- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “আমরা যে বড় কিছু করতে পারি তার প্রমাণ হলো ব্যবসায়ীরা। বিরাট দুঃসাহস নিয়ে আপনারা উদ্যোক্তা হয়েছেন। বাংলাদেশিদের
কাছে শিল্পপতি হওয়া দুঃস্বপ্ন ছিল, কিন্তু আপনারা সেটা করতে পেরেছেন। আপনারা বিশ্বমানের উদ্যোক্তা। যুবকরা যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা কাজে লাগিয়ে আপনারা স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ পারস্পারিকভাবে পরিচিত এবং একজনের সঙ্গে আরেকজনের যোগসূত্র রয়েছে। দুনিয়ায় এমন কোনও দেশ পাওয়া যাবে না যেখানে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ। এখানে হয়তো কেউ সরকারে আছেন, কেউবা সরকারের বাইরে আছেন বা ব্যবসা করছেন। অথবা কেউ আছেন বিদেশে। কিন্তু আমাদের সবার সঙ্গে একটা যোগসূত্র আাছে। পারস্পারিক এই যোগসূত্রই আমাদের বড় শক্তি যা আমাদের স্বপ্ন পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে।”
তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “যে কয়টা দিন সরকারে থাকি- আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের অঙ্গীকার হলো- নতুন বাংলাদেশের জন্য যা আছে তা করবো। যেন বলে যেতে পারি- এই দেশ আমাদেরকে একটা সুযোগ দিয়েছিল, আমরা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণরা প্রাণ দিয়েছে। যে বাংলাদেশে তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা তা অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এ কারণে যখন ছাত্রদের প্রাণ ঝরছিল- তখন সারাদেশের মানুষ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোনও মানুষ ছিল না তাদের সমর্থন করেনি। তাদের প্রাণের ফলে আমরা একটা নতুন সুযোগ পেয়েছি।”
ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. ইউনসূ বলেন, “সংস্কার কেবল সরকারের ওপর ছেড়ে দেবেন না। আসুন সবাই মিলে সংস্কার করি। যেখানে ভুল দেখবেন, আত্ম-জিজ্ঞাসা করবেন-সেখান থেকে বেরিয়ে আসার। ছেলেদের আত্মাহুতির দিকে তাকিয়ে ভুলপথ পরিহার করুন।”
শ্রমিক-মালিকের মধ্যে সরকার সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মেয়াদকালে আমরা শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা এখনও জেনেভা কনভেনশনে যোগ দিতে পারিনি। আমাদেরকে সাহস দিন, এগিয়ে আসুন, আমরা সবাই মিলে আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর করি।”
তিনি শ্রমিকদের যা প্রাপ্য, মালিকদের তাতে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় অনেক বাধা রয়ে গেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “ব্যবসায় বাধার কোনও সীমা নেই। ব্যবসা করা এক মহা সংগ্রাম। তবে আমরা এসব বাধা পেরিয়ে যেতে আজ একযোগে সরকার, সরকারের বাইরে সবাই এক পরিবারের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাবো।”
তিনি ব্যবসায়ীদের
উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য-আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত হলে রফতানির ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হারাবে। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগিতায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”
দেশের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যবসায়ীদের সামাজিক ব্যবসা চালুর আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আপনার গ্রাম, উপজেলা কিংবা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এলাকায় সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক সামাজিক ব্যবসা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ করবেন মুনাফার জন্য নয়, অন্যের সহায়তা বা সুবিধার জন্য।”
সংলাপে অর্থ উপদেষ্টা ড, সালেহউদ্দিন
আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন
মাহমুদ এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)’র সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায়
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে এদিন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা
মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক
করে প্রতিনিধিদলটি।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের
ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডোনাল্ড লুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক বার্তায় জানায়, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রবিষয়ক
উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে ভালো লেগেছে। আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, মানবাধিকার সমুন্নত
রাখা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের
পর বাংলাদেশ সরকার ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি)
মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। যার আওতায় সুশাসন, সামাজিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশকে
২০২.২৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের
রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট
নেইম্যানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা আসে। এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে
যোগ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট
সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। দিল্লি সফর শেষে তিনি একই দিন বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ প্রধান উপদেষ্টা ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র্যান্ডেল বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের বিষয় গুলোতে আলোচনা করেন।
ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, ভ্যাটিকান সিটির আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিভাগের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের মধ্যে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য ভ্যাটিকানের সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাসেই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুুখ্য সমন্বয়ক (সিনিয়র সচিব) লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও সংস্কারের কথা বলেছেন। কারও জন্য অপেক্ষা করে কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়। তারা সব করে দেয় না, তারা পরিবশেটা সৃষ্টি করে। যে পরিবেশটা না থাকলে কোনো কাজই আর হয় না। পুলিশের কথা প্রসঙ্গে বারবার আমরা দুটো শব্দ বলছি- আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের হাতেই এটাকে এক্সিকিউট করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার, নাগরিকের অধিকার- কিছুই থাকে না। আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। তারাই সম্মুখসারির মানুষ। তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেই বাকি জিনিসগুলো হয়। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পুলিশ হবে বন্ধু। কারণ, আমি আইনের পক্ষের মানুষ। আমি আইন প্রতিষ্ঠা করার মানুষ। আইন হলো আমাদের সবার আশ্রয়। পুলিশ হলো আশ্রয়দাতা। আমরা এই ইমেজটা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। এ সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তার শরীরের প্রায় ১০০ ভাগ পুড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই যোদ্ধার মৃত্যুতে সহকর্মীসহ পুরো ফায়ার সার্ভিস পরিবার শোকাহত। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
গতকাল একই ঘটনায় আরেক ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যান। তার শরীরেরও ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে একজন ৪২ শতাংশ ও আরেকজনের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন


সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অংশীজনদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হলেও এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
অর্থাৎ
এটা পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর
এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে তিনি জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা বর্ণিল ও বিচিত্র গ্রাফিতি ঘুরে দেখেছেন।
এসময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ
নজরুল, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ
সহকারী মাহফুজ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই জুলাই-অগাস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে বৈষম্য
বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও নগরের দেয়ালে তরুণ শিক্ষার্থীদের
আঁকা সেরা গ্রাফিতি নিয়ে একটি আর্টবুক প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী ‘দি আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি আর্টবুক প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকার আজ বৃহস্পতিবার ( ২৭ নভেম্বর )উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে রাজধনী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব ভবন ও নির্মাণ কাজের অনুমোদনের জন্য
একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দেন।
বৈঠকের
পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা গৃহায়ন
ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করা যায়, যা
দেশের সব স্থাপনা ও নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেবে। বর্তমানে রাজউক শুধুমাত্র নিজস্ব এলাকায়
অনুমোদন দিতে পারে।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ নির্মাণ বিধি মানা হচ্ছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, গ্রামাঞ্চলসহ দেশজুড়ে চার থেকে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে, তবে প্রশ্ন
হলো এগুলো জাতীয় ভবন নির্মাণ কোড মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা। এছাড়া ভূমিকম্প ও অগ্নি ঝুঁকির
বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন
রাজউক অধ্যাদেশে পুনর্বিকাশ, জমি পুনর্বিন্যাস, খেলার মাঠ, জলাশয় ও প্রাকৃতিক জলাধারের
সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘জমির মালিক ৬০ শতাংশের
সম্মতিতে পুনর্বিকাশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন অধ্যাদেশে নির্মাণ, জলাশয় খনন, নিচু জমি ভরাট, প্রাকৃতিক
জলপ্রবাহ বাধা, খেলার মাঠ ও উদ্যানের শ্রেণী পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া অনুমোদিত নকশা ব্যতীত নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যত্যয়ী স্থাপনা অপসারণের শাস্তি
এবং রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীদের রাজউকের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো চুক্তি বা
শেয়ারে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধান সংশোধন করা হবে কিনা প্রশ্নে
তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেক দাবি আছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারব না।
এটা আমার এখতিয়ারাধীন বিষয় না। আমরা উপদেষ্টা পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কোনো
চেষ্টা করবেন কিনা, জানতে চাইলি তিনি বলেন, অবশ্যই চেষ্টা করব। একটা পুরোজাতির ভোটাধিকারকে
এমনভাবে প্রহসন করা! এ রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সেই
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া
হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে
আইন মন্ত্রণালয়কে যে সহযোগিতা করতে হয়, সেটা আমরা সম্পন্ন করেছি। এরইমধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ
আপিল বিভাগের বিচারপতিরা নিয়োগ পেয়েছেন।
আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি,
যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছেন। এখান থেকে আপনারা বুঝে নেবেন, আমরা
কীসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগ্যতা ও সততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগে যারা প্রধান বিচারপতি
ছিলেন, তাদের সিভি, আর বর্তমান প্রধান বিচারপতির সিভি তুলনা করলে বুঝতে পারবেন, আমরা
কীসের ওপর জোর দিচ্ছি,’ যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাগর-রুনি হত্যার বিচার গতি পাবে কিনা;
জানতে চাইলে, উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আপনারা রাজপথে থেকে আমাদের চাপে রাখবেন। এই বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, এমন একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড
নিয়ে কীভাবে প্রহসন করা হয়।
অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো অপরাধের বিচার করার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য আমাদের আছে।
আমাদের দেশের ব্যাংক ও সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাবে, এটা তো আমার-আপনার টাকা। সাবেক
সরকারের মন্ত্রীদের টাকা না। জনগণের টাকা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা
করা ও বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যতটুকু করা দরকার, অবশ্যই আমরা করব।
মন্তব্য করুন