

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী।
মঙ্গলবার (১১জুন ) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় ১১ জুন মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) মো: খলিলুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ -বাহুবল সার্কেল) আবুল খায়ের,সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল)নির্মেলেন্দু চক্রবতী। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী, পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
মন্তব্য করুন


বিয়ে না করে পালিয়ে যাওয়ায় ছোট ভাই আর তার পরিবর্তে বড় ভাই নিজেই বর সেজে বিয়ে করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন কনেপক্ষের। পরে লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বরপক্ষ।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের
জুয়ানপুর গ্রামে গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে চঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে
কনের বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধুমধাম করে খাওয়ানো শেষ হলে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন
দুই পক্ষই। এর মধ্যেই ঘটে যায় বিপত্তি। দেখা যায় বর হিসেবে ছোট ভাইয়ের জায়গায় বড় ভাই!
শুরু হয় হৈচৈ। তখন সবাই জানতে পারেন, বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বড় ভাই নিজেই বিয়ে
করতে গেছেন। তবে কনেপক্ষ বড়জনের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এক লাখ টাকা খরচ বাবদ
ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফিরে যায় বরপক্ষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী
জানান, পারিবারিকভাবে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে মীর শহিদের
সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সেই অনুসারে ছেলে পক্ষ বিয়ে করতে আসেন। মেয়েটি গরিব হওয়ায় আমরা
এলাকাবাসী নিজেরা টাকা দিয়ে বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগমুহূর্তে দেখা যায়,
বর শহীদ না এসে তার বড় ভাই আব্দুল মোমিন বর সেজে এসেছেন। পরে রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের সিদ্ধান্তে খরচ হওয়া
এক লাখ টাকা দিয়ে তারা চলে যায় বর পক্ষ।
এ বিষয়ে বর সেজে আসা আব্দুল মোমিন বলেন,
বিয়ের জন্য ছোট ভাই শহীদ সব কিছু কিনে প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)
রাত থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দুই পক্ষের সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি নিজেই
বিয়ে করতে এসেছিলাম। যদি তাদের সম্মতি থাকত তাহলে বিয়ে করতাম।
কনের মা বলেন, আমরা যে ছেলের সঙ্গে
বিয়ে ঠিক করেছিলাম সে আসেনি। বড় ভাই বর সেজে আসায় আমরা মেয়েকে বিয়ে দেইনি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ বসে নিজেদের
মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফেনী জেলার পরশুরামে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পরিদর্শনকালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন সেনাপ্রধান। এরপর তিনি হেলিকপ্টার যোগে ফেনী জেলার পরশুরাম এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় তিনি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়াসহ সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭, ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ যথাক্রমে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই সাথে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মন্তব্য করুন


হৃদয় চন্দ্র দাস:
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে খন্দকার
হক টাওয়ার মার্কেটে জমকালো আয়োজনে শুভ উদ্বোধন হলো oppo এক্সক্লুসিভ শো-রুম। শুভ
উদ্বোধন উপলক্ষে মাসব্যাপী প্রত্যেকটি মডেলের সাথে থাকছে আকর্ষণীয় গিফট অফার। তাই
দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন এবং বুঝে নিন আপনার পছন্দের ডিভাইসের সাথে আকর্ষণীয়
সব গিফট অফার।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এবারের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল আজ রোববার (১০ আগস্ট) সকালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৮৪৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১৯০ জন। জিপিএ ৫ বেড়েছে ৬৭টি। আগে জিপিএ ৫ পাওয়াদের বিষয়ভিত্তিক গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৯১ জনের। ফেল করা ৫৭ জনের ফেলই রয়ে গেছে।
বোর্ডেও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন বলেন, ১০ জুলাই কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডসহ সব বোর্ডেও এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এরপর ১১ জুলাই থেকে পুনর্নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে। অনলাইনে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৩৫ হাজার ৫৩১জন। প্রতি পত্রের ফি ছিল ১৫০ টাকা করে। প্রতি বিষয় ফি ১৫০ টাকা। মোট ৭৫ হাজার ৮৭৭ টি পাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়ে।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা দেয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন। পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬০। এখন পুনর্নিরীক্ষণে পাসের হার বেড়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৯০২ জন। এখন বেড়েছে আরও ৬৭ টি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চান্দিনায় নতুন মোটরসাইকেল কেনার একদিন পরেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন ২ বন্ধু। বুধবার দিন গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনার খাদঘর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের কাদের প্রধানের ছেলে ও ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক ছাত্রদল সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের সোলেমান আহমেদের ছেলে রিজওয়ান আহমেদ শামিম (১৮)। তারা দুইজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় নাজমুল ও শামীম। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাদঘর এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এসময় তারা সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের এলাকার বাসিন্দা মো. এরশাদুল হক বলেন- নতুন মোটরসাইকেল কেনার আনন্দেই বের হয়েছিল তারা। দাউদাকান্দি উপজেলার নতুন বাজারের এক নামকরা চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ১ দিন আগে সোলেমান আহমেদের ছেলে শামিম মোটরসাইকেলটা কিনেছিল। কে জানত সেই বাইকেই ওদের শেষ যাত্রা হবে!!
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে দুজন নিহত হয়। ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারে পাহাড় ধসে একদিনে পৃথক ঘটনায়
চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই নারী
ও দুই শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে
শহরের কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে একই পরিবারের ৮ জন মাঠি চাপা পড়ে। এ ঘটনায়
বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার বলেন,
গাছ এবং পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৮ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস
এবং স্থানীয়রা মিলে ওই পরিবারের ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মিম নামের এক শিশুকে
বাঁচানো যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের ঝিলংজায়
লায়লা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ পাহাড় ধসে নিহত হন। তিনি দক্ষিণ মহুরিপাড়া এলাকার বজল
আহমদের স্ত্রী। এ ঘটনায় তাদের ২ বছরের শিশু মোহাম্মদ জুনায়েদ গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার
সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে
পাহাড় ধসের পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়। শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পল্যান কাটা এলাকায়
বসতঘরে পাহাড় ধসে স্থানীয় মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩০) নিহত হয়েছেন। এছাড়া
শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের সিকদার বাজার এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুলের
ছেলে মো: হাসানের (১০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের
ঘটনায় দুই নারী ও দুই শিশু নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)
সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৩৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী দুদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান
তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মধ্যরাত থেকে
কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাকখালী ও মাতামুহুরি নদীসহ বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর
পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ
এবং কক্সবাজার পৌরসভার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে পর্যটন
শহরের কলাতলী সড়কসহ অসংখ্য ছোট-বড় সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৪ থেকে ৫ ফুট
উচ্চতায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা, হোটেল-মোটেল জোনে
বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কলাতলী সড়ক, বাজারঘাটা, বাস টার্মিনাল,
উপজেলা বাজার ও লিংকরোড় এলাকায় সড়কে বন্যার পানি জমে যায়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড
দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের
বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজু আদালতের কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, খালেদা আক্তারকে বিয়ের পর
থেকেই তার স্বামী রাজু বেকার ছিলেন। এ কারণে মেয়েসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে
থাকতেন খালেদা।
রাজু ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে
যান। পরের দিন ভোরে স্বামীকে কাপড় ধুয়ে দেয়ার কথা বলেন খালেদা। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির
একপর্যায়ে খালেদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার স্বামী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, খালেদার মরদেহ পুকুর ঘাটের কাছে ফেলে রেখে আসামি পালিয়ে যান। এরপর ঘাটে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে রাজুকে আসামি করে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা করেন খালেদার বাবা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি আমিনুল ইসলাম ও নুরুল
ইসলাম জানান, তাদের আশা, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বন্দর নিয়ে অনেকে
অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে
চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ
বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে। আমরাও সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের
পতেঙ্গা এলাকার লালদিয়া চর কন্টেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন
তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা
৫৬ হাজার টিইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য
লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন,
বন্দরকে গতিশীল করতে যে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে, সেই প্রতিষ্ঠানই কাজের ক্ষেত্রে
অগ্রাধিকার পাবে। সবক্ষেত্রেই দেশের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে। বন্দর নিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী
কোনো কাজ করবে না সরকার। দেশের ক্ষতি করে কোন সিদ্ধান্ত হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ
পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের ঊর্ধ্বমুখী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামলাতে
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই এবং অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষ্যেই
কাজ করছে।
লালদিয়ার চরের পরিত্যক্ত
এই টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রমও গতিশীল হবে। বন্দরের ভেতরে অব্যবহৃত
পরিত্যক্ত স্থানগুলো কাজে লাগানো হবে। চট্টগ্রামে ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় নগরী ও
জেলায় যানজট বাড়ছে বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান
রিয়ার এডমিরাল এম মনিরুজ্জামানসহ বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার একটি ভবন থেকে
(৫২) নামে এক নারী চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম শান হুয়ানমেই
। বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর ।
২৯ জুন শনিবার সকাল ৯টার
দিকে নগরীর আশ্রাফপুরের নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকার একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা
হয়।
তিনি কুমিল্লা ইপিজেডে পি.ওয়াই
গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লায়
ইপিজেডের ফাঁড়ি ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোক
করে ওই চীনা নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে
জানা যায়, নগরীর নোয়াগাঁও চৌমুহনী বিসমিল্লাহ হাউজ নামের একটি ভবনের ৩য় তলায় থাকতেন
চীনা নাগরিকদের সাথে তিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় সহকর্মীরা অফিসে যাওয়ার জন্য ডাক দিলে দরজা
বন্ধ দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মরদেহ কোথায় পাঠানো
হবে এ নিয়ে কুমিল্লায় ইপিজেডের ফাঁড়ি ইনচার্জ বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজে মরদেহ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে নিহতের স্বামী চীন থেকে রওনা দিয়েছেন,
স্বামী আসার পর সিদ্ধান্ত হবে লাশ কোথায় পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন