

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পদ্মা নদীর শাখা কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মিত ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সকালে পশ্চিম পাড় থেকে একটি ছোট ট্রলার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হচ্ছিল। এ সময় পাশ দিয়ে একটি বাল্কহেড যাওয়ার ফলে সৃষ্ট ঢেউ ও স্রোতের কারণে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এতে প্রায় (২০–২৫) জন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে আশপাশের নৌকা ও স্পিডবোটের সহায়তায় স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) “মো. আব্দুল কাইউম খান” বলেন, ‘নদীতে স্রোত থাকায় একটি ছোট নৌকা ডুবে যায়। এতে শিশু ও নারীসহ প্রায় ( ২০–২৫ ) জন যাত্রী পানিতে পড়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট বছর ধরে নড়িয়া-জাজিরা রুটে কীর্তিনাশা নদীর ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার পর থেকে এ রুটে যাত্রী পারাপারের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ট্রলার।
মন্তব্য করুন


মুকুল বসু , বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের একটি গ্রামের কৃষকেরা চোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। রাতে ওই গ্রামের বিভিন্ন মাঠ থেকে সেচ মোটর চুরি হওয়ার পর অনেক কৃষক চোরের ভয়ে সেচ মোটর মাঠ থেকে খুলে এনে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম থেকেই চুরি হয়েছে ২০-২২টি বৈদ্যুতিক সেচ মোটর। এসব বৈদ্যুতিক সেচ মোটর নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই গ্রামের শতাধিক কৃষক। ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, যারা পুরাতন মোটর ক্রয়-বিক্রয় করে তাদের কাছে চুরির সাথে জড়িতদের তথ্য থাকতে পারে। এছাড়া বৈদ্যুতিক কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকও এই চুরির কাজে জড়িত থাকতে পারে। ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের কৃষক হামিদুল্লাহ সিকদার বলেন, গত ১৬ এপ্রিল আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। এতে আমার কয়েক বিঘার জমিতে সেচ নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। দিনদিন সেচ মোটর চুরি বেড়েই চলেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। একই গ্রামের আরেক কৃষক রেজাউল করিম বলেন, ‘পানি সেচ দেওয়া নিয়ে ভয়ে আছি। মোটর সংযোগ করলেই নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। কিছুদিন আগে আমাদের একটি মোটর নিয়ে যায় চোর। ওই সেচ পাম্পের আওতায় থাকা কয়েক একর জমিতে বোরো ধানের আবাদে পানি সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মৃধা বলেন, 'আমাদের কেওয়াগ্রামের নূর ইসলাম, মুনাফ সিকদার, ওমর মোল্যা, শাফি শিকদার, ওসমান মৃধাসহ গত দুই মাসে অন্তত ২০টি বৈদ্যুতিক সেচ মোটর চুরি হয়েছে। এতে কৃষকেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। আমরা চোরের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে ময়না ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক মৃধা বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। চুরির ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।
মন্তব্য করুন


মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আবারও দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ, আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে চন্দ্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঘটকচর এলাকায় এলে বাসটির সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা বরিশালগামী গ্রিনভিউ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি খাদের দিকে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে হাইওয়ে পুলিশ, থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে চন্দ্রা পরিবহনের চালকের অবস্থা গুরুতর।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নিবন্ধন এবং "শাপলা কলি" প্রতীক প্রাপ্তি উপলক্ষে কুমিল্লা নগরীতে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর পুলিশ লাইন মোড় থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ফৌজদারী হয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলটিতে অংশগ্রহণ করেন এনসিপি'র বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মী, ছাত্র–জনতা ও সাধারণ জনগণ। এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

নাভিদ নওরোজ শাহ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন ও প্রতীক প্রাপ্তি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি জনগণের অধিকার রক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশব্যাপী উন্নয়নমূলক রাজনীতির ধারক হয়ে উঠবে। "শাপলা কলি" প্রতীক ঐক্য, শান্তি ও নবজাগরণের প্রতীক। দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির ইতিবাচক ধারা ও নৈতিক নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করাই এনসিপির প্রধান লক্ষ্য। এটি মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনও বয়ে আনবে।
মন্তব্য করুন


পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ীতে
চাঞ্চল্যকর বিধবা মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার ঘটনায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত
একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩ মার্চ হতে ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখের
মধ্যবর্তী সময়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ভিংলাবাড়ীতে বিধবা মহিলা আনোয়ারা
বেগম খুন হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ রাতে বিধবা মহিলা নিজ
শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায় এবং পরবর্তী দিন ৪ মার্চ ২০১০ ইং তারিখ সকালে খাটের উপরে বিধবা
মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এসময়ে বিধবা মহিলার মুখে, গালে, গলায় জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ঐ দিনই মৃত বিধবা মহিলা মেয়ে বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকান্ডের বিচারকার্য শুরু হলে ঘটনার
সাথে জড়িত আসামী আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত পলাতক অবস্থায় থাকে এবং তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য
শেষে বিজ্ঞ আদালত তার নামে মৃত্যুদন্ডের সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
এরই ভিত্তিতে ১২ জুন রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন
পবনকল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার
দেবিদ্বার থানাধীন ডিংলা বাড়ী এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৪)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আল
আমিন (৩৪) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের
পর হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নিজের গ্রেফতার
এড়াতে সে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপনে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাজা কার্যকরের
জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে কুমিল্লায় মহিলা দলের বর্ণাঢ্য মিছিল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিছিলটি নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মোড় থেকে শুরু হয়ে কান্দিরপাড় হয়ে ছাতিপট্টি এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মহিলা দলের সভাপতি হেলেনা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিজলী আক্তার, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী, মহানগর বিএনপির নেতা সোহেল মজুমদার এবং সদর দক্ষিণ পৌরসভার সাবেক আহ্বায়ক আবু হানিফসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুমিল্লা ৬ আসনে মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনীত করেছেন। জেলা, মহানগর এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। তারা আরও জানান, মহিলা দলের উদ্যোগে কয়েক হাজার নারী নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে আজকের এই মিছিল নগরীতে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কুমিল্লা ৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন ইনশাল্লাহ।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, কুমিল্লা জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাগরিক টেলিভিশনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সময়ের আলো ও রাইজিংবিডি-এর নিজস্ব প্রতিবেদক রুবেল মজুমদার।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সভার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময়, সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লার সভাপতি ইয়াসমিন রীমা, সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা এমরান এবং সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
জানা যায়, রুবেল মজুমদার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কুমিল্লা ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন। তিনি বহুবার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, “তাঁদের আস্থা ও ভালোবাসা আমার জন্য সবসময় প্রেরণার উৎস হবে। নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যের সহযোগিতা ও দোয়া আমাকে আমার দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালনে অনুপ্রাণিত করবে। মহান আল্লাহ যেন আমাকে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করার তৌফিক দান করেন।”
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করার আশা প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন


বঙ্গোপসাগরে
পাঁচ দিন ভেসে মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন মোরশেদ (২০) নামের এক জেলে। বর্তমানে তাকে
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট
হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায়
উত্তাল সাগরের বুকে ভাসতে দেখে এফবি সাজেদা ট্রলারের মাঝি সোবহান মোরশেদকে উদ্ধার করেন।
পরে
তাকে এফবি বায়েজিদ ট্রলারে হস্তান্তর করেন মাঝি সোবহান।
স্থানীয়রা
জানান, কয়েক দিন আগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ১৯ জন জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে যান। ওই ট্রলারে
ছিলেন জেলে মোরশেদ। হঠাৎ ট্রলারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১৯ জন জেলেসহ সাগরে নিখোঁজ
হন।
এফবি
বায়েজিদ ট্রলারের মাঝি সিরাজ বলেন, আজ সকাল ৯ টার দিকে সমুদ্রের ফিশিং করা একটি ট্রলার
থেকে জেলে মোরশেদকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে জিজ্ঞেস করলে ৫ দিন আগে ১৯ জন
জেলেসহ তাদের ট্রলারটি সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়েছেন এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে
বলে জানান।
কুয়াকাটা
২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুপ্রি দাশ বলেন, দুপুরে অজ্ঞান
অবস্থায় এক জেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
প্রাথমিক
চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ
বিষয়ে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধারের পরপরই আমরা
জেলে মোরশেদকে কুয়াকাটা হাসপাতালে পাঠাই। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য
তাকে কলাপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃষ্টি ভেজা সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত দুই জনের পরিচয় জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর মিলঘরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর চালকসহ বাসের স্টাফরা বাসটি ফেলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মালঞ্চ ক্লাসিক নামের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বৃষ্টির কারণে মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক বাসের চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় মোটরসাইকেলের অপর আরোহীও সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তাকে বাসের চাকার তল থেকে বের করেন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও স্টাফরা বাসটি ফেলে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কবি সাহিত্যিকেরা বলে গেছেন, যদি কখনো মনের ব্যামো হয়, তাহলে আবহাওয়ার বদল করতে হয়। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাহিত্যের অঙ্গনে ছেলেমেয়েরা কবি সাহিত্যিকদের দেয়া সেই প্রেসক্রিপশনই অনুসরণ করলেন। তাইতো তারা নিয়মিত ক্লাস, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার জন্য বান্দরবানের প্রকৃতি থেকে ঢু মেরে আসলো।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাতে প্রকৃতির অনন্য নিদর্শন বান্দরবানের এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাসফরের শুভকামনা এবং সাময়িক বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আলী হোসেন চৌধুরী।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে শিক্ষাসফরের বাসটি বান্দরবান পৌঁছায়। সেখান তারা অপরূপ সৌন্দর্যে বেষ্টিত মেঘবাড়ি রিসোর্টে অবস্থান নেন। পাহাড় ঘেরা সবুজ মেঘের রাজ্যে সবাই মিলে একসাথে তাদের সকালের নাস্তা শেষ করেই তারা বেড়িয়ে পড়েন প্রকৃতির টানে। চাঁদের গাড়িতে করে পাহাড়ের বুক চিড়ে তারা ছুটে চলে নীলগিরি আর নীলাচলের দিকে। পথিমধ্যে তারা বিভিন্ন ঝর্ণা, এবং পাহাড়ী ছড়ার মায়াবী সৌন্দর্য উপভোগ করে। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর কথা মাথায় রেখেই “considers man and nature as essentially adapted to each other, and the mind of man as naturally the mirror of the fairest and most interesting properties of nature.” তারা গিরিবালার সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন, সেখানকার ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুধু পাহাড় দেখেই তারা তৃপ্ত হয়নি, ফিরতি পথে তারা সমুদ্র সৈকতে (পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত) তাদের পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন