র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও সদর দক্ষিন এলাকা হতে ইয়াবা ও গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
৪ মে রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানাধীন পূর্ব কাশিপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সুমন
মিয়া (২৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা
উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে
৪ মে রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জগপুর (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে। উক্ত অভিযানে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ
সময় আসামীর কাছ থেকে ৪২ পিস ইয়াবা ও ১২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো, ১। মোঃ সুমন মিয়া (২৮) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার পূর্ব কাশিপুর গ্রামের
মোঃ আঃ মালেক এর ছেলে এবং ২। আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানার
জগপুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত সরাফত আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মাগুরা জেলা ক্রিকেট দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের সাথে ফাইনালে রানার্সআপ হয় কুমিল্লা। আগামী ৪মে রোববার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে কিশোরগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া কুমিল্লা জেলা দলের দুই স্পিনার ইয়াসির আরাফাত এবং আশরাফুল হাসান রোহান এর ঘূর্ণি যাদুতে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল মাত্র ৩৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। মাগুরা জেলা দলের আসলাম, মোহাইমিন এবং তালহা যথাক্রমে ১৯,১৮ এবং ১৭ রান করেন। ইয়াসির আরাফাত ৫০ রানে ৫ উইকেট এবং রোহান ৩৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।অপর উইকেটটি নেন পেসার সবুজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের ওপেনার ইরফান তাকরির অপরাজিত ৮০ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যানের মধ্যে রুবেল মিয়া ২৮ আবুবকর, ১৪ রান করেন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস ২২বছর পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফাইনালে ভাল করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রায় এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার ৩টি মামলায় জহিরুলের ৩ স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকার অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে ৩ স্ত্রীর সাজা হলেও স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয় তাকে।
অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি মামলাতেই দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম ছিল জহিরুলের। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার ৩ স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।
দুদক কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি দায়েরকৃত পৃথক ৩টি মামলায় সেলিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার ও আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ তদন্তপূর্বক মামলার বাদী ছিলেন, দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, স্থাবর, অস্থাবর অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশাপাশি কবরে দাফন
করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে নয় জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ১১ জন।
সোমবার (২৫মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে সোহেল রানার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পাশে তাদের দুই সন্তানকে
সমাহিত করা হয়।
আজ সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের
মরদেহ উদ্ধার হয়। গত শনিবার সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও গতকাল রোববার মেয়ে মাহমুদার
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের
ছেলে।
সোহেলের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ
জেলার ভৈরব হাইওয়ে থানা।
এদিকে সোমবার বিকালে সোহেলের বাড়িতে
গিয়ে দেখা যায়, সবাই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন। তিনজনের মরদেহ বাড়িতে আনার খবরে ভিড় করেন
এলাকার লোকজন। সন্ধ্যার কিছু আগে অ্যাম্বুলেন্সে সোহেল ও তার দুই সন্তানের মরদেহ গ্রামের
বাড়িতে আনা হয়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের সাথে দুই শিশু সন্তানকে পাশাপাশি
কবরে দাফন করা হয়। এর আগে রোববার একই স্থানে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী,
দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে
গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা অন্য পরিবারের লোকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ
করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা
উল্টে যায়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে
কুমিল্লায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)এর বিক্ষোভ
মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লা
টাওন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে পূবালী চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসবি
জুয়েল,সৈয়দ আহসান টিটু, কাজী মো: জায়েদ, নাইম আলম, ইব্রাহিম খালেদ হাসান , নাছির উদ্দীন,মো
রাসেল ভূইয়া জিসান, আরিফুল ইসলাম বাশার,বুড়িচং উপজেলা প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ ব্রাহ্মনপাড়া
উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ আলম, নাঙ্গলকোট উপজেলা
প্রতিনিধি আরিফ হোসাইন, অধ্যক্ষ মো: জসিম উদ্দিন আছাদনগর আবদুল মতিন খসরু কলেজ, মো:
লুতফুর, তিতাস প্রতিনিধি অন্যনা,লতা সরকার , নজমা,মাসুমুল বারী কাওসার সহ বিভিন্ন উপজেলা
ও মহানগর জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী
ছাএ আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
রোহিঙ্গা
নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরীতে সহায়তাকারী আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪ টি পাসপোর্টসহ
অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
গত
১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় রুজুকৃত রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট তৈরির
মামলা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত মুল আসামী রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ ইয়াছির(১৯) কে বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালতে সে তাকে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি
প্রদান করে। উক্ত জবানবন্দির সুত্র ধরে কুমিল্লা ডিবি ও কোতয়ালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে
অত্র মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬)কে সহ অত্র মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী
মোশারফ(৩৫) ও শরীফ(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এজাহারনামীয় আসামী ফয়সাল মিয়া(২৬) কে রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ
আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী মোশারফ(৩৫)কে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা
হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর এ্যান্ড ট্রাভেলস হতে ৬ টি ভুয়া পাসপোর্ট
ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
এ
সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানায় পাসপোর্ট আইনে আলাদা একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামী কম্পিউটার অপারেটর শরীফ(২৫) কে মুরাদনগর
কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস হতে গ্রেফতারকালে তার প্রতিষ্ঠান হতে ৮ টি ভুয়া
পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের মালিক
নাসির উল্ল্যাহ(২৮) কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে মুরাদ নগর থানায় পাসপোর্ট আইনে অপর একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের বাজারে
ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি অভিযান, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার প্রেক্ষিতে শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন তথ্যা পাওয়ায় নগরীর বৃহৎ পাইকারি বাজার চকবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ তদারকি অভিাযান পরিচালনা করা হয়। চিড়া, মুড়ি, গুড়, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপণ্যের দোকানে এ তদারকি কার্যক্রম চলে। অভিাযানে অনিয়ম পাওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুনলো যথাক্রমে বেশি দামে চিড়া বিক্রি করায় আনোয়ার স্টোরকে ১০ হাজার, ক্রয়ের ভাউচার না রেখে বেশি দামে মিষ্টি বিস্কুট বিক্রি করায় লক্ষণ স্টোরকে ৫ হাজার, বেশি দামে পেয়াজ বিক্রির প্রস্তাব করায় নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীকে ২ হাজার এবং অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি এবং মূল্য উল্লেখ না করে ইচ্ছে মাফিক দামে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ায় শাহ পরান ট্রেডার্সকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আজ মোট চার প্রতিষ্ঠাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকি করা হয় অন্তত অর্ধ শতাধিক নিত্যেপণ্যের দোকান। বেলা ১১টা থেকে সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলা এ তদারকি কার্যক্রমে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একেচ আজাদ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরোশন (মসিক) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র
আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতের জন্য নির্দেশনা দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার
(২৭ জানুয়ারি) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম জানিয়েছেন।
তিনি
আরও জানান, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়
বলা হয়েছে, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় মসিকের সাধারণ নির্বাচন, কুসিকের মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ
সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর
ও ২২ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলরের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের
লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা
নীতিমালা’ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করে প্রস্তুতকৃত তালিকার ২ প্রস্থ
হার্ড কপি (সফ্ট কপিসহ) সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিশেষ দূত
মারফত আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে নির্বাচন সাপোর্ট-১ শাখায় প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট
সিনিয়র জেলা /জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো।
উপরিউক্ত
সাধারণ/উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রের তালিকা এ সময়ের মধ্যে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেমে এন্ট্রি সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায়
আরো বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে-যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান
অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভোটকক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের
অবকাঠামোর অভ্যন্তরে ভোটকক্ষ স্থাপন করা গেলে সেক্ষেত্রে অস্থায়ী ভোটকক্ষ স্থাপনের
প্রস্তাব পরিহারপূর্বক ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
সিনিয়র
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যথাসম্ভব ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং ভোটকেন্দ্র
পরিবর্তন,নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষ স্থাপনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রত্যয়ন দেবেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি মো: হোসেন মিয়া (২৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার শুভপুর গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। অপর আসামী শারমিন আক্তার(২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার আড়াইওড়া গ্রামের জনি মিয়ার স্ত্রী।
আটককৃত আসামীরা প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে ডিএনসি টীমকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মাদক পাচার করছিলো। একপর্যায়ে প্রকৃত স্বামীকে মুখোমুখি করলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। আটকৃত আসামি শারমিন তার স্বামীর অগোচরে মোবাইলের মাধ্যমে আসামি হোসেন মিয়ার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলে। কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার কৌশল হিসেবে লোকাল বাসে কুমিল্লা হতে গাঁজা নিয়ে প্রথমে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। তারপর অন্যবাসে করে ঢাকা নিয়ে যেতো।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ
এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে
সম্মত হয়েছেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভ আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই বিষয়ে সম্মত হন।
প্রধান
উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস খোলা এবং ঢাকা ও বাকুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আজারবাইজান একটি দূরবর্তী
দেশ।
তিনি
বলেন, দেশটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ‘একটি সরাসরি ফ্লাইট থাকলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের
টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।’
ড.
ইউনূস আরও বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতাও দূর হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আপনাদের উপস্থিতি বাড়ানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে
আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।
সাক্ষাৎকালে
বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি,
শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার
সময় প্রধান উপদেষ্টা গত নভেম্বর মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে আজারবাইজানের
প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি কপ-২৯ সম্মেলন
সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আজারবাইজান সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি অনুরোধ করেন বাকুতে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ যেন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে পাঠান।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান
এবং বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, আমরা আপনাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, যার অর্ধেকই তরুণ। তাই আপনি যদি এখানে কোনো শিল্প স্থাপন
করেন, শ্রমিকের কোনো ঘাটতি হবে না।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়,
কারণ দুই বছর পর ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে।
উপমন্ত্রী
মাম্মাদভ বলেন, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এখানে এসেছি।
তিনি
প্রধান উপদেষ্টাকে আজারবাইজানের আসান এবং ডোস্ট মডেলের সারাংশ তুলে ধরেন, যা দুর্নীতি
হ্রাস এবং জনসেবায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস আসান এবং ডোস্ট সেবার ধারণার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলো
প্রয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজারবাইজানের
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন
অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ
থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন