

ময়মনসিংহে
বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে
সদর উপজেলার আলালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর
থানার এসআই হারুনুর রশিদ
জানান, ঢাকা থেকে শেরপুরগামী
আদিল পরিবহনের একটি বাস আলালপুর
এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে
চালকসহ ৭জন নিহত হন।
এখনো নিহতের নাম পরিচয় জানা
যায়নি।
এ
বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার
হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও অটোরিকশা
জব্দ করা হয়েছে। যান
চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে
কাজ করছে।
মন্তব্য করুন


পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ৩৬ কেজি গাঁজা’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৬ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২২ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলোঃ ১। ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোঃ হাশেম আলী এর ছেলে মোঃ আশরাফুল (৩৫); ২। একই থানার নতুন কোর্ট পাড়া গ্রামের মোঃ হুমায়ুন কবির এর ছেলে মোঃ মুক্তার হোসেন (৩০) এবং ৩। গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর থানার কানুড়িয়া গ্রামের মোঃ জহুর আলী শেখ এর ছেলে মোঃ সুমন শেখ (২৪)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৬ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১৪ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার খাসেরহাট (মিস্ত্রিপাড়া) গ্রামের ফাইজ উদ্দীন এর ছেলে মোঃ মুকুল (২৯)।
র্যাব জানায় প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলায় করটিয়া
ইউনিয়নের এক মহিলা মাদরাসায় বোরকা পরে যাওয়ায় সিয়াম নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন
জনগণ।
পরে স্থানীয়দের গণপিটুনির কবল থেকে
ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান
চৌধুরী মজনু।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে
করটিয়ার রওজাতুল মহিলা মাদরাসায়। বর্তমানে ওই যুবক টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের হেফাজতে
রয়েছে।
আটক মো: সিয়াম হোসেন সিপু (১৯) টাঙ্গাইল
পৌরসভার ধুলেরচর এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে।
করটিয়া রওজাতুল বালিকা মাদরাসার পরিচালক
মো: সিয়াম জানান, সোমবার সকালে মাহফিলের টাকা আদায়ের রশিদ নিয়ে বোরকা পরিহিত একজন
মাদরাসায় প্রবেশ করেন। পরে তার কণ্ঠ শুনে ও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
পরে বোরকার ওপরের অংশ খুললে দেখা যায় তিনি একজন যুবক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা
মাদরাসা থেকে বের করে তাকে পিটুনি দিতে থাকেন।
করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর
মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, পরিষদের কাজে আমি উপজেলা পরিষদে থাকায়
শাহীন মেম্বার ও লতিফ মেম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে ভিড়
জমে গেলে দ্রুত পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক সিয়ামের বাবা মো. ফরহাদ আলী বলেন,
আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই নানান কাণ্ড ঘটায়। তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা
দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে সিয়াম নানির বাসায় যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিয়াম নামে এক যুবককে
আটক করা হয়েছে। তবে তার স্বজনরা জানিয়েছেন যে ছেলেটি মানসিক রোগী। তারপরও আমরা তদন্ত
চালাচ্ছি। তদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ঢাল এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভোরের পাতা পত্রিকার সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক জহির ভূঁইয়া (৫৩) মারা গেছেন। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জহির ভূঁইয়ার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা গ্রামে। তিনি ঢাকার সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক।
তার ছেলে রাকিব ভূঁইয়া তামিম জানান, জহির ভূঁইয়া দুপুরে বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে বের হন। কিছুক্ষণ পর পথচারীরা ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানায়। হাসপাতালে নেওয়ার পরও তার জীবন বাঁচানো যায়নি। আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহটি মর্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


সিরাজগঞ্জে হারুন অর রশিদ (৩৬) নামে এক শিক্ষককে অপহরণ করে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার শ্বশুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান ঘটনাটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: শাহজাদপুর থানার বড়মহারাজপুর গ্রামের তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, একই জেলার মো. ইদ্রিস মোল্লা (৪০) ও মো. মুকুল মোল্লা (৪৬)।
হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের গাজী মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।পাবনার আমিনপুর থানাধীন রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ।
র্যাব-৪ জানায়, দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী রেখা খাতুন পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তালাক দেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বড় মহারাজপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ এর শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, চাচা শ্বশুর দুলাল মোল্লা ও ইউপি সদস্য হাশেমের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা গাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, শিক্ষক হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার পর আসামিরা পলাতক ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার ডেইরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পিকআপে করে ছাগল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে তিন চোর। এ ঘটনায় ছাগলের মালিক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান। এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছাগল পিকআপে করে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের মিঠাপুর-রাজাপুর এলাকায় তিনচোরকে আটক করা হয়। আটককৃত চোরেরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আয়নাল শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক শেখ (২৫), একই উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে রাসেল মাতুব্বর (২৫) ও হাসামদিয়া গ্রামের মৃত তোরাফ শেখের ছেলে সেন্টু সেখ (২৭)। মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামের দাউদের স-মিলের সামনে থেকে শফিকুল ইসলামের দুইটি বকনা ছাগল চুরি করে পিকআপে পালানোর সময় বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে পৌঁছালে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ছাগলের মালিক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করে। মামলায় তিনচোরকে শনিবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ছাগল চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের শনিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মুকুল বসু, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে নকল শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজার সংলগ্ন শেলাহাটি গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল শিশু খাদ্য তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন মো. আশরাফ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই কারখানায় নকল শিশু খাদ্য উৎপাদন করে বিভিন্ন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় কারখানার মালিক আশরাফ মল্লিকে (২৭) ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, আশরাফ মল্লিক নকল শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। তাকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ১৩ ধারাই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিশেষ অভিযানে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম মো. রুবেল (৩৮)। তিনি উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার বাসিন্দা এবং মো. আসমত আলীর ছেলে।
লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে বালুরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে এবং এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৪টি ছুরি, ২টি তালা কাটার যন্ত্র ও ২টি রেঞ্চসহ ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরিফ হাসান মেহেদী নামে ডাকাত দলের ১ সদস্য স্বীকার করেছে- কয়েকদিন আগে মেহেদীবাগস্থ আমিরবাগ আবাসিকের এক বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণ তার কাছে রয়েছে।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকার সানাই সিনেমা হলের খালি জায়গার ঝোপের ভিতরে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ৫১ ভরি ১২ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর পূর্বালী চত্বরে “সচেতন নাগরিক” ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. আরিফ হোসেন, মোস্তফা জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল লতিফ, আব্দুল ওয়াদুদসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, “মেডিকেল কলেজে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে ডা. এম এম হাসানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ডা. আরিফ হায়দার ও তার সহযোগীরা যে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এতে শুধু একজন চিকিৎসকই নয়, বিএনপির ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “সংগঠনের ভেতরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা দলীয় ঐক্য বিনষ্ট ও বিভাজন সৃষ্টির যেকোনো চেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন