

দিনাজপুরে
খাদ্য অধিদপ্তরের ‘সহকারী খাদ্য পরিদর্শক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, অবৈধ ডিভাইসসহ মিফতাহুল জান্নাত ও শিরিন আক্তার
নামের দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
আজ
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর কারিগারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সদর উপজেলার
পরাজপুর ফাসিলাডাঙ্গা হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক
মিফতাহুল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ছোটরসুলপুর গ্রামের রেজাউল করীমের ছেলে ও রংপুর কারমাইকেল
কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দিনাজপুরের ওমর ফারুক নামের একজনের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন।
তাকে
মাতা সাগর দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) থেকে আটক করা হয়।
অপরদিকে
অবৈধ ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শিরিন আক্তার নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী। তিনি পঞ্চগড়
জেলার বাসিন্দা। দিনাজপুর সদর উপজেলার পরাজপুর ফাসিলাডাঙ্গা হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়, সহকারী খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) মিফতাহুল নামের এক যুবকের উত্তরপত্রে
স্বাক্ষর করতে গিয়ে ছবির মিল না পাওয়ায় সন্দেহ
হয় কক্ষে দায়িত্বরতদের। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সি দিতে আসার কথা স্বীকার করেন মিফতাহুল। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে মিফতাহুল জানান, রংপুর শহরের নজরুল চত্বর এলাকায় মেসে থাকেন তিনি।
সেখানে
বাসা ভাড়া ও খাবার খরচ
বাবদ আট হাজার টাকা
বকেয়া পড়েছিল। দুই মাস ধরে তা পরিশোধ করতে
পারছিলেন না। দুই দিন আগে মেস মালিক শরীফ বাবু তাকে প্রস্তাব দেন খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিলে মেসের বকেয়া টাকা দিতে হবে না। সে জন্য তিনি
অন্যের পরীক্ষা দিতে আসেন।
এ
বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস
এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডিভাইস নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনায় একটি চক্রের তিন সদস্যকে আমরা আটক করেছিলাম।
এ
ধরনের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আরো একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে। আজকের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র সচিবকে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্য করুন


রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের আট বিভাগেই আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কমতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। এদিন মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ঝরেছে রাজধানী ঢাকায়ও।
আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি নামতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকবে শক্তিশালী এ বৃষ্টিবলয়। এটি সারা দেশে একসঙ্গে সক্রিয় না হয়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটাবে। বৃষ্টিবলয়টির সর্বোচ্চ সক্রিয়তা থাকবে ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এটি অতিক্রম করার পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
একই ধারা বজায় থাকবে। সারাদেশেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে।
(১৫-১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় একই ধারা বজায় থাকবে। সারাদেশেই দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামেও বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। তবে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
মন্তব্য করুন


আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধান সংশোধন করা হবে কিনা প্রশ্নে
তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেক দাবি আছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারব না।
এটা আমার এখতিয়ারাধীন বিষয় না। আমরা উপদেষ্টা পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কোনো
চেষ্টা করবেন কিনা, জানতে চাইলি তিনি বলেন, অবশ্যই চেষ্টা করব। একটা পুরোজাতির ভোটাধিকারকে
এমনভাবে প্রহসন করা! এ রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সেই
অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া
হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে
আইন মন্ত্রণালয়কে যে সহযোগিতা করতে হয়, সেটা আমরা সম্পন্ন করেছি। এরইমধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ
আপিল বিভাগের বিচারপতিরা নিয়োগ পেয়েছেন।
আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি,
যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছেন। এখান থেকে আপনারা বুঝে নেবেন, আমরা
কীসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগ্যতা ও সততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগে যারা প্রধান বিচারপতি
ছিলেন, তাদের সিভি, আর বর্তমান প্রধান বিচারপতির সিভি তুলনা করলে বুঝতে পারবেন, আমরা
কীসের ওপর জোর দিচ্ছি,’ যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাগর-রুনি হত্যার বিচার গতি পাবে কিনা;
জানতে চাইলে, উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আপনারা রাজপথে থেকে আমাদের চাপে রাখবেন। এই বিচার
না হলে জাতির কাছে আমরা দায়ী থাকব। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, এমন একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড
নিয়ে কীভাবে প্রহসন করা হয়।
অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো অপরাধের বিচার করার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য আমাদের আছে।
আমাদের দেশের ব্যাংক ও সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাবে, এটা তো আমার-আপনার টাকা। সাবেক
সরকারের মন্ত্রীদের টাকা না। জনগণের টাকা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা
করা ও বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যতটুকু করা দরকার, অবশ্যই আমরা করব।
মন্তব্য করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ভারত বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেবে—এমন দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভিন্ন কিছু বললেও তিনি আলোচনা ও তথ্য জেনেই এই বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেশে এনে বিচার কার্য সম্পন্ন করা সম্ভব এবং এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞও মনে করেন—আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা কঠিন নয়।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ চাইলে একে অপরের পলাতক আসামিকে হস্তান্তর করতে পারে। তবে চুক্তিতে থাকা কয়েকটি ধারা প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলেছে, যার ব্যাখ্যার ওপরই প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নির্ভর করছে।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রেস সচিব শফিকুল আলম দাবি করেন—মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত কামালকে ভারত ফেরত পাঠাবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নথি বা সরকারি যোগাযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, প্রেস সচিবের উল্লেখ করা তথ্য সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশ বা বার্তা পায়নি।তবুও শফিকুল আলম তার বক্তব্যে অনড়। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে দেশে ঘটে যাওয়া গুম-খুনসহ ভয়াবহ অপরাধের নেপথ্যে কামালের সম্পৃক্ততা ছিল, এবং তিনি এই তথ্য পুরোপুরি জেনে তবেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন—এটি কেবল “ফেসবুক পোস্ট” নয়, বরং নির্দিষ্ট সূত্রের ভিত্তিতে প্রদত্ত মন্তব্য।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রচারণা ও মিছিল করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
এতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা আয়োজন বা তাতে যোগদান না করার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। এ হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের ৪শত গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন


আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বৈঠকে বসবে আওয়ামী লীগ।
(২২ নভেম্বর) বুধবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভার প্রথম দিনে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।পর্যায়ক্রমে এ সভায় ৩০০ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এবার নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম করবেন না। মনোনয়ন বোর্ডের সভা ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে হবে বলেও জানান তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মোট ৩ হাজার ৩৬২ জন। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে তারা মনোনয়ন ফরম কেনেন। প্রতি আসনে গড়ে ১১ জন এ ফরম কিনেছেন।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)'তে ৭ম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে গৌরবমন্ডিত 'হল অব ফেইম' এ অন্তর্ভুক্ত হন।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানের সহধর্মিনীও উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ১৩ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে কোর অব ইনফেন্ট্রি'তে কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, তিনি গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখে ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, ইবিআরসি; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন; এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল; কমান্ড্যান্ট, বিএমএ; সামরিক সচিবসহ সেনাসদর, চট্টগ্রাম সেনানিবাস এবং বিএমএ'র উর্ধ্বতন ও বিভিন্ন পদবীর সেনাকর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের
সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, আমরা ইতিমধ্যেই
নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের
ঠিক আগে।
তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে
নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর-কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময়
পর-ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু,
স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।
তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত
করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার
রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের
মতো ভোট দেবে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য
এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে-জাতির জন্য
এক নতুন যাত্রা।
এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয়
আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক
রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময়
করেন।
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয়
দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর
জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ
করব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও
পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জুলাই পদযাত্রার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,
এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশিদের
নির্বিচারে গুলি করা হত্যা করা হচ্ছে৷ অবৈধভাবে একের পর এক পুশইন করা হচ্ছে। যে কোনো
মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব। জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল৷ নতুন
দেশ গঠনে সারা দেশে কর্মসূচি চলছে। জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের
মাধ্যমে আমরা নির্বাচন চেয়েছি৷
এনসিপির জুলাই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম যারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা৷
মন্তব্য করুন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমওএ)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা তিনি আরো বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে।
সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে ও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।
পাশাপাশি তিনি পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।
বিবিএমওএ-এর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খানসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন