প্রথমবারের মতো স্যামসাংকে পেছনে ফেলল অ্যাপল

প্রথমবারের মতো স্যামসাংকে পেছনে ফেলল অ্যাপল
প্রতীকী ছবি

বৈশ্বিক স্মার্টফোন সরবরাহে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্যামসাংকে পেছনে ফেলল বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল।

গেল বছর বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহে স্যামসাংয়ের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা ফোনের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি ছিল অ্যাপলের।বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর স্যামসাংসহ শাওমি, অপো ও চীনা ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘ট্রান্সশন’ বিশ্ব বাজারের প্রায় ২০ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন।

শাওমি, অপো ও ট্রান্সশনের বৈশ্বিক স্মার্টফোন শিপমেন্ট যথাক্রমে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ, ১০ কোটি ৩১ লাখ ও নয় কোটি ৪৯ লাখ

আইডিসি আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অ্যাপল সারা বিশ্বে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন পাঠিয়েছে, যা পুরো বাজারের ২০ দশমিক এক শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। অন্যদিকে স্যামসাং সারা বিশ্বে ২২ কোটি ৬৬ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে যা স্মার্টফোন শিপমেন্টে বাজারের ১৯ দশমিক চার শতাংশ।

২০১০ সাল থেকেই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল স্যামসাং। তার আগে শীর্ষে ছিল ফিনিশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ‘নোকিয়া’। এমনকি অ্যাপল তখন শীর্ষ পাঁচেও স্থান পায়নি।

 আইডিসি বলছে, গত বছর সামগ্রিকভাবে কমেছে স্মার্টফোনের বিক্রি। ২০২৩ সালে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি যা আগের বছরের তুলনায় তিন দশমিক দুই শতাংশ কম।

এটি এক দশকের মধ্যে স্মার্টফোন বিক্রি হওয়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে এবং উচ্চ সুদ হারের কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মুখে রয়েছেন অনেক মানুষ। তবে এ বছর বাজার পুনরুদ্ধার হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস
সংগৃহীত

আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস।  আর এই দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ কিছু উপহার দিতে পারেন। সেই মানুষটিকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তিনি।

পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে ফেলেছিল রাশিয়া।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস পালন। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

রোমে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে ভ্যাটিকানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

রোমে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে ভ্যাটিকানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
সংগৃহীত

ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড গতকাল শনিবার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।

তাঁরা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস উল্লেখ করেন, পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁর লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।

অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।

গত নভেম্বরে, রোমে পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি জিরো ক্লাব উদ্বোধন করা হয়, যার লক্ষ্য অধ্যাপক ইউনূসের ‘শূন্য বেকারত্ব, শূন্য সম্পদ মজুদ এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমন’ ভিশন বাস্তবায়ন।

অধ্যাপক ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, আমি মুসলিম, তবুও পোপ ফ্রান্সিস কখনোই তাঁর নাম একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সাথে যুক্ত হওয়া নিয়ে আপত্তি করেননি।

তিনি আরও জানান, তাঁকে ক্যাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে সেন্ট ফ্রান্সিস অব অ্যাসিসির টর্চ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল, ১৩ শতকের ইতালিয়ান সাধক ও মিসটিকের চেতনা ধারণ করার জন্য।

পোপের সাথে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি কখনোই আমাকে বহিরাগত ভাবেননি।’

কার্ডিনাল তোমাসি এবং কার্ডিনাল কুভাকাড জানান, তাঁরা উভয়েই ভ্যাটিকানের কার্ডিনাল কলেজের সদস্য এবং আগামী সপ্তাহে নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য বৈঠক করবেন। তাঁদের দুজনকেই চার্চের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

কার্ডিনাল তোমাসির সাথে সাক্ষাৎ:

জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসের ভ্যাটিকানের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই ইউক্রেন এবং গাজায় সংঘাত বন্ধে পোপ ফ্রান্সিসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

ভিয়েতনাম যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সেখানে সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’

তিনি এ অঞ্চলে আরও শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং উত্তেজনার সময় শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক ইউনূসও ভিয়েতনামের চমৎকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মডেল অনুসরণ করছে।

কার্ডিনাল তোমাসি আশা প্রকাশ করেন, পোপ ফ্রান্সিসের মতোই পরবর্তী পোপ সরলতা বজায় রাখবেন এবং আন্তঃদেশীয় শান্তি সংলাপকে এগিয়ে নেবেন।

কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাডের সাথে সাক্ষাৎ:

এর আগে বিকেলে, ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হোটেলে সাক্ষাৎ করেন।

কেরালার বাসিন্দা কার্ডিনাল কুভাকাড জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা অংশ নেবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় দেশের অঙ্গীকার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন, যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আরিফুল ইসলাম এবং ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

কবরস্থান পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী! কবর খুঁড়ে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল

কবরস্থান পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী! কবর খুঁড়ে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল
ফাইল ফটো

গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট গভীররাতে  গোটা সিয়ারা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের ব্যবহার।

মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।

শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থান গুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা।


হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’।

এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।

যে সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।

এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য।

গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’

জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।

কুশ ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী। তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।

২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।

২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।

এই মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।

চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্‌যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।

এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ নামক মাদকের এক জাতীয় মাদকের ব্যবহার রুখতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামক ছোট্ট দেশটির কাছে এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই মাদক। শুধু জরুরি অবস্থা জারি করে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি সে দেশের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো, কবরস্থানগুলিতে মোতায়েন করতে হয়েছে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী।

সিয়েরা লিওনে এখন আতঙ্কের কারণ কুশ। কুশ এক ধরনের মাদক। কিন্তু সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের কাছেই কুশ যেন ‘অমৃত’। হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন এই মাদকের পিছনে। ভয়াবহতা আর তৈরির প্রক্রিয়ার জন্য একে ‘পিশাচ মাদক’ও বলা হয়।

যে সব পদার্থ মিশিয়ে কুশ তৈরি করা হয়, তা চিকিৎসকদের আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকেই এই মাদককে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বলেও উল্লেখ করছেন। বহু প্রচার করেও এই মাদক ব্যবহার থেকে দেশের

মানুষকে বিরত করতে পারেনি প্রশাসন। দেশে তাই জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না বলে দাবি করেছেন বায়ো।

গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গোটা সিয়েরা লিওন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থার নেপথ্যে একমাত্র কারণ কুশ! তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে বিধ্বংসী সিন্থেটিক মাদক কুশের অপব্যবহারের কারণে আমাদের দেশ অস্তিত্বগত সঙ্কটে ভুগছে। এই মাদক এক মৃত্যুফাঁদ। মানুষ এই মাদক সেবন করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’’কুশ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফেন্টানাইল, গাঁজা, ফর্মালডিহাইড জাতীয় দ্রব্য। শুধু তা-ই নয়, এই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। আর এই সালফার জোগাড় করতেই প্রয়োজন পড়ছে মানুষের হাড়! হাড় গুঁড়ো করে মাদকে মেশানো হচ্ছে।

 মানুষের হাড় জোগাড় করতে মাদক প্রস্তুতকারকেরা হানা দিচ্ছেন কবরস্থানে। কবর খুঁড়ে বার করে আনা হচ্ছে মানুষের কঙ্কাল। তার পর সেই কঙ্কালের হাড় গুঁড়ো করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেলা হচ্ছে কুশ। সিগারেট, বিড়ি বা গাঁজার মতো এই মাদক সেবন করছেন সিয়েরা লিওনের বাসিন্দারা।কবর থেকে কঙ্কাল চুরি আটকাতে কবরস্থানের চারপাশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে সিয়েরা লিওন সরকার। সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। জুলিয়াস সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ভাবেই হোক কুশ ব্যবহার আটকাবেই তারা।

 বছর কয়েক আগেও এই দেশের অবস্থা এমন ভয়াবহ ছিল না। বর্তমানে গোটা দেশ যেন নেশায় আচ্ছন্ন। যে ব্যক্তি এই মাদক সেবন করেন, তিনি কয়েক ঘণ্টা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক এক বার সেবন করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। দু’বেলা পেটভরা খাবার জোগাতে হিমশিম খান বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু খাবারের থেকেও কুশ সেবনের প্রবণতা বেশি। আর তা কেনার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধ জগতে পা দিচ্ছেন অনেকেই।


কুশ ব্যবহারের ফলে স্নায়ু শিথিল হয়ে যায়। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি হারিয়ে ফেলেন সেবনকারী। তবে কুশে ব্যবহৃত ফেন্টানাইলের মতো দ্রব্যগুলির নেতিবাচক প্রভাব ভয়ঙ্কর।এই মাদকের ফলে সিয়েরা লিওনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সে দেশের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কুশ মাদকে আসক্ত। এই মাদকে আসক্ত অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।

 ২০২০ সালেও সিয়েরা লিওনে এই মাদকের ব্যবহার এতটা ছিল না। সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে গোটা দেশে কুশ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৭। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০১।


২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই মাদক ব্যবহার বেড়েছে চার হাজার শতাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরুষ। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিরাই এই মাদকে আসক্ত হচ্ছেন বেশি।

 চিকিৎসকদের মতে, কুশ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্‌যন্ত্র, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি এবং ফুসফুসে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। ফলে এক বা একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রধানত অঙ্গ বিকল হয়েই মৃত্যু হয় কুশ মাদকে আসক্ত ব্যক্তির।

 এই কুশের দাম বেশ কম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৮০০ টাকার মাদক কিনে বেশ কয়েক জন নেশা করেন। তবে যে দেশের বার্ষিক আয় মাত্র ৪২ হাজার টাকা, সে দেশের মানুষের কাছে কুশ এক বিলাসিতা। কিন্তু নেশার টানে সেই বিলাসিতার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার যুবক।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস
সংগৃহীত

আজ শনিবার তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।

ভারতের নয়াদিল্লিতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই সামিটে যুক্ত দিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড, যেখানে একাধিক দেশ যুক্ত ছিল। এই সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সামিটে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ফোনালাপে সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি। তখন আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি হন প্রধান উপদেষ্টা।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

ঢাকায় এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি প্রতিনিধি দল।

আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে।

মার্কিন প্রতিনিধিদল আগামী ২২-২৫ নভেম্বর ঢাকা সফর করবে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ। এছাড়া রয়েছেন শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

ঢাকা সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক  শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সে সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয়।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ভুটানের পথে রাজা জিগমে

কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ভুটানের পথে রাজা জিগমে
সংগৃহীত

মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সস্ত্রীক ভুটান ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সস্ত্রীক ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক।

এর আগে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজ থেকে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে ধরলার পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে যান এবং পনের মিনিট স্থানটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এর পরে রাজা সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে রওয়ানা দেন। রাজা সড়ক পথে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে  কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার সেরে নেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তিনি ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজা পনের মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থলবন্দরে বিশেষ ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাজা। বাংলাদেশ-ভুটান দুদেশের যৌথ উদ্যোগে ধরলা পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে প্রশাসন। ভুটানের রাজার আগমনে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম ৪- আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ সহ আরও অনেকেই। 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

ঈদে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ১২০০ জন হাসপাতালে

ঈদে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ১২০০ জন হাসপাতালে
প্রতীকী ছবি

ঈদুল আযহা উপলক্ষে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার (১৯ জুন) প্রতিবেদনে (খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের) বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ১২০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ঈদে অতিরিক্ত আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৫০০ জন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ অসিম জানান, শুধু পেশোয়ারে ২৪ ঘণ্টায় পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগে ৬১০ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতিরিক্ত খাবার ও মাংস খেয়েছেন। আর পাঞ্জাব প্রদেশের ৬টি বড় হাসপাতালে ঈদের ছুটির সময় ২ হাজার ২০০ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮০ জন পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা, ডায়রিয়া ও পেটের ব্যথা নিয়ে আসেন। একইভাবে লাহোরের জিন্নাহ হাসপাতালে ১৩০ জনেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। এ ছাড়া লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতাল, গঙ্গা রাম এবং মেয়ো হাসপাতালের প্রতিটিতে ১০০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ঈদুল আজহা উদযাপনে নাগরিকদের পরিমিতভাবে মাংস খাওয়া এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার

ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় আনার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার
সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।

আজ সোমবার ( ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।

১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সে সব কথা জানান।

বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার সহযোগীরা যে ব্যাপক টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে।

বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।

সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানান ইইউ প্রতিনিধিরা। বেশ কিছু পরামর্শ সুপারিশ তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিমের অভিযান অব্যাহত

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিমের অভিযান অব্যাহত
সংগৃহীত

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশের উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিমের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে জুবু থিরি টাউনশিপ এবং নেপিদো এলাকার কয়েকটি বিল্ডিং এ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে, মিয়ানমার এর স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও উদ্ধারকারী দলের জন্য খাদ্য ও পানি সরবরাহ করে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন মিয়ানমারের স্থানীয় লোকজন। এদিকে, বাংলাদেশের চিকিৎসা দলটি বালা থেইড্ডি নামক এলাকায় নির্মাণাধীন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপরই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে গত ৩০ মার্চ এবং ০১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারে সামরিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং মেডিকেল টিম প্রেরণ করা হয়।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০

না ফেরার দেশে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ

না ফেরার দেশে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কোচ
ফাইল ছবি

৮৫ বছর বয়সে চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানো ক্যারিশম্যাটিক কোচ সেজার লুইস মেনোত্তি।

এক্স হ্যান্ডেলে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়ে এএফএ লিখেছে, আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,  মেনোত্তিকে মার্চ মাসে গুরুতর রক্তাস্বল্পতা নিয়ে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি এপ্রিল মাসে ফ্লেবিটিসের জন্য অস্ত্রোপচার করেছিলেন এবং পরে দেশে ফিরে আসেন বলে জানা গেছে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে তাকে সবচেয়ে প্রভাবশালী কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মেনোত্তি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আর্জেন্টিনার কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগী সদস্য হবার পাশাপাশি বক্সিং অনুরাগী ছিলেন। তিনি রোজারিও সেন্ট্রাল (১৯৬০-৬৩ এবং ১৯৬৭) এর একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তারপরে রেসিং ক্লাব (১৯৬৪) এবং বোকা জুনিয়র্স (১৯৬৫-১৯৬৬)সহ একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেন। 

মেনোত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক জেনারেলদের হয়ে খেলেছেন (১৯৬৭), তারপরে ব্রাজিলের সান্তোস (১৯৬৮) এবং ইতালির জুভেন্টাসের (১৯৬৯-১৯৭০) হয়েও তাকে খেলতে দেখা গেছে।

মেনোত্তি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। বিশ্বকাপের প্রাক্কালে, মেনোত্তি ১৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছিলেন-যে সিদ্ধান্তের জন্য উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি নয়। পরবর্তীতে মেনোত্তি ১৯৯১-৯২ সালে মেক্সিকো জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। তিনি বার্সেলোনাকেও নেতৃত্ব দেন, যেখানে তার স্কোয়াডে ম্যারাডোনা ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, উরুগুয়ের পেনারোল, ইতালির সাম্পডোরিয়া এবং মেক্সিকোর টেকোসে ছিল তার শেষ কোচিং জীবন। মেনোত্তি সিগারেটে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে তার তামাক আসক্তির কারণে তিন দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তিনি এই অভ্যাস ছেড়ে দেন। 

মেনোত্তি  একজায়গায় রসিকতা করে বলেছিলেন, আমাকে না হারানো পর্যন্ত আমি আমার চুল কাটব না। মেনোত্তির হাত ধরেই সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতি থেকে সরে এসে রোমান্টিক ধাঁচের ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জিতেছে আর্জেন্টিনা।

মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি লিখেছেন, আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিরল ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’য় প্রাণ গেল ১৯ জনের , লক্ষণগুলো

সেনাপ্রধানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

জাপানের ওসাকাতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত শহীদ পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা

রাতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলাকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

চোর সন্দেহে গুগল ম্যাপস কর্মীদের গণপিটুনি

১০

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের

১১

প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর বৈঠক: সার্ক পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন ড. ইউনূস

১২

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক চুক্তি সরকারের বড় সাফল্য : প্রেস সচিব

১৩

ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৭১ জনের

১৪

বিশ্ব মানবতা দিবস : এক মানবিক বোধের জাগরণ

১৫

বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের

১৬

৫ লাখ টাকার ললিপপ অর্ডার করল শিশু !

১৭

মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৮

জাপানের মাউন্ট ফুজির চূড়ায় কুমিল্লার ছেলে ইকবাল

১৯

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

২০