কলা গাছে সাধারণত একটি মোচা হয়। তবে বিষয়টি কম বেশি সবারই জানা। একটি কলা গাছে ৪০টি মোচা ধরেছে, তবে বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে। এই ঘটনা দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে যাচ্ছেন ওই গ্রামে। যা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সিয়াম নামের এক কিশোর গত (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বানিয়াজান খালের কৃষি জমিতে কাজ করতে যায়।
এসময় জমির পাশেই একটি কলা গাছে ওই অদ্ভুত ওই মোচা দেখতে পায়। সে ফিরে এসে গ্রামের অনেককে বিষয়টি জানায়। এমনি করে খবরটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ওই কলাগাছটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই কলাগাছটির ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল মান্নান জানান, এক কলা গাছে অসংখ্য মোচা ধরেছে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। তবে আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, একটি কলা গাছে প্রায় ৪০টি মোচা ধরার ঘটনা বিরল। এমনটা অস্বাভাবিক। এখানে কুসংস্কারের কিছু নেই।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সকল ক্ষেত্রে যদি আল্লাহ’র দাসত্ব করতে পারি, তাহলেই ইসলামের শান্তি কায়েম হবে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বৈষম্যমূলক একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠিত এবং পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ও দেশ এবং জনগনের সমৃদ্ধির জন্য জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার রক্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু মানুষের সেই কাঙ্খিত আশা এখনো পূরন হয়নি। ছাত্র-জনতার প্রানের বিনিময় ও রক্ত-চোখের পানির বিনিময়ে নতুন বিপ্লব হয়েছে। এ বিপ্লব পূর্বের বিপ্লবের মতো কোনো ধরনের নস্যাৎ করা যাবে না। তাই আল্লাহ’র বিধান অনুযায়ী এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তিনি শুক্রবার বিকালে কচুয়া ৭নং সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ঘাগড়া বাজারে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে পধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুস ছামাদ আযাদীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিয়াজীর পরিচালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও হাজীগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,উপজেলা আমীর এ্যাডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, শাহ মুহাম্মদ জাকির উল্যাহ শাজুলী,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহ-সেক্রেটারী হাফেজ দেলোয়ার হোসেন,মাওলানা আমিনুল হক মীর আযাদী প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিষধর সাপের কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনার আমতলীতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে । গৃহবধূর নাম রেজিমোন এবং মৃত্যুকালে তার
বয়স হয়েছিলো ৫০বছর।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের মধ্য আঙ্গুলকাটা গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর থেকেই গুলিশাখালী ইউনিয়নের সর্বত্র এখন রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক
বিরাজ করছে ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরের ঘাটে অজু
করতে যায়। ওই সময় তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। তার ডাক-চিৎকারে বাড়িতে থাকা স্বজনরা এগিয়ে
এসে দেখতে পায় রেজিমোন মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে এবং তার পায়ে সাপে কাটার চিহ্ন রয়েছে।
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্বজনরা তাকে তাৎক্ষণিক
পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। ধারণা করা
হচ্ছে তাকে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সাপের কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
মন্তব্য করুন
বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বারসহ মনোর উদ্দিন (৩১) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মনোর উদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালি গ্রামের কদর আলীর ছেলে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ি বিজিবি চেকপোস্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পুটখালি গ্রামে দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য বিপুল পরিমাণ একটি স্বর্ণের চালান যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একটি ইজিবাইক আরোহীকে গতিরোধ করা হয়। এ সময় ইজিবাইক ও তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান তার পায়ুপথে ছয় পিচ স্বর্ণের বার আছে। পরে তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যানিং করলে তার সত্তাতা পাওয়া যায়। এবং স্বর্ণের বার গুলো উদ্ধার করে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ টাকা বলে তারা জানায়।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার জানান, জব্দ করা স্বর্ণের চালানটি যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক মসজিদ হচ্ছে পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদটির ৯টি লোহার দানবাক্স রয়েছে।
প্রতি ৩মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় ২৩ বস্তা টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল:
দীর্ঘ
পাঁচ বছর পর আবারও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য
আয়োজন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর, প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
উৎসবের সূচনা হয় সকাল সাড়ে ৯টায়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে বর্ষবরণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল
১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। ছেলেদের
জন্য আয়োজন করা হয় মোরগ লড়াই আর মেয়েদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, যা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
সকাল
সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য,
কবিতা আবৃত্তি ও নাটিকা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে
নিজ নিজ স্টলে পরিবেশন করে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি — পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিটা, মালপোয়া
প্রভৃতি।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এদেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি চেতনা জাগ্রত করবে।”
প্রো-ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার
দায়িত্ব আমাদের সকলের। এমন আয়োজন সেই দায়িত্ব পালনকে আরও বেগবান করে।”
ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, নতুন বছর আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে
দিয়েছে। অতীতের অন্যায়-অবিচার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের
পথে।
প্রায়
পাঁচ বছর পর কুবিতে এই আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা
গেছে। দিনভর চলা নানা আয়োজনে মুখর ছিল গোটা ক্যাম্পাস।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর মার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি ডাক্তার,
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত প্রায় এগারটায় সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওই সময় উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা সেনাবাহিনীর দিকে ধেয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য
সেনাবাহিনী ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উত্তেজিত লোকদের ছাত্র ভঙ্গ করে।
এতে করে দুই পক্ষের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় সবজি ক্ষেতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুললেন কৃষক মিজানুর রহমান। জাতীয় পতাকার আদলে তার সবজি ক্ষেত ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। কৃষক মিজানুর রহমান কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া এলাকায় রাস্তার পাশে সবুজ পালং শাক ও লাল শাকের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। জাতীয় পতাকার আদলে করা এ সবজি ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশেপাশের মানুষজন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তা তিনি সবজি ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেন জাতীয় পতাকা।
তাছাড়া কৃষক মিজানুর রহমান মনেপ্রাণে ভালোবাসেন কৃষিকাজ। তেমনি ভালোবাসেন লাল-সবুজের পতাকাকেও। তার কৃষিকর্মের মাধ্যমে ফসলি মাঠে ফুটিতে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে কৃষকের এমন শিল্পকর্ম দেখে থমকে দাঁড়ান পথিক। আগ্রহ নিয়ে জাতীয় পতাকার সৌন্দর্য দেখেন।
স্থানীয়রা বলছেন, কৃষক মিজানুর রহমান সবজি ক্ষেতে জাতীয় পতাকা তৈরি করে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, তেমনি দেশের প্রতিও দেখিয়েছেন অকৃত্রিম ভালোবাসা।
কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে জাতীয় পতাকার আদলে সবজি ক্ষেতটি রোপণ করতে বলা হয়। পরে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও উৎসাহে আমি সবজি ক্ষেতে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুলতে পালং ও শাল শাক দিয়ে এ চিত্রকর্মটি বানাতে সফল হই। দেশের প্রতি দেশপ্রেম উদ্ধুদ্ধ করতে আমি জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুলেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সবজি চাষ থেকে শুরু করে মিজানুর রহমানকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশে সবজি ক্ষেত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। তার সবজি ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে এমন দৃশ্যে যে কারও চোখ আটকে যাবে। বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি তৈরি করে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এতে করে যারা কৃষক রয়েছেন তাদের মাঝেও দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হাসান বলেন, মা, মাটি আর দেশকে মনেপ্রানে ভালেবাসেন সবাই। দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সম্মান জানিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে সবজি ক্ষেতেই ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। এভাবে দেশের প্রতি দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে ভবিষতে আরো নিদর্শন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও মুর্যালসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন প্রতিকৃতি চিত্র ফুটিয়ে তুলতে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৮ বছর পর জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর কুমিল্লা বিভাগীয় উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে খেলার সূচনা হয়। তিন জেলার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে – সবুজ দল এবং লাল দল।
সবুজ দল গঠিত হয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও মহানগরের খেলোয়াড়দের নিয়ে, আর লাল দল গঠিত হয়েছে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা মিলে। ২০ ওভারের এই খেলায় টসে জিতে সবুজ দল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেহেদী হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সবুজ দল।
পরে, জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে লাল দলের প্রথমে নাজুক অবস্থা থাকলেও দলের হাল ধরেন নাহিদ ও সুমন। দুজনের পার্টনারশিপে রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন তারা৷ পরে, সবুজ দলের সানজিদ মজুমদারের বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে যায় লাল দল। ৪ উইকেট হাতিয়ে নেয় সানজিদ। কিন্তু, লাল দলের নাহিদের ব্যাটিং জড়ে হাফ সেন্সুরি ও নাহিদ-ইয়াসির জুটির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সবুজ দল। ঘুরে দাঁড়ায় লাল দল৷ ৪ উইকেট হাতে রেখে ও ১৯ ওভারে ইয়াসির আরাফাতের বাউন্ডারির মাধ্যমে লাল দল নিজেদের ঝুড়িতে টার্গেট রান তুলে নেয়৷ সবুজ দলের দৃঢ় বোলিংয়ের সামনে লাল দল নিজেদের ব্যাটিংয়ের জড় দেখিয়ে এভাবেই একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয়।
পরে, খেলোয়াড়দের মাঝে একে একে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা৷ উদ্বোধনী এই ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন লাল দলের ইয়াসির আরাফাত। পরে, একে একে অতিথিদের হাত থেকে পুরষ্কার তুলে নেন দু’দলের খেলোয়াড়রা৷
এসময়, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা বিভাগীয় এই উদ্বোধনী ম্যাচের সাফল্যের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি খেলা নিয়ে স্থানীয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট ক্রীড়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড
দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের
বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজু আদালতের কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, খালেদা আক্তারকে বিয়ের পর
থেকেই তার স্বামী রাজু বেকার ছিলেন। এ কারণে মেয়েসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে
থাকতেন খালেদা।
রাজু ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে
যান। পরের দিন ভোরে স্বামীকে কাপড় ধুয়ে দেয়ার কথা বলেন খালেদা। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির
একপর্যায়ে খালেদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার স্বামী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, খালেদার মরদেহ পুকুর ঘাটের কাছে ফেলে রেখে আসামি পালিয়ে যান। এরপর ঘাটে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে রাজুকে আসামি করে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা করেন খালেদার বাবা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অতিরিক্ত পিপি আমিনুল ইসলাম ও নুরুল
ইসলাম জানান, তাদের আশা, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন