

শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ কে সামনে রেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
৮ অক্টোবর থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ১৫০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী। ইতোমধ্যে স্বেছাসেবকগণকে উপজেলা প্রশাসন, আদর্শ সদর এর আয়োজনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, "এই ধরণের জনকল্যাণমুখী স্বেচ্ছাসেবী কাজে তরুণরা এগিয়ে আসছে সেটি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। তরুণদের হাত ধরে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।"
শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ এবং তৎপরবর্তী সময়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, অটোর সংখ্যা কমিয়ে আনা, কিছু রাস্তাকে একমুখীকরণ প্রভৃতি অন্যতম।
জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এবং ট্রাফিক বিভাগ, কুমিল্লা এর এই সমন্বিত পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার ফলে কুমিল্লা মহানগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন কুমিল্লা মহানগরের অধিবাসীরা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)নুরুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল পাশা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুজ্জামান সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট ২০২৫-এর কুমিল্লা ভেন্যুতে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দল দুর্দান্ত সূচনা
করেছে।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচে তারা চাঁদপুর জেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।
মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৮তম মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ৭ নম্বর জার্সিধারী তুহিন আহমেদ। গোলের পর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের আক্রমণাত্মক খেলা চলমান থাকলেও চাঁদপুরের গোলরক্ষকের দৃঢ় প্রতিরোধের কারণে ব্যবধান আর বাড়েনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চাঁদপুর জেলা দলের ৩ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাকিব হলুদ কার্ড দেখেন। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন একমাত্র গোলদাতা তুহিন আহমেদ।
এদিন বিকেলে বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিরুল কায়সার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, জামায়াতে ইসলামীর কুমিল্লা মহানগর শাখার যুব বিভাগের সভাপতি কাজী নাজির আহমেদ, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র এবং এ্যাডহক কমিটির সদস্য আরিফ খান, আহসান উল্লাহ স্বপন, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
আগামীকাল কুমিল্লা ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা দল।
মন্তব্য করুন


এমদাদুল
হক সোহাগ, কুমিল্লা:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন খাল দিয়ে অপসারিত স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালীর তরল বর্জ্যের কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের পাশাপাশি ফসলী জমি পতিত জমিতে পরিণত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তত সাতটি পয়েন্টে থেকে নমুনা সংগ্রহের পর সেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা শেষে সেই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়।
জানা যায়, কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবকে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাল সমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থালী তরল বর্জ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধিদল কুমিল্লা এসে কুমিল্লা ইপিজেড এর সাধারণ বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) এর পরিশোধিত তরল বর্জ্য এবং অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যেমন রেইসকোর্স, টমসনব্রিজ, ইপিজেড সীমানার বাহিরের সিটি কর্পোরেশনের খাল, ইপিজেড সীমানার ভেতরের খাল, সিইটিপি আউটলেট ও সিটি কতর্পোরেশনের খালের পানির মিশ্রণের পয়েন্ট, রাজাপাড়া এলাকার ব্রীজ এর নিচ দিয়ে প্রবাহীত খাল এবং দীশাবন্দ এলাকা সহ মোট সাতটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিনিধি দলটি। চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার বিশ্লষেণে দেখা যায়, দ্রবীভূত অক্সিজেন, সাসপেন্ডেড সলিডস,জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা, রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন, ফসফেট এর মান পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর মৎস চাষে ব্যবহার্য ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানিতে নির্গমনের এবং পয়: নির্গমনের জন্য নির্ধারিত মান মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীন। গত ০৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২২.০২.১৫০০.১৮৬.০০২.১৯ স্মারকে নমুনা সংগ্রহের গুণগত বিশ্লষন ফলাফল কুমিল্লা কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।
রিপোর্ট
বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেইসকোর্স খালে ময়লা পানিতে COD অর্থাৎ রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা
পাওয়া গেছে ২২৯, টমছন ব্রিজ এলাকায় ২০৭, ইপিজেড সীমানার বাইরে ২৭৩, ইপিজেড সীমানার
ভিতরে ৩১২, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৬৯, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ১৭৭ যার মানমাত্রা
৫০ এবং ১২৫ এর নিচে থাকার কথা।
