বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০তম দিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০তম দিন উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ভাষণ বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচার করা হবে।
মন্তব্য করুন
দেশের
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় এই নির্দেশনা দেন
তিনি।
দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
উপদেষ্টারা এই জেলাগুলো পরিদর্শন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা
বলেছেন।’
তিনি আরো জানান, ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসাবে ৩৬ লাখ মানুষ
বন্যাকবলিত হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা
পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (৬ অক্টোবর ২০২৪) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত
হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের
প্রতি।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি
চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা,
নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি
নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা
প্রদান করেন। এছাড়াও সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন
অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক
মতাদর্শের উর্দ্ধে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য
নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার
নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের
মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে বলে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি, চীফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন
দেশের দুই বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি। এছাড়াও অন্য বিভাগে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানায়, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
মন্তব্য করুন
শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
রাষ্ট্রপতির নিয়োগের পর গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাজজাদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেন।
আর তখন করা সেই আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার উপর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা নিয়েও তাঁর আশাবাদ পোষণ করেন ।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। আজকের এই বৈঠক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এর সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সোমবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ড. ইউনূস গত ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক, নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগের জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় অধ্যাপক ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অব্যাহত মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
ফোনালাপের সময় তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সুলিভান অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। এরপর সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন
আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের শপথ গ্রহণ হবে।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রোববার (১১ আগস্ট) বঙ্গভবনে তার শপথগ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
মন্তব্য করুন