পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা তিনি আরো বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।
সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে ও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।
পাশাপাশি তিনি পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।
বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার তৃতীয় ভয়েস
অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত
করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
ভারতের নয়াদিল্লিতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই সামিটে যুক্ত দিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড, যেখানে একাধিক দেশ যুক্ত ছিল। এই সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সামিটে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম,
অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।
এ সময় ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে গতকাল শুক্রবার
ফোনালাপে সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র
মোদি। তখন আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি হন
প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফর শেষে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে গত সোমবার তিনি কুয়ালালামপুরে যান।
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়াও তিনি একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের
প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান,
অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের
অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে
চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি
শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আজকের এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রকল্প উত্থাপন করা হবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
একনেকের কার্যতালিকায় ছয়টি প্রকল্প থাকলেও অনুমোদনের জন্য পাঁচটি উত্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩ হাজার ৪৫৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন। যদিও এর আগে শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতো।
এগুলোর মধ্যে তিনটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে তা অবগত করবেন।
মন্তব্য করুন
বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে
আবদ্ধ করা। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের
মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব
মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র
বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা
করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ
করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে,কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের
কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারো ওপরে না এবং কেউ কারো নিচে না এই
ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত
বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের
সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন এই
দেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মানবিকও
কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাসও সহযোগিতা। জলবায়ু
সংকট মোকাবিলায় এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করণে আমাদের একত্রে কাজ করতে
হবে। তাই, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ
করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেন
মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে আমাদের
সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আগে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনী প্রধান।
মন্তব্য করুন
আগামীতে আইনকানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে
নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত
বা অন্যরা আর সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে, কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ
মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন
তুলবে না। সেটার ব্যাপারে আইনকানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে
না। আইনকানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সেজন্যই এত বড় কমিশন করতে
হয়েছে। এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে।
একটা ট্র্যান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।
এতো ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এখন
যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি
নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে
সেটা আমরা ভুলে গেছি।
সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি
বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই
মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই
আজকের সভা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রচণ্ড
সুযোগ এখন। সুযোগ এজন্যই যে, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে
পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে
থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু
হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস
বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের পক্ষ থেকে
আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করবো। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার
জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর
জন্য।
সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ
করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা
আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন
আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি
করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু
সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। আমরা একটা লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোরকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের
সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ,
রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে।
কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। ২য় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে,
খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভায় ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান সভায় ৩৬ টি এবং টেবিলে ৯টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে ১টি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো-শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট; যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প।
সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
মন্তব্য করুন