BOD অর্থাৎ জৈবিক/বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৪৯.৩, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৪৬.১, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৫৯.২, ইপিজেড সীমানার ভিতরে ৫২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৩২.১, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৩১.৫ যার মানমাত্রা ৬ এবং ৩০ এর নিচে থাকার কথা। PO4 বা ফসফেট পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ২০.২, টমছন ব্রিজ এলাকায় ১৮.২, ইপিজেড সীমানার বাইরে ১৯.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৩২.৫, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ৫.৫, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ৯.৯ যার মানমাত্রা ০.৫ এবং ১৫ এর নিচে থাকার কথা। NH3-N মানে অ্যামোনিয়া নাইট্রোজেন পাওয়া গেছে রেইসকোর্স এলাকায় ৩৭.৫, টমছন ব্রিজ এলাকায় ৩০.৫, ইপিজেড সীমানার বাইরে ৪১.৭, ইপিজেড সীমানার ভেতরে ৫০.৬, রাজাপাড়া ব্রিজ এর নিচে ১৩.১৬, দিশাবন্দ এলাকার পানিতে ২৪.৯ যার মানমাত্রা ০.৩ এর নিচে থাকার কথা। এই রিপোর্ট অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ ও গৃহস্থী বর্জ্যের কারনেই খাল সমূহে মাছ সহ অন্যান্য জলজপ্রাণী বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন ( সিনিয়র সহকারী সচিব) মুঠোফোনে জানান, তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারীতে সিটি কর্পোরেশনে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর তেমন কিছু জানা নেই।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের খালের পানির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেটার রিপোর্ট ভালো আছে। আমাদের পানির কারনে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীন, কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে বিষয়টি ঠিক না। আপনারা এসব ভুয়া খবর কোথায় পান? রিপোর্ট আমাদের পক্ষে বলে ফোন কেটে দেন।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খালের নমুনা সংগ্রহের পর যে রিপোর্ট এসেছে তাতে প্রাণী ও মৎসকূল বিলীনের প্রমাণ মিলেছে। গত ০৮ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার এর মুঠোফোনে কল করলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন এবং পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে জানান।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আমরা
জেনেছি। গত আইন শৃঙ্খলা সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকে দ্রুত স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত করতে রাখতে থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে এ উৎসব পালিত হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার রাখি বন্ধনের মাধ্যমে তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ ভাইও বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দাবার ও উপহারের ব্যবস্থা করা হয়। রাখি উৎসবকে ঘিরে পরিবারের সব্বাই মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
জানা যায়- প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের ভালবাসার প্রতীক এই উৎসব। এই পবিত্র দিনে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দেয় এবং ভাই বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরফলে ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাইদের পাশাপাশি বোনরা নতুন পোশাক পরিধান করে এবং মিষ্টি মুখ করানোর মধ্যদিয়ে ভাইয়ের হাতে রঙ বেরঙের সুতো বা রাখি বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনদেরকে উপহার দিয়ে থাকে। এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়।
আরও জানা যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন। তবে বর্তমানে শুধুই ভাই-বোনদের মধ্যে এই উৎসব সীমাবদ্ধ নেই। জাতি বর্ণ ধর্ম র্নিবিশেষে পারষ্পারিক সৌহার্দ্য-সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্যেও রাখি পূর্ণিমা পালিত হয় থাকে। রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মহাভারতে বর্ণিত, এক যুদ্ধে কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। ফলতু দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোনের মর্যাদা দেন। এই উৎসবটি ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
সদর উপজেলার বিষ্ণপুর সীমান্তে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচারকালে নগদ ২৮ লক্ষ টাকা সহ
একজন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি’র কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০
বিজিবি) এর অধীন বিবিরবাজার বিওপি’র
আওতাধীন কটকবাজার পোস্টের একটি বিশেষ টহল দল গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) সন্ধ্যা
৬টা নাগাদ সীমান্ত এলাকার বিষ্ণপুর নামক স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটককৃত
ব্যক্তির হলেন- কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন তেতাভূমি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ফোরকান উদ্দিন (৩৫)
বিজিবি
সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত শূন্য রেখা থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্দেহজনকভাবে
ঘোরাফেরা করার সময় ফোরকানকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে
উদ্ধার করা হয় ২৮ লক্ষ নগদ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন।
বিজিবি
জানায়, আটক ব্যক্তি এ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। জব্দকৃত অর্থ
ও মালামালের মোট মূল্য ২৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
আটক
ফোরকান উদ্দিনকে নগদ টাকা ও জব্দকৃত আলামতসহ কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা
হয়েছে।
বিজিবি
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব
রক্ষা ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
চোরাচালান ও হুন্ডি প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় বকশিশের টাকা
ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে আরেক সহকর্মীকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরবেলা
এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ
ফরিদা ইয়াসমিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ
রাব্বি হোসেন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়-
২০২৩ সালের ১০ মে বিভিন্ন যানবাহনের মালিক/চালকের কাছ থেকে প্রাপ্ত বকশিসের টাকা ভাগাভাগি
নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃ রাব্বি হোসেন (২২) এর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মোঃ মারুফ
হোসেন (১৯) কে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘাই মারিলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায়
মাটিতে লুটাইয়া পড়ে। তার আত্ম চিৎকার শুনে ফিলিং স্টেশনের স্টাফরা তাঁকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঘোষগাঁও কাজী বাড়ীর মৃত মোঃ হাফিজুর
রহমানের স্ত্রী মোসাঃ মিনুয়ারা বেগম (৫০) বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ১৩ মে আসামি
