

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার একদিন পর আবারও দেশের সর্ব উত্তরের ২ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এতে ৫ ডিগ্রির ঘরে নামল জেলা দুটির তাপমাত্রা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা এই মৌসুমে দেশের ও দুটি জেলারই সর্বনিম্ন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও ১০ ডিগ্রির নিচে থাকছে প্রায়শই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার দেশের ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি। যা দুইদিনে দশমিক ৩ ডিগ্রি কমে গিয়েছে।
বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার এবং বাতাসে আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ বলেও জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন।
মন্তব্য করুন


আজ (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে যাবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুন্সিগঞ্জ যাবেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তারা এ তথ্য জানান।
গতকাল সমন্বয়ক ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ
জানান, প্রিয় চট্টগ্রামবাসী! আগামীকাল (রোববার) ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে আমাদের একটি সমন্বয়ক
টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।
সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল চট্টগ্রামে দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার
সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে প্রথম সভাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
নিয়ে দ্বিতীয় সভাটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
মুন্সিগঞ্জে’শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস
দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, আগামীকাল রোববার
(৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর।
যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জে
সেই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
সভা হবে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায়। রক্তের বন্ধনে
আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে নিজ বাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে
যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো.
সাজ্জাত আলী।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
পুলিশের জনবলের স্বল্পতা থাকার তথ্য জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এক
সপ্তাহ পর ঢাকাবাসীর অনেকে নিকটাত্মীয়র সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। আপনারা যখন
বাড়ি যাবেন, তখন নিজ দায়িত্বে ফ্ল্যাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করে যাবেন। আজ শনিবার ৭ রমজান। তারাবিহ সাতটি হয়ে গেছে। ঢাকাবাসী তারাবিহর নামাজ
পড়তে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবিহতে সময় লাগে। সে সময়টায় রাস্তাঘাটে জনশূন্যতা
দেখা যায়। এ সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসবেন। নগরীর যে ক্রাইম, সেটি
হচ্ছে স্ট্রিট ক্রাইম। মুঠোফোন টান দেওয়ার মতো সহজ কোনো ক্রাইম করা যায় কি না,
জানি না। পকেট থেকে মানিব্যাগ টান দেওয়া কিন্তু ঝুঁকি। এমনও মুঠোফোন আছে, যার দাম
লাখ টাকা। আমরা খবর পাচ্ছি, মুঠোফোনগুলো বর্ডারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘উঠতি বয়সের ছেলেরা, আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি, তারা
বাসের যাত্রী, প্রাইভেট কারের যাত্রী, মোটরবাইকের চালকদের মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এ
ধরনের অপরাধকে বলা হয় স্ট্রিট ক্রাইম। ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
এই শহরে নানা সমস্যা আছে। ইদানীং ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের অপরাধ খুন, ডাকাতির মতো
অপরাধের সংখ্যা খুবই কম। বিগত বছরের পরিসংখ্যান দেখলে অথবা অন্য দেশের বড় বড় শহরের
অপরাধের চিত্রের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের
অপরাধের চিত্র কম।
মন্তব্য করুন


সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন ।
আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু করেন আইনজীবীরা।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
গত ১০ মার্চ পবিত্র রমজানে বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ পরের দিন সোমবার (১১ মার্চ) স্থগিত হয়নি। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি শুরু হয়।
মন্তব্য করুন


বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয় দিবসটি উপলক্ষে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫
এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ
বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ
ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বিকেলে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার
কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং
সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে যা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরো জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন
অধ্যাদেশ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এর
মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দ্য প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব
ফিশ (আমেনমেন্ট) ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের
ভেটিং সাপেক্ষে এটির অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ
ও নেদারল্যান্ড সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগ থেকে উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ সমূহের
বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান বিষয়ে বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত সংস্কার
কমিশনের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে সম্ভাব্য সময় এবং বাস্তবায়নের
প্রভাব সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ দফা ওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রী
পরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে
সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
মন্তব্য করুন


শিক্ষাখাতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণ।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছে বিগত সরকার। আমরা তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেবো। এটা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল, নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমকেও যুগোপযোগী করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হবে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সবাই এ দেশের নাগরিক। সমান আইনের সুরক্ষার অধিকারী।
তিনি বলেন, তাদের সবার মানবিক অধিকারসহ অন্যান্য সব অধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য আমি উপদেষ্টা পদমর্যাদা-সম্পন্ন একজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছি, যার দায়িত্ব হবে জাতীয় সংহতি উন্নয়ন।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ (৩ অক্টোবর ২০২৪) ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও রংপুর এরিয়া পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অতঃপর তিনি আর্মি মেডিকেল কলেজ রংপুর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি সকল পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের শুরুতেই শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশমাতৃকার সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁর জন্য গর্বিত। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাসদর ও রংপুর এরিয়ার সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জিসান (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকায়।
নিহত জিসান সদাসদী গ্রামের বাসিন্দা ও গোপালদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হক সাবেরের ছেলে।
জানা যায়, জিসান এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল গোপালদী পৌরসভার সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ঘটনার দিন স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। স্কুলের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে দাইরাদী এলাকায় একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় জিসান। তাৎক্ষণিকভাবে জিসানকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন, আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের গঠন করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য প্রকাশ
করা হয়েছে। আট খণ্ডের এ প্রতিবেদনে রয়েছে- কমিশনের সুপারিশ, জুলাই জাতীয় সনদ, রাজনৈতিক
দল ও জোটগুলোর মতামত, আলোচনার সারসংক্ষেপ, বিভিন্ন নথিপত্র এবং কমিশনের করা জনমত জরিপের
ফলাফল।
আজ মঙ্গলবার
( ০৯ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন
গঠন করা হয়। প্রথম ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শেষের দিকে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি
করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার
কমিশনের প্রধানরা ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ওই দুই কমিশনের জ্যেষ্ঠ
সদস্যদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের
১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের
সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা চলে। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই চূড়ান্ত করা হয় জুলাই জাতীয়
সনদ ২০২৫, যা পরে ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অনুমোদিত
হয়।
মন্তব্য করুন