

মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম:
বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আবু রায়হান নামের এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করেছেন এক তরুণী। আবু রায়হান (২৩) কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ঐ তরুণী জানান,
বিয়ের কথা বললে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। বাধ্য হয়ে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রায়হানদের বাড়িতে
যান। তার উপস্থিতির খবর পেয়ে রায়হান সহ তার বাড়ির সকল সদস্য দ্রুত বাড়ি থেকে পালিয়ে
যান।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট এলাকা থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড এর যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে এসব জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এসব তথ্য জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে বড় স্টেশন মাছ ঘাট থেকে ২২০ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়। এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়। চিংড়ির মালিকানা কেউ দাবি না করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানেউপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম. শফিকুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


খুলনার পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে ৪ কসাইকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার (৩ জুন) সকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে উপজেলার কুমখালী গ্রামের রমেশ বৈদ্যের দুটি গরু অসুস্থ হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি গরু সুস্থ হলেও অন্যটি মারা যায়। সেই মরা গরুটি রমেশ বৈদ্যের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয় গড়ইখালী ইউপির আল আমিন মোড়ে কসাই ইলিয়াস গাজী ও তার সঙ্গীরা।
পরে ওই মাঠে জবাই করে ভ্যানযোগে দোকানে নিয়ে গিয়ে ৫শ টাকা দরে ২০ জনের নিকট বিক্রি করে। পরে মরা গরু জানাজানি হলে খবর পেয়ে ১০ মে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরা গরুর মাংসের প্রমাণ পেয়ে পচা মাংস জব্দ করেন ও কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেন।
এ ঘটনায় কসাই ইলিয়াস গাজী, খানজাহান গাজী ওরফে খানজে, জাকির সানা, মোকছেদ গাজীর নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ধারায় মামলা করেন। মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের ৩ জুন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য
পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল জানান, অনিরাপদ খাদ্যদ্রব্য যারা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন করলে
তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই অভিযান অব্যাহত
থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি জব্দ করেছে।
আজ
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শিবের বাজার
বিওপি এর বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ২১০২ থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোনাপুর
এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য প্রস্তুত বিভিন্ন প্রকার
৪৮৭ পিস ভারতীয় শাড়ি আটক করা হয়।
আটককৃত
শাড়িগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৭ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা সদর উপজেলায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মা–ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন বসন্তপুর গ্রামের কামাল। এ ঘটনার জেরে প্রতিবেশী বিল্লাল তার ওপর অতর্কিতে হামলা করে। ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে কামাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে কামালের মা-কেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে বিল্লাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কামালের মায়ের পেট ফেটে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বিল্লালের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্ত চলছে। হামলাকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার পর পাঁচথুবী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
নগরীর কাটাবিল এলাকার দুই ভাইয়ের এক ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্নতে খতনা
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার
রাতে কাটাবিল এলাকার মো: রুবেল গাজির ২ ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী ( ৯) এবং আব্দুর রহমান
গাজী ( ৭) এর সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
রুবেল
গাজীর ২ ছেলের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে সাউণ্ড বক্স দিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজনা, নাচানাচি,
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান না করে কোরআন তেলাওয়াত, গজল – ক্বাসিদা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
করে এলাকাবাসীকে নিয়ে ছেলেদের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান পালন করেন।
সোমবার
(১৫ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা কাটাবিল জামে মসজিদ
কমিটির সহ-সভাপতি আহমেদ জোরফান বেলাল।
আহমেদ
জোরফান বেলাল জানান, কুমিল্লা নগরীর প্রায় সব এলাকায় বিয়ে, সুন্নতে খতনা এবং জন্মদিনের
অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান বাজনা করা, ডিজে পার্টি করা এবং নাচানাচি করার প্রবণতা দেখা
যায়। সেখানে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল
এবং গজল দিয়ে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান করা
এখন এ সমাজে বিরল।
মো:
রুবেল গাজী বলেন, আমার সন্তানদের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে সাউণ্ড বক্সে উচ্চ শব্দে
গান বাজনা ডিজে অনুষ্ঠান এজন্য করিনি কারণ সুন্নতে খতনা আমাদের নবীজীর একটি সুন্নত
তাই এখানে সুন্নত বিরোধী কাজ না করে মিলাদ মাহফিল ও গজলের অনুষ্ঠান এলাকা বাসীকে নিয়ে
একসাথে পালন করেছি। শুক্রবারে আমাদের মসজিদের
ইমাম সাহেব খুৎবাতে বিয়ে, জন্মদিন, সুন্নতে খাৎনায় ডিজে পার্টির মত শরিয়ত বিরোধী কাজ না করে কোরআন তেলাওয়াত, গজল ও মিলাদ মাহফিলের
মাধ্যমে আয়োজন করার জন্য বলেন। ইমাম সাহেবের সে বক্তব্য থেকে আমি অনুপ্রানিত হয়ে এমন
অনুষ্ঠান করেছি।
কাটাবিল
জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা হাফেজ বাইজিদ রাজা রজবি আলক্বাদেরী বলেন, আমি শুক্রবারের
বাংলা খুৎবাতে জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠানে শরিয়ত বিরোধী
উচ্চ শব্দে গানবাজনা এবং ডিজে পার্টি না করার জন্য কোরআন হাদিস ও ইসলামী শরীয়তের আলোকে বক্তব্য রেখেছি। আমার এ আহবানে সাড়া দিয়ে রুবেল গাজী তার নিজের ২
ছেলের অনুষ্ঠানে এরকম ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান করেছেন।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার আহ্বায়ক জাকি মোঃ আহসান হাবিব সজিব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। কর্মী সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস জেলা শাখার সদস্য সচিব নুর জামাল বাহাদুর। জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন জাসাস রাজিবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহে আলম। কর্মী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজিবপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুব রশিদ মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, যুবদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মিরন মোঃ ইলিয়াস, আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ লিখন, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব মোঃ কামাল হোসেন বিএসসি, কৃষক দল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ সুরমান আলী সাবেক মেম্বার, সদস্য সচিব মোঃ আবু সাঈদ কাসেম, ছাত্রদল রাজিবপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ মোখলেসুর রহমান, সদস্য সচিব নাজমুল মাহমুদ, কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ পলাশ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন চাপাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ বকুল মিয়া নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর হেফাজত
হতে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি অটো মিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ বকুল মিয়া (৩৮) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বিবির বাজার গ্রামের মৃত সামছু
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত অটো মিশুক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।
আজ বুধবার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে “মানসম্মত হেলমেট নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ফারুক আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার শাহিনুর আলম খান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আদনান ইবনে হাসান, মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, পরিবহন মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া চালক সংগঠনের প্রতিনিধি, রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন অনুষ্ঠানে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য প্রাণ ঝরছে অসচেতনতা, অতিরিক্ত গতি, অবৈধ পার্কিং ও নিয়ম না মানার কারণে। তারা বলেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ নয়, চালক, যাত্রী ও পথচারী সবার মধ্যেই ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বক্তারা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, মানসম্মত হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, ওভারটেকিং নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহনের নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা জোরদারের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, “সরকার বিভিন্ন আইন ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিচ্ছে, কিন্তু তবুও মৃত্যুর মিছিল থামছে না। সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, চালকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ, রাস্তার মানোন্নয়ন ও ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব। “জনসচেতনতা ও সহযোগিতা ছাড়া কোনো উদ্যোগই সফল হবে না,” যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়
উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের
দ্বিতীয়া তিথিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) কুমিল্লা জগন্নাথপুর শ্রী শ্রী
জগন্নাথ দেবের মন্দির ও নগরী ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরের যৌথ আয়োজনে শ্রী
শ্রী জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন
আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন
এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার-রাজগঞ্জ-কান্দিরপাড়
হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এসে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা।
ওই শোভাযাত্রায় লাখো পূণ্যার্থী ও ভক্তের সমাগম ঘটে। এতে সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি
ছিলো চোখে পড়ার মতো। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন
এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব
হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন
জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয়
না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ কুমিল্লা জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর দুইটায় ধর্ম সভা শেষে সাড়ে ৪টায় বেলুন উড়িয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
রথযাত্রা মহোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
বলেন- অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা
বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই
স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র৷ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো
ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে৷ এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক
চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি
শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমানসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির হতে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী জগন্নাথদেব, বলদেব ও শুভদ্রাদেবের ৩টি পৃথক রথারোহনের মাধ্যমে মাসির বাড়ি পাথুরিয়া পাড়া আগমন করেন। সেখান তিনি প্রায় আটদিন অবস্থান করার পর পুনরায় উল্টো রথে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবেন। প্রতি বছর হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে থাকে রথযাত্রা উৎসবে।
এদিকে, আগামী ১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো
রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও
দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং
দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন
সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও
চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা'র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা
মহোৎসব।
মন্তব্য করুন


গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩
ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক
২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু
থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, এখনো যা বিদ্যমান আছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো.
শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল) হতে
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি
বাড়তে পারে।
এর
আগের আরও তিনবার তথা গত ৩, ১৯ ও ২২ এপ্রিল তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা
হয়েছিল। তবে প্রথম দুইবার তাপমাত্রা বাড়ার আভাস ছিল।
চলতি
মাসে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। মাঝে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেলে বর্তমানে কিছুটা
কমেছে।
২০২৩
সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি
সেলসিয়াসে।
এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই রেকর্ড
এখনো ভাঙেনি।
মন্তব্য করুন