মোঃ রাব্বি হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি
রাব্বি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তৎপর আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার
বিধানমতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪২২)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৪ সালের
৪ নভেম্বর আসামি মোঃ রাব্বি হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠন করলে রাষ্ট্রপক্ষে
১৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ
অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লেসহ যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন ১০ বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় কটকবাজার পোষ্টের বিজিবির বিশেষ টহল দল। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।
এসময় সন্দেহভাজন মিনি কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে ১৩ হাজার ৫শ ২৭ পিস অবৈধ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ডিসপ্লে ও গাড়িটি জব্দ করা হয়।
আটক হওয়া ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লের মূল্য ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন বিজিবি । জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী
লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানাধীন সাচার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত অন্য
একটি অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন কোয়া এলাকা হতে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ কামরুল হাসান
রিয়াদ (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সুয়ারুল গ্রামের আব্দুর রব পাঠান এর ছেলে এবং
২। বিল্লাল হোসেন (৪৫) একই থানার কোয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী
মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদ (৩১) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাচার
ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪৫) কচুয়া পৌর ০৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। তারা উভয়েই লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা কার্যক্রম পরিচালনার
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
অনিয়ম ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও প্রযুক্তিবিদ (টেকনোলজিস্ট) না থাকায় “কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল” প্যাথলজিকে ৫০,০০০ টাকা এবং আল নুর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে রেডিওলজিস্ট না থাকায় ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস মেডিকেলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া রিএজেন্ট ব্যবহার
করা হচ্ছিল এবং সেখানে কোনো রেজিস্টার্ড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত ছিলেন না। অন্যদিকে,
আল নুর হাসপাতালে এক্স-রে পরীক্ষার সময় কোনো রেডিওলজিস্ট উপস্থিত না থাকায় রোগীদের
সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান দুটি রোগীদেরকে প্রতিশ্রুতিসম্মত সেবা প্রদান
করতে ব্যর্থ হয়।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীন এ অনিয়মের জন্য মোট ৭০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি, ভবিষ্যতে সঠিকভাবে সেবা প্রদান ও নিয়ম মেনে চলার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া
হয়।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে
এই অভিযান পরিচালিত হয়। তাকে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম।
ভোক্তা
অধিদপ্তর জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রেয়াত পাবে না।
মন্তব্য করুন


ঈদ উপলক্ষে কুমিল্লা বিসিকে (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) উৎপাদিত সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ ২০-২২টি জেলায় যাচ্ছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল,মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়ে থাকে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়।
কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনে গর গর শব্দে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর সেটা উনুনে ভাজা হয়। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে দ্রুত প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। ঘণ্টায় একজন শ্রমিক দুই থেকে আড়াইশ’ প্যাকেট করছেন। কেউ প্যাাকেট, কেউ ওজন, কেউ মুখ লাগানোর কাজ করছেন। কেউ কার্টনে সেমাই ভরছেন।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের সেমাই কারখানার সুপারভাইজার মো. মহসীন, শ্রমিক ফজলে রাব্বী ও হালিমা আক্তার বলেছেন, ঈদের অল্প কয়েকদিন বাকি। এখন বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী টিপু সুলতান বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাইয়ের সুনাম রয়েছে। তাই স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও ভালো।
কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের পরিচালক সৈয়দ গোলাম কাদের তানিন বলেছেন, আমরা ৩ দশক ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। এখানে সেমাই তৈরিতে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা হয় না। আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর, কুলসুম নামে এবং লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি। চরাঞ্চলে বাংলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসির মামুন বলেছেন, কুমিল্লা বিসিকের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে সুনাম রয়েছে। তার একটি সেমাই। এখানে উৎপাদিত সেমাই ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এখানের সেমাই মান সম্মত। মান রক্ষায় আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাদুল হাসান রাফিকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
আজ শুক্রবার ( ১ আগস্ট) ভোর রাতে ফেনী জেলা থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মিনহাদুল হাসান রাফি গতকাল কলকাতা থেকে গোপনে কুমিল্লা এসেছিলেন। এ খবর পেয়ে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী চারটি মামলা রয়েছে।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাফিকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন