মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নোয়াদ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠলে ভুক্তভোগী মৎস চাষি মানিক ও রাসেল হোসেন বুঝতে পারেন। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষসিাধন হয়েছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। ওইদিন মানিক মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মান্নান মিয়া,রুবেল,শামীম হোসেন ও আব্দুল জলিলকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিভিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন নামের দুই মামাতো ও ফুফাতে ভাই ওই প্রজেক্টে মাছের চাষ করছেন। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মাছের পোনা চাষ করেন। কিন্তু রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে দুই ভাইয়ের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল শুত্রুতার জেরে দিবাগত রাতে মাছের প্রজেক্টে বিষ দেয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের।
ভূক্তভোগী মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মাছ চাষ করে জীবিকা-নির্বাহ করি। বিষ প্রয়োগে আমাদের সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে। গত বছর ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেই। এখন আমরা কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো, কিছুই বুঝতেছি না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের আইনের আওতা এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, নোয়াদ্দা গ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামায় রমজানের শুরুতেই সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের
দাম লাগামহীন। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীতে ব্যবহৃত বেগুনি, শসা ও লেবু দ্বিগুণের বেশি
দামে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি টাকা না দিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ,
কাঁচা মরিচ ও মাছ-মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চার -পাঁচ দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ
ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি। মূলত প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে বিক্রেতারা
খেয়ালখুশিমতো দাম বৃদ্ধি করছেন।
জানা যায়, রমজানে ইফতার সামগ্রী
তৈরিতে ছোলা, বেগুনি, শসা, কাঁচা মরিচ, লেবু ও ভোজ্যতেলের চাহিদা বেশি থাকে। এর মধ্যে
বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেগুনি, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খানসামা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানে প্রকারভেদে বেগুন কেজিপ্রতি ৬০-৭০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। তবে বাজারে স্থিতিশীল
রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম।
শসা কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি গত সপ্তাহে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি
হলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বৃদ্ধি
পেয়ে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোলা প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, বেসন কেজি মানভেদে
৮০-১২০ টাকায়, চিনি ১২০ টাকা ও খেসারির ডাল ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, রমজান ঘিরে পর্যাপ্ত
আমদানি হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া
যাচ্ছে না। যাদের দোকানে পাওয়া যায় সেখানেও নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল সংকটে দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা সয়াবিন
তেল।
অন্যদিকে উপজেলার পাকেরহাট বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কাটা কেজিপ্রতি ২৭০-২৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকা ও লেয়ার কাটা প্রতি কেজি
৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাল্পা
দিয়ে বাড়ছে মাছের দামও।
দিনমজুর রাসেল রানা জানান, রাজনৈতিক
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভেবেছিলাম এ বছর রমজানে বাজার স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু চাহিদা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে
বাজারে বিক্রি হচ্ছিল। সে কারণে মুরগিও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং
ব্যবস্থা নেই। সাধারণ মানুষকে বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হয়।
এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (৩ মার্চ)দুপুরে খানসামা
উপজেলার পাকের হাট, চেহেলগাজী বাজার, ও খানসামা
বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)
কামরুজ্জামান সরকার, দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন,পুলিশ ও আনছারসহ মনিটরিং অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম,
মান, মূল্য তালিকা, পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। তবে ধারাবাহিক মনিটরিং
না থাকায় সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা।
দিনাজপুর জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, রমজানে সিন্ডিকেটে যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা না হয় সে জন্য
নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচুয়া থানার এসআই মোহাম্মদ এনামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার নুরপুর বাজার এলাকায় ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক ও ১টি সিএনজি জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মধ্য লক্ষীপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া ও শহিদুল্লার ছেলে আরিফ হোসেন। আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে ১ কিশোরসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন বেতিল চর এলাকায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো: বেতিল চরের তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪)।
অপরদিকে সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সালাম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের জয়নালের ছেলে কৃষক আব্দুস সালাম।
বজ্রপাতে আহত শিশুরা হলো- বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান (৮) ও বেতিল চরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। এসময় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত হলে দুই শিশু, এক কিশোরসহ চারজনের দেহ ঝলসে যায়। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে এক কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান, বিকেলে ক্ষেত থেকে কাটা ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নোয়াদ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠলে ভুক্তভোগী মৎস চাষি মানিক ও রাসেল হোসেন বুঝতে পারেন। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষসিাধন হয়েছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। ওইদিন মানিক মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মান্নান মিয়া,রুবেল,শামীম হোসেন ও আব্দুল জলিলকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিভিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন নামের দুই মামাতো ও ফুফাতে ভাই ওই প্রজেক্টে মাছের চাষ করছেন। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মাছের পোনা চাষ করেন। কিন্তু রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে দুই ভাইয়ের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল শুত্রুতার জেরে দিবাগত রাতে মাছের প্রজেক্টে বিষ দেয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের।
ভূক্তভোগী মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মাছ চাষ করে জীবিকা-নির্বাহ করি। বিষ প্রয়োগে আমাদের সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে। গত বছর ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেই। এখন আমরা কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো, কিছুই বুঝতেছি না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের আইনের আওতা এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, নোয়াদ্দা গ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ভোলায় গত পাঁচ দিনে ১২টি রাসেলস ভাইপার
সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ১২টি সাপের মধ্যে এলাকাবাসী
১১টি সাপ মেরে ফেলেছে। আর একটি সাপ বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী।
জেলার সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন,
তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও খেলার
মাঠে একের পর এক রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। একের পর এক এই সাপ উদ্ধারে জনসাধারণের
মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সদর উপজেলার শিবপুরের 'গরিবের ডুবাই নামে খ্যাত'
চায়না ইপিজেড বালুর মাঠে একটি, তজুমউদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের একটি বসত বাড়ির
সামনে ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের জসিম হাওলাদারের বাড়িতে একটি রাসেলস ভাইপার
পাওয়া যায়।
এছাড়াও গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে জেলার
তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠ, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সদর উপজেলার
পূর্ব ইলিশায় ইউনিয়নে পাকার মাথা এলাকায় বসত বাড়ির পাশের জালের সঙ্গে পেঁচানো অবস্থায়
একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের
জালু মাঝির বসতঘর, রোববার (১৬ জুন) লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ
এলাকায় একটি বাড়ির শৌচাগার, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের
বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও ৫টি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে
পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এর মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া
একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে সর্বসাধারণের মাঝে
রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে
জেলার সর্বত্র সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এর আগে সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের
কুকরি-মুকড়ি, ঢালচর কিংবা মনপুরা উপজেলায় দেখা মিললেও এবার সদর উপজেলাসহ প্রায় সবস্থানেই
সাপের বিচরণ বেড়েছে। একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে বিভিন্ন এলাকায়।
স্থানীয় জেলে জয়নাল মাঝি বলেন, নদীতে
মাছ শিকার করে ঘাটের দিকে যাওয়ার সময় বালুর মধ্যে এই সাপটি দেখতে পাই। পরে আরও লোকজন
এসে সাপটিকে রাসেলস ভাইপার বলে নাম দেয়। এই সাপ এর আগে আর কখনো দেখিনি। সাপটি দেখতেও
অনেক ভয়ানক। অন্য সাপের থেকে দেখতে আলাদা। সাপটি দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে মেরে ফেলে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল
হক বলেন, রাসেল ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেয়ার কারণে হয়তো
ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
ফাতেমাতুজ জোহরা তন্বী, প্রতিবেদক :
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগৎপুর এলাকা থেকে নোমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে একটি বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী অবৈধভাবে ও অনুমতি ব্যতীত বানরটি রাখার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করার শপথও প্রদান করেন।
বানরটিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বানরটি লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি টেলিকম দোকানে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা
করে অবৈধ অশ্লীল ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামিরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে এম. আর টেলিকমের
মালিক জহিরুল ইসলাম (৩৬) ও পশ্চিম রেইসকোর্স এলাকার মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে মা টেলিকমের
মালিক জাকির হোসেন (৪৫)।
অভিযানে
তাদের দোকান থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষিত বিভিন্ন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত
দ্রব্যাদির মধ্যে রয়েছে ২টি হার্ডডিস্ক, ৩টি পেনড্রাইভ, ৬টি মেমোরি কার্ড ও একটি কার্ড
রিডার।
গ্রেফতারকৃত
আসামিদের স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দকৃত আলামতও পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ
ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
দেশের
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এই ২ জেলায় আজ তাপমাত্রা
৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
মঙ্গলবার
(২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে।
আজ
মঙ্গলবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও
উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
জেলা
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, তীব্র শীতের কারণে সারা দেশে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারা দেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০টায়। যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে,
সেসব জেলার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনাও বহাল রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ১০ ডিগ্রির কম। সে অনুযায়ী
প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে যেদিন এ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কম থাকবে সেদিনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে
বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দ্বিতীয় দিনে মাঝারি শৈত্য প্রবাহে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার
(২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে
সিরাজগঞ্জের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সোমবার দুপুরের দিকে জেলার
মোট ৩৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯২টি মাদরাসা ও ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
করা হয়েছে।
জেলা
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, এ জেলার ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল
এলাকায় একটি কোল্ডস্টোরেজ থেকে অবৈধভাবে মজুত করা জব্দকৃত ৪ লাখ ২৭ হাজার পিস ডিম
নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের নিলামে বিক্রয়কৃত
ডিমের মূল্য ২৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমাই উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
তিনি জানান, জেলাপ্রশাসকের নির্দেশনায়
বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে অবৈধ মজুদ আছে কি না জানতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ
হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে
অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান ডিমের মজুদ সন্ধান পান ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারজানা আক্তার তাৎক্ষনিকভাবে অবৈধভাবে মজুদকৃত ডিম
নিলামে বিক্রি করেন এবং অবৈধ মজুদারির দায়ে কোল্ডস্টোরেজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
কৃষি বিপনন আইন অনুযায়ী ডিমের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ থেকে
১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন। এখানে গিয়ে দেখা গেছে- মাসের পর মাস ধরে মজুদ করা হয়েছে। তার মানে এসব অবৈধ মজুদ। এর আগেও এই কোল্ডস্টোরেজ
থেকে ২১ লাখ ডিমের বিশাল অবৈধ মজুদ জব্দ করে বাজারজাত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রকাশ্য নিলামে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ প্রায়
৬ টাকা পিস দরে ৪ লাখ ২৭ হাজার পিস ডিম কিনে নেন লালমাই উপজেলার ব্যবসায়ি লোকমান হোসেন।
তিনি জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
প্রকাশ্য নিলামে ডিম বিক্রি করেন। আমি ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিমের টাকা জমা দিয়ে নিলাম থেকে
ডিম কিনেছি।
মন্তব্য করুন