

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন বাপ্পি সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ড. আনম এহছানুল হক মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণে তাঁর ছবি সম্বলিত ছবি দিয়ে নিজ বাড়ির প্রধান গেইট সুসজ্জিত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ছবি একেছেন। তাঁর এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানান উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী সহ অন্যান্যরা যুবদল নেতা মহিন বাপ্পির বাড়ির গেইট পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নেতার প্রতি এমন ভালোবাসায় মুগ্ধতা ও প্রশংসা করেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, মহিন বাপ্পি হামলা-মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েও দলকে ও তার নেতাকে ভুলে যায়নি। হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি কখনোই দলকে ভুলে যাননি এবং প্রিয় নেতা মিলন ও তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আজও দলের সাথে মিশে আছেন তিনি। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুর শহরে ঈদের জন্য নতুন পোশাক কেনার জন্য মায়ের সঙ্গে মার্কেটে গিয়ে লাশ হলো ছয় বছরের শিশু আফরোজা।
গতকাল রবিবার (৯ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় অটোরিকশার চাপা পড়ে শিশুটি নিহত হয়।
নিহত আফরোজা শহরের পুরানবাজার এলাকার প্রবাসী আবুল বাশারের ছোট মেয়ে। তারা শহরের আল আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বজনরা জানান, বাসা থেকে মার্কেটের উদ্দেশ্যে মায়ের সঙ্গে ঘর থেকে বের হয় আফরোজা। জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী অটোরিকশা আফরোজাকে চাপা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শোভন বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাহার মিয়া বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন


ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন


শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করায় ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মাদারীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাশে আছি মাদারীপুর’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুত্রবধূরা সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে
খুবই আনন্দিত। আয়োজকদের দাবি, সমাজে বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ব্যতিকর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ির ঐকান্তিক অনবদ্য ও চিরায়ত সম্পর্কের বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাশে আছি মাদারীপুরের প্রতিষ্ঠাতা বায়জীদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুন্সী, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ।
জানা যায়, মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদার ও মেহেরুন্নেসা বেগমের ছেলে মৃত অহিদুল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম অহিদ। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা সংরক্ষিত আসন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্বামী মারা গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়েই এক সঙ্গে থেকে তিনি তাদের সেবা যত্ন করছেন।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ও মৃত রিজিয়া সুলতানার ছেলে রাজন মাহমুদের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। তিনি একজন মিডিয়াকর্মী। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি শ্বশুরকে নিজ হাতে খাওয়ানোসহ সব সেবা যত্ন করে থাকেন।
অন্য সম্মননাপ্রাপ্ত পুত্রবধূরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মাস্টার ও মাহমুদা বেগমের ছেলে মাসুদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মুক্তা, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রাশিদা বেগমের ছেলে রেজওয়ানের স্ত্রী রিমা, মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার আশ্রাফ আলী ও সাহানা বেগমের ছেলে এহসানুল হক মামুনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আ. রব জমাদার ও শামীমা বেগমের ছেলে আরাফাত ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার, মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার কাজী হাফিজুর রহমান ও রহিমা খাতুনের ছেলে কাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আরিফা আফরোজ অন্তরা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা রোড এলাকার হায়দার আলী খান ও কহিনুর বেগমের ছেলে সাকিন খানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী এলাকার আ. আজিজ মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে বি এম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মিসেস ফারজানা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাচখোলা গ্রামের আলী আকবর মোড়ল ও নাদিরা বেগমের ছেলে আ. সোবহান মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের মো. নওসের ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. আমির এর স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আক্তার, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির শেফালী বেগমের ছেলে আজাদ চৌকিদারের স্ত্রী লাবনী আক্তার আশা। তারা সবাই গৃহিণী।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেরা পুত্রবধূ লাবণী আক্তার আশা বলেন, এই সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীতে আমরা শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার প্রতি আরও যত্নবান হবো। এ পুরস্কার প্রাপ্তি দেখে সমাজের অন্যান্য গৃহবধূরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করছি।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরিফা আক্তার অন্তরার শ্বশুর কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, এই সম্মাননার আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি। শুধু পুত্রবধূদের একার দায়িত্ব না, শ্বশুর-শাশুড়ি-পুত্রবধূ-ছেলে সবাই মিলেমিশে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে সবার কর্তব্য। আমার পুত্রবধূ সব সময় আমাদের খেয়ার রাখেন, যত্ন নেন। আমরা এক সঙ্গে থাকি। তবে বর্তমান সমাজে শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে কেউ থাকতে চান না। ছেলের বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে অন্যপুত্রবধূরাও উৎসাহ পাবেন। তারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থেকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন। আশা করছি এই আয়োজন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সামসুন নাহারের শাশুড়ি শামীমা বেগম বলেন, পুত্রবধূ সম্মাননার মতো এমন আয়োজন আর কোথাও করতে শুনিনি। এটি ব্যতিক্রম আয়োজন। তবে বর্তমান সমাজে এ আয়োজনের দরকার আছে। কারণ বর্তমানে কেউ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চান না। কোনো না কোনো উসিলা দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। এটা একজন মা-বাবার জন্য কতাটা কষ্টকর, তা বোঝানো যাবে না। তবে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি। তাই এই আয়োজন দেখে সমাজের আরও পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করবেন, যত্ন নেবেন, এক সঙ্গে থাকবে বলে আশা করছি।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ‘১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্য পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান জানান, মাদারীপুরে এই সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে সম্মাননা পেতে দেখে অন্যান্য পুত্রবধূ ও শশুর শাশুড়িরাও অনুপ্রাণিত হবেন। তাই এই ব্যতিক্রম আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহা ওরফে মো. সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় আসামির কাছ থেকে চোরাইকৃত ২টি মোটর সাইকেল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার কি (চাবি) উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৯ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে অবস্থিত হোটেল ইছাকী এমোস থেকে মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা কিশোরগঞ্জ জেলার হারাধন সরকার প্রকাশ জাকির খানের ছেলে মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমার সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য মতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনাস্থ হোটেল ইছাকী এমোসের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোরের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন থানায় ২০টি চুরির মামলা রয়েছে। তিনি একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঠিকানা রয়েছে। তদন্ত করে তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা বের করা হবে। মিল্টন বর্তমানে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, মোটরসাইকেল চোর মিল্টন সরকার প্রকাশ মিল্টন কুমারকে আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আটককৃত চোর মিল্টনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
মন্তব্য করুন


পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির
কারণে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে
দু'দেশের মধ্যে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে বুধবার সকাল থেকে
এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে দু'দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল
স্বাভাবিক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারো এ পথে
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চলবে বলে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি
ঘোষণা করায় আজ বুধবার বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরের সকল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। সে কারণে
এ পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় এ পথে আমদানি-রপ্তানি
চলবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, আশুরা উপলক্ষে বুধবার এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও
দু'দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল
স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, বুধবার পবিত্র আশুরায়
সরকারি ছুটি থাকায় বন্দরের পাশাপাশি কাস্টমসের কার্যক্রমের সঙ্গে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
থাকবে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও যেসব ভারতীয় ট্রাক পণ্য বন্দরে আনলোড করে খালি ট্রাক
নিয়ে ফিরে যেতে চাইবে তাদের অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা থাকবে।
মন্তব্য করুন


মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা এলাকায় মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কচুয়া পৌরসভার আয়োজনে এ মেলায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আহসান হাবিব জুয়েল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি মানিক ভৌমিক, কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম রাজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের চক্রকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
গতকাল (২৮
মার্চ) বিকেলে সুমন (৩৪) নামক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে
জানান, তার
ভাই আলাউদ্দিন রং মিস্ত্রির কাজ করে। কাতার যাওয়ার জন্য (২৮
মার্চ) সকাল ১১ টায় তার নিজ বাসা থেকে রেইসকোর্সে
এলাকায় প্রবাসী জনশক্তি অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার জন্য বাহির হলে
কে বা কারা তাকে অপহরণ পূর্বক আটকে রেখে আটক ব্যক্তির নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন
প্রকার হুমকি ধমকী দিয়ে ১,০০,০০০ (এক
লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না দিলে ভিকটিমের নামে
মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিবে বলে হুমকী দিচ্ছে।
সংবাদ
পেয়ে সম্মানিত পুলিশ সুপার,
কুমিল্লার নির্দেশনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ উক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ
শুরু করে।
কোতয়ালী
মডেল থানার এস.আই জীবন রায় চৌধুরী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক রাখার স্থান
সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা
করে ভিকটিম আলাউদ্দিনকে রাতে উত্তর রেইসকোর্স,
ধানমন্ডি রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয়
৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় ২ নং আসামীর ভাড়া বাসা থেকে ঘটনায় জড়িত
চক্রের দুই নারী এবং একজন পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো-
১।
পারভীন আক্তার @ হুমায়রা(২৮), পিতা-মৃত
শানু মিয়া, মাতা-মৃত
হাসেনা বেগম, সাং-চারিপাড়া(উত্তর পাড়া, হারুন মেম্বারের বাড়ী), থানা-ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা-কুমিল্লা, এ/পিসাং-নানুয়া
দিঘীর দক্ষিন পাড়(মনির হোসেন এর ৬ তলা ভবনের ৩য় তলার ভাড়াটিয়া), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২।
শাহেনা বেগম(৩৮), স্বামী-কবির
আহমদ, সাং-ধান্যদৌল(কাজী
বাড়ী), ৫নং
ওয়ার্ড, থানা-ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা-কুমিল্লা, এ/পি সাং-উত্তর
রেইসকোর্স, ধানমন্ডি
রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয় ৬ষ্ঠ তলা
বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া),
থানা-কোতয়ালী মডেল,
জেলা-কুমিল্লা।
৩।
মোঃ মশিউর রহমান টিপু(৪৫),
পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ,
মাতা-ফাতেমা বেগম,
সাং-কাপ্তান বাজার(বেপারী পুকুর পাড়,
বড় বাড়ী), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
পুলিশ
জানান, উক্ত চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে
প্রলোভনের মাধ্যমে নিজেদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করে
আসছিলো।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানায় প্রতারণামূলক চাদাবাজির মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৮ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এবং
২। মোঃ সজিব (২৭) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ
থেকে ৩৪৭ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনিরুজ্জামান
মনির (৩০) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার কালিকাপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর ছেলে
এবং ২। মোঃ সজিব (২৭) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজুত করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে বরিশাল নগরের ৬ আড়তকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ অভিযান শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চালানো হয় বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র।
এ জরিমানা করেন বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী।
বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র জানায়, হঠাৎ পেয়াঁজের দাম বেড়ে যাওয়ার খবরে বরিশাল নগরীর পেঁয়াজপট্টির পাইকারি বিক্রির আড়তে অভিযান চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে মজুত করা পেঁয়াজ।
বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র আরও জানায়, ৯৪ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে কেনা পেঁয়াজ বতর্মানে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রমাণ পেয়ে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৬ আড়তকে।
মন্তব্য করুন