বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।
আজ (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নতুন বছর- ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো।’
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার
(চৌধুরী রফিকুল আবরার)।
তিনি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন ।
মঙ্গলবার
(৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক
সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক ছিলেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন,
কাল (বুধবার) উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি
একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং
মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এজন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা
পরিষদে।
প্রসঙ্গত,
বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করে আসছেন।
তবে
নতুন কতজন উপদেষ্টা শপথ নেবেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন
মাহমুদ অনেকদিন যাবত বলে আসছিলেন, তার পক্ষে একই সঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে তার বদলে অধ্যাপক আবরারকে সম্ভবত শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে আজ শনিবার
(২৪ মে) উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা হয়।
এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর
শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের
অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে
যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ
সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশকে স্থিতিশীল
রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন
প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর
বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা
করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে
এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা
হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার
উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে
এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুই সংস্কার কমিশনের প্রধান।
কমিশনগুলো হলো: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে
বৈঠকে করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’জানিয়েছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের
সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভা কক্ষে বৈঠকটি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে
‘পূর্ণ সমর্থন’
জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের
ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল
ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ
পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো
সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম
অধিবেশনে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে
জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের
সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে
(সাবেক টুইটার) শেয়ার করা ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক বার্তায় বলেন,
এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু
হওয়ার পর ভাষণ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক
চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি যা আগে কখনো দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তা শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম
সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে
সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে
এ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘে এটি তার চতুর্থ এবং
শেষ ভাষণ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
ইউএনজিএতে অংশগ্রহণ উপলক্ষে ড. ইউনূস
এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি ড. ইউনূসের প্রথম
যুক্তরাষ্ট্র সফর।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতেতে এ কথা জানিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠক করেছেন ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন উপদেষ্টারা। পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ বিতরণসহ অগ্রাধিকার করণীয় নিয়েও আলোচনা হয় এবং দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের নয়টি জেলা। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো– ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকা ফেনী-নোয়াখালীর উদ্দেশে ২৫০ উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ইতোমধ্যে ৫০-এর বেশি উদ্ধারকারী নৌকা রওনা দিয়েছে এবং সারাদিনে আরও দুইশ নৌকা যাওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়াও,
পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনসহ বেশ কিছু বিষয়ে
বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেছেন, আমরা এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। আমি এরই
মধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রবাসীদের
উদ্দেশে বলেন, আপনারা অর্থনীতিতে মস্ত বড় অবদান রাখছেন। আপনাদের এই অবদানের স্বীকৃতি
আমাদের দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমরা
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছি প্রবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করতে, তাদের কথাগুলো
শুনতে। আপনাদের অনেক অভিযোগ রয়েছে, যা ন্যায্য। আমরা এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে
চেষ্টা করে যাচ্ছি। জটিলতা কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সরকার খুব
দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সরকারি সব সেবা প্রবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে নাগরিক সেবা
বাংলাদেশ নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রবাসীদের জন্য একটি
বিশেষ অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে, যাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশি
এক প্ল্যাটফর্মে কানেক্টেড থাকতে পারেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে
ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের
পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বস্তির জায়গায় ফিরেছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা
বড় অবদান রেখেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা
এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। আমি এরইমধ্যে নির্বাচনের
সময় ঘোষণা করেছি। এই নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। আশা
করছি, এবার আপনাদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আপনারা সবাই ভোটার হবেন, ভোট দেবেন। নির্বাচন
কমিশনারের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সভায় মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কয়েকটি
সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দূতাবাসে জনবল বাড়ানো, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের
গ্র্যাজুয়েট প্লাস ভিসা, যারা অনিয়মিত হয়ে গেছেন তাদের নিয়মিতকরণ করা, বাণিজ্য-শিল্প
ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা
অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিভিন্ন পেশা, শ্রেণি,
সংস্থা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন