শতাধিক নারীপাচার

শতাধিক নারীপাচার
সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফেসবুকে সহজে বিদেশে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদ পাতা নারী ও শিশুপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে । রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে নেমে এ চক্রের সন্ধান পান গোয়েন্দারা।


চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল। আর তার অন্যতম সহযোগী তার আপন বড়ভাই কবির হোসেন। আনারুল এলাকায় গরুর খামারের আড়ালে এ চক্রটি চালিয়ে আসছিলেন। আর কবির গাড়িচালক বেশে চক্রের সংগ্রহ করা নারী ও শিশুদের পাচার করতেন। চক্রটি অন্তত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে বলে দাবি করেছে ডিবি।


গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারতীয় সীমান্তের জিরোপয়েন্ট লাগোয়া গ্রাম কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের দুই ছেলের নেতৃত্বে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কম বয়সী নারী ও শিশুদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে আসছিল। কবির হোসেনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের মাস্টারমাইন্ড আনারুল পলাতক।


পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার হয়েছেন খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার কালিবাড়ি এলাকার জনি হাওলাদারের স্ত্রী সিমা আক্তার ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ। মা-ছেলেকে পাচার চক্রের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গেলেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ফজলে এলাহী ও তার টিমের দক্ষতায় বেঁচে যান তারা।


জানা গেছে, সিমাকে ফেলে স্বামী অন্যত্র চলে যাওয়ায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শুরু করেন জীবন সংগ্রাম। তিনি ভোমর তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। এই কাজ করে যা আয় হতো তা দিয়ে জীবন বাঁচলেও ছেলের পড়াশোনা করাতে পারছিলেন না। হঠাৎ একদিন ফেসবুকে পড়াশোনাসহ কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় চাকরির একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। যোগাযোগ করলেও জানানো হয় পাশের দেশ ভারতে তাকে বাসা বাড়িতে কাজ দেওয়া হবে পাশাপাশি তার ছেলেকে পড়াশোনাও করানো হবে।


আর এভাবেই আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যেতে বলা হয়। আর ঘটনাক্রমে চাকরির প্রলোভনে মানবপাচার চক্রের ফাঁদে পড়েন সিমা ও তার ১০ বছর বয়সী ছেলে নবাব শেখ।


উদ্ধার হওয়া সিমা আক্তার বলেন, তার স্বামী অনেক আগে ছেড়ে চলে গেছেন। হঠাৎ একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন। পরে ভারতীয় একটি নম্বর থেকে একজন ফোন দিয়ে জানতে চায় চাকরি করবো কি না। কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেই ব্যক্তি সিমাকে বলেন, আপনাকে একটি বাসায় কাজ দেওয়া হবে। আর আপনার ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করা হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। পরে আমাকে সাতক্ষীরা থেকে ফোন দিয়ে একজন যেতে বলে। আমি গেলে তারা আমাকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ডিবি আমাকে উদ্ধার করে ।


পাসপোর্ট, ভিসা ও কোনো ধরনের টাকা ছাড়াই পাচার চক্রের ফাঁদে পা দেওয়া সিমা আরো বলেন, ফোনে তাদের বলেছি আমি টাকা দিতে পারবো না। আমার পাসপোর্ট নেই। কীভাবে যাবো? তখন তারা বলেছে, আপনি আসেন। আমরা সব কিছুর ব্যবস্থা করবো। আপনি ভারত যাওয়ার পর চাকরি করে মাসে মাসে যা পারেন দিয়েন।


এ চক্রের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সম্প্রতি দুই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তে নেমে আমরা একটি মানবপাচার চক্রের সন্ধান পাই। যারা ফেসবুকে সহজে টাকা-পয়সা ছাড়াই চাকরি দেওয়ার নামে নারী ও শিশুদের পাচার করে আসছে। এমনকি চক্রের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে খুলনা থেকে এক নারী তার সন্তানকে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার সীমান্ত এলাকায় চলে গেছেন।


তিনি আরো বলেন, চক্রের সদস্যরা তাকে পাচারের উদ্দেশ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার কার হয়। তবে যে মামলার তদন্তে নেমে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে সেই দুই মেয়েকে আগেই পাচারকারীরা পাচার করে দিয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের অন্যতম হোতা সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার কেরাগাছি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে কবির হোসেনকে। এরপরই বেরিয়ে আসে চাকরির বিজ্ঞাপনের আড়ালে মানবপাচার চক্রের পরিচয়। দুই ভাই মিলে শতাধিক নারীকে পাচার করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।


ডিবি আরো জানিয়েছে, কবিরের বিরুদ্ধে তিনটি মানবপাচার মামলা রয়েছে ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি
ছবি

ইন্টারপোলের ৯৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে মরক্কো গেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) তিনি মরক্কোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।

আগামি সোমবার (২৪ নভেম্বর) থেকে ইন্টারপোলের সদস্যভুক্ত বিশ্বের ১৯৬ দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মরক্কোর মারাকেশে ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সম্মেলন শেষ হবে। আইজিপি সম্মেলন শেষে আগামী ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সম্মেলনে ৩  সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম। তিনি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এসব অনুষ্ঠানে ইনফরমেশন শেয়ারিং (তথ্য আদান-প্রদান), যৌথ কার্যক্রম, সক্ষমতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। ইন্টারপোলের সাধারণ অধিবেশন বৈশ্বিক পরিসরে পুলিশি সহযোগিতার সর্ববৃহত আয়োজন। সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, সাইবার অপরাধ দমন, মানবপাচার, অর্গানাইজড ক্রাইম (সংঘবদ্ধ অপরাধ), ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সীমান্তপারের অপরাধ), পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়সহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্টারপোলের বার্ষিক সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে সংস্থাটির নীতি, কার্যপদ্ধতি, বাজেট এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ইন্টারপোলের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কুমিল্লার নিউমার্কেটে অভিযান, ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা

কুমিল্লার নিউমার্কেটে অভিযান, ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

কু‌মিল্লায় নিত‌্যপ‌ণ্যের বাজা‌রে তদার‌কি অ‌ভিযা‌ন পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠান‌কে ৪৫ হাজার টাকা জ‌রিমানা ক‌রে‌ছে জাতীয় ভোক্তা অ‌ধিকার সংরক্ষণ অ‌ধিদপ্তর, কু‌মিল্লা জেলা কার্যালয়।


বুধবার বেলা সা‌ড়ে ১১টা থে‌কে ২টা পর্যন্ত কু‌মিল্লা নগরীর নিউমা‌র্কেট ও এর আ‌শেপা‌শের এলাকায় পরিচালিত এ অ‌ভিযা‌নে চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সব‌জি, তেলসহ বি‌ভিন্ন নিত‌্যপণ্যের ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ‌্য যাচাই করা হয়।


এরই সাথে দৃশ‌্যমান স্থা‌নে মূল‌্য তা‌লিকা প্রদর্শন ও সেখা‌নে ত‌থ্যের গর‌মিল আছে কিনা সে‌টিও যাচাই করা হয়।


পাশাপাশি অনু‌মোদনহীন শিশু খাদ‌্য ও কস‌মে‌টিকস বি‌ক্রি হ‌চ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।


অভিযান পরিচালনা শেষে  অ‌তি‌রিক্ত মূ‌ল্যে চি‌নি বিক্রি ও মূল‌্য তা‌লিকায় গর‌মিল থাকায় মেসার্স তু‌হিন স্টোর‌কে ৫ হাজার টাকা, অনু‌মোদনহীন রং ও শিশু খাদ‌্য বিক্রয় করায় মেসার্স মা-ম‌নি স্টোর‌কে ১০ হাজার টাকা এবং অনু‌মোদনহীন বি‌দেশী কস‌মে‌টিকস বি‌ক্রি এবং ই‌চ্ছেমা‌ফিক
মূ‌ল্যের স্টিকার লাগা‌নোর অ‌ভি‌যো‌গে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ‌কে ৩০ হাজার টাকা জ‌রিমানা করা হয়।

এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে ভোক্তা অ‌ধিকার বি‌রোধী নানা কর্মকা‌ণ্ডের অ‌ভি‌যো‌গে অ‌ধিদপ্ত‌রের প্রশাস‌নিক এখ‌তিয়া‌রে তিনটি প্রতিষ্ঠান‌কে জ‌রিমানা করা হয় এবং তদার‌কি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।

আজকের এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা ক‌রেন জাতীয় ভোক্তা অ‌ধিকার সংরক্ষণ অ‌ধিদপ্ত‌র, কু‌মিল্লার সহকারী প‌রিচা‌লক মো: আছাদুল ইসলাম। সহ‌যো‌গিতা ক‌রেন জেলা স‌্যা‌নিটা‌রি ইন্স‌পেক্টর ইসরাইল হো‌সেন।

অিভিযান পরিচালনা করার সময় নিউমা‌র্কেট ব‌্যবসায়ী স‌মি‌তির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পু‌লি‌শের এক‌টি টিম উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

জনস্বা‌র্থে এ ধর‌ণের কার্যক্রম অব‌্যাহত থাক‌বে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন
ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে মুক্তার মিয়া (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুক্তার মিয়া চাতলপাড়ের কাঠালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে মুক্তারের সঙ্গে কচুয়া গ্রামের রাব্বান মিয়ার মেয়ে শেউলা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারের কাছে প্রকাশ পেলে মুক্তারের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু মেয়ের পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।ঘটনার দিন মুক্তার অটোরিকশায় চাতলপাড় বাজার থেকে কচুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে শেউলার বড় ভাই শাহালমের নেতৃত্বে ১০–১৫ জন তাকে আটকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হাত, পা ও পেটে গুরুতর আঘাত পেয়ে মুক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না : হাইকোর্ট রায়

মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না : হাইকোর্ট রায়
সংগৃহীত

সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ফাঁসির আসামিকে নিয়ে রায় দিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেয়া যাবেনা ।

রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। 

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত। 

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। 

আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার।  অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যু দণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।

রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত বিধান নেই। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়।  

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০-১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান। রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

মামলা নিষ্পত্তির জটিলতা সমাধানে কাজ চলছে : প্রধান বিচারপতি

মামলা নিষ্পত্তির জটিলতা সমাধানে কাজ চলছে : প্রধান বিচারপতি
সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা ৪ মিলিয়ন মামলার ভার। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি এক্রোস দ্যা বর্ডার্স (21st Century Challenges and Experiences from the Himalayas and Beyond) শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে ।

আন্তর্জাতিক সম্মেলনটির প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট  বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।

প্রধান বিচারপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানের ইতিহাস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং পিপলস জুডিসিয়ারি সম্পর্কে বলেন, পিপলস জুডিসিয়ারি ধারণাটি এমন একটি ধারণা, যা  সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে এবং  সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারগুলো রক্ষা করে।

প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল সমস্যা উল্লেখ করে- তা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত আজকে ৪ মিলিয়ন মামলার ভারে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা রাউন্ড-ব্রেকিং টেকনোলজিকাল ইনোভেশন সিস্টেমের উপর ফোকাস করছি এবং মামলা নিষ্পত্তির জটিলতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ার বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যা নিজেদের মধ্যে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, ক্রস বর্ডার ঐক্য গড়ে তোলা ও বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আর তাই দেশে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লোবজাং রিনজিন ইয়ার্গে বলেন, ব্যক্তির মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের মূলভিত্তি।  

তিনি বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি- কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এটা বাস্তবায়ন করা না হলে, আইন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে অবিচারের উৎস হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তৃতায় ভুটানের বিচার ব্যবস্থার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির এরূপ সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই সম্মেলনের ফলে এই অঞ্চলের বিচারব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে তা উত্তরণে সহায়ক হবে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, সুপ্রিমকোর্ট বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, এক লাখ টাকা জরিমানা

ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, এক লাখ টাকা জরিমানা
সংগৃহীত

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।


সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদর এলাকায় মুরাদনগর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা অভিযানের নেতৃত্ব দেন। 


এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. জয়ন্ত, মুরাদনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন ও মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি টিম।


এ নিয়ে জানা গেছে, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন (লাইসেন্স) বিহীন। এখানে চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নামে নেওয়া হতো অতিরিক্ত টাকা। কেবল তাই নয়, দক্ষ টেকনিশিয়ানও নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।এছাড়া ব্যবহার করা হতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট।


সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযানে গিয়ে ওইসব অনিয়ম দেখতে পায়। নিবন্ধন না নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও গেলে করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।


মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি
শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপতির নিয়োগের পর গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।

নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

বেনাপোলে স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

বেনাপোলে স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক
সংগৃহীত

বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বারসহ মনোর উদ্দিন (৩১) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।


মনোর উদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালি গ্রামের কদর আলীর ছেলে।


শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ি বিজিবি চেকপোস্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি।


বিজিবি জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পুটখালি গ্রামে দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য বিপুল পরিমাণ একটি স্বর্ণের চালান যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একটি ইজিবাইক আরোহীকে গতিরোধ করা হয়। এ সময় ইজিবাইক ও তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান তার পায়ুপথে ছয় পিচ স্বর্ণের বার আছে। পরে তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যানিং করলে তার সত্তাতা পাওয়া যায়। এবং স্বর্ণের বার গুলো উদ্ধার করে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ টাকা বলে তারা জানায়।


খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার জানান, জব্দ করা স্বর্ণের চালানটি যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ, একদিন পর গ্রেফতার
সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। 


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন। 


মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪। 


মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।


 বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা

কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা
সংগৃহীত

কেউ গাড়ির হেলপার-ড্রাইভার, কেউ দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, কেউবা পুরাতন মালামাল ক্রেতা কিংবা রাজমিস্ত্রী। আছে সবজি বিক্রেতাও। কিন্তু ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা-পরিচয়। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ।


এসব ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। প্রত্যেকেই জেল খেটেছেন। বেরিয়ে আবারো জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।


পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ।


গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব এবং লেভেল হাই এর অন্যতম মূলহোতা মো. শরিফ ওরফে মোহন ও চাঁন গ্রুপ,মাউরা ইমরান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন লেভেল হাই, ৬ জন চাঁন গ্রুপ, ৫ জন লও ঠ্যালা গ্রুপ, এবং ৭ জন মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র‌্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।


র‌্যাব-২ অধিনায়ক আরও বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেফতাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এসব গ্রুপের গ্রেফতাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাদক সেবনসহ এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা। মূলত তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।


গ্রেফতারদের পেশা সম্পর্কে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে তারা মূলত মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।


অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীব পাটালি গ্রুপ এর মূলহোতা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। সে এই সন্ত্রাসী গ্যাং এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিল।


গ্রেফতার রানা শিকদার, জুয়েল মিয়া ও সাগর গ্রেফতার ফর্মা সজীবের সহযোগী। তারা গ্রেফতার পাটালি গ্রুপ এর ফর্মা সজীবের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ১১টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।


র‌্যাব-২ এর সিও আরও বলেন, গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহন লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতো। সে টাকলা হায়াতের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিল।


টাকলা হায়াতের অবর্তমানে সে গ্যাংটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার দুলাল, সোহাগ ও তারেক তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। তারা গ্রেফতার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো। শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৮টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


গ্রেফতার সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। সে ২০১৮ সালে বরিশাল হতে ঢাকায় এসে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি করেছে।


২০২১ সালে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে চাকরির সময়ে চাঁন গ্রুপ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৩টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকের কারবারে গ্রেফতার ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডিস ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করে। আগে সে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।


২০২১ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে নিজেই একটি কিশোর গ্যাং মাউরা ইমরান গ্রুপ গঠন করে। মাউরা ইমরান মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছে।


মুরগী রাকিব লও ঠ্যালা গ্রুপের সদস্য । র‌্যাব-২ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান আরও বলেন, রাকিব ওরফে মুরগী রাকিবের জন্ম বরিশাল এলাকায়। সে বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্টসে চাকরি ও ডিসের লাইনে চাকরি করতো। ২০২০ সালে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির সময় লও ঠ্যালা গ্রুপে যোগ দেয়। সে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ ও মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত দুটির অধিক মামলায় কারাভোগ করেছে। 


গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০