শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা
হবে। তবে আইন ভেঙে অসন্তোষ সৃষ্টি করলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন, শ্রম ও
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক কল্যাণ
তহবিলে গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শ্রমিকদের কল্যাণে দেশের বিভিন্ন শিল্প
গ্রুপকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যারা শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে
লভ্যাংশের নির্ধারিত অংশ দিচ্ছেন না, তাদেরও এর আওতাভুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার
ভিত্তিতে তহবিল থেকে শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া হবে। শ্রমিকদের দাবি অনুসারে তাদের সব
সমস্যার সমাধানও করা হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য
দাবি পূরণ করা হবে। তবে যেসব শ্রমিক আইন ভেঙে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে, তাদের আইনের আওতায়
আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গ্রামীণফোন লিমিটেড তাদের গত এক বছরের
লভ্যাংশের দশমিক ৫ শতাংশ হিসেবে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪২
টাকা প্রদান করেছে। এখন পর্যন্ত এ তহবিলে ২৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দিল গ্রামীণফোন লিমিটেড।
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৪৪০টি কোম্পানি
লভ্যাংশের নির্ধারিত অংশ নিয়মিত দিয়ে থাকে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে এখন পর্যন্ত জমা
রয়েছে ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাহী
বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ
রেফাত আহমেদ।
আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম
কোর্ট বার আয়োজিত নবীন আইনজীবীদের কর্মশালায় এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ
বলেন, বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন হয়েছে; যা আগে পার্লামেন্টের
কাছে ছিল। বিচার বিভাগ আলাদা করার জন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক
স্বশাসন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নবীন আইনজীবীরা বিচারবিভাগের মর্যাদা
সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। সাম্প্রতিক আদালত অঙ্গনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনজীবীদের
আরও দায়বদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। সার্বিকভাবে বিচারবিভাগ বার ও বেঞ্চের সমন্বয়ে এগিয়ে
যাবে।
এ সময় চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার
ঘটনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ৫ আগস্ট ঘিরে আন্দোলনে নিহত আহতদের নিয়ে বিশেষ
দোয়া হয়। উল্লেখ্য, আজকের কর্মশালায় চট্টগ্রামের আইনজীবী আলিফেরও থাকার কথা ছিলো।
এসময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি
জুবায়ের রহমান চৌধুরী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। অ্যাটর্নি জেনারেল
মো. আসাদুজ্জামান , সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী
ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সারা দেশ থেকে প্রায়
এক হাজার ৫০০ নবীন আইনজীবী যারা বারে নতুন সদস্য হয়েছেন তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর
শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আজ বৃহস্পতিবার (২১
নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে
এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি
চৌকস দল প্রধান উপদেষ্টাকে সালাম জানান। এসময়
বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
প্রধান উপদেষ্টা সেখানে রাখা দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেখানে
তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধ্যাপক ইউনূসকে
স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনা,
নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং তারা পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক হামলা চালায়।
স্বাধীনতার পর থেকে এই ঐতিহাসিক দিনটিকে
প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল
কোঅপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকায়
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।
এ সময় তিনি সার্ক ফেডারেশন অব অনকোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ
করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা
উল্লেখ করেন।
এ সময় নিজের ছোটভাই বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক,
সমালোচক ও খ্যাতনামা টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে স্মরণ করেন অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাইয়ের ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসার সময় তাঁর পুরো পরিবারকে কী
ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। সেসময় ডা. করিম কীভাবে
তাঁর চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন সে কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন, তা এখনো আমরা পাচ্ছি না। সার্ক যে ক্যান্সার চিকিৎসাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব
দিচ্ছে এটা অত্যন্ত জরুরি ও অনুপ্রেরণামূলক।
দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলো সার্ককে সক্রিয়
করে তোলার মধ্য দিয়ে লাভবান হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্ক আমার কাছে
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পরপরই সার্ককে সক্রিয়
করার বিষয়ে বলেছি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর জন্য সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, আমি মনে করি, দুটি দেশের
মধ্যেকার সমস্যা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত না। প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা
যদি সাক্ষাৎ করেন, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তাহলে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা যায় যে
আমরা একসঙ্গে আছি। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন
করবে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজকের কনফারেন্সের
মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্ক সক্রিয় করতে আবারও আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর কদমতলী এলাকা
থেকে হত্যা মামলায় সুজন (২৪) ও মো. বশির (৫৫) নামে পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১০।
৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক
এডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৬ নভেম্বর সোমবার রাতে
র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানী কদমতলী থানার মাদবর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোলা
জেলার বোরহানউদ্দিন থানার হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান,
আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। তারা মামলার পর
থেকে রাজধানীর কমদতলীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
গ্রেফতারের পর তাদের
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গায় শুভ ‘বড়দিন’ ও ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গান-বাজনা কিংবা ডিজে পার্টি ,আতশবাজি ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: মার্টিন হীরক চৌধুরী, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিডি ইয়াসিন সোহাইল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক থার্টি ফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে, বাড়ির ছাদে গান-বাজনা কিংবা ডিজে পার্টি, ফানুস ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। প্রতিবছরই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষকে স্মরণীয় রঙ্গিন করতে এবং বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রচুর পরিমাণে ফানুস উড়ানো হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফানুস উড়ানোর জন্য আগুন ধরে বাসস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফানুস উড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ২টি বড় উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একাধিক টিম কাজ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য চুয়াডাঙ্গাবাসীর সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে
দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলটি ১০ দিনের কর্মসূচিও
ঘোষণা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য
ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমরা এর গুরুত্ব এ প্রজন্মের কাছে
পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য আমরা ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে,
৬ নভেম্বর আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা
উত্তোলন, সকাল ১০টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক
অর্পণ। ৮ নভেম্বর বিকেল ৩টায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি। প্রতিটি সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন
স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা আয়োজন করবে। এ দিবস উপলক্ষে পোস্টার, লিফলেট ও ক্রোড়পত্র
প্রকাশ করা হবে। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাসাসের উদ্যোগে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
হবে। এ অনুষ্ঠান বিভাগীয় শহরগুলোতেও করা হবে। পাশাপাশি জেলাগুলো যে ধরনের কর্মসূচি
নিতে চায়, তা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারবে।
পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতেও
যে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান
মির্জা ফখরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে
আজ শুক্রবার
(৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে। আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুক।
দেড়যুগ পরে দেশে সত্যিকারের একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বিপুল তরুণ গোষ্ঠী এবার জীবনে প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এসব লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা সকল রাজনৈতিক দল এবং আপনাদের এলাকার প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার আদায় করে নেবেন যেন আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যেসব সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে তা কোনো প্রকার কাটাছেঁড়া ছাড়াই যেন তাঁরা অনুমোদন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, আপনারা ওয়াদা আদায় করে নেবেন যে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রশ্নে কখনও কোনো প্রকার আপস করবেন না এবং দেশের বাইরের কোনো শক্তির কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেবেন না।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস বলেন, আপনারা তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেবেন এই মর্মে যে তারা কখনোই, কোনো অবস্থাতেই আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন না।
জাতীয় নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে দেশবাসীর আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে। এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে। এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার- যা কি না জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়- সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, এবারের নির্বাচন শুধু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার বিষয় নয়। এটা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনে পরিচিত দলগুলোই থাকবে। তাদের পরিচিত মার্কাগুলোই থাকবে। কিন্তু ভোটারকে বের করে আনতে হবে যে এই মার্কার পেছনে আপনার কাছে ভোটপ্রার্থীরা কতটুকু ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য প্রস্তুত। কে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা যারা এই নির্বাচনে ভোটার হবো তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান এবং সৌভাগ্যবতী। আমরা একটা অনন্য ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের সুযোগ ও দায়িত্ব পাচ্ছি। আমরা জাতির নতুন যাত্রাপথ তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব পাচ্ছি। আমরা নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টির মহান সুযোগটা পাচ্ছি। আমাদের সুচিন্তিত ভোটের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ নির্মিত হবে। শহীদদের রক্তদান সার্থক হবে। আশা করি, বিষয়টা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবো এবং দৃঢ় প্রত্যয়ে ভোট দেবো। এখন থেকে ভাবনা চিন্তা শুরু করুন। আলোচনা শুরু করুন। এখন থেকে আপনাদের ভোটের গুরুত্বটা বুঝে নিন। আপনার এবারের ভোটের গুরুত্ব ঐতিহাসিক মানদণ্ডে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসলাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোহিঙ্গা
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতার করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় যান জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পরে সেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে
কক্সবাজারে পৌঁছে সেখানে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে বিকেলে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ৪ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব এবং অনন্য মানবিকতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করায় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪), সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট মো: বায়েজিদ বোস্তামী ও ল্যান্স কর্পোরাল (গানার) কাজী সুজনের সাথে সেনাসদরে সাক্ষাৎ পূর্বক ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান তাদের সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রাণিত করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নবীন অফিসার লেফটেন্যান্ট মোঃ বায়েজিদ বোস্তামী এক উদাহরণস্বরূপ অবদান রেখেছেন। গত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত হয়ে নিজ হাতে তিনি প্রায় ৩৫০ জন এর অধিক বন্যার্তদের উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে ছিলেন শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা,বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি সহ অনেকেই।
এছাড়া ল্যান্স কর্পোরাল (গানার) কাজী সুজন ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ভুজপুর এলাকায় বন্যার্তদের উদ্ধারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত হয়ে নিজ হাটুকে সিঁড়ি বানিয়ে অসুস্থ,গর্ভবতী মহিলাদের ট্রাকে উঠতে সহায়তা এবং বন্যা কবলিত এলাকায় অসহায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চীফ অব জেনারেল স্টাফ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া এবং উক্ত সেনা সদস্যদের অধিনায়কগণ।
তরুণ সেনা সদস্যগণের মতোই দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য কাজ করে যাচ্ছে দেশবাসীর সেবায়। তারুণ্যের এই সহমর্মিতা ও মানবতাবোধ হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস।
মন্তব্য করুন