মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় প্রসাধনী ও হরিণের কস্তুরী সহ যুবককে আটক করেছে বিজিবি।
জামালপুরে ব্যাটেলিয়ান ৩৫ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হাসানুর রহমান, পিএসসি এর সার্বিক দীক নির্দেশনায় ৫ই মে সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে জামালপুর ব্যাটালিয়নের ৩৫ বিজিবি অধীনস্থ বাঘারচর টহল দল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ১০৭৪ /৯ হতে আনুমানিক ২০ গজ বাংলাদেশে অভ্যন্তরে দক্ষিণ মাখনেরচর নামক স্থান হইতে ভারতীয় হরিণের কস্তুরী, ৬ পিস (২৫৪ গ্রাম) ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী-৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ -২৮ পিস, মোবাইল -০১ টি, মোবাইলের চার্জার -০১টি, সিম কার্ড -০১টি,পাওয়ার ব্যাংক-০১টি এবং হেট ফোন ০১ টি সহ মোঃ আঃ মতিন ৩৫, পিতাঃ মোঃ আবুল কাশেম, গ্রামঃ রমনা নতুন বেপারীপাড়া, পোস্ট রমনা, থানাঃ চিলমারী জেলাঃ কুড়িগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়।
সিজার মূল্য ১,৬৫,৫৮,১০০(এক কোটি পয়ষট্রি লক্ষ আটান্ন হাজার একশত টাকা।
ধৃত আসামীসহ জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল দেওয়ানগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিজিবি মহাপরিচালক কর্তৃক ঘোষিত চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেস নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সীমান্তে মাদক ও সকল ধরেনর চোরাচালান পাচাররোধ কল্পে এবং সীমান্ত সুরক্ষার দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি)।
আটক ভারতীয় এসব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২৮ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানাধীন ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। স্বপন
বিশ্বাস এবং ২। বেল্লাল হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। স্বপন বিশ্বাস (৩৩) বি.বাড়িয়া জেলার সদর থানার ভাদুগর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাস এর
ছেলে এবং ২। বেল্লাল হোসেন (৪৫) একই জেলার কসবা থানার আকাপপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাক এর
ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ বিকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিম পাশে গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার উপর সততা সার্ভিস নামীয় বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা: শিল্পী (৪০) ও রিণা আক্তার (২৭) নামীয় সহোদর ০২ বোনকে কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছোট ফাউসা গ্রামের মো: নুর ইসলাম এর মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতোয়ালী মডেল থানা কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ৪৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালী মডেল থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ১৪ টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনসমূহ আজ (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তানতর করেন।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে একটি মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীসহ
৮ জন আহত হয়েছেন। বজ্রপাতে দুইটি গরু মারা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর চারটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন
স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত হয়।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হওয়া বজ্রপাতে অন্তত ৮ জন আহত হয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন- উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের তামারহাজি গ্রামের
আনছার শেখের স্ত্রী শেফালী (৩৫), পৌরসভার সোতাশী গ্রামের রহমানিয়া আরাবিয়া মারকাস মাদ্রাসার
শিক্ষার্থী জাকারিয়া (১১), অহিদ (১২), সোহেব (১১), সজিব (১২), হোসাইন (১০), আ. মমিন
(১২) এবং পাশের লোহাগড়া উপজেলার চরশালনগর গ্রামের মুনজিলা (২১)।
হাসপাতালে ভর্তি শেফালী বেগমের স্বামী তামারহাজি গ্রামের আনছার শেখ বলেন, সোমবার
বিকেলে গোয়ালঘরের সামনের নারকেল গাছে বজ্র পড়ে। এতে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের দুটি
গরু মারা যায়। আর গোয়ালঘরের বারান্দায় ছিল আমার স্ত্রী শেফালী। সে মারাত্মক আহত হয়ে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অপর বজ্রপাতের ঘটনায় রহমানিয়া আরাবিয়া মারকাস মাদ্রাসার
ছয় শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়।আহতদের দেখতে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান
উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক
ডা. শরীফুল ইসলাম বলেন, আহত রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার
অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার
বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী গভর্নমেন্ট প্লিডার (এজিপি) এডভোকেট মোঃ আবু
মুছা ভূঁঞা ১৯৭৯ সালের ২৫ নভেম্বর কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি
বাগমারা দাখিল মাদ্রাসায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে মুরাদনগর
বাঁশ কাইট পীতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে ১ম বিভাগে মাধ্যমিক পাশ করেন।
তৎপর চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস করেন।
পরে উক্ত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াকালীন সময়ে
বিএনসিসি ও স্কাউট এর সাথে জড়িত ছিলেন।
অ্যাড.
আবু মুছা ভূঁঞার দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে
দাদা মনিরুল ইসলাম মাষ্টার এর অনুপ্রেরণায় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হন তিনি। সেই
সুবাদে এডভোকেট মোঃ আবু মুছা ভূঁঞা ১৯৯৬-৯৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র দলের
রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে "ওয়াসিম-ছানাউল্লাহ পরিষদ" এর পাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা
রাখেন এবং ১৯৯৯ সালে কুমিল্লা আইন কলেজে অধ্যয়নরতকালে ছাত্র সংসদ "নাজমূল-মহান
পরিষদ" এর নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ
বার কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্ত হয়ে একই সালে ৩১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে
যোগদান করে পেশাগত জীবনে আত্ম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তরুণ আইনজীবী হিসেবে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য
হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লাস্থ দেবীদ্বার সমিতির নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেবীদ্বার সমিতির "ক্রীড়া সম্পাদক"
হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এড. আবু মুছা ভূঁঞা ২০১০ সালে সর্ব সম্মতিক্রমে
দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন বিএনপির "সভাপতি" নির্বাচিত হয়ে বর্তমানেও
পুনরায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেবীদ্বার উপজেলা বিএনপি'র "মানবাধিকার বিষয়ক
সম্পাদক" হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০২২ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত কুমিল্লা উত্তর জেলার আহবায়ক
কমিটির "সদস্য" মনোনীত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুমিল্লা
ইউনিটের "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক" হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জেলা
আইনজীবী সমিতির "লাইব্রেরী সেক্রেটারি" হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার
আইনজীবী ও কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু'র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
মামলা পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অ্যাড. মুছা ভূঁঞা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের
সকল প্রকার দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সরকারের পতনের পর যখন দেশের ক্রান্তিলগ্নে
অতিক্রম করে তখন ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও
তিনি জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ গেলো ৩রা জুন দেবীদ্বার উপজেলাধীন বাগমারা ইসলামিয়া
আলীম মাদ্রাসা'র গভর্ণিং বডির "সভাপতি" মনোনীত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দেড় যুগেরও
বেশি সময় ধরে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইন পেশা পরিচালনা করে আসছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা ঘটে।
মুখোমুখি এ সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ.জেড. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদের ফ্যামিলির সদস্য মা, বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ মোট ৬ জন রয়েছে তবে বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা নিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
একটি মাদরাসার চার টন সরকারি বিনা মূল্যের পাঠ্যবই জব্দ করেছে প্রশাসন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বিক্রি করতে নেওয়ার সময় পাঠ্যবইগুলো জব্দ করা হয় । এছাড়া বই বহনকারী ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসার পাশে সড়ক থেকে এসব জব্দ করেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ।
মঙ্গলবার কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসব বই উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে চেষ্টা করেও মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার ট্রাকসহ বই থানায় পড়েছিল। কোনো মামলা হয়নি। পরে রাতে এসব উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয় থানা কর্তৃপক্ষ।
ট্রাকচালক ও সহকারীর বরাতে কৌশিক আহমেদ বলেন, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক এসব পাঠ্যবই ঝিনাইদহ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। গোপন খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে বইগুলো জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, ট্রাকসহ বই মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা বইয়ের বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ট্রাকসহ বইগুলো থানায় রেখে গেছেন। পরে আমরা সেগুলো উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার রূপসা নদীতে রেল সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। মোংলা বন্দর থেকে সার বোঝাই কার্গোটি নওয়াপাড়া যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে জাহাজের দুইজন কর্মচারি নিখোঁজ রয়েছেন।
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ জানান, সার বোঝাই এম ভি থ্রি লাইট-১ কার্গোটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত রেলসেতু পিলারেড় সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যায়।
তিনি আরো জানান, কার্গোতে থাকা ১৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জন সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে সক্ষম হয়। বাকি দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর
সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া অফিস কুমিল্লার ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লা জেলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘স্পোর্টস
ফর ডেভেলপমেন্ট’ -ডে অবজারভেশন প্রোগ্রাম এবং বালিকাদের ৩ দিন ব্যাপী কাবাডি
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন।
আজ বুধবার (১৪ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায়
ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ৩দিনব্যাপী কাবাডি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন
অতিথিরা।
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ সায়েম মিয়া, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, হকির জাতীয় পর্যায়ের সাবেক খেলোয়াড় মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় জহিরুল হক, অ্যাথলেট সাফিয়া শেলী, ইউনিসেফ বাংলাদেশ কুমিল্লার কমিউনিটি ফ্যাসিলিলেটর সহ খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্র জানান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ
শিশু সুরক্ষায় কিভাবে ভূমিকা রাখছে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে বিভিন্ন ক্রীড়া
কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়নে আরো কর্মকান্ড বাড়ালে
তৃনমূলের খেলাধুলার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকাশক্তি থেকে দূরে থাকা, মোবাইল আশক্তি দূর
হওয়াসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল জাতি গঠনে সহসয়ক হবে।
উদ্বোধন শেষে ৩ দিন ব্যাপী বালিকাদের কাবাডি প্রশিক্ষণে শুরু
হয়। শিক্ষণে ২০ জন বালিকা কাবাডি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন