

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির আক্রমণে উসমান আলী (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গারো পাহাড়ে শুক্রবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে একদল বন্যহাতি নাকুগাঁও পাহাড়ি এলাকায় বোরো ধানের ক্ষেতে ঢুকে যায়। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষেত বাঁচাতে বন্যহাতি তাড়াতে যান। হাতি তা ড়ানোর একপর্যায়ে বন্যহাতির দল পাল্টা তাড়া দিলে উসমান আলীসহ অন্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় পা পিছলে খেতের আইলে পড়ে গেলে পাশে থাকা বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উসমানকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
প্রাণ হারানো উসমান আলী ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, আড়াই মাস আগে বিয়ে করেন উসমান। তিনি ও তার পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
"কৃষিই সমৃদ্ধি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ৩দিন ব্যাপী কৃষি মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধন উপলক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সাড়ে ১০টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে ৩দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, পিতা কাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াসির আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আয়শা আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল ইসলাম কাজল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার, টামটা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌসিব উদ্দিন।
উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইউনুছ মিয়া, বলরাম সাহা, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ মকবুল হোসেনসহ সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষক ও এলাকার সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ময়মনসিংহের নান্দাইলে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর থেকে এক নারীর ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকারে চারপাশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশাটিকে ধাওয়া করে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে আটক করেন চালককে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের চণ্ডীপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক চালকের নাম মো. আলমগীর হোসেন (৩৫), তিনি নেত্রকানার কেন্দুয়া উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আলমগীর বিবাহিত। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে নান্দাইলের মুক্তা বেগম (২২) নামে এক তরুণীর পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে পরিবারের পছন্দে অন্যত্র মুক্তার বিয়ে হয়ে গেলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আলমগীর।
মুক্তার বড় বোন মীম জানান, কয়েকদিন আগে বোন মুক্তা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পরে বুধবার সকালে মীম আলমগীরের খোঁজ পেয়ে তার কাছে বোনের অবস্থান জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমগীর জোর করে মীমকে সিএনজিতে তুলে দ্রুত চলে যেতে থাকেন। মীম বলেন, “চালক আলমগীর আমাকে সিএনজিতে তোলার পর হুমকি দিচ্ছিলেন যে, আঠারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবেন। তখনই আমি চিৎকার শুরু করি।”
নান্দাইল নতুনবাজার কলেজগেট এলাকায় পৌঁছানোর পর মীম প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা অটোরিকশাটি ধাওয়া করেন। কিছু দূর গিয়ে তারা চালক আলমগীরকে আটক করতে সক্ষম হন।
অভিযুক্ত আলমগীর দাবি করেন, “আমি মুক্তাকে বিয়ে করেছি, আমাদের সংসারও চলছে। তার পরিবার আমাকে মারধর করেছিল। রাগের বশে মীমকে সিএনজিতে তুলি, অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরোজ মিয়া জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় চালক আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১২পিচ স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে এ স্বর্নের চালানটি আটক করা হয়। এসময় ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম (১১৯.৯৮ ভরি) ওজনের ১২পিচ স্বর্ণের বার এবং ০১টি মোটর সাইকেলসহ ৩ জন আটক।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের আজমীর, জালাল ও নুরুজ্জামান।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিএসসি, জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি স্বর্ণের একটি চালান বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দৌলতপুর বিওপি’র একটি টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৭০ আর পিলার হতে আনুমানিক ৭.৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দৌলতপুর গ্রামস্থ রাস্তার পার্শ্বে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়।
কিছু সময় পর বিজিবি টহল দল বেনাপোল হতে দৌলতপুর অভিমুখে ০১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে এবং টহল দলের নিকটবর্তী আসলে মোটর সাইকেল থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের তল্লাশী করে ০১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আটককৃত স্বর্ন ১,২৫,৯৮,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেল ১,৫০,০০০/- টাকা। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারী অফিসে এবং আসামী ও মোটর সাইকেল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন।
আজ , মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। গার্মেন্টসের দ্বিতীয় তলা থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা “ তালহা বিন জসিম”। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই পাশে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজমারায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আলোচিত
কামাল
মোল্লা
হত্যা
মামলার
প্রধান
আসামী
ফাহিমকে গ্রেফতার করেছে
হাতিয়া
নৌবাহিনীর একটি
আভিযানিক দল।
গেল রাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর, হাতিয়া
কন্টিনজেন্ট এর
লেফটেন্যান্ট আল
মুমেনের নেতৃত্বে নৌবাহিনীর একটি
দল
গোপন
সুত্রের ভিত্তিতে জাহাজমারা আমতলীতে পূর্ব
শত্রুতার জেরে
বৃদ্ধা
আবুল
কালাম
মোল্লাকে হত্যার
প্রধান
আসামি
সন্ত্রাসী ফাহিমকে গ্রেফতার করা
হয়।
গত বুধবার (০৪
সেপ্টেম্বর) জাহাজমারা নতুন
সুখচর
আজিমনগর কামাল
মোল্লাকে পিটিয়ে
হত্যার
পর
৬
জন
আসামীকে গ্রেফতার করলে
প্রধান
আসামি
ফাহিম
ছিল
পলাতক।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসান
আহমেদ
জানান,
উক্ত
হত্যাকাণ্ডে মোট
১৩
জনের
মধ্যে
প্রধান
আসামী
সহ
৭
জনকে
আটক
করা
হয়েছে
।
বাকীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান
রয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর তুরাগ এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বিথী আক্তার ওরফে বিলকিস (৩৫) নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তুরাগ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- নিহত বিথীর স্বামী মো. বাবুল মিয়া (৪৭) ও তার বন্ধু মো. সম্রাট (২০)।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বিথী আক্তার নিখোঁজ হন। তার মা মনোয়ারা বেগম ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুরাগ থানাধীন রাজউকের ১৭ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে কাশবনের মধ্যে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত বিথীর মা মনোয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন ওই মরদেহ তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তুরাগ থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তার মেয়ে বিথীকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর তুরাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে পল্লবী থানা পুলিশের সহায়তায় মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিথীর স্বামী বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর-১২ কালাপানি এলাকা থেকে তার বন্ধু সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা পারিবারিক কলহের জেরে ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। নিহতের স্বামী বাবুল আমাদের জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দাম্পত্য কলহ চলছে। কলহের পেছনে বড় কারণ হচ্ছে তিনি এবং তার স্ত্রী প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা মানুষের কাছ থেকে সুদের ওপরে গ্রহণ করেছেন। এ টাকার অনেক সুদ তাকে দিতে হয়। বাবুল চাকরি করে ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে। তিনি মাসে ৩১ হাজার টাকার মতো বেতন পান। প্রতি মাসে সুদের টাকা দিতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি যখন বাসায় যাচ্ছেন তার স্ত্রী বলেন যে, মানুষ সুদের টাকার জন্য সবসময় আসছে। এতে তিনি ঘুমাতে পারেন না, খেতে পারেন না। সবসময় পাওনাদাররা আসেন তার বাসায়। এটা নিয়ে তার স্ত্রী খুব বকাবকি করেন এবং এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
তিনি আরও বলেন, গত দুই থেকে তিন মাস আগে বাবুল স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। হত্যার সময় তার সঙ্গে তার চারজন বন্ধু ছিলেন। এর একজন সম্রাট। বাকি দুজনের নামও আমাদের কাছে রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন আমরা প্রকাশ করছি না।
স্ত্রী হত্যায় যারা তার সঙ্গে ছিল তারা কি ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, এ ঘটনায় সম্রাট ছিলেন বলে বাবুল জানিয়েছেন। বাবুল স্ত্রীকে হত্যার জন্য তাদের ৫০ থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসে প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকা ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই অফিসে আকস্মিক হামলা ও মারধরের ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি প্রণোদনার সুবিধাভোগীদের তালিকায় পছন্দের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা চালান।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা প্রশাসন ভবনের সামনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, “আমরা সরকারি চাকরিজীবীরা এখন কর্মস্থল বা রাস্তায় কোথাও নিরাপদ নই। হামলাকারীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এ সময় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনার পর মামলা হয়েছে, কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমাদের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি।”
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রণোদনার তালিকায় ইচ্ছেমতো নাম যুক্ত করার জন্য কৃষি কর্মকর্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শেরপুর খামারবাড়ির উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সরকারি দপ্তরে ঢুকে কর্মকর্তার ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
নকলা থানার ওসি জানান, সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাহাত হাসান কাইয়ুমসহ দুইজনকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের হোটেল সবুজ বিপনির আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালবাড়ি এলকার আলাউদ্দিনের পুত্র সারোয়ার খান (২৫), নগরীর বন্দর বাজার পুরান লেনের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ইয়ামিন (২৫), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া (৩৫), একই উপজেলার চিকার কান্দি এলাকার মৃত লিম্বর আলীর পুত্র ও হোটেল স্টাফ রইচ আলী (২৮), জামালগঞ্জ উপজেলার মশালঘাট এলাকার বদরুল আলমের পুত্র ও হোটেল স্টাফ মোঃ রুমেল আহমদ (২৮), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধরা এলাকার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার জান্নাত (২৫), বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সিয়ার এলাকার মৃত. আমজাদ হোসেনের মেয়ে মোছাঃ মেঘনা আক্তার (২৬), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব ছিলাপাড়া শেরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (২৬), রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানার তাজহাট এলাকার মোঃ নাজির হোসেনের মেয়ে মোছাঃ নাজমা বেগম (২৮)।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে নিয়মিত মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম :
অবৈধ্য অনুপ্রবেশের
দায়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ৮ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে বডার গার্ড বাংলাদেশ
(বিজিবি) সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলাবার ভোররাতে মোল্লার চর সীমান্তের পিলার
১০৬১-৩ এস এর ফকিরপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিজিবির নায়েক সুবেদার
মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট
জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার মধ্য বরিশাল গ্রামের মৃত আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে চাঁন মিয়া
(৫৮), একই উপজেলার সন্ন্যাসী গ্রামের মৃত হাশেম মল্লিকের ছেলে জামাল মল্লিক (৬০), হুগতপাতি
গ্রামের বারেক সিকদারের ছেলে জাকারিয়া শিকদার (১৮), পলিটিক্স গ্রামের আব্দুর রশিদের
ছেলে রেজাউল শিকদার (২০), গাবতলা গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৩),
শরনখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল (৩২), কুড়িগ্রাম
জেলার রৌমারী উপজেলার খাটিয়ামারী গ্রামের সোবহান হোসেনের ছেলে ফরহাদ (৩৫), খাটিয়ামারী
গ্রামের মৃত আলহাজ নঈম উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল
হক (৪৫)।
বিজিবি ও স্থানীয়
সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে কাজের সন্ধানে দালালদের মাধমে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে
অবৈধ ভাবে ভারতে শ্রমিক ও টোকাইয়ের কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
মোল্লারচর বিওপি ক্যাম্প
কমান্ডার নায়েক সুবেদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে টহলরত অবস্থায় ভারত থেকে অবৈধ
ভাবে অনু প্রবেশের দায়ে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পাই
তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এঘটনার পর সীমান্তে আরো টহলজোরদার করা হয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে ৮ জন বাংলাদেশীকে আটকের বিষয়ে বিজিবি আমাদের এখনো জানায়নি’ তবে আমরা আটকের বিষয়ে শুনেছি।
মন্তব্য করুন