

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গভবনে।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে বিমান বাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।এ সময় তিনি বিমানবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বিমান বাহিনীর উন্নয়নে তার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বিমান বাহিনীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সরকার এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। জাতি হিসেবে আমাদের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরো দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা
(National Policy Competition) ২০২৫-এর দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় করেন এবং প্রতিযোগিতায়
নিজেদের অভিজ্ঞতা ও নীতি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তরুণ প্রজন্মের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা, নীতি উদ্ভাবন ও গঠনমূলক
সংলাপকে উৎসাহিত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দেশব্যাপী ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে সফলভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়,
এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি করে দল বিজয়ী নির্বাচিত হয়।
বিজয়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়,
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ULAB), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, শান্তি, কৃষি, প্রযুক্তি,
রাজনীতি, সংবিধান, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি— এই দশটি জাতীয় অগ্রাধিকার খাতে বাস্তবসম্মত
ও উদ্ভাবনী নীতি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মাঝে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি দরজা খুলে দিয়েছে ভারত।
বলা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশটির বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বন্যা ও পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার এই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধসের বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারত। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল বৃষ্টি হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে পানির চাপ সামলাতে ফারাক্কা বাঁধের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে একদিনে বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে।
এর ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পে যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেশি দুই রাজ্য—বিহার, ঝাড়খণ্ডে বন্যা দেখা দেওয়ায় ফারাক্কা বাঁধে পানির চাপ রয়েছে। তবে নেপালের পাহাড় থেকে এখনও কোনও পানি নেমে আসায় কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় বিপৎসীমা থেকে ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গেট খুলতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিডার ক্যানেলে পানির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।
দেশটির ওই সংবাদমাধ্যম বলেছে, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। এদিকে এই পানি ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে পানি ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় গঙ্গায় হু হু করে পানি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের
প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান,
অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের
অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে
চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি
শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
মন্তব্য করুন


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েক শহিদ পরিবার আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহিদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আজকের বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন


তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন।
ইয়িলমাজ জানান, প্রতিনিধিদলটি গতকাল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নত বাজারে রপ্তানির জন্য একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি তুরস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেন যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অবিচার ও দুর্ভোগ ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয় শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তাঁর স্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অব্যাহত সহায়তা ও সংহতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে হাতে হাত রেখে উভয় দেশের জনগণের ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করে বলেছেন, যে লক্ষ্য নিয়ে তরুণ ছাত্র, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিকরা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন-সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের প্রতিটি দিনকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করব। এই অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আবার নতুন করে শপথ নেব এবং এটা আমরা প্রতি বছর করব, যাতে স্বৈরাচার আর যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে, এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল। জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, জনতার এক জাগরণ। সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল- “ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থাণের স্বপ্ন ছিল নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করার যে অনুষ্ঠানমালা নিয়েছি, এটা শুধু ভাবাবেগের বিষয় নয়, ক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়। আমরা ১৬ বছর পরে বিরাট বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলাম অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং যে কারণে অভ্যুত্থান হয়েছিল, তাৎক্ষণিক তাঁর যে লক্ষ্য ছিল সেটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। কিন্তু তাঁর পেছনে ছিল একটা বিরাট স্বপ্ন- নতুনভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
স্বৈরাচার যেন আর কখনও ফিরে আসতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা প্রতি বছর এই সময়টা উদযাপন করব যাতে পরবর্তীতে আবার এই অভ্যুত্থান করার জন্য ১৬ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়। আমরা প্রতি বছর এটা করব, যাতে স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখা গেলেই তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা তার বিনাশ করতে পারি।
সেটার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনরুত্থান কর্মসূচি পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি। ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে জুলাই গণঅভ্যুত্থাণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গভীর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সেই সব তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের—যারা রাস্তায় নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন; সাহস, ত্যাগ আর দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন’।
জুলাইকে ঐক্যের মাসে পরিনত করার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, আমরা আজ মাসব্যাপী যে কর্মসূচির সূচনা করছি, তা শুধুই স্মরণ নয় বরং একটি নতুন শপথ। গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আমরা চাই, এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আবার সুসংহত হোক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য— জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি জানানো এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সংস্কারের এই সুযোগকে হারিয়ে না ফেলা। আমাদের সামনের পথ অনেক কঠিন, কিন্তু মস্ত বড় সম্ভাবনাও আছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো শক্তিই তাদের রুখে দিতে পারে না। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের আহ্বান জানাই—আসুন, এই জুলাই মাসকে পরিণত করি গণজাগরণের মাসে; ঐক্যের মাসে’।
জুলাই-আগস্টের পুনরুত্থান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠুক। আমাদের ঐক্য সর্বমুখী হোক, অটুট হোক আমাদের এই অনুষ্ঠানমালার লক্ষ্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’এর উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় এই স্বাক্ষর করেন তিনি। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তারুণ্যের উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
তারুণ্যের উৎসব বিপিএল ২০২৫-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কমিউনিটি এনগেজমেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট এবং কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বিভিন্ন ফ্যান জোনে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল থাকবে। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক রান্নার পরিচিতি ও স্থানীয় ব্যবসার প্রচার করা হবে, যা দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ফ্যান জোনগুলোতে দেশি শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের জন্য শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এটি অনেক শিল্পীকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্পের উদযাপন হবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে
নিউইয়র্কে যাবেন । এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত এ সফর করবেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সাত
সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি
বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের
বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম,
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ
অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।
ওয়াশিংটনে গেলে হয়ত আরও
কিছু কাজ হতে পারত কিন্তু তিনি অল্প সময়ে খুব তাড়াতাড়ি নিউইয়র্ক থেকে ফিরে আসবেন।
সেখানে কার সঙ্গে বৈঠক হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তো
গেলে হবেই। কিছু কিছু কথা বার্তা হচ্ছে। কিছু বৈঠক হবে এটুকু বলতে পারি। তবে
স্পেসিফিক বলতে পারি না। সব ক্ষেত্রে সব হেড অব স্টেট যান এমনটা তো নয়। নিউইয়র্কে
যে ফরমেট সেভাবে হবে। ওয়াশিংটনে তো তিনি যাবেন না।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি
সই করেছে ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা স্মারক সই
হয়।
এর মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, তিন সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে যৌথ কার্যক্রমের দুটি নথিতে সই করে উভয় দেশ।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ।
এ দুটি হলো—বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক
নথি সই।
নতুন পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো—বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও
সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির
ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; যৌথ ছোট
স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে
সমঝোতা স্মারক এবং ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত তিন সমঝোতা স্মারক হলো—মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক।
এর আগে সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোটর বহরকে পাহারা দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্টে নিয়ে যায়।
এরপর এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার
দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের
পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাইন অব
প্রেজেন্টেশনে দুদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের
পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের এ কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জাতির পিতা
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাট যান। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন