

বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কালের বির্বতনে হারিয়ে
যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের ধান চাল ভাঙার একমাত্র অবলম্বন ঢেঁকি। গ্রাম বাংলার
ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। সময়ের বির্বতনে বিলীন হতে চলেছে ঢেঁকি।
উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে দেখা মিলতো ঢেঁকির। এখন ঢেঁকির কদর
কমে যাওয়ায় তেমন আর দেখা মেলে না। অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে
হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর ঢেঁকিতে ভাঙা চাল খুব সুস্বাদু ও
পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব কদর ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান, গম, ভাঙার
মেশিনের কারণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জে গেলে
এখনো দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে
করেন সচেতন মহল। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটা বাড়ি ঘুরলে দেখা মেলে ঢেঁকির।
সেগুলো আবার রয়েছে অযন্তে। অথচ একদিন ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কল্পনা করাও কঠিনতর ছিল। যেখানে
বসতি সেখানেই ছিল ঢেঁকি। কিন্তু আজ তা আমাদের আবহমান গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে
যাচ্ছে। এক সময় বোয়ালমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি পরিবারেই
ধান-চাল গুঁড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। ঢেঁকি থেকে উৎপাদিত চালের ব্যাপক প্রচলন।
তখনকার সময়ে পরিবারের নারীরা ধান, গম, চালসহ বিভিন্ন খাদ্য শস্য ভাঙার কাজ
ঢেঁকিতেই করতেন। বিশেষ করে ঈদ, নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে
পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকির নতুন ধানের চালের গুঁড়া তৈরির ধুম
পড়ে যেত।
কেওয়াগ্রাম বাসিন্দা আবু সায়েদ মৃধা বলেন, একসময় এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকি ভাঙার চালের ভাতে অনেক পুষ্টি ও অনেক সুস্বাধু ছিলো। এখন মেশিনের ধান ভাঙার চালে ও ভাতে কোনো স্বাদ নেই। বিভিন্ন উৎসবের সময় প্রতিটি বাড়িতে নতুন জামাই মেয়ে ও অতিথিদের উপস্থিতিতে বাড়ি ছিল কোলাহল পূর্ণ। গভীর রাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দ শুনা যেত। কিন্তু কালের বির্বতনে ও সময়ের চাহিদা অনুয়ায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। তারপরও সেই ঢেঁকির কদর বোয়ালমারী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দু-একটি বাড়িতে এখনো দেখা গেলেও অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের দেশওয়ালী পট্রি এবং কুচাইতলীতে ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ করে মসলার মিলগুলিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করেন।
এই ভালো মরিচের সাতজে নষ্ট মরিচ মিক্স
করে ভাংগানোর সময় হাতেনাতে ধরে পরে। এছাড়াও খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলুদের গুড়া
এবং মরিচের গুড়া সংরক্ষণ ও ক্রাসিং করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী 'আল-আমিন
মসলাত মিলকে ১ লাখ এবং 'বায়জিদ মসলার মিলকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম, ক্যাব কুমিল্লা এবং অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলায় করটিয়া
ইউনিয়নের এক মহিলা মাদরাসায় বোরকা পরে যাওয়ায় সিয়াম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন
জনগণ।
পরে স্থানীয়দের গণপিটুনির কবল থেকে
ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান
চৌধুরী মজনু।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে
করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদরাসায়। বর্তমানে ওই যুবক টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের হেফাজতে
রয়েছে।
আটক মো: সিয়াম হোসেন সিপু (১৯) টাঙ্গাইল
পৌরসভার ধুলেরচর এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে।
করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদরাসার পরিচালক
মো: সিয়াম জানান, সোমবার সকালে মাহফিলের টাকা আদায়ের রশিদ নিয়ে বোরকা পরিহিত একজন
মাদরাসায় প্রবেশ করেন। পরে তার কণ্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
পরে বোরকার ওপরের অংশ খুললে দেখা যায় তিনি একজন যুবক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা
মাদরাসা থেকে বের করে তাকে পিটুনি দিতে থাকেন।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, পরিষদের কাজে আমি উপজেলা পরিষদে থাকায়
শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে ভিড়
জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক সিয়ামের বাবা মো. ফরহাদ আলী বলেন,
আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই নানান কাণ্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা
দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে সিয়াম নানির বাসায় যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিয়াম নামে এক যুবককে
আটক করা হয়েছে। তবে তার স্বজনরা জানিয়েছেন যে ছেলেটি মানসিক রোগী। তারপরও আমরা তদন্ত
চালাচ্ছি। তদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন


সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বন্যার পানি কমে এলেও এখনো দুর্ভোগ শেষ হয়নি সাধারণ অসহায় মানুষের।
তাইতো কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
বিবেক হচ্ছে একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে যে প্রতিষ্ঠানটি সার্বক্ষণিক কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম বুড়িচং এলাকায় হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বন্যা
দুর্গতদের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের একটি বাস এক ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা রিয়েল কোচ পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, সিলেট থেকে কুমিল্লাগামী রিয়েল কোচের একটি বাস শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী এলাকায় পৌঁছালে সিলেটমুখী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ২ জন মারা যান। আহত হন আরও অন্তত ২০-৩০ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও ১ জন মারা যান। তবে তাদের কারোরই পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪।
মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজনে পালিত হচ্ছে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস'।
উক্ত কর্মসূচিতে রয়েছে শহিদ স্মরণ, আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও বিজয় র্যালি।
আজ মঙ্গলবার ( ৫ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা নগরীর উত্তর রামপুর এলাকায় শহিদ মাসুম মিয়ার কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আবু রায়হানসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠান শেষে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সকালে মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি। বিজয় র্যালির আয়োজন করে জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনও।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মো. ইমাম হোসেন বাচ্চু (৪৪) নামের এক রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাসিন্দা।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩১ মে) সকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ইমাম হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা ছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ রবিবার (১১ মে)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর সামারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) নামক দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহাদাত হোসেন রবিউল (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বড় আলমপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে এবং ২। মোঃ রবিউল হাসান (২১) একই গ্রামের টিপু সুলতান এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল রেড রিলেশন যুব সমাজকল্যাণ সংস্থার ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা এবং রক্তদানে ভূমিকা রাখায় ৫৫জন সংগঠনের দায়িত্বশীল এবং গুনীজনকে সংবর্ধনা,গরীব দু:স্থ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,মাদ্রাসায় কোরআন শরীফ ও টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল আলম রিজন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও কচুয়া উপজেলা পরিবারের টিম মেম্বার সাইফুল ইসলাম রনির পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিআরবি কেবলসের ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রনি।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ এমরান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইকবাল উদ্দিন আহমেদ মিঠু,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন,শ্রীবাস সাহা,ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদ,শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ সাজেদুল হাসান কামাল,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,বাংলাদেশ স্কাউট কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী লিডার ট্রেইনার একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন সুমন প্রমুখ। পরে গুনী ব্যক্তিদের মাঝে সন্মননা ক্রেষ্ট ও অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন,টিউব ওয়েল ও পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অজিত সাহা,আবু সুফিয়ান সহ রেড রিলেশন সংগঠনের সদস্য ও জেলার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন